দার্জিলিং সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

কিছু মানুষের ইচ্ছের ঘুড়ি গুলো উড়ে বেড়ায় মেঘ পাড়ি দিয়ে আকাশ ছুঁতে চায়। অসীম আকাশ পানে চিৎকার করে বলতে চায় আমি উন্মুক্ত আমি স্বাধীন। কিন্তু আফসোস মানুষ তো আর ঘুড়ি হতে পারে না, পাখির মত উড়তে জানে না । তবে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় । আপনার এই অসীম চাহিদা পূরণ করবে পাহাড়ের রাজ্য দার্জিলিং জায়গাটি।

দার্জিলিংয়ের প্রতিটি বাক যেন অষ্টাদশী তরুণীর নির্লিপ্ত চাহনি । শুধু তাকিয়ে থাকতে মন চাইছে আর ডুবে যেতে মন চাইবেত।পাহাড়ের কথোপকথনের শব্দরাশি আর শত সহস্ত্র অভিমানী পাহাড়ি মুখশ্রীর আলিঙ্গন পাবেন দার্জিলিং জুড়ে। নিজেকেই উজার করে রাখা এক প্রিয়তম প্রেমিকার অপর নাম দার্জিলিং।

এবার দার্জিলিং সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি শহর ও পুরসভা হল দার্জিলিং। এই শহরটি হিমালয়ের শিবালিক পর্বত শ্রেণীতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,৭০০ ফুট( ২,০৪২.২ মি)উচ্চতায় অবস্থিত। শহরটিতে অনেক চা উৎপাদন করা হয়। এখানকার চাও উৎপাদকেরা কাল চায়ের উৎপাদন করতে শুরু করেন এবং নতুন ধরনের গাজন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন করেন ।বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দৃশ্য ও ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের জন্য বিখ্যাত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ।

গএখানে অনেক ধরনের জাতি রয়েছে তারমধ্যে লেপচা ,খাম্বা , গোর্খা , নেওয়ার, সেরপা ,ভুটিয়া অন্যতম । বাঙালি ও ভারতের অন্যান্য জাতি ও ভাষাগোষ্ঠীর সমাবেশ দার্জিলিংয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে প্রতিফলিত হয়েছে।

সিক্কিম ,নেপাল ,ভুটান ও ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে দার্জিলিং এর ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত সিক্কিম রাজ্য দ্বারা দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি অঞ্চল শাসিত হতো ।

এবার জেনে নেয়া যাক কিছু দর্শনীয় স্থানসমূহের তথ্য

পদ্মজা নাইডু হিমালায়ান জুলজিক্যাল পার্ক: এই পার্কে রেড পান্ডা, স্নো লেপার্ড, তিব্বতীয় নেকড়ে সহ পূর্ব হিমালয়ের প্রচুর বিপদগ্রস্ত ও বিলুপ্ত প্রাণী দের দেখতে পাওয়া যায়।

ধীরধাম মন্দির: কাঠমান্ডু বিখ্যাত পশুপতিনাথ মন্দির অনুরূপ এই মন্দির।

বেঙ্গল ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম: জাদুঘরের মাধ্যমে আপনারা গাছপালা ও পশু পাখিদের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে প্রবেশ করতে পারবেন।

লাওডস্ বোটানিক্যাল গার্ডেন: এই উদ্যানে অর্কিড, রডোডেনড্রন, মঙ্গোলিয়া, প্রিমুলা ,ফার্ন সহ নানা জাতের হিমালয়ের উদ্ভিদ দেখতে পাবেন।

ঘুম বৌদ্ধ মনেস্ট্রি: এটি এই অঞ্চলের সর্ববৃহ ৎ মনেস্ট্রি ।

জাপানিজ টেম্পল এবং পিস প্যাগোডা:

দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র 10 মিনিট ব্যবধানের পথ পাড়ি দিয়ে এই ইমারতের কাছে আসা যায়। এটি ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয়। এটি ভোর চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে। আপনারা যারা আসবেন তারা এ সময়ের মধ্যে চলে আসবেন।

হ্যাপি ভ্যালি টি এস্টেট: এটির দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানকার চায়ের সবুজ পাতার মনোরম পরিবেশ আপনাকে মন মুগ্ধ করে তুলবে।

দার্জিলিং ম্যাল এবং মহাকাল মন্দির: দার্জিলিং ম্যাল এবং মহাকাল মন্দির পাশাপাশি অবস্থিত। পায়ে হেঁটেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে আসা যায়।

বাতাসিয়া লুপ: দার্জিলিং থেকে টাইগার হিল যেতে বাতাসিয়া লুপ পরে।

টাইগার হিল: দার্জিলিংয়ের সবচেয়ে উঁচু জায়গা হলেও এই টাইগার হিল। এই জায়গা থেকে আপনি খুব কাছাকাছি সূর্য উঠানামা দেখতে পাবে এবং তা ক্যামেরায় বন্দী করিও নিতে পারেন।

টয় ট্রেন: দার্জিলিংয়ের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে এই টয়ট্রেন অর্থাৎ হিমালায়ান ট্রেন বিখ্যাত। ১৮৭৯-১৮৮১ সাল পর্যন্ত এই রেললাইন স্থাপিত হয়।

 

আপনারা যারা বিভিন্ন কাজ কর্মে ব্যস্ত রয়েছেন কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় পান না। তারা একটু সময় করে এই দর্শনীয় স্থান দার্জিলিং ঘুরে আসতে পারেন। এখানে আসলে আপনার কি যে ভালো লাগবে তা বলে বুঝানো যাবে না। এখানকার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আপনাকে এতটাই আনন্দ যোগাবে যে আপনার সারা জীবনের দুঃখ, কষ্ট, বেদনা নিমিষেই মলিন হয়ে যাবে।

আপনারা যারা ঘুরতে ভালোবাসেন তাদের জন্য আমাদের এই পেজটি অনেক উপকারে আসবে বলে আমাদের দীর্ঘ প্রয়াস।আমরা আপনাদের সামান্য উপকার করার জন্য দার্জিলিঙে থাকার জন্য যাতে কোনরকম সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য নিচে খুব ভালো মানের কিছু হোটেলের নাম দেওয়া হল।

  1. Ramada by Wyndham Darjeeling:
  2. Mayfair Darjeeling:
  3. Sterling Swiss Heritage hotel & Spa:
  4. Sinclair’s Darjeeling:
  5. Jai hotel:
  6. Humro Himalayan Orchid:
  7. Villa Everest:
  8. Tathagata Rooms:
  9. Crown Ville:

সিক্কিম ,নেপাল ,ভুটান ও ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে দার্জিলিং এর ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত সিক্কিম রাজ্য দ্বারা দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি অঞ্চল শাসিত হতো ।

Leave a Comment