দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ২০২২

দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ২০২২-বেশিরভাগ মানুষেই তাদের ওজন কমানোর পর তা ধরে রাখতে পারেনা।

তাই স্থায়ীভাবে ওজন কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করে ধীরে ধীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা।

এর জন্য প্রথম ধাপ হল স্বাস্থ্যকর খাবার চিনে নেওয়া এবং সেই অনুযায়ী প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।

তাই আজ এই প্রবন্ধে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি কিভাবে 12 সপ্তাহে ওজন কমানো যায়।

আজকের আর্টিকেলটি এমন সব বন্ধুদের জন্য সাজানো হয়েছে যারা ওজন কমানো নিয়ে অনেক টেনশনে আছেন।

সবাই একই ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করে না। ওজন হ্রাস ক্লান্তি এবং ক্রমাগত ক্লান্তি দ্বারা অনুসরণ করা হবে.

তাই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমরা আপনাকে স্বাস্থ্যকর এবং আপনার রুচির উপযোগী সব খাবার খুঁজে পেতে সাহায্য করব।

এটি আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া পরিশ্রমের মাধ্যমে কমানো ওজন ও চর্বি যেন আর ফিরে না আসে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তার জন্য আপনাকে পুরো আর্টিকেলটি ভালোভাবে ফলো করতে হবে।

১ম সপ্তাহে যে অভ্যাসগুলো শুরু করতে হবে

1. পরবর্তী 12 সপ্তাহের অগ্রগতি বোঝার জন্য প্রতি সপ্তাহের শুরুতে আপনার ওজন এবং কোমরের আকারের একটি রেকর্ড রাখুন। প্রতি সপ্তাহের পরিবর্তন আপনাকে আগামী সপ্তাহের জন্য ক্রিয়াকলাপ ধরে রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।

2. ছোট আকারের প্লেট এবং বাটি ব্যবহার করুন। এতে অতিরিক্ত খাবার প্যাক করার সুযোগ থাকবে না, তাই সঠিক পরিমাণে খাওয়া হবে। আপনিও খেয়ে তৃপ্ত হবেন, অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে কোনো অস্বস্তি হবে না।

3. প্রতিদিন খাবারের আগে 500 মিলি বা দুই গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনার পেট ভরাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে এই সহজ অভ্যাসটি আপনার ওজন কমাতে বেশ কার্যকর।

4. লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত করবে।

দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ২০২২

ওজন কমানোর জন্য ডায়েট চার্ট

সকালের নাস্তা

আমরা এখানে কয়েক ধরনের নাস্তার কথা উল্লেখ করছি। আপনার যা ভালো তা  খুশি মনে খেতে পারেন। তবে শুধু মনে রাখবেন, আপনি নাস্তার জন্য যে খাবারগুলো খাচ্ছেন সেগুলোর ক্যালরির যোগফল মহিলাদের জন্য 260 এবং পুরুষদের জন্য 360 এর বেশি যেন না হয়।

নিচে কিছু খাবারের নাম তুলে ধরা হয়েছে যা আপনি সকালের নাস্তায় ডায়েট চার্টে সংযুক্ত করতে পারেন:

ক্রমিক নং

খাবারের নাম

ক্যালরির পরিমাণ

০১

১টি মাঝারি কলা

প্রায় ৮০ ক্যালরি

০২

১টি সেদ্ধ ডিম

প্রায় ৮০ ক্যালরি

০৩

১টি বড় খেজুর

প্রায় ৭০ ক্যালরি

আধা কাপ দুধ

প্রায় ৮০ ক্যালরি

০৫

তেল ছাড়া আটার বা লাল আটার রুটি (৬ ইঞ্চি আকারের)

প্রায় ৯০ ক্যালরি

০৬

১টি মাল্টা

প্রায় ৮০ ক্যালরি

০৭

১টি মাঝারি আপেল

প্রায় ১০০ ক্যালরি

০৮

১ স্লাইস আটার (লাল আটা হলে ভাল) তৈরি বা হোলগ্রেইন পাউরুটি (৫০ গ্রাম)

প্রায় ১০০ ক্যালরি

০৯

আধা কাপ শুকনো ওটস

১৫০ ক্যালরি

১০

এক চা চামচ তেল দিয়ে রান্না করা আধা কাপ সবজি

প্রায় ৯০ ক্যালরি

যেভাবে এই খাবারগুলো খেতে পারেন-

১।কলা, দুধ দিয়ে রান্না করা ওটস ১/২ কাপ।

২।রুটি, সবজি, ডিম, আপেল।

৩।ডিম, মাল্টা দুধ দিয়ে রান্না করা 1/4 কাপ ওটস ,খেজুর ইত্যাদি।

আমরা যে তালিকা দিয়েছি ওই তালিকা মত যে খেতে হবে তা কিন্তু নয়।আপনি আপনার পছন্দের খাবার খেতে পারেন। যাইহোক, যেহেতু অতিরিক্ত ক্যালরি ওজন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই আপনি কত ক্যালরি খাচ্ছেন তা মাথায় রাখুন।

দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ২০২২

দুপুরের খাবার

দুপুরের খাবারের সময় আপনার প্লেটকে চারটি সমান ভাগে ভাগ করুন। এবার প্লেটের দুই-চতুর্থাংশ সবজি ও ফল দিয়ে ভরে দিন।

অন্য দুটি অংশে থাকবে শস্যদানা বা শ্বেতসারজাতীয় খাবার, অন্য অংশে প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার থাকবে।

আমরা এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের কথা বলছি। এগুলো থেকে বেছে নিন আপনার পছন্দের খাবার। আপনি সপ্তাহে একেকবার একেক ধরনের খাবার খেতে পারেন।

দুপুরের খাবার খাওয়ার সময়, নিশ্চিত করুন যে আপনি যে ক্যালোরি খাচ্ছেন তার যোগফল মহিলাদের জন্য 420 এবং পুরুষদের জন্য 560 এর বেশি যেন না হয়।

শাকসবজি

শাকসবজিতে খুব কম ক্যালোরি থাকে, তাই এগুলি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে, ফলে পেট সহজে ভরা থাকবে এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধার্ত থাকবে না।

শাকসবজি খাওয়ার সুবিধা হল আপনি সেগুলো কাঁচা বা সিদ্ধ, ভাজা বা তরকারি – যেকোনভাবে খেতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের, তাজা, মৌসুমি সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে খরচ তো কম হবেই, আবার শরীর সহজেই নানা পুষ্টি পাবে।

তবে রান্না করার সময় কতটুকু তেল ব্যবহার করছেন তা মাথায় রাখবেন।

এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েলে প্রায় 120 ক্যালোরি থাকে, যা দুটি আস্ত মাল্টা বা প্রায় আধা কিলো বরবটিতে থাকা ক্যালোরির সমতুল্য।

তাই সবজি রান্না করার সময় যতটা সম্ভব তেল ও লবণ ব্যবহার কম করুন। রঙিন শাকসবজি খান।

মনে রাখবেন, আলু সবজিতে পড়বে না। আলু ছাড়াও কাচের পাত্র, মাটির নিচের আলু, কাসাভা ইত্যাদি সবজির তালিকায় থাকবে না। এগুলো ভাত-রুটির মতো শ্বেতসারজাতীয় খাবারের মধ্যে পরে।

ভাত, রুটি এবং অন্যান্য খাবার

অনেকেই মনে করেন, ওজন কমাতে চাইলে ভাত-রুটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করা উচিত- এই ধারণা ভুল। যদি তুলনামূলকভাবে পরিমিত পুষ্টিকর এবং কম ক্যালোরিযুক্ত স্টার্চ খাওয়া হয়,

তবে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে সাহায্য করবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

সাদা চাল এবং আটার পরিবর্তে, লাল চাল বা লাল আটার রুটি বেছে নিন। এতে সাধারণ চাল বা আটার চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টি থাকে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।

আজ থেকে, আপনি যদি মনে করেন যে আপনি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনবেন, মেশিনে পরিশোধিত রিফাইন্ড গ্রেইনের বদলে হোলগ্রেইন বা গোটা শস্যদানা খান, তাহলে এখানে আপনার জন্য 3 টি টিপস রয়েছে:

১।ধীরে ধীরে শুরু করুন। প্রথমে নতুন কিছু খেলে স্বাদ ভালো নাও লাগতে পারে। আপনি এটি সম্পূর্ণ পরিবর্তন না করে অল্প অল্প করে কিছুটা পরিবর্তন করতে পারেন। সাদা চালের সাথে কিছু লাল চাল মিশিয়ে নিতে পারেন।

২।আপনি যদি রুটি খান তবে আপনি লাল আটার রুটির সাথে সাদা আটার রুটি খেতে পারেন। ধীরে ধীরে আপনি সেই স্বাদে অভ্যস্ত হতে পারেন।

৩।ভাত-রুটি ছাড়াও অন্যান্য আস্ত শস্য খেতে পারেন। যেমন পাস্তা খেতে চাইলে প্যাকেটের গায়ে হলগ্রিন লেখা দেখে পাস্তা কিনতে পারেন।

৪।যে পরিমাণ লাল আটা আর লাল চাল খাওয়া যায় তা যথেষ্ট নয়। একটি সুষম খাদ্যের অংশ হিসাবে, আপনি লাল চাল এবং লাল আটা খাবেন।

পুরো প্লেটে ভাতের সাথে সামান্য তরকারি না খেয়ে একবারে অর্ধেক সবজি ও ফল দিয়ে পুরো প্লেটে ভরানোর চেষ্টা করুন।

দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ২০২২

প্রোটিন বা আমিষ খাবার

প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। প্রোটিন জাতীয় খাবার বেছে নেওয়ার সময় কম চর্বিযুক্ত খাবার বেছে নিন। এই খাবারগুলি দিয়ে প্লেটের এক-চতুর্থাংশ পূরণ করুন।

নিচে প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় কিছু খাবারের নাম প্রকাশ করা হলোঃ-

  • মটরশুঁটি, শিম ও অন্যান্য বীনস
  • বিভিন্ন ধরনের ডাল, যেমন: মসুর, মুগ, মটর, ছোলা বা মাষকলাই,
  • মাছ
  • চর্বিছাড়া মাংস
  • চামড়া ছাড়ানো মুরগির মাংস
  • লো-ফ্যাট দুধ, দই, পনির ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার
  • ডিম
  • টোফু

রাতের খাবার

রাতের খাবারের ক্ষেত্রে পরিমাণ হবে ঠিক দুপুরের খাবারের সমান। তবে আপনি যদি দুপুরে প্রাণিজ প্রোটিন খান তবে রাতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন।

এটি নিশ্চিত করবে যে আপনি বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি পাচ্ছেন। তাছাড়া শাকসবজি কম খেতে চাইলে বা মিষ্টি কিছু খেতে চাইলে একটি ফল খেতে পারেন।

স্ন্যাকস বা হালকা নাস্তা

ক্ষুধা তিন বেলার খাবারের মাঝে বা ব্যায়ামের পরে লাগতে পারে। এক্ষেত্রে প্রথমেই দুই গ্লাস বা আধা লিটার পানি পান করতে হবে। সকালের নাস্তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিতে হবে।

ক্ষুধা নিবারণের জন্য হাতের কাছে পাওয়া ভাজাপোড়া, চানাচুর কিংবা বিস্কুট খেয়ে ফেললে,ওজন কমানো মুশকিল হয়ে পড়বে।

এগুলিতে যেমন প্রচুর পরিমাণে চর্বি, চিনি এবং ক্যালোরি থাকে, তেমনি এর পুষ্টিগুণও খুব কম থাকে। তাই স্বাস্থ্যকর নাস্তা হাতে কাছে রাখুন।

সকালের নাস্তার কিছু নমুনা নিচে প্রকাশ করা হলোঃ-

১। সকালের নাস্তায় গাজর, মুলা, টমেটো ও শসা খেতে পারেন। লম্বা কাটা মুলা বা গাজর দিয়ে কাঁচের বোতলে ভরে সামান্য      পানি দিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। ক্ষুধা লাগলে আবার ধোয়া, কাটা ও ছিলে খাওয়ার ঝামেলা করতে হবে না।এভাবে               শসাও কেটে রাখতে পারেন। তবে খাওয়ার সময় এসবের সঙ্গে লবণ মেশাবেন না।

২। টকদই, বা সামান্য মুড়ি, বা সেদ্ধ ডিমও খেতে পারেন।

৩। বাদাম খেতে পারেন। তবে বাদামে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ থাকলেও ক্যালরির পরিমাণও অনেক বেশি। তাই বাদাম খেতে চাইলে        পুষ্টির জন্য খান, পেট ভরার জন্য নয়।

দিনে পাঁচটির বেশি বাদাম না খাওয়াই ভালো। বাদামের মধ্যে কাঠ বাদাম, চিনাবাদাম, কাজু, ওয়ালনাট খেতে পারেন।

দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ২০২২

ওজন হ্রাস করতে যেসব খাবার পরিহার করতে হবে

১। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার: অলিভ অয়েল, অন্যান্য তেল, ঘি বা মাখন – এগুলি সবই উচ্চ চর্বিযুক্ত উপাদান, এবং উচ্চ চর্বি মানে উচ্চ-ক্যালরি।

স্বাভাবিকভাবেই আমরা ভাজা খাবার, চিপস, কেক, পেস্ট্রি, পরাঠা, পোলাও-বিরিয়ানি ইত্যাদি ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিবেচনা করি।

তবে বাড়িতে রান্না করার সময় যদি তরকারি বা সবজিতে ব্যবহৃত তেলের পরিমাণ মাথায় না রাখা হয়,

তাহলে সেই ‘স্বাস্থ্যকর’ খাবারগুলোও হয়ে উঠবে চর্বি ও ক্যালরি সমৃদ্ধ। এ বিষয়ে আমাদের বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে।

২। সকালের নাস্তার মেনু থেকে জেলি, চিনিযুক্ত প্রাতঃরাশের সিরিয়াল (কর্ন ফ্লেক্স, ফ্রুট লুপ, চকোস ইত্যাদি) বাদ দিন।

৩। প্রক্রিয়াজাত খাবার বা রেস্টুরেন্টের খাবারকে সুস্বাদু করতে তারা প্রচুর চর্বি, লবণ এবং চিনি ব্যবহার করে। ওজন কমাতে চাইলে এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

৪। তরল ক্যালোরি’ থেকে সাবধান। দোকানের জুস, কোক বা অন্যান্য কোমল পানীয়, স্মুদি, কোল্ড কফি, মিল্কশেক ইত্যাদিতে ক্যালোরি বেশি থাকে।

এক গ্লাস মিল্কশেকে প্রায়ই পুরো খাবারের সমান সংখ্যক ক্যালোরি থাকে, যা শেষ হতে পাঁচ মিনিটও সময় লাগে না। তাই ওজন কমাতে চাইলে এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

৫। চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তাতে অতিরিক্ত চিনি মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস দূর করার চেষ্টা করুন।

ওজন কমাতে যে বিষয়গুলো জানা জরুরী

ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবারের উপকার

খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে। এইভাবে আপনি আপনার দৈনিক ক্যালোরি সীমার মধ্যে আপনার ক্যালোরি গ্রহণ সীমাবদ্ধ করতে পারেন।

আঁশযুক্ত খাবার আপনার পেটকে সুস্থ রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

আমাদের প্রত্যেকের প্রতিদিন 30 গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবে, বেশিরভাগ মানুষ প্রতিদিন অনেক কম ফাইবার খান।

প্রথম সপ্তাহের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনি দ্বিতীয় সপ্তাহের কাজ শুরু করতে পারেন।

<<<দ্বিতীয় সপ্তাহের কাজ শুরু করার জন্য এখানে ক্লিক করুন>>>

ওজন দ্রুত কমাবেন না

গবেষণায় দেখা গেছে যে একটি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে গড়ে 12 সপ্তাহ সময় লাগে। আমাদের নিবন্ধটি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং আপনার প্রতিদিনের ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করে ওজন হ্রাস স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে।

এইভাবে আপনি প্রতি সপ্তাহে 0.5 থেকে 1 কেজি (1 থেকে 2 পাউন্ড) ওজন কমাতে পারেন। এই হারে ওজন কমানো সবচেয়ে নিরাপদ, সবচেয়ে স্থিতিশীল এবং কার্যকর।

খুব অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করলে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির অভাব, পিত্তথলির পাথর সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা হতে পারে।

পদ্মা সেতুর নতুন টোল হার নির্ধারণ ২০২২

পদ্মা সেতুর নতুন টোল হার নির্ধারণ ২০২২-বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ সাফল্য হলো পদ্মা সেতু নির্মাণ। পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চল সহ সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে।

এতে করে দক্ষিণাঞ্চল-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের ঢাকার সাথে যোগাযোগ অনেক সহজতর এবং অর্থনীতিতে অনেক ভূমিকা রাখবে।

পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য একটি অনেক বড় সাফল্য অর্জন। আজকে আমরা এই নিবন্ধনে পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণ এবং কোন যানবাহনে কত টোল ভাড়া দিতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

যে সকল বন্ধুরা পদ্মা সেতু দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সহ ঢাকার সাথে যোগাযোগ করতে চান তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই টোলের হার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার প্রয়োজন পড়বে। সে সকল বন্ধুদের জন্য আমাদের আজকের এই নিবন্ধটি নির্ভুলভাবে সাজানো হয়েছে।

পদ্মা সেতুর নতুন টোলের হার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের এই নিবন্ধটি শুরু থেকে শেষ অবধি ভালো করে অনুসরণ করুন।

পদ্মা সেতুর সাথে সংযুক্ত জেলা

বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলাকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয় কবে

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়  ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে। দীর্ঘ আঁট বছর ধরে এর নির্মাণ কাজ চালু ছিল। অবশেষে 2022 সালের 25 শে জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহন করেন। ২৬ শে জুন থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।পদ্মা সেতু তে প্রথম দিনে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ টাকা।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ ও প্রস্থ

পদ্মা সেতু দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।

এই সেতুটি ৪২ টি পিলার ১৫০মিটার দৈর্ঘের ৪১টির স্প্যানের উপর নির্মিত। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ কিলোমিটার।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা পদ্মা সেতুর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এর ফলে যেমন এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে এবং সেইসাথে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ও অনেক ভূমিকা রাখবে।

পদ্মা সেতুর টোল ও আয় ২০২২

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ১৭মে বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা টুলের হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কোন পরিবহনের জন্য টুলের হার কত নির্ধারণ করা হয়েছে তা এই নিবন্ধনে প্রকাশ করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পদ্মা সেতু দিয়ে 2022 সালে বাংলাদেশের 23 জেলায় প্রতিদিন 21 হাজার 300 টি যানবাহন চলাচল করবে যা 2025 সাল অব্দি 41 হাজার 600 যানবাহন চলাচল করবে। এতে করে যে টোল আদায় হবে তা দিয়ে সেতুর ব্যয় উঠে আসতে সময় লাগবে সাড়ে 9 বছর।

আরো পড়ুন>>>ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার (আইভেক), বাংলাদেশ সকল ব্রাঞ্চের নাম-ঠিকানা-মোবাইল নাম্বার এবং হটলাইন নাম্বার

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩৫বছরে ৩৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। টোল থেকে আদায় কৃত অর্থ বেশিরভাগ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হবে এবং বাকি অর্থ দিয়ে সেতু রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে।

পদ্মা সেতুর নকশা

পদ্মা বহুমুখী সেতুর পুরো নকশাটি ইকওমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের একটি দল গঠন করেছে। বাংলাদেশের প্রথম বড় সেতু প্রকল্প যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের ওপর বিশেষজ্ঞদের একটি আন্তর্জাতিক প্যানেল গঠিত হয়।

১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে। প্যানেলটি সেতুর নকশা ও বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রকল্প কর্মকর্তা, নকশা পরামর্শদাতা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করে।

পদ্মা সেতুর নির্মাণ খরচ কত

পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯  কোটি টাকা। এসব ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।

বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী সরকার ২৯,হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা সেতু নির্মাণের জন্য ঋণ দিয়েছে। । সেতু কর্তৃপক্ষকে ৩৫ বছরের মধ্যে ১ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে পরিশোধ করতে হবে।

পদ্মা সেতুর নতুন টোল হার নির্ধারণ ২০২২/The toll rate of Padma bridge is 2022

ক্রমিক

যানবাহনের নাম

টোল হার (টাকা)

০১

মটরসাইকেল

১০০ 

০২

কার/ জীপ

৭৫০

০৩

পিকআপ

১২০০

০৪

মাইক্রোবাস

১৩০০

০৫

ছোট বাস (৩১ আসন পর্যন্ত)

১৪০০

০৬

ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত)

১৬০০

০৭

মাঝারি বাস (৩২ আসনের বেশি)

২০০০

০৮

মাঝারি ট্রাক (৫-৮ টন পর্যন্ত)

২১০০

০৯

বড় বাস (৩ এক্সেল)

২৪০০

১০

মাঝারি ট্রাক (৮-১১ টন পর্যন্ত)

২৮০০

১১

ট্রাক (৩ এক্সেল)

৫৫০০

১২

ট্রেইলার(৪ এক্সেল পর্যন্ত)

৬০০০

১৩ ট্রেইলার(৪ এক্সেলের অধিক)

৬০০০+প্রতি এক্সেল ১৫০০

পদ্মা সেতুর নির্মাণ করে কোন কোম্পানি

16 জুন 2014 তারিখে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে চীনা কোম্পানিকে পদ্মা সেতু নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আর্থিক প্রস্তাব আহ্বান করা হলে, শুধুমাত্র এই চীনা কোম্পানি আর্থিক প্রস্তাব জমা দেয়। সংস্থাটি চীন রেলওয়ে বিভাগের সাথে সংযুক্ত

2022 সালের এপ্রিল মাসে, সেতু বিভাগের অধীনে, কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন এবং চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে ৫ বছরের জন্য পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেয়।

সম্পুর্ণ নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।আশা রাখি নিবন্ধটি আপনাদের অনেক উপকারে আসছে বলে আমাদের দীর্ঘ প্রয়াস।নতুন সব তথ্য পেতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন।

 

শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি-পাকস্থলীতে জীবাণু প্রবেশের কারণে সাধারণত শিশুদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয়। শিশুদের মধ্যে, ডায়রিয়া একটি উদ্বেগের কারণ। কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ডায়রিয়া থেকে পানিশূন্যতার ঝুঁকি অনেক বেশি। এই ডিহাইড্রেশন গুরুতর হতে পারে যদি চিকিৎসা না করা হয়। শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া এবং ডিহাইড্রেশন কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় তা এখানে উপলব্ধ।

শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়ার লক্ষণ

আমরা সাধারণত ‘ডায়রিয়া’ এবং ‘পাতলা মল’ শব্দ দুটি একই অর্থে ব্যবহার করি। তবে ডাক্তারি পরিভাষায় নরম বা পাতলা মল মানেই ডায়রিয়া নয়। দিনে তিনবার বা তার বেশি বার নরম বা পাতলা মল হলে তাকে সাধারণত ডায়রিয়া বলা হয়।

যেসব শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো হয়, তাদের মলত্যাগ স্বাভাবিকভাবেই নরম এবং আঠালো হয়। এটা ডায়রিয়া নয়। যাইহোক, যদি আপনার সন্তানের স্বাভাবিকের চেয়ে পাতলা মল থাকে, তবে এটিও ডায়রিয়া হিসাবে বিবেচিত হয়।শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

শিশুদের পানিশূন্যতার লক্ষণ

ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও বিভিন্ন লবণ বের হয়ে যায়। এই ঘাটতি পূরণ না হলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। আর এই পানিশূন্যতা চরম পর্যায়ে চলে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই ডায়রিয়ার প্রথম চিকিৎসা হলো পানিশূন্যতা পূরণ করা। পানিশূন্যতার প্রধান লক্ষণগুলি হল:

  • শুষ্ক মুখ
  • তৃষ্ণার্ত
  • শুষ্ক বা চুলকানি চোখ
  • শুকনো মুখ এবং ঠোঁট
  • গাঢ় হলুদ, তীব্র গন্ধযুক্ত প্রস্রাব
  • প্রস্রাব কমে যাওয়া (24 ঘন্টায় 4 টিরও কম প্রস্রাব)
  • মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা
  • ক্লান্তি আনুভব করা

5 বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়। এই লক্ষণগুলি তুলনামূলকভাবে গুরুতর, তাই অবিলম্বে শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। উপসর্গ অন্তর্ভুক্ত:

  • শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি,
  • কাঁদে কিন্তু কান্না নয়,
  • মাথার তালুর সামনের নরম অংশে বসে থাকা, এবং
  • ঝিমিয়ে যাওয়া

শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়ার কারণ

ডায়রিয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলি হল:

  • পাকস্থলীতে ইনফেকশন বা ইনফেকশন। একে গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়। এটি সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে নিরাময় করে।
  • নরোভাইরাস নামক ভাইরাসের আক্রমণ।
  • পাতলা মল বা ডায়রিয়ার একটি সাধারণ কারণও ফুড পয়জনিং বা ফুড পয়জনিং। আরও জানতে, খাদ্য বিষক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের নিবন্ধ পড়ুন।শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

এছাড়াও ডায়রিয়া বা পাতলা মল হওয়ার কারণগুলি হল:

  • ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী তা দেখতে যে কোনো ওষুধের সঙ্গে দেওয়া নির্দেশাবলী পড়ুন।
  • কিছু খাবারের প্রতি অ্যালার্জি বা কিছু খাবারের প্রতি অসহিষ্ণুতা
  • Celiac রোগ
  • কোভিড-19

শিশুদের পাতলা মল এর ঘরোয়া চিকিৎসা

আপনি সাধারণত বাড়িতে আপনার শিশুর ডায়রিয়া চিকিত্সা করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা এবং ডিহাইড্রেশন এড়াতে খাবার খাওয়া।শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

1. ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের পানিশূন্যতার চিকিৎসা

ডায়রিয়ার চিকিৎসায় প্রধান করণীয় হলো শরীরে পানি ও লবণের অভাব পূরণ করা। তাই ডায়রিয়া হলে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি প্রচুর তরল ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।

প্রতিটি মলত্যাগের পরে, 2 বছরের কম বয়সী শিশুদের 50-100 মিলি তরল, 2 থেকে 10 বছর বয়সী শিশুদের 100-200 মিলি তরল এবং 10 বছর বয়সী শিশুদের যতটা সম্ভব তরল দিন।শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

2. ডায়রিয়া হলে শিশুদের কি খাওয়া উচিত?

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বা বোতলের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যান। শিশুর বমি হলে অল্প অল্প করে বারবার খেতে পারেন।
তরল পানীয়ের মধ্যে রয়েছে চিড়ার পানি, ভাতের মাড় বা নারকেলের পানি। চালের গুঁড়িতে সামান্য লবণ মেশাতে পারেন।
যে বাচ্চারা ফর্মুলা বা শক্ত খাবার খাচ্ছে তাদের জন্য দুই খাবারের মধ্যে পানির ছোট চুমুক দিন।

তিন থেকে চার ঘণ্টা অন্তর শিশুকে খাওয়ান। একবারে বেশি খাবার না দিয়ে অল্প অল্প করে খাওয়ানো ভালো।
প্রদত্ত নির্দেশাবলী অনুসারে শিশুর ফর্মুলা প্রস্তুত করুন এবং খাওয়ান। এর চেয়ে পাতলা ফর্মুলা বানিয়ে শিশুকে খাওয়াবেন না।

ডায়রিয়া হলে যা খাবেন না

শিশুকে নির্দিষ্ট কিছু খাবার দিলে ডায়রিয়া সেরে যায় বলে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। উদাহরণস্বরূপ, একটি ব্যাপক বিশ্বাস রয়েছে যে ডায়রিয়া রোগীরা সাদা ভাত এবং কাচের পাত্র ছাড়া কিছুই খেতে পারে না। এই ধারণা সঠিক নয়। পাতলা পায়খানা হলেও পরিষ্কার পরিবেশে তৈরি সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তবে ডায়রিয়া হলে শিশুকে বাজার থেকে কেনা ফলের জুস, কোমল পানীয় ইত্যাদি খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। এগুলো খাওয়ালে ডায়রিয়া আরও খারাপ করতে পারে।

3. ডায়রিয়ার ওষুধ

ডায়রিয়া সাধারণত 5-6 দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়, তবে ডায়রিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশনের জন্য অবিলম্বে চিকিত্সা প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘরে বসে চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ডায়রিয়ার জন্য নিম্নলিখিত ওষুধগুলি রয়েছে:

1. খাদ্যতালিকাগত স্যালাইন:

সাধারণত প্রতিটি ডায়রিয়ার পরে বয়সের অনুপাতে শিশুকে উচ্চ মাত্রার খাদ্যতালিকাগত স্যালাইন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বাড়িতে খাবার স্যালাইন না থাকলেও আপনি ঘরেই খাবার স্যালাইন তৈরি করতে পারেন। চিড়ার জল, ভাতের মাড়, বা নারকেলের জলও দেওয়া যেতে পারে। চালের গুঁড়িতে সামান্য লবণ মেশাতে পারেন। আপনি যদি বমি বমি ভাব অনুভব করেন তবে অল্প অল্প করে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

2. জিঙ্ক ট্যাবলেট:

গবেষণায় দেখা গেছে যে ওষুধ জিঙ্ক ট্যাবলেট পাতলা মলের সময়কাল এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে দিতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুকে 20 মিলিগ্রাম জিঙ্ক ট্যাবলেট বা সিরাপ 10-14 দিন খাওয়ানো যেতে পারে।

3. প্যারাসিটামল:

পেটে অস্বস্তি বোধ করলে প্যারাসিটামল সেবন করা যেতে পারে। শিশুকে ওষুধ দেওয়ার আগে ওষুধের সঙ্গে নির্দেশনাগুলো ভালো করে পড়ে নিন এবং বয়স অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে ওষুধ খেতে হবে।

4. Loperamide-জাতীয় ঔষধ

জরুরী ক্ষেত্রে, ডাক্তার কয়েক ঘন্টার জন্য মল বন্ধ করার জন্য loperamide-টাইপ ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। যাইহোক, 12 বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ড্রাগ ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

শিশুকে ডায়রিয়ার ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবারও খাওয়াতে হবে। অপুষ্টি শিশুদের ডায়রিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। তাই ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো এবং বড় শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে যে গুরুতর ডিহাইড্রেশনের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শিরাপথে স্যালাইন দিতে হতে পারে।

ডায়রিয়া হলে যে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়

12 বছরের কম বয়সী শিশুদের ডায়রিয়া বন্ধ করার ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
18 বছরের কম বয়সী শিশুদের অ্যাসপিরিন দেবেন না। নিশ্চিত করুন যে ওষুধের নামের নিচে ASPIRIN শব্দটি লেখা আছে।
আপনার ডাক্তারের সাথে প্রথমে পরামর্শ না করে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বা ওভার-দ্য-কাউন্টার জোলাপ গ্রহণ করবেন না।শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

পরিবারে ডায়রিয়ার বিস্তার রোধে করণীয়

পাতলা মল বা ডায়রিয়া হলে রোগীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। একদিকে, এটি দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে, অন্যদিকে, এটি ডায়রিয়ার বিস্তার বন্ধ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ডায়রিয়া সেরে যাওয়ার পর শিশুকে অন্তত দুই দিন বাড়িতে রাখুন। আপনার সন্তানকে স্কুলে বা মাঠে খেলতে পাঠাবেন না। অন্যথায় এই পাতলা মল বা ডায়রিয়া অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ডায়রিয়ার বিস্তার রোধে করণীয়:

  • আপনার শিশুর হাত ঘন ঘন সাবান এবং জল দিয়ে ধুতে ভুলবেন না।
  • টয়লেটের সংস্পর্শে আসা জামাকাপড় বা বিছানার চাদর আলাদাভাবে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • পরিষ্কার জলের কল, দরজার হাতল, টয়লেট সিট, ফ্লাশ হ্যান্ডলগুলি এবং প্রতিদিন জীবাণুর সংস্পর্শে আসতে পারে এমন জায়গাগুলি পরিষ্কার করুন।

ডায়রিয়া হলে ভুলেও এসব করবেন না

  • শিশুর খাবার, ছুরি, তোয়ালে, কাপড় কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
  • লক্ষণগুলি চলে যাওয়ার 2 সপ্তাহ অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত শিশুকে পুকুর বা সুইমিং পুলে ফেলবেন না।

শিশুর ডায়রিয়ার জন্য কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?

ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে, নিম্নলিখিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডায়রিয়ার গুরুতর লক্ষণগুলি হল:

  • টয়লেটে যাওয়া রক্ত বা আঠালো শ্লেষ্মা,
  • সাংঘাতিক পেটে ব্যথা,
  • ডায়রিয়ার উন্নতি হয় না,
  • 12 ঘন্টায় একবার প্রস্রাব না করা,
  • ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে,
  • ডায়রিয়া সহ 48 ঘন্টার বেশি জ্বর, অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা 101 ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে, এবংশিশুর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় এবং ত্বকে দাগ পড়ে।শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

এগুলি একটি গুরুতর অবস্থা নির্দেশ করে, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের সাহায্যে চিকিত্সা শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।

উচ্চ রক্তচাপ বা Hypertension কমানোর সহজ উপায়

স্তন ক্যান্সারের(Breast Cancer) কারণ,লক্ষণ ও চিকিৎসা 2022

Breast-Cancer-Symptoms-Causes- Breast Cancer স্তন ক্যান্সার

Breast Cancer হল ক্যান্সার যা অন্ত্রের কোষে তৈরি হয়।যখন আপনার স্তনের কোষগুলি বৃদ্ধি পায় তখন স্তন ক্যান্সার হয় এবং একটি অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে বিভক্ত হয়ে টিস্যু তৈরি করে যাকে টিউমার বা ক্যান্সার বলা হয়।

স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে আপনার স্তনে একটি পিণ্ড, স্তনের আকারে পরিবর্তন হওয়া এবং স্তনের ত্বকে পরিবর্তন আসতে পারে।

Breast Cancer এর লক্ষণ ও উপসর্গঃ

একটি স্তনের পিণ্ড বা ঘন হওয়া যা গার্ডিং টিস্যু থেকে আলাদা অনুভূত হয়।স্তনের আকার, আকৃতি বা চেহারা পরিবর্তন,স্তনের উপর ত্বকের পরিবর্তন।

স্তনবৃন্ত (এরিওলা) বা স্তনের ত্বকের রঞ্জক অংশের খোসা ছাড়ানো, স্কেলিং করা, ঢেকে দেওয়া বা আনলোড করা।

আপনার স্তনের উপর ত্বকের সবুজতা বা দাগ, যেমন কমলালেবুর চামড়া

কখন ডাক্তার দেখাবেন

আপনি যদি আপনার স্তনে একটি পিণ্ড বা অন্য কোনো পরিবর্তন দেখতে পান – তাত্ক্ষণিক মূল্যায়নের জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

Breast-Cancer-Symptoms-Causes

স্তন ক্যান্সারের ধরন কি কি?

স্তন ক্যান্সারের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • Infiltrating (invasive) ductal carcinoma/অনুপ্রবেশকারী (আক্রমণকারী) ডাক্টাল কার্সিনোমা

আপনার বুকের দুধের নালী থেকে শুরু করে, এই ক্যান্সার আপনার নালীর দেয়ালে প্রবেশ করে এবং আশেপাশের স্তনের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে।

সমস্ত ক্ষেত্রে প্রায় 80% তৈরি করে, এটি স্তন ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ প্রকার।

Ductal carcinoma in situ/ডাক্টাল কার্সিনোমা ইন সিটু

পর্যায় 0 যাকে স্তন ক্যান্সারও বলা হয়, মেডিকেল কার্সিনোমা ইন সিটুকে কেউ কেউ প্রাক-ক্যান্সার বলে মনে করেন,কারণ কোষগুলি আপনার দুধের নালীগুলির বাইরে ছড়িয়ে পড়েনি।

এই অবস্থায় চিকিত্সাযোগ্য অনেক সহজ।

যাইহোক, ক্যান্সারকে আক্রমণাত্মক হতে এবং অন্যান্য টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য অবিলম্বে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

Breast-Cancer-Symptoms-Causes

Infiltrating (invasive) lobular carcinoma/অনুপ্রবেশকারী (আক্রমণকারী) লোবুলার কার্সিনোমা।

এই ক্যান্সার আপনার স্তনের লোবিউলে তৈরি হয় (যেখানে বুকের দুধ উৎপন্ন হয়) এবং আশেপাশের স্তনের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি 10% থেকে 15% স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

Lobular carcinoma in situ/লোবুলার কার্সিনোমা ইন সিটু

এটি একটি প্রাক-ক্যান্সারজনিত অবস্থা যেখানে আপনার স্তনের লোবিউলে অস্বাভাবিক কোষ থাকে।

এটি সত্য ক্যান্সার নয়, তবে এই মার্কারটি পরবর্তীতে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা নির্দেশ করতে পারে।

অতএব, লোবুলার কার্সিনোমায় আক্রান্ত মহিলাদের জন্য নিয়মিত ক্লিনিক্যাল স্তন পরীক্ষা এবং ম্যামোগ্রাম করা গুরুত্বপূর্ণ।

Triple negative breast cancer (TNBC)/ট্রিপল নেগেটিভ স্তন ক্যান্সার (TNBC)

ট্রিপল নেগেটিভ স্তন ক্যান্সারের চিকিত্সার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং স্তন ক্যান্সারগুলির মধ্যে একটি।

একে ট্রিপল নেগেটিভ বলা হয় কারণ এতে অন্য স্তন ক্যান্সারের মত তিনটি চিহ্নিতকারী নেই।

এটি ভবিষ্যদ্বাণী করা এবং চিকিত্সা করা অনেক কঠিন।

Inflammatory breast cancer/প্রদাহজনক স্তন ক্যান্সার

বিরল এবং আক্রমণাত্মক, এই ধরনের ক্যান্সার সংক্রমণের অনুরূপ। প্রদাহজনিত স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত তাদের স্তনের ত্বকে লালভাব, ফোলাভাব, খোসা ছাড়িয়ে যাওয়া এবং ডিম্পলিং লক্ষ্য করেন।

এটি তাদের ত্বকের লিম্ফ জাহাজে বাধাযুক্ত ক্যান্সার কোষের কারণে হয়।

Paget’s disease of the breast/স্তনের পেগেট রোগ

এই ক্যান্সার আপনার স্তনবৃন্ত এবং অ্যারিওলা (আপনার স্তনের চারপাশের ত্বক) ত্বককে প্রভাবিত করে।

স্তনের অন্যান্য অংশেও কি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে ?

স্তন ক্যান্সার যখন আমরা সাধারণত ক্যান্সার বলি যা দুধের নালী বা লোবিউলে গঠিত হয়।

তবে আপনার স্তনের অন্যান্য অংশেও ক্যান্সার হতে পারে, তবে এই ধরনের ক্যান্সার সাধারণত কম হয়। এই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

Breast-Cancer-Symptoms-Causes

এনজিওসারকোমা

এই বিরল ধরনের ক্যান্সার কোষে শুরু হয় যা রক্ত বা লিম্ফ্যাটিক জাহাজের আস্তরণ তৈরি করে।

ফিলোডস টিউমার। সংযোজক টিস্যুতে শুরু করে, ফিলোডস টিউমার বিরল।

এগুলি সাধারণত সৌম্য (ক্যান্সার-মুক্ত), তবে কিছু ক্ষেত্রে তারা মারাত্মক (ক্যান্সার) হতে পারে।

উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া স্তন ক্যান্সার

চিকিত্সকরা অনুমান করেন যে প্রায় 5 থেকে 10 শতাংশ স্তন ক্যান্সার একটি পরিবারের প্রজন্মের মধ্য দিয়ে যাওয়া জিন মিউটেশনের সাথে যুক্ত।

উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অনেক পরিবর্তিত জিন সনাক্ত করা হয়েছে যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

সর্বাধিক পরিচিত স্তন ক্যান্সার জিন 1 (BRCA1) এবং স্তন ক্যান্সার জিন 2 (BRCA2), যা উল্লেখযোগ্যভাবে স্তন এবং ডিম্বাশয় উভয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

আপনার যদি স্তন ক্যান্সার বা অন্যান্য ক্যান্সারের একটি শক্তিশালী পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তার বিআরসিএ বা আপনার পরিবারের মধ্য দিয়ে যাওয়া অন্যান্য জিনের নির্দিষ্ট মিউটেশন সনাক্ত করতে সাহায্য করার জন্য একটি রক্ত পরীক্ষা করতে পারেন।

জেনেটিক কাউন্সেলরের কাছে রেফারেলের জন্য আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন,যিনি আপনার পারিবারিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে পারে।

জেনেটিক কাউন্সেলর জেনেটিক পরীক্ষার সুবিধা, ঝুঁকি এবং সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা করতে পারেন যাতে আপনি আলাদা ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Breast-Cancer-Symptoms-Causes

ঝুঁকির কারণ

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ হল এমন কিছু যা আপনার স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি করে তোলে।

কিন্তু এক বা এমনকি একাধিক স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণগুলির মানে এই নয় যে আপনি স্তন ক্যান্সার বিকাশ করবেন। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত অনেক মহিলার কেবল মহিলা হওয়া ছাড়া অন্য কোনও কারণ নেই।

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার কারণগুলি নিচে দেওয়া হলো:

নারী হওয়া

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

বয়স বাড়ছে

আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

স্তনের নিজস্ব অবস্থার কারনে

আপনার যদি স্তনের বায়োপসি করা থাকে যাতে লোবুলার কার্সিনোমা ইন সিটু (এলসিআইএস) বা স্তনের অ্যাটিপিকাল হাইপারপ্লাসিয়া পাওয়া যায়, তাহলে আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েছে।

স্তন ক্যান্সারের একটি নিজস্ব কারনে

আপনার যদি একটি স্তনে স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকে, তবে আপনার অন্য স্তনে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

স্তন ক্যান্সারের পারিবারিক কারনে

যদি আপনার মা, বোন বা মেয়ের স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে, বিশেষ করে অল্প বয়সে, আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখনও, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোকের এই রোগের কোনও পারিবারিক ইতিহাস নেই।

উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত জিন যা ক্যান্সারের কারনে

কিছু জিন মিউটেশন যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় তা পিতামাতার কাছ থেকে শিশুদের কাছে যেতে পারে। সবচেয়ে সুপরিচিত জিন মিউটেশনগুলিকে BRCA1 এবং BRCA2 বলা হয়।

এই জিনগুলি আপনার স্তন ক্যান্সার এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

Breast-Cancer-Symptoms-Causes

বিকিরণের কারনে

আপনি যদি একটি শিশু বা অল্প বয়স্ক হিসাবে আপনার বুকে বিকিরণ চিকিত্সা গ্রহণ করেন, তাহলে আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্থুলতা

মোটা হওয়া আপনার স্তন ক্যান্সারের আরেকটি কারন।

অল্প বয়সে আপনার মাসিক হওয়া

12 বছর বয়সের আগে আপনার পিরিয়ড শুরু করা আপনার স্তন ক্যান্সারের কারন।

বেশি বয়সে মেনোপজ শুরু হওয়া

আপনি যদি বেশি বয়সে মেনোপজ শুরু করেন তবে আপনার স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বড় বয়সে আপনার প্রথম সন্তান হওয়া

যে মহিলারা 30 বছর বয়সের পরে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম দেন তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

গর্ভবতী ছিল না

যে মহিলারা কখনও গর্ভবতী হননি তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি এক বা একাধিক গর্ভধারণের মহিলাদের তুলনায় বেশি।

পোস্টমেনোপজাল হরমোন থেরাপি

যে মহিলারা মেনোপজের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির চিকিত্সার জন্য ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনকে একত্রিত করে হরমোন থেরাপির ওষুধ গ্রহণ করেন তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মহিলারা এই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।

ধুমপান/মদ্যপান

ধুমপান করলে বা অ্যালকোহল পান করলে আপনার স্তনে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

স্তন ক্যান্সার কিভাবে চিকিত্সা করা হয়?

সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি, হরমোন থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি এবং টার্গেটেড ড্রাগ থেরাপি সহ স্তন ক্যান্সারের জন্য বিভিন্ন ধরণের চিকিত্সা রয়েছে।

টিউমারের অবস্থান এবং আকার, আপনার ল্যাব পরীক্ষার ফলাফল এবং ক্যান্সার আপনার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে কিনা সহ অনেক কারণের উপর নির্ভর করে কোনটি আপনার জন্য সঠিক।

আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী আপনার চিকিৎসার পরিকল্পনাটি আপনার অনন্য প্রয়োজন অনুসারে তৈরি করবে। বিভিন্ন চিকিত্সার সংমিশ্রণ গ্রহণ করাও অস্বাভাবিক নয়।

Breast-Cancer-Symptoms-Causes

স্তন ক্যান্সার সার্জারি

স্তন ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারে আপনার স্তনের ক্যান্সারযুক্ত অংশ এবং টিউমারের চারপাশের স্বাভাবিক টিস্যুর একটি অংশ অপসারণ করা জড়িত। আপনার অবস্থার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রোপচার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

Lumpectomy/লম্পেক্টমি

একে আংশিক মাস্টেক্টমি বলা হয়, একটি লম্পেক্টমি যা টিউমার এবং তার চারপাশে সুস্থ টিস্যুর একটি ছোট মার্জিন অপসারণ করে।

সাধারণত, কিছু লিম্ফ নোড – আপনার স্তনে বা আপনার বাহুর নীচে – মূল্যায়নের জন্যও সরানো হয়। যাদের লুম্পেক্টমি আছে তাদের প্রায়ই পদ্ধতির পরের সপ্তাহগুলিতে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয়।

Mastectomy/মাস্টেক্টমি

আরেকটি বিকল্প হল আপনার স্তন সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা। কিছু ক্ষেত্রে, আপনার স্তনবৃন্ত এবং অ্যারিওলা (আপনার স্তনের চারপাশে কালো চামড়া) সংরক্ষণের জন্য ডাক্তাররা একটি স্তনবৃন্ত-স্পেয়ারিং মাস্টেক্টমি করতে পারেন। অনেক মহিলা অবিলম্বে বা তাদের mastectomy পরে স্তন পুনর্জীবনের মধ্য দিয়ে যেতে পছন্দ করে।

Sentinel node biopsy/সেন্টিনেল নোড বায়োপসি

যেহেতু স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক সনাক্তকরণের ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লিম্ফ নোডগুলি নেতিবাচক (ক্যান্সারের জন্য) হয়, সেন্টিনেল নোড বায়োপসি তৈরি করা হয়েছিল যাতে ক্যান্সারের সাথে যুক্ত নয় এমন বিপুল সংখ্যক লিম্ফ নোডের অপ্রয়োজনীয় অপসারণ রোধ করা হয়।

সেন্টিনেল লিম্ফ নোডগুলি সনাক্ত করতে, ডাক্তাররা একটি রঞ্জক ইনজেকশন করেন যা প্রথমে লিম্ফ নোডগুলিকে ট্র্যাক করে যেখানে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়বে

যদি সেই লিম্ফ নোডটি ক্যান্সার-মুক্ত হয়, তবে অন্য লিম্ফ নোডগুলি অপসারণ করার দরকার নেই। যদি সেই লিম্ফ নোডে ক্যান্সার থাকে তবে অতিরিক্ত লিম্ফ নোডগুলি অপসারণের প্রয়োজন হতে পারে।

প্রায়শই, একাধিক সেন্টিনেল নোড সনাক্ত করা হয়, তবে কম লিম্ফ নোড আপনার বাহুতে (লিম্ফেডেমা) ফোলা হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। একটি সেন্টিনেল লিম্ফ নোড বায়োপসি হয় একটি লুম্পেক্টমি বা একটি মাস্টেক্টমি দিয়ে করা যেতে পারে।

Breast-Cancer-Symptoms-Causes

Axillary lymph node dissection/অ্যাক্সিলারি লিম্ফ নোড ডিসেকশন

যদি একাধিক লিম্ফ নোড ক্যান্সারের সাথে জড়িত থাকে তবে তাদের অপসারণের জন্য একটি অ্যাক্সিলারি লিম্ফ নোড ডিসেকশন করা যেতে পারে। এর অর্থ হল আপনার বাহুর নীচে প্রচুর লিম্ফ নোড (আপনার অ্যাক্সিলা) অপসারণ করা।

Modified radical mastectomy/পরিবর্তিত র্যাডিকাল মাস্টেক্টমি

এই পদ্ধতির সময়, আপনার স্তনবৃন্ত ছাড়াও আপনার সম্পূর্ণ স্তন মুছে ফেলা হয়।

আপনার আন্ডারআর্মের চারপাশের লিম্ফ নোডগুলিও সরানো হয়েছে, তবে আপনার বুকের পেশীগুলি অক্ষত রয়েছে। ইচ্ছা হলে স্তন পুনর্গঠন প্রায়ই একটি বিকল্প হতে পারে।

Radical mastectomy/র্যাডিকাল মাস্টেক্টমি

এই পদ্ধতিটি আজ খুব কমই সঞ্চালিত হয় যদি না Breast Cance আপনার বুকের প্রাচীরের পেশীগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে।

একটি র‌্যাডিকাল ম্যাস্টেক্টমির সময়, আপনার সার্জন আপনার পুরো স্তন, আপনার স্তনবৃন্ত, আন্ডারআর্ম লিম্ফ নোড এবং বুকের দেয়ালের পেশীগুলি সরিয়ে ফেলেন।

যারা এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তারাও স্তন পুনর্গঠন বেছে নিতে পারেন।

আশা রাখি আজকের নিবন্ধটি দ্বারা আপনি স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন।আপনার কোন তথ্য কিংবা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

ছোলা খাওয়ার উপকারিতা 2022

বাংলাদেশের রাষ্টপতি ও প্রধানমন্ত্রী সহ গুরুত্তপুর্ন  কিছু মন্ত্রণালয় এর অফিসের ওয়েব সাইট ও নাম্বার  2022

বাংলাদেশের মন্ত্রণালয় এর অফিসের ওয়েব সাইট ও নাম্বার-আপনারা যেনে খুশি হবেন যে,আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো তা হলো বাংলাদেশের রাষ্টপতি ও প্রধানমন্ত্রি সহ গুরুত্তপুর্ন  কিছু মন্ত্রণালয় এর অফিসের ওয়েবসাইট ও নাম্বার সম্পর্কে। আপনারা যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এর সাথে যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন  কিন্তু যোগাযোগ করার মত কোন ওয়েবসাইট কিংবা  নাম্বার পাচ্ছেন না।

তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। আশা রাখি এখান থেকে আপনারা  বাংলাদেশের সকল মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইট ও ফোন নাম্বার পেয়ে যাবেন। এখানে রাষ্টপতি,প্রধানমন্ত্রী ,শিক্ষা মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়,ভুমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইট ও ফোন নাম্বার রয়েছে।এই পোস্ট থেকে কোন তথ্য যদি আপনাদের কোন উপকারে আসে তাহলে আমাদের কষ্ট সার্থক হবে বলে আশা রাখি

বাংলাদেশের রাষ্টপতির(President) ফোন নাম্বারঃ  9564099,9566258

                                                         7161501,8311202

ওয়েবসাইটঃ https://www.bangabhaban.gov.bd/

বাংলাদেশের রাষ্টপতির সেক্রেটারির ফোন নাম্বারঃ 9568041, 9568042

                                                                            9568043,9568044

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয়(Prime Minister) এর ফোন নাম্বারঃ 8115100, 8822411

ওয়েব সাইটঃ https://pmo.gov.bd/

শিক্ষা মন্ত্রণালয়( Minister of Education) এর ফোন নাম্বারঃ  7161395, 7166484

ওয়েব সাইটঃ https://moedu.gov.bd/

খাদ্য মন্ত্রণালয়(Minister of Food) এর ফোন নাম্বারঃ 71644436, 7162240

ওয়েব সাইটঃ https://mofood.gov.bd/

ভুমি মন্ত্রণালয়(Minister of Land) এর ফোন নাম্বারঃ 7169644

ওয়েব সাইটঃ https://minland.gov.bd/

বাংলাদেশের মন্ত্রণালয় এর অফিসের ওয়েব সাইট ও নাম্বার  2022

 মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রণালয়(Fisheries & Livestock) এর ফন নাম্বারঃ 7162430, 7161555

ওয়েব সাইটঃ https://mofl.gov.bd/

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়(Health & Family Welfare) এর ফোন নাম্বারঃ 7168008, 7168188

ওয়েব সাইটঃ http://www.mohfw.gov.bd/

মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ(Cabinet Division) এর ফোন নাম্বারঃ 8111157, 8111282

ওয়েব সাইটঃ http://www.cabinet.gov.bd/

অর্থ মন্ত্রণালয়(Minister of Finance) এর ফোন নাম্বারঃ 7164444,7165950

ওয়েব সাইটঃ http://www.mof.gov.bd/

আইন ও বিচার বিভাগ(Law & Justice) এর ফোন নাম্বারঃ 7160577,7160627

ওয়েব সাইটঃ http://www.lawjusticediv.gov.bd/

কৃষি মন্ত্রণালয়(Agriculture) এর ফোন নাম্বারঃ 7162240, 7169277

ওয়েব সাইটঃ https://moa.gov.bd/

 ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ(Post & Telecommunication) এর ফোন নাম্বারঃ 7164800

ওয়েব সাইটঃ https://mof.portal.gov.bd/

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়(Civil Aviation & Tourism) এর ফোন নাম্বারঃ 7161141, 7168070

ওয়েব সাইটঃ https://mocat.gov.bd/

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়(Minister of Commerce) এর ফোন নাম্বারঃ 7169679,7168066

ওয়েব সাইটঃ https://mincom.gov.bd/

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়(Communication) এর ফোন নাম্বারঃ 7164977, 7168752

ওয়েব সাইটঃ http://www.moc.gov.bd/

বাংলাদেশের মন্ত্রণালয় এর অফিসের ওয়েব সাইট ও নাম্বার  2022

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়(Minister of Cultural Affairs) এর ফোন নাম্বারঃ 7162138

ওয়েব সাইটঃ https://moca.gov.bd/

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়(Minister of Defence) এর ফোন নাম্বারঃ 8822411, 8115100

ওয়েব সাইটঃ https://mod.gov.bd/

পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়(Environment & Forest) এর ফোন নাম্বারঃ7167916,7160587

ওয়েবসাইটঃ https://moef.gov.bd/

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়(Minister of Jute) এর ফোন নাম্বারঃ 7161643,7169654

ওয়েবসাইটঃ https://motj.gov.bd/

হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার

বিশ্ব বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস এর জীবন বৃত্তান্ত ও ব্যক্তিগত জীবন জেনে নিন

বাটন মোবাইল দিয়ে জাভা গেম ডাউনলোড করার নিয়ম

সক্রেটিসের জন্ম 

সক্রেটিসকে (প্রাচীন গ্রিক ভাষায় Σωκράτης সক্রাত্যাস্‌) বলা হয়। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০অব্দে গ্রিসের এথেন্স শহরে এলোপাকি গোত্রে।এই বিশ্ব বিখ্যাত দার্শনিক এর পিতার নাম  সফ্রোনিস্কাস  (Sophroniscus) এবং মায়ের নাম ছিল ফিনারিটি যিনি একজন ধাত্রী ছিলেন।

socretis 1

বাল্যজীবন ও কর্ম

পেশায় তিনি ছিলেন একজন স্থপতি।

স্বপ্নে নিকাশ বিভিন্ন ধরনের পাথরের মূর্তি বানিয়ে সেগুলো বিক্রি করতেন।

সক্রেটিসের মাতার নাম ছিল ফিনারিটি

পেশায় তিনি ছিলেন একজন ধাত্রি।

দুজনে দু পেশায় নিয়োজিত থাকলেও তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত।

এর ফলে এই মহান  দার্শনিক এ জীবন খুবই বিষময় হয়ে উঠেছিল।

যার ফলে তাঁকে পাথর কাটার কাজে যোগদান করতে হয়েছিল।

এই মহান দার্শনিকের জীবনী সম্পর্কে তথ্য লিখিতভাবে পেয়েছে কেবলমাত্র তার ছাত্র প্লেটোর এবং সৈনিক জেনো ফরেনের রচনা থেকে।

এই মহান দার্শনিক এর বাবা মার সংসারে যেহেতু অভাব লেগে 

থাকত সেহেতু তিনি বা কোন উপায় না পেয়ে একরকম বাধ্য হয়ে পাথরকাটার পেশায় নিজেকে আবদ্ধ করে নিয়েছিলেন।

কিন্তু অদম্য জ্ঞানস্পৃহা নিয়ে জন্মেছিলেন সক্রেটিস।

এর ফলে যখন যেখানে যেটুকু জানার সুযোগ পেতেন সেটুকু জ্ঞান সঞ্চয় করে নিতেন নিজের আয়ত্তে।

এমনি করে বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছিল।

ছাত্র জীবন 

একদিন কোন এক ঘটনাচক্রে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তির সাথে সক্রেটিসের পরিচয় হয়েছিল।

কথার সুবাদে সক্রেটিসের সাথে সেই ধনাঢ্য ব্যক্তির আলাপ হয়।

তিনি আলাপের মাঝে সক্রেটিসের ভদ্র মধুর আচরণে বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তায় মুগ্ধ হয়ে তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে নেন

সেই সুবাদে পাথরের কাজ সেরে সক্রেটিসকে  এনাক্সাগোরাস(Anaxagoras)নামে এক গুরুর কাছে ভর্তি হতে হয়।

কিছুদিন পর কোনো এক অজানা কারণে এনাক্সাগোরাস আদালতে অভিযুক্ত হলে সক্রেটিস আরখ ইখলাস এর শিষ্য পদ লাভ করেন।

সেসময় গ্রীস দেশ ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল।

ফলে তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারি,যুদ্ধ বিগ্রহ ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত ।

এমতাবস্তায় দেশের প্রতিটি তরুণ,যুবক ,সক্ষম পুরুষদের যুদ্ধে যাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

এজন্য সক্রেটিসকে এথেন্সের সৈন্য বাহিনীর সঙ্গে এ্যামপিপোলিস অভিযানে যেতে হয়।

কিন্তু এই যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য সমস্ত যোগদান করে তার মন ক্রমশই যুদ্ধের প্রতি বিরূপ হয়ে উঠতে লাগলো।

তাই তিনি চিরদিনের মতো সৈনিকবৃত্তি পরিত্যাগ করে এথেন্সে ফিরে আসেন।

সেই সময় এথেন্স জ্ঞান-গরিমা,ব্যবসা-বাণিজ্য,শৌর্য,বীর্যে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

এই শিল্প-সাহিত্যকে সংস্কৃতির এক স্বর্ণযুগ হিসেবে পেয়েছিলেন তিনি।

এই পরিবেশে সক্রেটিস নিজেকে জ্ঞানের জগৎ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি

সক্রেটিস মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন যে তিনি জ্ঞানের চর্চায়,বিশ্বপ্রকৃতির জানবার সাধনায় নিজেকে উৎসর্গ করবেন।

সে সময়ে এতে যেহেতু শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির স্বর্ণযুগ ছিল 

সেহেতু সেখানে অনেকেই তাদের নিজেদের পাণ্ডিত্যের অহংকার ও বীরত্বের বড়াই করতেন।

সক্রেটিস তাদের উদ্দেশ্যে বলতো যে তারা বিরক্ত বলতে কী বোঝে?

পাণ্ডিত্যের স্বরূপ কি?

তারা যখন কোন কিছুর উত্তর দিত,

তখন তিনি আবারও প্রশ্ন করতেন।

প্রশ্নের পর প্রশ্ন সাজিয়ে বুঝিয়ে দিতেন তাদের ধারণা কত ভ্রান্ত।

মিথ্যা অহমিকায় কতখানি ভরপুর হয়ে আছে তারা।

এভাবে চলতে চলতে কোন এক সময়ে সেই সব লোক সক্রেটিসের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।

কিন্তু এই এই মহা দার্শনিক তাতে সামান্যতম বিকৃত বা চিন্তিত হয়ে পড়েন নি।

নিজের আদর্শ সত্যের প্রতি তার আস্থা ছিল অবিচল।

সেইসাথে ধন-সম্পদের  প্রতি তার চরম উদাসীনতা ছিল।

একবার তার বন্ধু এ্যালসিবিয়াদেশ তাকে বিরাট একখণ্ড জমি দিয়ে বলেছিলেন সেখানে বসবাস করতে

কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দেন এবং বলেন “আমার প্রয়োজন একটি জুতা আর তুমি দিচ্ছে একটি বিরাট চামড়া এ নিয়ে আমি কি করবো জানিনা।”

এভাবে পার্থিক সম্পদের প্রতি নিঃষ্পৃহতা দার্শনিক জীবনে যত খানি শান্তি নিয়ে এসেছিল,

সক্রেটিসের বৈবাহিক অবস্থা 

তার সাংসারিক জীবনে ততখানি অশান্তি দিয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু তার প্রতিও তিনি সমান নিঃষ্পৃহ ছিলেন।

এই মহা দার্শনিক এর স্ত্রীর নাম ছিল জ্যানথিপি(Xanthippe)।

এই জ্যানথিপি খুব রাগী এবং ভয়ঙ্কর মহিলা ছিলেন।

সাংসারিক ব্যাপারে সক্রেটিসের উদাসীনতা তিনি মেনে নিতে পারতেন না।

একদিন সক্রেটিস গভীর একাগ্রতার সাথে একটা বই পড়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় তার স্ত্রী সক্রেটিসকে গালিগালাজ শুরু করে  দেন।

কিছুক্ষণ সক্রেটিস তার স্ত্রীর কথায় কর্ণপাত করেননি।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য রক্ষা করতে না পেরে বাইরে গিয়ে আবার বইটি পড়তে আরম্ভ করলেন।

সক্রেটিসের সেই রকম ব্যবহার তার স্ত্রী সহ্য করতে না পেরে এক বালতি পানি এনে তার মাথায় ঢেলে দিয়েছিলেন।

সক্রেটিস মৃদু হেসে বললেন,” আমি আগেই জানতাম যখন এত মেঘ গর্জন হচ্ছে তখন শেষ পর্যন্ত এক পশলা বৃষ্টি তো হবেই”

সুতরাং এ থেকে দেখা যায় এই মহান দার্শনিক খুবই ধৈর্যশীল একজন ব্যক্তি ছিলেন।

সক্রেটিসের দ্বিতীয় বৈবাহিক অবস্থা

জ্যানথিপি ছাড়াও সক্রেটিসের আরো একজন স্ত্রী ছিল যার নাম ছিল মায়ার্তো (Myharto)।

এই মহা দার্শনিকের দুই স্ত্রীর গর্ভে তিন সন্তান জন্ম নিয়েছিলেন দারিদ্রতা তাকে গ্রাস করলেও সন্তানদের ভরণ পোষণ ও শিক্ষার ব্যাপারে কোনো উদাসীনতা তিনি দেখান নি।

সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন শিক্ষাই মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।

শিক্ষার মধ্যেই মানুষের অন্তরের জ্ঞানের আগাম জ্যোতি উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।

সক্রেটিসের ধ্যান ও জ্ঞান

সক্রেটিস মনে করতেন যে জ্ঞানের মধ্যদিয়েই মানুষ একমাত্র সত্য কে চিনতে পারে।

যখন তার কাছে সত্যের স্বরূপ উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে,

তখন সে মানুষটা আর কোনো পাপ করে না।

কেননা অজ্ঞানতা থেকেই সমস্ত পাপের জন্ম।

সমস্ত শয়তান মানুষের মনের সেই অজ্ঞানতাকে দূর করে তার মধ্যে বিচারবুদ্ধি বোধকে জাগ্রত করতে।

সব সত্যকে উপলব্ধি করে মানুষকে সাহায্য করাই ছিল সক্রেটিসের প্রধান লক্ষ্য।

সক্রেটিস আস্তিক ও নাস্তিক পদ্ধতির নাম দিয়েছিলেন।

পরবর্তীকালে তার শিষ্য প্লেটোর শিষ্য

তার শীষ্য প্লেটো এবং প্লেটোর শিষ্য এরিষ্টটল সেই ধারাকে সম্পূর্ণরূপে বিকশিত করেছিলেন তার ন্যায় শাস্ত্রে।

 বিচার ও মৃত্যু

সক্রেটিসের আদর্শকে দেশের বিভিন্ন মানুষ দেখেনি।

তারা সক্রেটিসের সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা অনুভব করল।

এ থেকে তারা সক্রেটিসের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করলেন।

তাদের চক্রান্তে দেশের নাগরিক আদালতে সক্রেটিসের ঘোর বিরোধী অভিযোগ আনা হলো।

প্রচলিত দেবতাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে নতুন দেবতার প্রবর্তন করতে চাইছেন বলে শাসকচক্র সক্রেটিসের উপর এরকম অভিযোগ নিয়ে আসে।

আর দ্বিতীয় অভিযোগ হচ্ছে সমাজকে ভ্রান্ত পথে চালিত করছেন তিনি।

এই অভিযোগের বিচার করবার জন্য আলোচনার সভাপতিত্বে একজনের বিচারক মন্ডলী 

গঠিত হলো।

এ বিচারকমণ্ডলীর সামনে সক্রেটিস এক দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন,

হে এথেন্সের অধিবাসীগণ,

আমার অভিযোগকারীদের বক্তৃতা শুনে আপনাদের কেমন লেগেছে জানিনা তবে আমি বক্তৃতার চমকে আত্মবিস্মিত হয়েছিলাম,

যদিও তাদের বক্তৃতায় সত্যভাষণের চিহ্নমাত্র নেই।

এর উত্তরে আমি আমার বক্তব্য পেশ করছি।

আমি অভিযোগকারীদের মত মার্জিত ভাষা ব্যবহার জানিনা আমাকে শুধু ন্যায়বিচারের স্বার্থে সত্য প্রকাশ করতে দেওয়া হোক।

দেশবাসীর বিরাগভাজন হলাম?

অনেকদিন আগে ডেলফির মন্দিরে দৈব বাণী শুনলাম তখনই আমার মনে হল এর অর্থ কি?

আমি তো জ্ঞানী নই তবে দেবী কেন আমাকে দেবীর কাছে নিয়ে গিয়ে বলব,

এই দেখো আমার চেয়ে জ্ঞানী মানুষ।

এভাবে সক্রেটিস আরো বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে দেশবাসীদের কাছে তার মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেছিলেন।

সবশেষে তিনি বলেছিলেন,

এতক্ষণ আমি ঈশ্বর এবং তোমাদের সামনে আমার বক্তব্য রাখলাম। 

এবার তোমাদের এবং আমার পক্ষে যা সর্বত্তম সেই বিচার হোক

বিচারে ২৮১-২২০ ভোটে সক্রেটিসকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

সেই সময় ক্রিটো নামের একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি সক্রেটিসের বন্ধু ছিলেন।

তিনি কারারক্ষীদের ঘুষ দিয়ে অন্য দেশে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন যে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে দেশের আইন শৃঙ্খলা মেনে চলা কর্তব্য। বিচারালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার অর্থ আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা।

তাছাড়া তিনি পালিয়ে গেলে সকলের মনে এ ধারণা হবে যে সক্রেটিস সত্যি সত্যিই অপরাধী।

তাকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারকরা ঠিক কাজটি করেছেন।

মৃত্যুর দিন সকল শিষ্যরা একে একে উপস্থিত হলেন কারাগারে।

সক্রেটিস গোসল শেষ করে ফিরে এলেন।

সূর্য তখন পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়েছে।

মুহূর্তে মৃত্যুদূতের মতো দাঁড়িয়ে এসে দাঁড়াল জেলের কর্মচারী।

গভীর বেদনা কাঁদতে কাঁদতে ঘোষণা করল সক্রেটিসের বিষপানের সময় হয়েছে।

কৃত বাইরে থাকা রাজকর্মচারীর দিকে ইঙ্গিত করতেই জল্লাদ বিষের পাত্র হাতে কক্ষে প্রবেশ করল।

সক্রেটিস হাসিমুখে সেই পাত্র নিজের হাতে তুলে নিয়ে বিশ পান করে।

৩৯৯ খ্রিস্টাব্দে এই মহান দার্শনিক সক্রেটিসের মৃত্যু হেমলক নামক এক বিষাক্ত পাতার  রস পান করার ফলে হয়।

মৃত্যুর পর এথেন্সের অবস্থা

এই মহান দার্শনিক এর মৃত্যুর পরে এথেন্স বাসীদের মধ্যে অনেক অনুশোচনা কাজ করতো এবং সেটি ভোলার জন্য অনেকে আত্মহত্যা  করেছিল আবার অনেককে পিটিয়ে মারা হয়েছিল আর কিছু লোক কে বিতারিত করা হয়েছিল দেশ থেকে।এথেন্স বাসীরা এই মহান দার্শনিক এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এথেন্সে বিরাট মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রকৃতপক্ষে এই মহা বিজ্ঞানী সক্রেটিস পৃথিবীর প্রথম দার্শনিক ও

চিন্তাবিদ,যাকে তার চিন্তা দর্শনের জন্য মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। সেই চিন্তার এক নতুন জগৎ সৃষ্টি হয়েছিল যা মানুষকে প্রতিনিয়ত উত্তেজিত করে চলেছে আজকের পৃথিবীতে।

সক্রেটিসের কিছু উক্তি

  • অপরীক্ষিত জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা গ্লানিকর।
  • জ্ঞানের শিক্ষকের কাজ হচ্ছে কোনো ব্যক্তিকে প্রশ্ন করে তার কাছ থেকে উত্তর জেনে দেখানো যে জ্ঞানটা তার মধ্যেই ছিল।
  • পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটি-ই ভালো আছে, জ্ঞান। আর একটি-ই খারাপ আছে, অজ্ঞতা।
  • আমি কাউকে কিছু শিক্ষা দিতে পারবনা, আমি শুধু তাদের চিন্তা করাতে পারব।
  • বিস্ময় হল জ্ঞানের শুরু।
  • টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভালো।
  • বন্ধু হচ্ছে দুটি হৃদয়ের একটি অভিন্ন মন।
  • প্রকৃত জ্ঞান নিজেকে জানার মধ্যে, অন্য কিছু জানার মধ্যে নয়।
  • তুমি কিছুই জানোনা এটা জানা-ই জ্ঞানের আসল মানে।
  • যাই হোক বিয়ে করো। তোমার স্ত্রী ভালো হলে তুমি হবে সুখী, আর খারাপ হলে হবে দার্শনিক।
  • ব্যস্ত জীবনের অনুর্বরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।
  • আমাদের প্রার্থনা হওয়া উচিত সাধারণের ভালোর জন্য। শুধু ঈশ্বরই জানেন কীসে আমাদের ভালো।
  • সত্যিকারের জ্ঞান আমাদের সবার কাছেই আসে, যখন আমরা বুঝতে পারি যে, আমরা আমাদের জীবন, আমাদের নিজেদের সম্পর্কে এবং আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তার সম্পর্কে কত কম জানি।
  • সেই সাহসী যে পালিয়ে না গিয়ে তার দায়িত্বে থাকে এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
  • নিজেকে উন্নয়নের জন্য অন্য মানুষের লেখালেখিতে কাজে লাগাও এই জন্য যে অন্য মানুষ কিসের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে তা তুমি যাতে সহজেই বুঝতে পারো।
  • সুখ্যাতি অর্জনের উপায় হল তুমি কী হিসেবে আবির্ভূত হতে চাও তার উপক্রম হওয়া।
  • তুমি যা হতে চাও তা-ই হও।
  • কঠিন যুদ্ধেও সবার প্রতি দয়ালু হও।
  • শক্ত মন আলোচনা করে ধারণা নিয়ে, গড়পড়তা মন আলোচনা করে ঘটনা নিয়ে, দুর্বল মন মানুষ নিয়ে আলোচনা করে।
  • বন্ধুত্ব করো ধীরে ধীরে, কিন্তু যখন বন্ধুত্ব হবে এটা দৃঢ় করো এবং স্থায়ী করো।
  • মৃত্যুই হল মানুষের সর্বাপেক্ষা বড়ো আশীর্বাদ।

 

গ্রামীণফোন ইন্টারনেট অফার 2022(update) 

গ্রামীণফোন ইন্টারনেট অফার এ  আপনাদের স্বাগতম। আপনি যদি গ্রামীণফোন  সিম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এই  পেজটি আপনার জন্য। আপনারা যারা গ্রামীণফোন সিম ব্যবহার  করেন ,আপনাদের  সুবিধার জন্য সবচেয়ে কম রেটে গ্রামীণফোন কোম্পানি ইন্টারনেট অফার 2022 প্রকাশ করেছে। আমাদের এই পেজ থেকে আপনারা গ্রামীণফোন ইন্টারনেট অফার  এর যাবতীয় সকল সাম্প্রতিক তথ্য পেয়ে থাকবেন। আজকে আমি গ্রামীণফোন ইন্টারনেট অফার এর দৈনিক সাপ্তাহিক ও মাসিক প্যাকগুলো সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করেছি। আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার পছন্দের প্যাক বেছে নিতে পারেন।

জিপি ইন্টারনেট অফার 2022( Activation Code with validity)

জিপি প্রতিদিন ইন্টারনেট অফার  2022:

Data Volume  Data Price Activation Code Validity
5MB Tk. 2.74 *121*3002# 3 days
512MB Tk. 28 *121*3256# 3 days
1GB (512MB + 512MB 4G) Tk. 38 *121*3366# 3 days
1GB Tk. 46 *121*3399# 3 days
2.5GB (2GB+512MB 4G) Tk. 57 *121*3242# 3 days
3.5GB (3GB+512MB 4G) Tk. 69 *121*3282# 3 days
4.5GB (3GB+1.5GB 4G) Tk. 76 MY GP Apps 3 days

জিপি সাপ্তাহিক ইন্টারনেট 2022 আরো জানতে ভিজিট করুনঃএসার নাইট্রো 5 রাইজন এইচডি গেমিং ল্যাপটপ

Data Volume Data Price Activation Code Validity
1GB Tk. 77 *121*3056# 7 days
2GB Tk. 98 *121*3322# 7 days
5GB (4GB+1GB) Tk. 114 *121*3344# 7 days
6GB (4G) Tk. 124 *121*3434# 7 days
8GB Tk. 148 *121*3262# 7 days
12GB (10GB + 2GB 4G) Tk. 198 *121*3133# 7 days

যে সকল বন্ধুরা জিপি সিমের প্রিপেইড ,পোস্টপেইড স্কিটো সিম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এই অফারগুলো আপনাদের জন্য। এই অফার গুলো আপনারা সকল ধরনের ব্রাউজারে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে এক্ষুনি আপনার পছন্দের ডাটা প্যাক টি অ্যাক্টিভ করুন এবং 4G গতিতে নিজেকে উৎসাহিত করুন।

জিপি মাসিক ইন্টারনেট অফার

Data Volume Data Price Activation Code Validity
1GB Tk. 189 *121*3282# 30 days
3GB Tk. 289 *121*3391# 30 days
5GB Tk. 299 *121*3458# 30 days
8GB Tk. 349 *121*3474# 30 days
10GB  (2GB 4G) Tk. 399 *121*3392# 30 days
10GB 4G (300 Min) Tk. 599 *121*3448# 30 days
15GB Tk. 498 *121*3459# 30 days
20GB (4G) Tk. 499 *121*3435# 30 days
25GB 4G + 600min Tk. 989 *121*3450# 30 days
25GB (5GB 4G) Tk. 649 *121*3393# 30 days
50GB (20GB 4G) Tk. 998 *121*3394# 30 days
60GB (4G) Tk. 999 *121*3436# 30 days
100GB (4G) Tk. 1499 *121*3437# 30 days
200GB (4G) Tk. 1999 *121*3438# 30 days
2GB (Skype, Zoom) Tk. 83 *121*3463# 30 days
4GB (Skype, Zoom) Tk. 261 *121*3403# 30 days
10GB (Skype, Zoom) Tk. 435 *121*3404# 30 days

 

 জিপি টিকটক অফার 2022(Activation Code with validity

যে সকল বন্ধুরা টিকটক করে থাকেন তাদের   জন্যেও গ্রামীণফোন টিকটক অফার  চালু করেছে।এই প্যাক টি ব্যবহার করে আপনারা টিক টক এ আপনাদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। তাই বন্ধুরা আপনাদের পছন্দের ডাটা  প্যাক টি অ্যাক্টিভ করুন। নিচে গ্রামীণফোনের সকল  অফার সুন্দরভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

Data volume Price Activation code Validity
500 এমবি (টিকটোক) টাকা 23 * 121 * 3270 # 3 দিন
1 জিবি (টিকটোক) টাকা 55 * 121 * 3271 # 7 দিন
1 জিবি (টিকটোক) টাকা 101 * 121 * 3272 # 30 দিন

 জিপি মাইক্রোসফট অফার 2022

গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীদের জন্য চমৎকার খবর। গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী সকলের জন্য মাইক্রোসফট অফার 2022 চালু করেছে । জিপি ব্যবহারকারী বন্ধুরা আপনারা খুব কম রেটে জিপি মাইক্রোসফট অফার নিতে পারবেন। এই ডাটা প্যাক টি আপনারা skype,zoom & microsoft এ ব্যবহার করতে পারবেন। নিচে মাইক্রোসফট ইন্টারনেট অফার 2022 প্রকাশ করা  হয়েছে।

Data Volume Data Price Activation Code Validity
2GB (Microsoft) Tk. 83 *121*3463# 7 days
4GB (Microsoft) Tk. 261 *121*3403# 30 days
10GB (Microsoft) Tk. 435 *121*3404# 30 days
20GB (Microsoft) Tk. 567 *121*3405# 30 days
30GB (Microsoft) Tk. 723 *121*3273# 30 days
40GB (Microsoft) Tk. 819 *121*3274# 30 days

তাই আর দেরি না করে এক্ষুনি আপনার পছন্দের ডাটা প্যাক টি অ্যাক্টিভ করুন এবং 4G গতিতে নিজেকে উৎসাহিত করুন।

সম্পুর্ণ নিবন্ধটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।নিবন্ধটি যদি আপনাদের কোন উপকারে আসে তাহলে আপনাদের প্রিয় মানুষদেরকেও শেয়ার করে আপনাদের আনন্দকে আরো দ্বিগুণ করুন।

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জীবনী

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জীবনী সম্বন্ধে প্রায়  অনেক কিছুই  অজানা  রয়েছে  অনেকের কাছে । আপনারা যারা এই বিখ্যাত  ব্যক্তিটির সম্পর্কে  কোন তথ্য সংগ্রহ করতে চান তাহলে আমাদের এই  পেজটি অনুসরণ করতে পারেন।

এই পেজে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক জানা অজানা তথ্য  সংগ্রহ করে এখানে উপলব্ধ  করা হয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসে উইলিয়াম শেকসপিয়র এক বিস্ময়।

সর্বকালের সর্বকালের  সর্বশ্রেষ্ঠ নাট্যকার ও ইংরেজ কবি যার সৃষ্টি সমন্ধে এত বেশি আলোচনা  হয়েছে তার অর্ধেকেরও অন্যদের নিয়ে হয়েছে কিনা সন্দেহ।

অথচ এই বিখ্যাত ব্যক্তিটির জীবনী সম্বন্ধে প্রায়  অনেক কিছুই  অজানা  রয়েছে  অনেকের কাছে।

আরো পড়ুনঃস্বামী বিবেকানন্দের জীবনী

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জন্ম:

 ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২৩  এপ্রিল এই মহান ব্যক্তি  জন্মগ্রহণ করেন। শেক্সপিয়ার  ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের অন্তর্গত জীবন নদীর তীরে স্ট্রিটফোর্ড  শহরে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জন্মগ্রহণ করেন।

শেক্সপিয়ার কে ইংরেজি ভাষার  সর্ব শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এবং বিশ্বের একজন অগ্রণী নাটকের মনে করা হয়।

উইলিয়াম শেক্সপিয়ার কে লন্ডনের জাতীয় কবি এবং বার্ড অফ অ্যাভন নামেও অভিহিত করা হয়।শেক্সপিয়ার এর পিতার নাম জন শেক্সপিয়ার এবং মাতার আর নাম মেরি আর্ডেন।

 শেক্সপিয়ারের পিতা মাতা উভয়েই আর্ডেন পরিবারেরই ছিলেন।  শেক্সপিয়র “As you like it” নাটকে মায়ের নাম কে অমর করে রেখেছেন।

শেক্সপিয়র এর বৈবাহিক ও পারিবারিক  জীবন:

উইলিয়াম শেকসপিয়র ১৮ বছর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই ইংরেজ কবির স্ত্রীর নাম ছিলেন  নাম ছিলেন “এ্যানি হাথাওয়েকে”। এ্যানি হাথাওয়েকে শেক্সপিয়ারের থেকে আট বছরের বড় ছিলেন। 

বিবাহের কয়েক মাসের মধ্যেই অ্যানি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। শেক্সপিয়ার ও অ্যানির সন্তানের নাম রাখা হয়েছিল “সুসানা”।

এর ২ বছর পরে এ্যানি আরো দুটি জমজ সন্তানের জন্ম দেন। ছেলে হ্যামলেট মাত্র ১ বছর বেঁচে ছিলেন। 

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জীবনী

শেক্সপিয়ার কে সংসার নির্বাহের জন্য নানান কাজকর্ম করতে হতো।শোনা যায় তিনি একবার ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে  স্যার টমাসের একটা হরিণকে হত্যা করেছিলেন। 

গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী এড়াতে তিনি পালিয়ে লন্ডনে আসেন। কিন্তু এই কাহিনী কতটা সত্য সে বিষয়ে এখনও জানা যায় নি। তবে যে কারণেই হোক তিনি স্টাডফোড ত্যাগ করে লন্ডনে শহরে আসেন। 

শেক্সপিয়ারের নাট্যজগৎ:

শেক্সপিয়র অচেনা শহরে এসে কাজের সন্ধান করতে থাকেন। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে তিনি  পেশাদারী রঙ্গমঞ্চে সাথে পরিচিত হন। নাট্যজগতের সাথে তিনি প্রত্যক্ষ পরিচয়ই তার অন্তরের সুপ্ত প্রতিভার বীজকে ধীরে ধীরে অঙ্কুরিত করে তোলে।

 শেক্সপীয়র ১৫৯১ থেকে ১৫৯২ সালের তার নাটকের সুত্রপাত করেন। এই সময় তিনি তার ঐতিহাসিক   হেনরি ভি আই(V I) নাটকের তিন খন্ড রচনা  করেন।

এর পরের বছর তিনি তার লেখা বিখ্যাত নাটক রিচার্ড থ্রি নাটকের প্রকাশে অনেক সফলতা অর্জন করেন।

একদিন যিনি তুরস্কের করার মত স্টার্টফোর্ড ছেড়ে পালিয়ে এসেছিলেন, সেখানেই তিনি বিরাট এক সম্পত্তি কিনেছিলেন।

 ইতোপূর্বে লন্ডন শহরে একটা বাড়ি কিনে ফেলেছিলেন। ১৬১০ সাল পর্যন্ত তিনি এই বাড়িতে বসবাস করেছিলেন। 

শেক্সপিয়ার কবি ও সাহিত্যিক:

উইলিয়াম শেক্সপিয়ার পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর উত্তরন ঘটিয়েছেন। ক্ষুদ্র দিঘির মধ্যে এনেছেন সমুদ্রের বিশালতা।শেক্সপিয়রের কাব্য ভেনাস এবং অ্যাডোনিস।

শুধু নাটক নয়, কবি হিসেবেও তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিদের অন্যতম। তার প্রতিটি কবিতায় এক অপূর্ব কাব্য দ্যুতিতে উজ্জল। 

উইলিয়াম শেকসপিয়র দুটি কাব্য এবং ১৫৪ টি কাব্য রচনা করেছেন।  মানুষের অন্তরে দেহগত কামনার  সাহিত্য তার প্রকাশ ঘটেছে রেনেসাঁর  উত্তর-পূর্বে।

একদিকে দেহগত কামনা অন্যদিকে মূর্ত হয়ে উঠেছে ভেনাস এবং অ্যাডোনিসে।রচনাকাল অনুসারে শেক্সপীয়রের নাটকগুলি তে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা হয়েছিল।

 ১৫৮৮-১৫৯৬ সাল পর্যন্ত প্রথম ভাগের বিস্তার করা হয়েছিল। 

শেক্সপিয়ারের বিখ্যাত  নাটক সমূহের নাম:

১ঃ রিচার্ড থ্রি

২ঃ কমেডি অব এররস 

৩ঃ টেমিং অফ দি শ্রু

৪ঃ রোমিও জুলিয়েট 

৫ঃ ট্রাজেডি-হ্যামলেট 

৬ঃ ওথেলো 

৭ঃ কিং লিয়ার 

৮ঃ ম্যাকবেথ 

 ৯ঃ জুলিয়াস সিজার 

উইলিয়াম শেকসপিয়রের শেষ পর্বে পাঁচটি নাটক  রচনা করেছিলেন। তার মধ্যে দুটি ছিল অসমাপ্ত আর আর তিনটি ছিল সমাপ্ত। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিক টেম্পেস্ট। 

শেক্সপিয়ারের কমেডিঃ

১ঃ কমেডি হল লাভস লেবার লস্ট

২ঃ দি টু জেন্টলম্যান অফ ভেরোনা

৩ঃ দিতে টেমিং অফ দি শ্রু

৪ঃ কমেডি অফ এররস 

৫ঃ এ মিড সামার নাইটস ড্রিম।

৬ঃ অ্যাজ ইউ লাইক ইট। 

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জীবনী

এই নাটকগুলোর প্রতিটি চরিত্রই জীবন্ত প্রানবন্ত সজীবতায়  ভরপুর। এই নাটক কমেডি গুলোর মধ্যে হাসি কান্না সুখ-দুঃখের এক আশ্চর্য সংমিশ্রণ ঘটেছে। শেক্সপিয়রের উল্লেখযোগ্য জুলিয়াস সিজারের নাটকের মুখ্য চরিত্র ছিলেন সীজারম,ব্রুটাস এবং অ্যান্টনি।

উইলিয়াম শেক্সপিয়রের যৌনতা:

শেক্সপিয়ারের যৌনতা বিষয়টি বহুল বিতর্কিত বিষয়। কাব্যসুত্রে জানা যায়, তিনি তার থেকে বয়সে  ৮ বছরের বড় এমন একজনকে বিয়ে করেছিলেন। 

কিন্তু জানা যায় তিনি শুধু এখানেই  সীমাবদ্ধ ছিলেন না গবেষকদের মতে তিনি অারো একাধিক নারীর সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন।

এমন কি তার সমন্ধে এমনও কিছু শোনা যায় যে তিনি পুরুষ মানুষের প্রতিও যৌন আকর্ষণ অনুভব করতেন।

তবে তার ব্যাক্তিগত জীবনী সংক্রান্ত প্রত্যক্ষ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রমাণের স্বল্পতার কারণে এই তথ্য প্রকৃতিগতভাবে আনুমানিক।যাইহোক, প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী  উইলিয়াম শেক্সপিয়র  ছিলেন উভকামি

SEXPIAR

শেক্সপিয়ারের শেষ জীবনী :

উইলিয়াম  শেক্সপিয়ার যে তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অর্থাৎ ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল  তিনি  মৃত্যুবরণ করেন।

ধন্যবাদ,সম্পুর্ণ নিবন্ধটি পড়ার জন্য।এই রকম আরো জীবনী জানতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন।

এসার নাইট্রো 5 রাইজন এইচডি গেমিং ল্যাপটপ

এসার নাইট্রো 5 রাইজন এইচডি গেমিং ল্যাপটপ -ল্যাপটপ ব্যবহারকারী বন্ধুদের জন্য দারুন খবর। এসার  কোম্পানি  নতুন ভার্সনের গেমিং ল্যাপটপ বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে। Razer,Mi,Macbook,Surface,Dell,HP,Lenovo,Acer,AVITA Laptop,Asus,Gigabyte,MSI,Chuwi,Huawei,Nexstgo,Walton,iLife সহ বিশ্বের সকল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের কনফিগারেশন, ফিচার এবং বর্তমান মূল্য এই পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।

যে সকল বন্ধুরা গেম খেলতে অনেক পছন্দ করেন সেই সকল বন্ধুদের জন্য  নিত্য নতুন গেমিং ল্যাপটপের বিভিন্ন ভার্সনের কনফিগারেশন সহ বাজার মূল্য  আমাদের এই পেজে আপলোড করা হয়েছে।

আপনারা চাইলে এখান থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের আপনাদের পছন্দের ল্যাপটপ গুলো সংগ্রহ করতে পারেন। আজকে যে ল্যাপটপ নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল, এসার নাইট্রো 5 রাইজেন 5 5600H 512 জিবি এস এস  ডি জিটিএক্স 1650 4 জিবি গ্রাফিক্স 15.6  এফ এইচ ডি 144Hz গেমিং ল্যাপটপ।

মৌলিক তথ্য 

প্রসেসর 

এসার নাইট্রো ফাইট রাইজেন 5 5600H 512 জিবি এস এস  ডি জিটিএক্স 1650 4 জিবি গ্রাফিক্স 15.6  এফ এইচ ডি 144Hz গেমিং ল্যাপটপের প্রসেসর হলো AMD RyzenTM 5-5600H Hexa-core processor(3.3GHz Up to 4.2GHz)

প্রদর্শন

 এসার নাইট্রো ফাইট রাইজেন 5 5600H 512 জিবি এস এস  ডি জিটিএক্স 1650 4 জিবি গ্রাফিক্স 15.6  এফ এইচ ডি 144Hz গেমিং ল্যাপটপের প্রদর্শন হল আইপিএস প্রযুক্তির সাথে 15.6 IP 144Hz  ডিসপ্লে, ফুল এইচডি 1920*1080, উচ্চ-উজ্জ্বলতা 300  নিটস।

acer laptop 1

  • স্মৃতি

8  জিবি 3200  মেগাহার্টজ ডিডিআর4 Ram

  • স্টোরেজ

512  জিবি   পিসিআই এনভিএম এসএসডি

  • গ্রাফিক্স

 এনভিআইডিএ জিফোরস জিটিএক্স 1650 4 জিবি জিডিডিআর 6 গ্রাফিক্স   

  • অপারেটিং সিস্টেম

উইন্ডোজ 10 হোম

ইনপুট ডিভাইস

  • কিবোর্ড

RGB Keyboard

  • ওয়েবক্যাম

720 HD Webcam

নেটওয়ার্ক এবং ওয়্যারলেস সংযোগ

  • ল্যান

কিলার ইথারনেট E2600

  • ওয়াইফাই

ইন্টেল ওয়্যারলেস ওয়াই-ফাই 6 এএক্স २०१০ ৮০২.১১ এ / বি / জি / এন / এসিআর ++ এক্স ওয়্যারলেস ল্যান

ডুয়াল ব্যান্ড (২.৪ গিগাহার্জ এবং ৫ গিগাহার্জ) 2 × 2 এমইউ-মিমো প্রযুক্তি সমর্থন করে।

  • ব্লুটুথ

ব্লুটুথ 5.0

বন্দর, সংযোজক এবং স্লট

  • ইউএসবি

1 x USB 3.2 Gen 2 port featuring power-off USB charging

2 x USB 3.2 Gen 1 ports

  • এইচডি এমআই

এইচডি এমআই 2.0 port with HDCP support

  • অডিও জ্যাক কম্বো

3.5mm Headphone/speaker jack,supporting headsets with a built-in microphone

  • অতিরিক্ত র‌্যাম স্লট

হ্যাঁ (2 x 16 গিগাবাইট ব্যবহার করে 32 গিগাবাইট র‌্যামে আপগ্রেডযোগ্য)

  • অতিরিক্ত এম 2 স্লট

N/A

Physical Specification

  • Dimensions (W x D x H)

363.4 (W) x 255 (D) x 23.9 (H) mm

  • Weight

2.3   কেজি

  • Color(s)

Obsidian Black

  • ওয়ারেন্টি

01 বছরের ওয়ারেন্টি

বর্ণনা

এসার নাইট্রো 5 রাইজন 5 গেমিং ল্যাপটপ এএমডি রাইজনটিএম 5-5600 এইচ হ্যাক্সা-কোর প্রসেসর (4.3GHz আপ 3.3GHz), 8 জিবি 3200 মেগাহার্টজ ডিডিআর 4 র‌্যাম (2 এক্স 16 জিবি ব্যবহার করে 32 জিবি র‌্যামে আপগ্রেডযোগ্য), 512 জিবি পিসিআই এনভিএম জিএসসি জিআরসি, জিডিএফআইএস 1650 4 জিবি জিডিডিআর 6 গ্রাফিকস এবং উইন্ডোজ 10 হোম অপারেটিং সিস্টেম।এসার নাইট্রো 5 রাইজন এইচডি গেমিং ল্যাপটপ

 এই গেমিং ল্যাপটপটিতে আইপিএস প্রযুক্তির সাথে 15.6 ″ 144Hz ডিসপ্লে, ফুল এইচডি 1920 x 1080, উচ্চ-উজ্জ্বলতা 300 নাইট, 57.5 হু 4-সেল লি-আয়ন ব্যাটারি, আরজিবি কীবোর্ড, 720 এইচডি ওয়েবক্যামের বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

এই গেমিং ল্যাপটপে রয়েছে পাওয়ার এক্স-অফ ইউএসবি চার্জযুক্ত বৈশিষ্ট্যযুক্ত 1 এক্স ইউএসবি 3.2 জেনার 2 পোর্ট, 2 এক্স ইউএসবি 3.2 জেনার 1 পোর্ট, এইচডিএমপি সমর্থন সহ এইচডিএমআই 2.0 বন্দর, 3। 5 মিমি হেডফোন / স্পিকার জ্যাক, একটি অন্তর্নির্মিত মাইক্রোফোন পোর্ট, সংযোজক এবং স্লট সহ হেডসেটগুলি সমর্থন করেacer laptop 2

সর্বশেষতম এসার নাইট্রো 5 রাইজন 5 5600 এইচ 512 জিবি এসএসডি জিটিএক্স 1650 4 জিবি গ্রাফিক্স 15.6 “এফএইচডি 144 এইচজেড গেমিং ল্যাপটপে রয়েছে 01 বছরের ওয়ারেন্টি।এসার নাইট্রো 5 রাইজন এইচডি গেমিং ল্যাপটপ

acer laptop 3

এখানে, কিলার ইথারনেট E2600 (ওয়াক অন ল্যান সাপোর্ট), ইন্টেল ওয়্যারলেস ওয়াই-ফাই 6 এক্সএক্স 802.11 এ / বি / জি / এন / এসিআর 2 + অক্ষ বেতার ল্যান (ডুয়াল ব্যান্ড (2.4 গিগাহার্টজ এবং 5 গিগাহার্টজ) 2 × 2 এমইউ-মিমো সমর্থন করে) প্রযুক্তি) এবং ব্লুটুথ 5.0 নেটওয়ার্ক এবং ওয়্যারলেস সংযোগও উপলব্ধ।

#Laptop Collection 2021

এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়, কিছু বিধিনিষেধ মেনে এলার্জি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এলার্জি একটি খুব সাধারণ সমস্যা।

শিশুদের এলার্জির প্রবণতা বেশি। তবে বয়সের সাথে সাথে উপসর্গ কমে যেতে পারে।

শৈশবে অনেকের এলার্জির সমস্যা না থাকলেও পরবর্তীতে নতুন এলার্জি দেখা দিতে পারে। কিছু বিধিনিষেধ মেনে এলার্জি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এলার্জির কারণ

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের ক্ষতিকর জিনিস থেকে রক্ষা করে। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু জিনিস ভুলে গিয়ে মনে করে যে এটা ক্ষতিকর, যা আসলে ক্ষতিকর নয়।

এই জিনিসগুলির বিরুদ্ধে আমাদের ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া হিসাবে এলার্জির লক্ষণগুলি দেখা দেয়। যেমন: ত্বকের লালভাব এবং চুলকানি।

এলার্জির সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলি হল:

  • নির্দিষ্ট কিছু খাবার
  • ধুলো
  • গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়া
  • ঘাম
  • গৃহপালিত পশু-পাখি
  • পরাগ রেনু এবং ফুলের রেনু
  • সূর্যরশ্মি
  • ডাস্ট মাইট
  • মোল্ড বা ছত্রাক
  • বিভিন্ন ওষুধ
  • কীটনাশক
  • ডিটারজেন্ট এবং বিভিন্ন রাসায়নিক
  • ল্যাটেক্স বা বিশেষ রাবার দিয়ে তৈরি গ্লাভস এবং কনডম
  • মানসিক চাপ

এলার্জি যুক্ত খাবারের তালিকা

এলার্জি সৃষ্টিকারী সর্বাধিক সাধারণ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • চিংড়ি
  • বেগুন
  • ইলিশ মাছ
  • গরুর মাংস
  • বাদাম

এছাড়া বাচ্চাদের ডিম ও দুধে এলার্জি হতে পারে

একেক ধরণের জিনিস বা খাবারে ব্যক্তির এলার্জি থাকতে পারে। তাই কোন ধরনের জিনিসের সংস্পর্শে বা খাবার খেলে এলার্জির উপসর্গ দেখা দেয় সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। এটি খুঁজে বের করতে পারলে এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

এলার্জির লক্ষণ

এলার্জিক উপাদানের সংস্পর্শে আসলে শরীর খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। এলার্জির লক্ষণগুলি হল:

  • ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা ফুসকুড়ি
  • শরীরের কিছু অংশ ফুলে যায় বা ফুলে যায়, ফোসকা পড়ে এবং চামড়া খোসা ছাড়ে
  • ঠোঁট, জিহ্বা, চোখ ও মুখ ফুলে যাওয়া
  • চোখ চুলকায়, চোখ জল আসে, লালভাব এবং ফোলাভাব
  • শুকনো কাশি, হাঁচি, নাক ও গলা চুলকানি এবং নাক বন্ধ
  • শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করা এবং শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসকষ্ট
  • বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা, পেট খারাপ এবং ডায়রিয়া

কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে

নিম্নলিখিত তিনটি ক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ:

১.ওষুধ খাওয়ার পরও যদি লক্ষণ না যায়

২.নতুন উপসর্গ দেখা দিলে বা ডাক্তারের নির্দেশিত ওষুধ খাওয়ার পর সমস্যা বেড়ে গেলে

৩.গুরুতর এলার্জিক প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে

গুরুতর এলার্জি প্রতিক্রিয়া

এলার্জিক পদার্থের তীব্র প্রতিক্রিয়া খুব কম ক্ষেত্রেই অ্যানাফিল্যাক্সিস নামক জরুরি অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

এই ধরনের রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সময়মতো ইনজেকশন দিলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।

অ্যানাফিল্যাক্সিস থাকলে কীভাবে বুঝবেন:

  • শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসকষ্ট
  • বুক-গলা শক্ত হয়ে যাচ্ছে বা আটকে যাচ্ছে
  • মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা বা গলা ফুলে যাওয়া
  • নীল ঠোঁট এবং ত্বক
  • চেতনা হারানো বা সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি
    অজ্ঞান
  • বিভ্রান্তি এবং উদ্বেগ
  • মাথা ঘোরা বা ভারসাম্য হারানো
  • বুক ধড়ফড় করা বা ঘামে শরীর ভিজে যাওয়া
  • লাল ফুসকুড়ি বা ত্বকের চুলকানির সাথে ত্বক ফুলে যাওয়া
  • শরীরের কিছু অংশে বা ত্বকে ফুসকুড়ি বা ফোসকা

খাদ্য ও ওষুধের প্রতি অ্যালার্জি, চিকিৎসা পরীক্ষায় ব্যবহৃত কনট্রাস্ট বা রঞ্জক, বা পোকামাকড়ের কামড়ের কারণে অ্যানাফিল্যাক্সিস হতে পারে।এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

এলার্জির চিকিৎসা

নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা এবং জীবনযাত্রার বিধিনিষেধ অনুসরণ করে এলার্জি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ঘরোয়া প্রতিকার এবং জীবনধারা

এলার্জি সৃষ্টি করে এমন খাবার এবং ওষুধ এড়িয়ে চলুন। আপনার হাঁপানি বা অন্য কোনো শ্বাসকষ্টের রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। মানসিক চাপ মোকাবেলায় শারীরিক ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।

ঔষধ

অ্যান্টিহিস্টামাইনগুলি প্রধানত এলার্জির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলি এলার্জির লক্ষণগুলির সূত্রপাতের সাথে নেওয়া যেতে পারে – এমনকি লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার আগেই। উদাহরণস্বরূপ, যদি কারও ধুলোতে এলার্জি থাকে এবং বিশেষ প্রয়োজনে তাদের ধুলো পরিষ্কার করতে হয়, তবে অ্যান্টিহিস্টামিন আগে নেওয়া যেতে পারে।

এই ওষুধগুলি বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। যেমন: ট্যাবলেট, সিরাপ এবং ড্রপ। মনে রাখবেন যে কিছু এলার্জির ওষুধ খাওয়ার পরে, তন্দ্রা এবং মাথা ঘোরার মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার জন্য সঠিক ওষুধটি বেছে নিন।

ঔষধ

ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নাক বন্ধ করার ড্রপ এবং স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। যাইহোক, এই ড্রপ এবং স্প্রে এক সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করবেন না। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের সাথে, এলার্জির লক্ষণগুলি ফিরে আসতে পারে।

ত্বকের এলার্জির জন্য বিভিন্ন ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম এবং মলম ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্যালামাইন লোশন এবং 1% মেন্থল ক্রিম চুলকানির জন্য খুব ভাল কাজ করে। উপরন্তু, একটি তোয়ালে বরফ মুড়ে এবং চুলকানি জায়গায় ঠান্ডা স্নান প্রয়োগ আরাম দিতে পারে.

স্টেরয়েড গুরুতর এলার্জির জন্য ভাল কাজ করে। স্টেরয়েড একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ওষুধ, যার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই ইন্টারনেট দেখে বা ফার্মেসি থেকে এসব ওষুধ কেনা উচিত নয়। এই ধরনের ওষুধ শুধুমাত্র একজন ডাক্তারের পরামর্শে গ্রহণ করা উচিত।এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

ইমিউনোথেরাপি

ইমিউনোথেরাপি গুরুতর এলার্জির জন্য একটি কার্যকর চিকিৎসা। এই চিকিৎসা রোগীকে দীর্ঘ সময়ের জন্য নির্দিষ্ট এলার্জির উপস্থিতিতে অভ্যস্ত করে তোলে। ফলস্বরূপ, পরবর্তী সংক্রমিত ব্যক্তির শরীর আগের মতো এলার্জির প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় না। ফলস্বরূপ, লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ।

উপরে উল্লিখিত গুরুতর এলার্জির প্রতিক্রিয়া বা অ্যানাফিল্যাক্সিসের ক্ষেত্রে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। অ্যানাফিল্যাক্সিসের লক্ষণ দেখা দিলে, রোগীর উরুর বাইরে অবিলম্বে একটি ইনজেকশন দেওয়া উচিত। এই ইনজেকশনে অ্যাড্রেনালিন নামক একটি জীবন রক্ষাকারী হরমোন থাকে। এটি মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

এলার্জি কমানোর উপায়

 যেসব জিনিসে এলার্জি আছে তা বর্জন করা এলার্জি কমানোর সর্বোত্তম উপায়

এলার্জি প্রতিরোধ করতে নিম্নলিখিত টিপসগুলো মেনে চলুন:

  • এলার্জি সৃষ্টি করে এমন খাবার খাবেন না।
  • বাড়ির বাইরে গৃহপালিত পশু-পাখি পালনের জন্য একটি ঘর তৈরি করুন এবং তাদের নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
  • ডাস্ট মাইট থেকে এলার্জি রোধ করতে, ডাস্ট মাইটকে ধুলোমুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে হবে। বিছানার চাদর, কাঁথা, বালিশ ও কুইল্টের কভার, জানালার পর্দা- সপ্তাহে অন্তত একবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। যে জিনিসগুলি নিয়মিত ধোয়া যায় না তা বাড়িতে ব্যবহার করার সম্ভাবনা কম। যেমন: কার্পেট।

এছাড়াও, বিছানা পরিপাটি এবং মোছার সময় একটি ভাল মাস্ক পড়ুন। একটি ভেজা কাপড় দিয়ে মুছা যায় এমন জিনিস মুছুন। এতে ধুলাবালি ছড়াবে না।

ডাস্ট মাইট এক ধরনের ছোট পোকা। এগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে দেখা হলে, এটি একটি সাদা আট পায়ের পোকার মতো দেখায়। বিছানা, কার্পেট বা সোফায় প্রতিদিন আমাদের ত্বক থেকে যে মৃত কোষ পড়ে, সেগুলো খেয়ে বেঁচে থাকে।

  • ছত্রাক বা ছাঁচ থেকে রক্ষা করার জন্য বাড়ির পরিবেশ শুষ্ক রাখুন। পাশাপাশি ভাল বায়ুচলাচল আছে. ঘরের ভিতরে কাপড় শুকানো এড়িয়ে চলুন এবং গাছ থাকলে সরিয়ে ফেলুন।
  • তাপ বা ঘাম থেকে এলার্জি হতে পারে। তাই পরিশ্রম করার পর যদি শরীর গরম বা ঘামে, তাহলে বাতাস চলাচলের জায়গায় থাকুন এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
  • ঠান্ডা লাগার কারণেও এলার্জি হতে পারে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টিতে ভিজানো এবং পুকুরে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। গোসলের সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • কারো কিছু নির্দিষ্ট ধাতুতে অ্যালার্জি হতে পারে। এই ধাতু দিয়ে তৈরি আংটি, গয়না এবং ঘড়ি পরলে এলার্জি হতে পারে।
  • আপনার যদি নির্দিষ্ট কিছু ধাতুতে এলার্জি থাকে তবে আপনার দৈনন্দিন জীবনে সেই ধাতুর তৈরি জিনিসগুলি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
  • ফুলের পরাগ থেকে এলার্জি প্রতিরোধ করতে পরিবর্তিত ঋতুতে যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকুন। আপনি যখন বাইরে যান, আপনার কাপড় পরিবর্তন করুন এবং বাড়িতে গোসল করুন, যাতে পরাগ ধুয়ে যায়। সম্ভব হলে ঘরের ভিতরে কাপড় শুকাতে দিন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন ছত্রাক না বাড়ে। এছাড়াও, অনেক ঘাস আছে এমন জায়গায় হাঁটা থেকে বিরত থাকুন।এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • বিভিন্ন প্রসাধনীতে রাসায়নিক পদার্থে এলার্জি থাকতে পারে। যেমন: সাবান, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ এবং পারফিউমের রাসায়নিক। আপনার এলার্জি আছে এমন পণ্য ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

বিশেষ তথ্য: এলার্জি প্রতিরোধে বুকের দুধ

ছোট শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর অনেক সুবিধা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের একচেটিয়া বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে জন্মের পর অন্তত প্রথম চার মাস কোনো কঠিন খাবার ছাড়াই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো এলার্জি প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে।

পরীক্ষা এবং রোগ নির্ণয়

এলার্জির কারণ খুঁজে বের করার জন্য, ডাক্তার সংক্রামিত ব্যক্তিকে বিভিন্ন প্রশ্ন এবং শারীরিক পরীক্ষা করে। এছাড়া অন্য কোনো রোগের কারণে এলার্জির মতো কোনো উপসর্গ আছে কি না তাও পরীক্ষা করেন তিনি।

এলার্জি সনাক্ত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলি হল:

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা

এলার্জি নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা তা দেখার জন্য সাধারণত এলার্জি যুক্ত খাবারগুলিকে ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে, আপনি যখন আবার খাবার খেতে শুরু করেন, আপনি এলার্জি ফিরে আসে কিনা তা দেখার চেষ্টা করুন।

সাধারণত রোগীর যে ধরনের খাবারে এলার্জি আছে তার একটি ডায়েরি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে রোগীর কোন খাবারে এলার্জি আছে তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়।

ত্বক পরীক্ষা

এলার্জি যুক্ত পদার্থকে অ্যালার্জেন বলে। ত্বক পরীক্ষা করার জন্য বাহুতে অল্প পরিমাণে অ্যালার্জেন ধারণকারী তরল দেওয়া হয়। তারপর সেই জায়গায় সুই দিয়ে একটা ছোট ছিদ্র করা হয়। যদি এলার্জি থাকে, তবে জায়গাটি চুলকাতে শুরু করে এবং 15 মিনিটের মধ্যে লাল হয়ে যায়।এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

উল্লেখ্য, পরীক্ষার আগে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করলে সঠিক ফল পাবেন না।

রক্ত পরীক্ষা

নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়েছে কিনা তা দেখতে এই পরীক্ষাটি রক্তের নমুনাগুলি দেখে।

প্যাচ পরীক্ষা

এই পরীক্ষাটি শরীরে ‘কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস’ নামে এক ধরনের একজিমা বা এলার্জি জনিত চর্মরোগের উপস্থিতি খোঁজে।

চ্যালেঞ্জ পরীক্ষা

এই পরীক্ষা কয়েকটি ক্ষেত্রে সঞ্চালিত হয়। পরীক্ষাটি এমন জায়গায় করা উচিত যেখানে গুরুতর এলার্জি প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে জরুরি চিকিত্সা সম্ভব। এই পরীক্ষায় কোনো নির্দিষ্ট খাবারে এলার্জি থাকলে রোগীকে সেই খাবার খাওয়ালে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে এলার্জির প্রতিক্রিয়া বাড়ছে কিনা তাও দেখা হয়।

জানা ভাল

অনেক সময় সংবেদনশীলতার সমস্যা এবং অসহনীয়তাপ্রাথমিকভাবে এলার্জির সমস্যা বলে মনে হতে পারে। এলার্জি , সংবেদনশীলতা এবং অসহনীয়তার মধ্যে পার্থক্য জানা থাকলে চিকিত্সার ত্রুটিগুলি এড়ানো সহজ হবে।এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

এলার্জি :

এলার্জি সাধারণত ক্ষতিকারক পদার্থ শরীরে প্রবেশ করার পরে প্রতিরোধ ব্যবস্থায় প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটে। যেমন: নাকে ধুলো ঢুকলে হাঁচি ও কাশি

সংবেদনশীলতা:

যখন একটি উপাদান স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শরীরের উপর প্রভাব ফেলে তখন তাকে সেই উপাদানের প্রতি সংবেদনশীলতা বলে। উদাহরণস্বরূপ: এক কাপ কফিতে থাকা ক্যাফেইন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করলে হৃদস্পন্দন এবং শরীর কাঁপতে পারে। এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

অসহনীয়তা:

কোনো পদার্থের প্রভাবে শরীরে অস্বস্তিকর উপসর্গ দেখা দেওয়াকে অসহনীয়তাবলে।

যেমন: দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর ডায়রিয়া। উল্লেখ্য, এই ধরনের প্রতিক্রিয়ার সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কোনো সম্পর্ক নেই।

আরো পড়তে ক্লিক করুন…

এই নিবন্ধটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে বলে আমাদের দীর্ঘ প্রয়াস। সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আপডেট টপিক্স পেতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন।