বিশ্ব বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস এর জীবন বৃত্তান্ত ও ব্যক্তিগত জীবন জেনে নিন

সক্রেটিসের জন্ম 

সক্রেটিসকে (প্রাচীন গ্রিক ভাষায় Σωκράτης সক্রাত্যাস্‌) বলা হয়। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০অব্দে গ্রিসের এথেন্স শহরে এলোপাকি গোত্রে।এই বিশ্ব বিখ্যাত দার্শনিক এর পিতার নাম  সফ্রোনিস্কাস  (Sophroniscus) এবং মায়ের নাম ছিল ফিনারিটি যিনি একজন ধাত্রী ছিলেন।

socretis 1

বাল্যজীবন ও কর্ম

পেশায় তিনি ছিলেন একজন স্থপতি।

স্বপ্নে নিকাশ বিভিন্ন ধরনের পাথরের মূর্তি বানিয়ে সেগুলো বিক্রি করতেন।

সক্রেটিসের মাতার নাম ছিল ফিনারিটি

পেশায় তিনি ছিলেন একজন ধাত্রি।

দুজনে দু পেশায় নিয়োজিত থাকলেও তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত।

এর ফলে এই মহান  দার্শনিক এ জীবন খুবই বিষময় হয়ে উঠেছিল।

যার ফলে তাঁকে পাথর কাটার কাজে যোগদান করতে হয়েছিল।

এই মহান দার্শনিকের জীবনী সম্পর্কে তথ্য লিখিতভাবে পেয়েছে কেবলমাত্র তার ছাত্র প্লেটোর এবং সৈনিক জেনো ফরেনের রচনা থেকে।

এই মহান দার্শনিক এর বাবা মার সংসারে যেহেতু অভাব লেগে 

থাকত সেহেতু তিনি বা কোন উপায় না পেয়ে একরকম বাধ্য হয়ে পাথরকাটার পেশায় নিজেকে আবদ্ধ করে নিয়েছিলেন।

কিন্তু অদম্য জ্ঞানস্পৃহা নিয়ে জন্মেছিলেন সক্রেটিস।

এর ফলে যখন যেখানে যেটুকু জানার সুযোগ পেতেন সেটুকু জ্ঞান সঞ্চয় করে নিতেন নিজের আয়ত্তে।

এমনি করে বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছিল।

ছাত্র জীবন 

একদিন কোন এক ঘটনাচক্রে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তির সাথে সক্রেটিসের পরিচয় হয়েছিল।

কথার সুবাদে সক্রেটিসের সাথে সেই ধনাঢ্য ব্যক্তির আলাপ হয়।

তিনি আলাপের মাঝে সক্রেটিসের ভদ্র মধুর আচরণে বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তায় মুগ্ধ হয়ে তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে নেন

সেই সুবাদে পাথরের কাজ সেরে সক্রেটিসকে  এনাক্সাগোরাস(Anaxagoras)নামে এক গুরুর কাছে ভর্তি হতে হয়।

কিছুদিন পর কোনো এক অজানা কারণে এনাক্সাগোরাস আদালতে অভিযুক্ত হলে সক্রেটিস আরখ ইখলাস এর শিষ্য পদ লাভ করেন।

সেসময় গ্রীস দেশ ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল।

ফলে তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারি,যুদ্ধ বিগ্রহ ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত ।

এমতাবস্তায় দেশের প্রতিটি তরুণ,যুবক ,সক্ষম পুরুষদের যুদ্ধে যাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

এজন্য সক্রেটিসকে এথেন্সের সৈন্য বাহিনীর সঙ্গে এ্যামপিপোলিস অভিযানে যেতে হয়।

কিন্তু এই যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য সমস্ত যোগদান করে তার মন ক্রমশই যুদ্ধের প্রতি বিরূপ হয়ে উঠতে লাগলো।

তাই তিনি চিরদিনের মতো সৈনিকবৃত্তি পরিত্যাগ করে এথেন্সে ফিরে আসেন।

সেই সময় এথেন্স জ্ঞান-গরিমা,ব্যবসা-বাণিজ্য,শৌর্য,বীর্যে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

এই শিল্প-সাহিত্যকে সংস্কৃতির এক স্বর্ণযুগ হিসেবে পেয়েছিলেন তিনি।

এই পরিবেশে সক্রেটিস নিজেকে জ্ঞানের জগৎ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি

সক্রেটিস মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন যে তিনি জ্ঞানের চর্চায়,বিশ্বপ্রকৃতির জানবার সাধনায় নিজেকে উৎসর্গ করবেন।

সে সময়ে এতে যেহেতু শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির স্বর্ণযুগ ছিল 

সেহেতু সেখানে অনেকেই তাদের নিজেদের পাণ্ডিত্যের অহংকার ও বীরত্বের বড়াই করতেন।

সক্রেটিস তাদের উদ্দেশ্যে বলতো যে তারা বিরক্ত বলতে কী বোঝে?

পাণ্ডিত্যের স্বরূপ কি?

তারা যখন কোন কিছুর উত্তর দিত,

তখন তিনি আবারও প্রশ্ন করতেন।

প্রশ্নের পর প্রশ্ন সাজিয়ে বুঝিয়ে দিতেন তাদের ধারণা কত ভ্রান্ত।

মিথ্যা অহমিকায় কতখানি ভরপুর হয়ে আছে তারা।

এভাবে চলতে চলতে কোন এক সময়ে সেই সব লোক সক্রেটিসের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।

কিন্তু এই এই মহা দার্শনিক তাতে সামান্যতম বিকৃত বা চিন্তিত হয়ে পড়েন নি।

নিজের আদর্শ সত্যের প্রতি তার আস্থা ছিল অবিচল।

সেইসাথে ধন-সম্পদের  প্রতি তার চরম উদাসীনতা ছিল।

একবার তার বন্ধু এ্যালসিবিয়াদেশ তাকে বিরাট একখণ্ড জমি দিয়ে বলেছিলেন সেখানে বসবাস করতে

কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দেন এবং বলেন “আমার প্রয়োজন একটি জুতা আর তুমি দিচ্ছে একটি বিরাট চামড়া এ নিয়ে আমি কি করবো জানিনা।”

এভাবে পার্থিক সম্পদের প্রতি নিঃষ্পৃহতা দার্শনিক জীবনে যত খানি শান্তি নিয়ে এসেছিল,

সক্রেটিসের বৈবাহিক অবস্থা 

তার সাংসারিক জীবনে ততখানি অশান্তি দিয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু তার প্রতিও তিনি সমান নিঃষ্পৃহ ছিলেন।

এই মহা দার্শনিক এর স্ত্রীর নাম ছিল জ্যানথিপি(Xanthippe)।

এই জ্যানথিপি খুব রাগী এবং ভয়ঙ্কর মহিলা ছিলেন।

সাংসারিক ব্যাপারে সক্রেটিসের উদাসীনতা তিনি মেনে নিতে পারতেন না।

একদিন সক্রেটিস গভীর একাগ্রতার সাথে একটা বই পড়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় তার স্ত্রী সক্রেটিসকে গালিগালাজ শুরু করে  দেন।

কিছুক্ষণ সক্রেটিস তার স্ত্রীর কথায় কর্ণপাত করেননি।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য রক্ষা করতে না পেরে বাইরে গিয়ে আবার বইটি পড়তে আরম্ভ করলেন।

সক্রেটিসের সেই রকম ব্যবহার তার স্ত্রী সহ্য করতে না পেরে এক বালতি পানি এনে তার মাথায় ঢেলে দিয়েছিলেন।

সক্রেটিস মৃদু হেসে বললেন,” আমি আগেই জানতাম যখন এত মেঘ গর্জন হচ্ছে তখন শেষ পর্যন্ত এক পশলা বৃষ্টি তো হবেই”

সুতরাং এ থেকে দেখা যায় এই মহান দার্শনিক খুবই ধৈর্যশীল একজন ব্যক্তি ছিলেন।

সক্রেটিসের দ্বিতীয় বৈবাহিক অবস্থা

জ্যানথিপি ছাড়াও সক্রেটিসের আরো একজন স্ত্রী ছিল যার নাম ছিল মায়ার্তো (Myharto)।

এই মহা দার্শনিকের দুই স্ত্রীর গর্ভে তিন সন্তান জন্ম নিয়েছিলেন দারিদ্রতা তাকে গ্রাস করলেও সন্তানদের ভরণ পোষণ ও শিক্ষার ব্যাপারে কোনো উদাসীনতা তিনি দেখান নি।

সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন শিক্ষাই মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।

শিক্ষার মধ্যেই মানুষের অন্তরের জ্ঞানের আগাম জ্যোতি উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।

সক্রেটিসের ধ্যান ও জ্ঞান

সক্রেটিস মনে করতেন যে জ্ঞানের মধ্যদিয়েই মানুষ একমাত্র সত্য কে চিনতে পারে।

যখন তার কাছে সত্যের স্বরূপ উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে,

তখন সে মানুষটা আর কোনো পাপ করে না।

কেননা অজ্ঞানতা থেকেই সমস্ত পাপের জন্ম।

সমস্ত শয়তান মানুষের মনের সেই অজ্ঞানতাকে দূর করে তার মধ্যে বিচারবুদ্ধি বোধকে জাগ্রত করতে।

সব সত্যকে উপলব্ধি করে মানুষকে সাহায্য করাই ছিল সক্রেটিসের প্রধান লক্ষ্য।

সক্রেটিস আস্তিক ও নাস্তিক পদ্ধতির নাম দিয়েছিলেন।

পরবর্তীকালে তার শিষ্য প্লেটোর শিষ্য

তার শীষ্য প্লেটো এবং প্লেটোর শিষ্য এরিষ্টটল সেই ধারাকে সম্পূর্ণরূপে বিকশিত করেছিলেন তার ন্যায় শাস্ত্রে।

 বিচার ও মৃত্যু

সক্রেটিসের আদর্শকে দেশের বিভিন্ন মানুষ দেখেনি।

তারা সক্রেটিসের সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা অনুভব করল।

এ থেকে তারা সক্রেটিসের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করলেন।

তাদের চক্রান্তে দেশের নাগরিক আদালতে সক্রেটিসের ঘোর বিরোধী অভিযোগ আনা হলো।

প্রচলিত দেবতাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে নতুন দেবতার প্রবর্তন করতে চাইছেন বলে শাসকচক্র সক্রেটিসের উপর এরকম অভিযোগ নিয়ে আসে।

আর দ্বিতীয় অভিযোগ হচ্ছে সমাজকে ভ্রান্ত পথে চালিত করছেন তিনি।

এই অভিযোগের বিচার করবার জন্য আলোচনার সভাপতিত্বে একজনের বিচারক মন্ডলী 

গঠিত হলো।

এ বিচারকমণ্ডলীর সামনে সক্রেটিস এক দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন,

হে এথেন্সের অধিবাসীগণ,

আমার অভিযোগকারীদের বক্তৃতা শুনে আপনাদের কেমন লেগেছে জানিনা তবে আমি বক্তৃতার চমকে আত্মবিস্মিত হয়েছিলাম,

যদিও তাদের বক্তৃতায় সত্যভাষণের চিহ্নমাত্র নেই।

এর উত্তরে আমি আমার বক্তব্য পেশ করছি।

আমি অভিযোগকারীদের মত মার্জিত ভাষা ব্যবহার জানিনা আমাকে শুধু ন্যায়বিচারের স্বার্থে সত্য প্রকাশ করতে দেওয়া হোক।

দেশবাসীর বিরাগভাজন হলাম?

অনেকদিন আগে ডেলফির মন্দিরে দৈব বাণী শুনলাম তখনই আমার মনে হল এর অর্থ কি?

আমি তো জ্ঞানী নই তবে দেবী কেন আমাকে দেবীর কাছে নিয়ে গিয়ে বলব,

এই দেখো আমার চেয়ে জ্ঞানী মানুষ।

এভাবে সক্রেটিস আরো বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে দেশবাসীদের কাছে তার মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেছিলেন।

সবশেষে তিনি বলেছিলেন,

এতক্ষণ আমি ঈশ্বর এবং তোমাদের সামনে আমার বক্তব্য রাখলাম। 

এবার তোমাদের এবং আমার পক্ষে যা সর্বত্তম সেই বিচার হোক

বিচারে ২৮১-২২০ ভোটে সক্রেটিসকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

সেই সময় ক্রিটো নামের একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি সক্রেটিসের বন্ধু ছিলেন।

তিনি কারারক্ষীদের ঘুষ দিয়ে অন্য দেশে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন যে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে দেশের আইন শৃঙ্খলা মেনে চলা কর্তব্য। বিচারালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার অর্থ আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা।

তাছাড়া তিনি পালিয়ে গেলে সকলের মনে এ ধারণা হবে যে সক্রেটিস সত্যি সত্যিই অপরাধী।

তাকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারকরা ঠিক কাজটি করেছেন।

মৃত্যুর দিন সকল শিষ্যরা একে একে উপস্থিত হলেন কারাগারে।

সক্রেটিস গোসল শেষ করে ফিরে এলেন।

সূর্য তখন পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়েছে।

মুহূর্তে মৃত্যুদূতের মতো দাঁড়িয়ে এসে দাঁড়াল জেলের কর্মচারী।

গভীর বেদনা কাঁদতে কাঁদতে ঘোষণা করল সক্রেটিসের বিষপানের সময় হয়েছে।

কৃত বাইরে থাকা রাজকর্মচারীর দিকে ইঙ্গিত করতেই জল্লাদ বিষের পাত্র হাতে কক্ষে প্রবেশ করল।

সক্রেটিস হাসিমুখে সেই পাত্র নিজের হাতে তুলে নিয়ে বিশ পান করে।

৩৯৯ খ্রিস্টাব্দে এই মহান দার্শনিক সক্রেটিসের মৃত্যু হেমলক নামক এক বিষাক্ত পাতার  রস পান করার ফলে হয়।

মৃত্যুর পর এথেন্সের অবস্থা

এই মহান দার্শনিক এর মৃত্যুর পরে এথেন্স বাসীদের মধ্যে অনেক অনুশোচনা কাজ করতো এবং সেটি ভোলার জন্য অনেকে আত্মহত্যা  করেছিল আবার অনেককে পিটিয়ে মারা হয়েছিল আর কিছু লোক কে বিতারিত করা হয়েছিল দেশ থেকে।এথেন্স বাসীরা এই মহান দার্শনিক এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এথেন্সে বিরাট মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রকৃতপক্ষে এই মহা বিজ্ঞানী সক্রেটিস পৃথিবীর প্রথম দার্শনিক ও

চিন্তাবিদ,যাকে তার চিন্তা দর্শনের জন্য মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। সেই চিন্তার এক নতুন জগৎ সৃষ্টি হয়েছিল যা মানুষকে প্রতিনিয়ত উত্তেজিত করে চলেছে আজকের পৃথিবীতে।

সক্রেটিসের কিছু উক্তি

  • অপরীক্ষিত জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা গ্লানিকর।
  • জ্ঞানের শিক্ষকের কাজ হচ্ছে কোনো ব্যক্তিকে প্রশ্ন করে তার কাছ থেকে উত্তর জেনে দেখানো যে জ্ঞানটা তার মধ্যেই ছিল।
  • পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটি-ই ভালো আছে, জ্ঞান। আর একটি-ই খারাপ আছে, অজ্ঞতা।
  • আমি কাউকে কিছু শিক্ষা দিতে পারবনা, আমি শুধু তাদের চিন্তা করাতে পারব।
  • বিস্ময় হল জ্ঞানের শুরু।
  • টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভালো।
  • বন্ধু হচ্ছে দুটি হৃদয়ের একটি অভিন্ন মন।
  • প্রকৃত জ্ঞান নিজেকে জানার মধ্যে, অন্য কিছু জানার মধ্যে নয়।
  • তুমি কিছুই জানোনা এটা জানা-ই জ্ঞানের আসল মানে।
  • যাই হোক বিয়ে করো। তোমার স্ত্রী ভালো হলে তুমি হবে সুখী, আর খারাপ হলে হবে দার্শনিক।
  • ব্যস্ত জীবনের অনুর্বরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।
  • আমাদের প্রার্থনা হওয়া উচিত সাধারণের ভালোর জন্য। শুধু ঈশ্বরই জানেন কীসে আমাদের ভালো।
  • সত্যিকারের জ্ঞান আমাদের সবার কাছেই আসে, যখন আমরা বুঝতে পারি যে, আমরা আমাদের জীবন, আমাদের নিজেদের সম্পর্কে এবং আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তার সম্পর্কে কত কম জানি।
  • সেই সাহসী যে পালিয়ে না গিয়ে তার দায়িত্বে থাকে এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
  • নিজেকে উন্নয়নের জন্য অন্য মানুষের লেখালেখিতে কাজে লাগাও এই জন্য যে অন্য মানুষ কিসের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে তা তুমি যাতে সহজেই বুঝতে পারো।
  • সুখ্যাতি অর্জনের উপায় হল তুমি কী হিসেবে আবির্ভূত হতে চাও তার উপক্রম হওয়া।
  • তুমি যা হতে চাও তা-ই হও।
  • কঠিন যুদ্ধেও সবার প্রতি দয়ালু হও।
  • শক্ত মন আলোচনা করে ধারণা নিয়ে, গড়পড়তা মন আলোচনা করে ঘটনা নিয়ে, দুর্বল মন মানুষ নিয়ে আলোচনা করে।
  • বন্ধুত্ব করো ধীরে ধীরে, কিন্তু যখন বন্ধুত্ব হবে এটা দৃঢ় করো এবং স্থায়ী করো।
  • মৃত্যুই হল মানুষের সর্বাপেক্ষা বড়ো আশীর্বাদ।

 

Leave a Comment