গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণসমূহ-সতর্কতা-পরামর্শ 2022

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণসমূহ-সতর্কতা-পরামর্শ 2022-মাতৃত্ব প্রতিটি মেয়ের জীবনে আনন্দময় স্মৃতিমধুর মূহুর্ত। সকলেই স্মরণীয় করে রাখতে চায় তাদের প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ।

মেয়েদের  জীবনের পরিপূর্ণতা লাভের অনুভূতি হয় গর্ভধারণের মাধ্যমে। কিন্তু অনেক সময় মহিলারা প্রথমাবস্থায় বুঝতে পারেনা  যে সে সন্তানসম্ভবা।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণসমূহ

মাতৃত্ব প্রতিটি মেয়ের জীবনে আনন্দময় স্মৃতিমধুর মূহুর্ত। সকলেই স্মরণীয় করে রাখতে চায় তাদের প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ।মেয়েদের  জীবনের পরিপূর্ণতা লাভের অনুভূতি হয় গর্ভধারণের মাধ্যমে। কিন্তু অনেক সময় মহিলারা প্রথমাবস্থায় বুঝতে পারেনা  যে সে সন্তানসম্ভবা।

বিশেষকরে যারা প্রথমবার গর্ভবতী হয় তারা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলি সচরাচর অনুভব করতে পারেন না। ফলস্বরূপ অনেক সময় আপনার অজান্তেই কোন বড় অঘটন ঘটে যেতে পারে।

তাই  গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিভাবে  বুঝবেন আপনি সন্তানসম্ভবা। তার লক্ষণ নিয়েই আজ আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু।

যে সকল মেয়েরা প্রথম গর্ভধারণ করে থাকে তাদের  মধ্যে অধিকাংশেই গর্ভধারণের লক্ষনগুলো যানে না। তাদের সুবিধার্তে আমাদের আজকের এই নিবন্ধটি সাজানো হয়েছে। আশা রাখি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তার জন্যে আপনাকে আমাদের নিবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করতে হবে।

গর্ভবতি হওয়ার ৮ টি লক্ষন রয়েছে। যখন কোন মেয়েদের মাঝে এই ৮ টি লক্ষণ দেখা যাবে তখন বুঝতে হবে যে ওই মেয়েটি সন্তানসম্ভবা।

আপনাদের সুবিধার্তে নিচে লক্ষণগুলো প্রকাশ করা হলো।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণসমূহ-সতর্কতা-পরামর্শ 2022

১) বমি বমি ভাবঃ

আমরা বরাবরেই আমাদের মা,চাচি,খালা,ফুফি,দাদি,নানি ছাড়াও আমাদের আশেপাশের মহিলাদের কাছ থেকে শুনে এসেছি গর্ভবতি হলে কোন কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরায়,দুর্বল লাগে ,সর্বক্ষণ গা গোলায়। যদি এই লক্ষণগুলি কোন মেয়ে প্রতিনিয়ত অনুভব করে তাহলে বুঝতে হবে মেয়েটি গর্ভবতী।

২) মাসিক না হওয়াঃ

হঠাৎ করে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে অনিয়ম গর্ভবতী হওয়ার আওন্যতম লক্ষণ। সচারচর ২৮ দিন অন্তর অন্তর মাসিক হয়ে থাকে কিন্তু গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে নিয়মটা আলাদা,এই আবস্থায় সম্পুর্ণভাবে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

৩) স্তনের পরিবর্তনঃ

গর্ভবতি হওয়ার লক্ষণ বোঝার অপর একটি বিশেষ লক্ষন হলো স্তনের পরিবর্তন। যদি আপনি গর্ভবতি হন তাহলে স্তনের আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে ,অনেক সময় ব্যাথা অনুভব করবেন,বৃন্ত গাঢ় রঙ ধারন করবে।

৪) খাবারের স্বাদে অরুচিঃ

 হঠাৎ করে কোন খাবারে স্বাদ না পাওয়া,খাবারের গন্ধ না পাওয়া,যে খাবার আপনার সব থেকে প্রিয় সেই পছন্দের খাবার সবথেকে  অপছন্দের হয়ে উঠেছে। খাবারে অরুচি,খাবার খেতে ইচ্ছে না করা,এই সকল বিষয় কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ।হরমোনের তারতম্যের কারনেই এই পরিবর্তন দেখা দেয়।

৫) মুড সুইংসঃ

গর্ভবতি হওয়ার লক্ষণ বোঝার জন্য মেজাজ খুব গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ হরমোনের হেরাফারিতে মেজাজ সর্বক্ষন এক থাকে না,যখন তখন পরিবর্তন ঘটে।কখন কখন হঠাৎ করে মাথা গরম হয়ে যায়,আবার কখনও মন খুব বিষন্ন আবার কখনও বা ফুরফুরে মেজাজ তো কখনও অবসাদ্গ্রন্থ মনে হয়।

৬) ক্লান্তি অনুভুতিঃ

এই সময় শরীরে ক্লান্তিভাব অনুভূত হয়,ঝিমুনি লাগে,সারাক্ষন ঘুম ঘুম ভাব থাকে। যার ফলে বুঝতে পারবেন যে আপনি সন্তানসম্ভবা।

৭) শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিঃ

গর্ভবতি হলে একটানা ১৮ থেকে ২০ দিন আপনার শরীরের তাপমাত্রার তারতম্য লক্ষ্য করবেন। স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় অনেকটা বেশি থাকে।

৮) ঘন ঘন প্রসাবঃ

গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনিতে রক্ত সঞ্চালনের হার বেড়ে যায়।

এর ফলে মূত্রথলি সাধারণ সময়ের তুলনায় তাড়াতাড়ি পূর্ণ হয়ে যায় যার দরুণ ঘন ঘন প্রসাব পেয়ে থাকে।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণসমূহ-সতর্কতা-পরামর্শ 2022

গর্ভকালীণ সময় করনীয়ঃ

গর্ভকালীণ সময় প্রতিটি মাকে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সেই সাথে বাবারো অনেক সাবধানতার সহীত গর্ভধারণকারী মায়ের সাথে চলাফেরা করতে হয়।

নিচে কিছু গর্ভধারনের সময় করনীয় কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো।

১) আপনার যদি গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকে তবে এখন থেকে সুস্থ ও নিয়মানুবর্তিত জীবন যাপন করার চেষ্টা করুন।

ধুমপান ও সকল প্রকার মাদক থেকে বিরত থাকুন।

২) আপনি যদি কন ওষুধ ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে জেনে নিন তা গর্ভধারণের জন্য নিরাপদ কিনা।

৩) বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে প্রিন নাটাল মাল্টিভিটামিন  খাওয়া শুরু করুন।প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০০ মাইক্রো গ্রাম ফলিক এসিড খাওয়ার চেষ্টা করুন।

এতে বাচ্চার অনেক ধরণের জন্মগত ত্রুটি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ফলিক এসিড অন্তত গর্ভধারণের তিন মাস আগে থেকেই খাওয়া ভালো।

৪) প্রতিদিন হালকা শরীর চর্চার অভ্যাস করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন। নিয়মিত ৮-১০ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

৫) এই সময় সব রকম জোরের কাজ কর্ম থেকে বিরত থাকা। সবসময় হাসি খুশী থাকা।

৬) পুষ্টিকর শাকসবজি,ফলমূল নিয়মিত খাওয়া।

৭) ক্রোনিক অসুখ অর্থাৎ ব্লাড পেসার,শ্বাসকষ্ট,ডায়বেটিস ইত্যাদি থাকলে তা নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আশা রাখি এগুলো পালন করলে আপনি সুস্থ ও সবল একটি নবজাতক জন্ম দিতে সক্ষম হবেন।

প্রতিটি মায়ের প্রতি রইলো অনেক শুভকামনা। 

এই নিবন্ধটিতে আমরা আপনাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি পরিষ্কার ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আপনাদের কোন মতামত বা কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আমরা তার যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ

এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়