বিকাশ (bKash) একাউন্ট খোলার নিয়ম | বিকাশ লাইভ চ্যাট করার সহজ উপায় ২০২২

বিকাশ (bkash) একাউন্ট খোলার নিয়ম | বিকাশ লাইভ চ্যাট করার সহজ উপায়

আমাদের অনেক সময় বিকাশ লাইভ চ্যাট করার প্রয়োজন হয়। আমরা নানারকম সমস্যায় পড়ে বিকাশ হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার জন্য নানারকম চেষ্টা চালিয়ে যাই। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন বিকাশ লাইভ চ্যাট করার একটি নতুন আপডেট এনেছে যার মাধ্যমে আপনারা বিকাশের কাস্টমার কেয়ারের সাথে লাইভ চ্যাট করতে পারবেন।

কিন্তু আপনারা হয়তো অনেকেই বিকাশ লাইভ চ্যাট করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

আপনারা যদি বিকাশ লাইভ চ্যাট এ আপনাদের সমস্যা তুলে ধরেন তাহলে আপনাকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থেকে সরাসরি সাহায্য প্রদান করা হবে। এখানে আপনাকে কোনরকম চার্জ ছাড়াই এরকম সাহায্য দেওয়া হবে। কাস্টমার কেয়ার দের সাথে আপনারা যদি ফোনে কথা বলেন তাহলে কিন্তু আপনাকে চার্জ দেওয়া লাগে।

এ ব্যাপারটি বিকাশ একটি ভালো সুবিধা দিয়েছে তাদের গ্রাহকদের জন্য যেখানে কোনরকম চার্জ ছাড়াই আপনারা বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে পারবেন।

বিকাশ কি?

বিকাশ হলো মোবাইল ব্যাংকিং এর একটি জনপ্রিয় শাখা। যেখানে আপনারা এক নিমিষেই টাকা আদান প্রদান করতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে। ২০১১ সালে বিকাশ তাদের সেবা নিয়ে বাংলাদেশ তাদের প্রতিষ্ঠান তৈরি করে। ব্রাক ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হল বিকাশ।  যার মাধ্যমে আপনারা টাকা আদান প্রদান করতে পারবে একে অপরের কাছে।

২০১১ সাল থেকে বিকাশ তাদের গ্রাহকদের নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। তার বিনিময়ে বর্তমান সময়ে সবথেকে জনপ্রিয় টাকা লেনদেন অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে হল বিকাশ। আপনার আশেপাশে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বা বিকাশের জনপ্রিয়তা।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশে আপনারা যদি লেনদেন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে হবে। তো বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সহজ আপনারা যে কেউ চাইলে ঘরে বসে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। বিকাশ একাউন্ট খুলতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের দরকার আছে সেগুলো হলঃ

  • একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল।
  • ডাটা কানেকশন।
  • ভোটার আইডি কার্ড।
  • গ্রাহকের  উপস্থিতি।

উপরের চারটি উপাদান যদি আপনার কাছে থেকে থাকে তাহলে আপনারা বাড়িতে বসেই একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই। বিকাশ একাউন্ট খুলতে আপনাকে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ডাটা কানেকশন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং আপনাকে নিজেরএকটি সেলফি নিতে হবে।

বিকাশ একাউন্ট খোলার কয়েকটি ধাপ সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিলাম যাতে আপনারা সহজে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারেন।

ধাপঃ- ১ সবার প্রথমে আপনারা সরাসরি প্লে স্টোরে চলে যাবেন এবং বিকাশ লিখে সার্চ করার পর বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনটি সংগ্রহ করে নিবেন।

ধাপঃ- ২ এরপর আপনারা বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করবেন এবং ওপেন করবেন।

ধাপঃ- ৩ এবার বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করলে আপনার লগইন এবং রেজিস্ট্রেশন নামে একটি বাটন দেখতে পারবেন সেই বাটনটিতে ক্লিক করে দিন।

ধাপঃ-৪  এবার আপনার মোবাইল নাম্বারটি এখানে দিয়ে দিন 

ধাপঃ-৫ তারপর আপনার মোবাইল নাম্বারটি কোন সিম কোম্পানির সেটি নির্বাচন করুন

ধাপঃ-৬ এবার আপনার মোবাইল ফোনে একটি  ৬ সংখ্যার ওটিপি যাবে। অবশ্যই এখানে একটি দিক খেয়াল রাখবেন, যে সিম দিয়ে আপনারা বিকাশ একাউন্ট খুলবেন সেটি অবশ্যই আপনার মোবাইলে রাখবেন কেননা এখানে ওটিপিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেওয়া হবে।

ধাপঃ-৭ এবার আপনার ভোটার আইডি কার্ডের দুপাশের ছবি তুলুন এবং এপ্লিকেশনে সাবমিট করুন।

ধাপঃ-৮  সাবমিট করার পর আপনার সকল তথ্যাবলী এখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শো করাবে। যেমনঃ আপনার নাম, ঠিকানা  ইত্যাদি।

ধাপঃ-৯  এবার আপনাকে একটি সেলফি তুলে কনফার্ম করতে হবে যে আপনি অর্থাৎ আপনি ভোটার আইডি কার্ডের মালিক।  তো আপনি একটি সেলফি তুলুন এবং আপনি সেলফি তোলার সময় আপনার চোখের পলক ফেলুন।

ধাপঃ-১০ এবার আপনার  তোলা ছবিটি সাবমিট করে দিন। 

তাহলেই আপনারা আপনাদের বিকাশ একাউন্ট  তৈরি করা হয়ে যাবে। যখন আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা হয়ে যাবে তখন আপনি টাকা লেনদেন করতে সক্ষম হবেন। যেকোনো মোবাইল নাম্বারে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।  বর্তমানে বিকাশ একাউন্ট খুললে আপনারা ২৫ থেকে ৫০ টাকা বোনাস পেয়ে যাবেন।

 বিকাশ অ্যাপ খোলার নিয়ম

বিকাশ অ্যাপ খোলার নিয়ম খুবই সহজ আপনারা যে কেউ চাইলে বিকাশ অ্যাপ খুলতে পারবেন।

ধাপঃ- ১ তো বিকাশ অ্যাপ খুলতে সর্বপ্রথম আপনাকে প্লে স্টোরে চলে যেতে হবে এবং সার্চ বারে লিখতে হবে “bkash app”

ধাপঃ- ২  এবার আপনারা দেখতে পাবেন প্রথমে একটি অ্যাপ্লিকেশন শো করতেছে বিকাশ এর এটিতে ক্লিক করে দিন।

ধাপঃ- ৩ তারপর আপনারা এই অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে নিবেন আপনার মোবাইল ফোনে ইন্সটল করা হয়ে গেলে ওপেন বাটনে ক্লিক করে দিবেন। 

 তাহলে আপনার বিকাশ অ্যাপ খোলা হয়ে যাবে।

বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম

আমরা যদি বিকাশে লেনদেন করে থাকি তখন আমাদের বিকাশ একাউন্ট দেখার প্রয়োজন পড়ে ।তো আপনাকে বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম খুবই সহজ আপনারা যে কোন মোবাইল ফোন থেকে বিকাশ একাউন্ট দেখতে পারবেন।

২ টি উপায়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট দেখা যায়।

  1.  বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে।
  2.  USSD কোডের মাধ্যমে।

 বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম 

ধাপঃ- ১  বিকাশ  অ্যাপ্লিকেশনের লগইন করবেন আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে।

ধাপঃ-২  এরপর আপনারা বিকাশে নানা রকম সেবা এখানে দেখতে পারবেন। যেমনঃ সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, অ‍্যাড মানি, নানা রকম পে বিল।

 ধাপঃ-  ৩ এখান থেকে আপনারা  “ব্যালেন্স দেখুন” বাটনটিতে ক্লিক করে আপনার ব্যালেন্স দেখতে পারবেন।

ধাপঃ- ৪ এবার যদি আপনি আপনার লেনদেন হিস্ট্রি দেখতে চান। তাহলে ইনবক্স >> লেনদেনে গেলেই দেখতে পারবেন আপনার করা সাম্প্রতিক লেনদেন গুলা!

USSD কোডের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম 

এন্ড্রয়েড মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে খুব সহজে আপনারা বিকাশ একাউন্ট দেখতে পারবেন। তবে বাটন ফোনে আপনাকে ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট এবং বিকাশ একাউন্ট সংক্রান্ত সকল কার্যাবলী সম্পাদন করতে হবে।

USSD কোড এর মাধ্যমে আপনারা বিকাশের অনেকগুলো সেবা ভোগ করতে পারবেন।যেমনঃ

  • মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। 
  •  সেন্ড মানি করতে পারবেন। 
  •  ক্যাশ আউট করতে পারবেন।
  • নানারকম বিলের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।

উপরের সেবাগুলো ছাড়া আরও অন্যান্য সেবাগুলো আপনারা USSD কোডের মাধ্যমে পেতে পারেন। তো  সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার মোবাইলের ডায়াল স্ক্রিনে যেতে হবে এবং ডায়াল করতে হবে *২৪৭# ।

এরপর সরাসরি আপনাকে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করানো হবে এরপর আপনি এখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন। আপনার ইচ্ছা মত যে কোন সেবা এখান থেকে উপভোগ করতে পারবেন।

বিকাশ লাইভ চ্যাট

প্রতিনিয়ত বিকাশ ব্যবহারে আমাদের নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং আমরা নানারকম সমস্যার মুখোমুখি হই। তো এরকম সমস্যার সমাধান দিতে বিকাশ লাইফ চ্যাট ওপেন করেছে। যার মাধ্যমে আপনারা বিকাশ কাস্টমার কেয়ার দের সাথে লাইভে আপনাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারবেন।

অন্যান্য যে মোবাইল ব্যাংকিং গুলো রয়েছে সেখানে এরকম সেবা না থাকলেও ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ব্রাক ব্যাংক কর্তৃক বিকাশ এ সেবাটি তাদের গ্রাহকদের জন্য রেখেছে।

আপনি যদি বিকাশের একজন কাস্টমার হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা যে কোন সময় ( ২৪ ঘন্টা)  বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে লাইট চ্যাট করতে পারবেন। 

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর সাথে ২ টি উপায়ে কথা বলতে পারবেন।

১. কলের মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর সাথে কথা বলতে পারবেন। 

২. বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে পারবেন। 

 কলের মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর সাথে কথা বলতে পারবেন

আপনাদের যদি বিকাশ সম্পর্কিত কোনরকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনারা ফলের মাধ্যমে তাদের কাস্টমার কেয়ারের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলা খুবই সহজ বিষয় আপনারা যে কেউ চাইলে আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা নাম্বারটি থেকে তাদের হেল্পলাইনে ফোন দিলে আপনাকে সরাসরি তাদের কাস্টমার কেয়ারে কথা বলাতে সাহায্য করা হবে। তো এতে তেমন কিছু সিস্টেম নেই খুবই সহজ।

বিকাশ হেল্প লাইন নাম্বার হলো ১৬২৪৭

  • বিকাশ হেল্প  লাইন নাম্বার  এ  ফোন দিন  এরপর আপনারা এখান থেকে  কাস্টমার কেয়ার  এর সাথে কথা বলার জন্য 0 প্রেস করুন! 
  • তারপর আপনার কলটি তাদের কাস্টমার কেয়ারের কাছে ট্রান্সফার করা হবে এজন্য আপনাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
  • কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার কলটি একটি কাস্টমার কেয়ারের সাথে কানেক্ট করে দেওয়া হবে এবং আপনি আপনার যে কোন সমস্যার কথা (বিকাশ রিলেটেড)  তাদেরকে বলতে পারবেন এবং তারা আপনাকে তাৎক্ষণিক সাহায্য করার চেষ্টা করবে।

 এভাবেই মূলত বিকাশ কাস্টমার কেয়ার দের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা যায়। মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় অবশ্যই আপনাকে প্রতি মিনিটের জন্য চার্জ দিতে হবে।

বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে পারবেন। 

বিকাশ লাইভ চ্যাট করার পদ্ধতি ও খুবই সহজ আপনারা যে কেউ চাইলে বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে পারবেন কোনরকম খরচ ছাড়াই অর্থাৎ আপনারা শুধু ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে লাইভ চ্যাট করতে পারবেন।  তো এজন্য কিছু ধাপ আপনাকে অনুসরণ করতে হবে তাদের সাথে কথা বলার জন্য নিজে কয়েকটি দাপ উল্লেখ করা হলো।

ধাপঃ-১ প্রথমে আপনার বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করুন তারপর আপনার পিম নাম্বার দিয়ে লগইন করুন। 

ধাপঃ- ২ বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করলে আপনাকে আপনার একাউন্টে নিয়ে আসবে। তারপর আপনার স্ক্রিনশটের মার্ক করা অপশনটিতে ক্লিক করে দিন। ( নিচের স্ক্রিনশট টি ফলো করুন।)

ধাপঃ- ৩ এবার এখানে আপনারা অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। একদম নিচের দিকে সাপোর্ট নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন তো এই অপশনটিতে ক্লিক করে দিন। 

ধাপঃ- ৪ এবার এখানে আপনারা দুইটি অপশন দেখতে পারবেন।

  • লাইভ চ্যাট 
  • ইমেইল

এখান থেকে যেহেতু আপনারা লাইভ চ্যাট করবেন সেহেতু লাইভ বাটনটিতে ক্লিক করে দিন। আর আপনারা যদি ইমেইলের মাধ্যমে তাদের কাস্টমার কেয়ারের সাথে যুক্ত হতে চান তাহলে নিচের অপশনটিতে ক্লিক করে দিতে পারেন।

ধাপঃ- ৫ এবার আপনাদের মাঝে নিচের মত একটি ইন্টারফেস শো করবে এবং এখানে আপনারা একটি অপশন দেখতে পারবেন  “ক্লিক করে লাইভ চ্যাট করুন”  এই অপশনটিতে ক্লিক করে দিন।

ধাপঃ-৬  তাহলেই আপনারা লাইভ চ্যাট করার জন্য একটি ইন্টারকেস পেয়ে যাবেন যেখানে মেসেঞ্জার এর মত আপনার সমস্যা লিখে সেন্ড করলে তারা আপনার সমস্যার সমাধান দিবে মেসেজের মাধ্যমে।

তো এভাবেই মূলত বিকাশ লাইভ চ্যাট করা যায়।  আপনারা যদি কোন রকম সমস্যায় পড়েন তাহলে আমি আপনাদেরকে রিকমেন্ট করব বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে। কেননা এখানে আপনারা খুব দ্রুত বিকাশ থেকে সহায়তা পাবেন। 

বিকাশ অভিযোগ করার নিয়ম

বিকাশ অভিযোগ করতে আপনারা কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। আপনার যদি কোন সেবায় ভালোমতো রেসপন্স না পান। তাহলে আপনারা বিকাশে অভিযোগ করতে পারেন। তো বিকাশ তাদের গ্রাহকদের এই সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছে।  কয়েকটি উপায় এর মাধ্যমে আপনারা বিকাশে অভিযোগ করতে পারেন।

  • সরাসরি বলার মাধ্যমে আপনার অভিযোগ করতে পারবেন বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর কাছে!
  • লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে আপনার অভিযোগ করতে পারবেন!
  • ইমেইলের মাধ্যমে আপনারা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে আপনার অভিযোগ করতে পারবেন!

বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট

বর্তমান সময়ে আপনারা হয়তো অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সম্পর্কে কিছু শুনে থাকবেন। জ্বি আপনারা ঠিকই শুনেছেন অনলাইনের মাধ্যমে এখন আপনারা চাইলে ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। আপনার ট্রেনের টিকিট এর দাম সেটি চাইলে বিকাশের মাধ্যমে দিতে পারবেন। বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটা খুবই সহজ বিষয়।

আপনারা রেইল কৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই দেখতে পারবেন ট্রেনের টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে টিকিট কাটার পর বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। এতে করে আপনারা পার্সোনাল নাম্বার ব্যবহার করতে পারেন পেমেন্ট করার জন্য। 

বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন

অনেক সময় আমাদের বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে অর্থাৎ আমরা আমাদের বিকাশের মালিকানা এক সিম থেকে অন্য সিমে নিতে চাই। এরকম অবস্থায় আপনার যে কাজটি করবেন সেটি হল আপনারা কিছু দরকারই কাগজপত্র দিয়ে কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হবেন।

আপনার কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হয়ে গেলেই আপনাকে আপনার বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। আপনার আগের অ্যাকাউন্টটি সম্পূর্ণরূপের নতুন সিমে চলে আসবে।

প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র

১. আপনার ভোটার আইডি কার্ড।

২. আপনার পুরাতন সিম যেখানে আপনার বিকাশ একাউন্ট রয়েছে।

৩. একটি নতুন সিম যেখানে আপনি আপনার বিকাশ নাম্বারটি পরিবর্তন করে নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন।

বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম 

বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম খুবই সহজ আপনারা যে কোন মোবাইল ফোন দিয়ে বিকাশ একাউন্টে টাকা চেক করতে পারবেন। বিকাশে টাকা দেখার জন্য আপনারা যদি এপ্লিকেশন ব্যবহার করেন তাহলে প্রথমে আপনার পিন দিয়ে আপনার বিকাশে প্রবেশ করতে হবে।

তারপর উপরে একটি বাটন দেখতে পারবেন যেখানে লেখা আছে  “ব্যালেন্স দেখুন “এই বাটনটিতে ক্লিক করলেই কিছুক্ষণের মধ্যে আপনারা আপনার বিকাশ একাউন্টে থাকা টাকার পরিমান দেখতে পারবেন।

আর আপনি যদি USSD কোডের মাধ্যমে ব্যালেন্স দেখতে চান তাহলে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

*২৪৭# ডায়াল করুন। 

তারপর সেখান থেকে  মাই বিকাশে চলে আসুন।

এরপর আপনারা এখানে ব্যালেন্স চেক নামে একটা অপশন দেখতে পারবেন এখানে ক্লিক করুন। 

এরপর আপনার পিন দিয়ে প্রবেশ করলেই আপনার ব্যালেন্স শো করাবে। 

বিকাশ থেকে লোন

বিকাশ তাদেরকে গ্রাহকদের জন্য লোনের সুবিধা করে দিয়েছে। বিকাশ থেকে লোন আপনারা খুব সহজেই নিতে পারবেন। বিকাশ তাদেরকে গ্রাহকদের জন্য 5 থেকে 10 হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক কিস্তিতে লোন দিয়ে থাকে। আপনি যদি স্বল্প আয়ের মানুষ হয়ে থাকেন বা স্বল্প ব্যবসায়ী তাহলে আপনারা ইচ্ছা করলেই বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনাকে কিস্তির মাধ্যমে বিকাশের লোন শোধ করতে হবে।

বিকাশ অফিস নাম্বার

কাস্টমার কেয়ার সেন্টার

ঠিকানা

ক্রমিক নং. ১

 বিকাশ কাস্টমার কেয়ার আশুলিয়া 

  মাস্টার টেলিকম (১ নং মিজান প্লাজা) ডেন্ডাবর, আশুলিয়া, ঢাকা

ক্রমিক নং. ২

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার উত্তরা

বিসমিল্লাহ টেলিকম, ২৫৭, প্রথম কলোনী, লালকুঠি, মিরপুর -১, ঢাকা

  ক্রমিক নং. ২

বিকাশ সার্ভিস সেন্টার ঢাকা 

 মোনাডিক বাংলাদেশ, বাসাঃ১, রোডঃ১, সেকশনঃ৬, ব্লকঃ বি, মিরপুর, ঢাকা

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট ২০২২

বর্তমানে অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যা যেখান থেকে আপনারা চাইলে খুব সহজে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। সর্বপ্রথম আপনাকে এরকম ওয়েবসাইট খুঁজতে হবে। যারা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করে। তারপর সেখানে আপনাকে কাজ করতে হবে তারপর সেই অর্থ আপনারা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

বার বার জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর! 

প্রতিনিয়ত বিকাশ সম্পর্কিত নানা রকম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয় আমাদের তো এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আমরা নিজে আলোচনা করলাম।

একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?

একটি ভোটার কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র আপনারা একটি বিকাশ একাউন্টটি খুলতে পারবেন!

বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ কত?

বিকাশে ক্যাশ আউট চার্জ বর্তমানে হাজারে ১৪. ৯০ টাকা।

বিকাশে সেন্ড মানি খরচ ?

বিকাশের সেন্ড মানি খরচ হলো মাত্র ৫ টাকা!

 বিকাশের সেন্ড মামি খরচ বিনামূল্যে করা যায়? 

বিকাশে আপনারা চাইলে প্রিয় নাম্বার এড করে সেন্ড মানি ফ্রি করতে পারবেন 25000 টাকার জন্য!

বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার কত?

বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার হলো ১৬২৪৭ । 

শেষ কথা

বিকাশ লাইভ চ্যাট নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এছাড়াও আমরা আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের আলোচনা থেকে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

তো দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন আর্টিকে নিয়ে সে পর্যন্ত ভালো যখন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে যে একবার আপনি এটি জানলে আপনি আবেগ এবং ভালবাসার আসল অর্থ বুঝতে পারবেন। আমরা মানুষের মনে আবেগ, ভালবাসা, স্নেহ আছে।

আর মানুষের মনে এই ভালোবাসার কারণেই আমাদের মন একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

তবে এই ক্ষেত্রে, আমাদের আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ আবেগ আর ভালোবাসার পার্থক্য না বুঝলে জীবনে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

কারণ বেশিরভাগ মানুষ  বুঝতে পারে না এবং প্রায়শই জীবনে ভুল সঙ্গী বেছে নেয়।

আপনি সম্ভবত জানেন যে ভুল পছন্দ করার ফলে মানুষকে তাদের সারাজীবনে কতটা যন্ত্রণা ও কষ্ট সহ্য করতে হয়।

তাই আমাদের আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে কিছু পার্থক্য জানতে হবে। যাতে আমরা জীবনে কখনো ভুল সিদ্ধান্ত না নেই।

আবেগই আপনাকে আপনার প্রিয়জনদের থেকে দূরে রাখে এবং আপনি দূরে থাকলেও আপনাকে আঘাত করে।

কিন্তু ভালোবাসা আপনাকে ভালোবাসায় বিশুদ্ধ রাখে আপনার প্রিয়জনের থেকে দূরে। এবং তাকে আপনার মনের মধ্যে চান এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে বিয়ে করুন এবং আপনার বাকি জীবন একসাথে থাকুন।

কিন্তু বর্তমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপরীতটি সত্য। আমি বলতে চাচ্ছি, আপনি কিছু ধারণা পেয়েছেন, তাই আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই না।

ফোনে কথা বলা এবং ঘন্টার পর ঘন্টা টেক্সট করা সত্য বলার জন্য আবেগ ছাড়া কিছুই নয়।

কিন্তু অন্যদিকে প্রিয়জনকে ভালো রাখতে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলাই ভালোবাসা।

কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলার পর বা সোশ্যাল মিডিয়ায় টেক্সট করার পর আপনি কখনোই আপনার প্রিয়জনকে ভালো রাখতে পারবেন না এবং ভবিষ্যতেও ভালো থাকতে পারবেন না।

আজকাল গার্লফ্রেন্ড এবং বয়ফ্রেন্ড একে অপরকে বলে আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না, সত্যি বলতে এটাও একটা আবেগ।

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য কি

কিন্তু অন্যদিকে প্রিয় মানুষটির জন্য লড়াই করাই ভালোবাসা। কারণ আপনি যদি আপনার প্রিয়জনকে ভালোবাসেন তবে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আপনাকে ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা কতটা কঠিন হবে।

আবেগ হল নিজের সঙ্গীকে বারবার সন্দেহ করা এবং নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করা।

অন্যদিকে প্রেম হল একে অপরের প্রতি আস্থা রাখা এবং আনুগত্য বজায় রাখা।

কিন্তু এক্ষেত্রে যদি এমন হয় যে একজন সন্দেহ করে এবং অন্যজন বিশ্বাস করে, তাহলে বুঝতে হবে এটা একতরফা প্রেম।

যদিও একতরফা প্রেমের অনেক লক্ষণ ও কারণ রয়েছে। একতরফা বিশ্বাস তার মধ্যে অন্যতম।

আপনি যখন কোন সমস্যা বা খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তখন ভুল সিদ্ধান্ত নিন। এর মধ্যে একটি হল তালাক বা তালাক।

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

অন্যদিকে প্রেম হল যেকোন সমস্যা নিয়ে সাবধানে চিন্তা করা এবং পরিবার ও প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এই ক্ষেত্রে, পরিস্থিতি এবং বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে অন্য কিছু না হলে প্রাপ্তবয়স্কদের পরামর্শ করা উচিত।

আবেগ এমন একজনের প্রেমে পড়ে যা আপনাকে সামনে থেকে দেখে।

আজকাল 99.9% মানুষ এটিই করে, তারা একজন মানুষকে ভেতর থেকে না জেনে এবং তার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে না জেনেই প্রেমে পড়ে।

কিন্তু অন্যদিকে ভালোবাসা হলো নিজের জন্য সঠিক সঙ্গী নির্বাচন করা এবং সঠিক ভালোবাসা না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক সঙ্গীর জন্য অপেক্ষা করা।

কিন্তু আজকাল খুব কম মানুষই ধৈর্য ধরে সঠিক মানুষের জন্য অপেক্ষা করতে পারে।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকাল প্রায় সবাই আবেগ আর ভালোবাসার পার্থক্য বোঝে না, তাই ভুল সঙ্গী বেছে নেওয়াটা জীবনের সব দুঃখ বয়ে বেড়াচ্ছে।

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

এই কারণেই আপনাকে প্রথমে আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে শিখতে হবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা জটিল, কঠিন, সময়সাপেক্ষ, কিন্তু অসম্ভব নয়।

আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি যত্ন নিন। এটি আপনাকে আরও সহজে আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়।

আপনার সম্পর্ক যদি প্রেমহীন হয়, তাহলে আপনার সম্পর্কটা ভালো হওয়া উচিত।

ভালো থাকুন এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের টিপস পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

<<<ধন্যবাদ>>>

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি-কোরআনে বলা হয়েছে- প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে ।অর্থাৎ কোন প্রাণী মৃত্যু থেকে আলাদা নয়। প্রত্যেকের জীবনেই মৃত্যু অনিবার্য।কোরআনে বলা হয়েছে- প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে ।অর্থাৎ কোন প্রাণী মৃত্যু থেকে আলাদা নয়। প্রত্যেকের জীবনেই মৃত্যু অনিবার্য। জীবনের সৃষ্টি হয়েছে মৃত্যুর জন্য। আল্লাহ প্রত্যেক প্রাণীকে সৃষ্টি করেছে তাদের মৃত্যু দেওয়ার জন্য। তাই পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নয় । কোনকিছুই অমর হয়ে থাকবে না । সে যত বড়ই হোক না কেন।

নশ্বর পৃথিবীতে সবকিছুই একদিন মৃত্যুর মাধ্যমে পরকালে হারিয়ে যাবে।যে জন্ম নিয়েছে, তার মৃত্যু অবধারিত। মৃত্যু থেকে বাঁচার উপায় নেই। তবে মৃত্যুর পরের জীবন অতি ভয়ানক। সে জীবনের নাম অনন্ত কাল। মৃত্যুর মধ্য দিয়েই ইহকালের পরিসমাপ্তি এবং পরকালের সূচনা । ইহকাল ও পরকালের মধ্যে একমাত্র সেতুবন্ধন তৈরি করে মৃত্যু। মৃত্যু যন্ত্রণা অতি ভয়ানক । তবে মুমিন ব্যক্তির মৃত্যু যন্ত্রণা কিছুটা হলেও কম।

 প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি খুঁজছেন, আজকের পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্য। আমরা আপনাদের জন্য মৃত্যু নিয়ে কতগুলো ইসলামিক পোস্ট তুলে ধরেছি। যেগুলো আপনাদের জীবনকে বদলে দিতে পারে। ইসলামের পথে চলতে সাহায্য করতে পারে। কারণ মৃত্যু সম্পর্কে ভয় থাকলে মানুষ সমস্ত অন্যায় থেকে দূরে থাকে।

আরো জানুন

সফলতার উক্তি

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি

মৃত্যুযন্ত্রণা অনিবার্য : আল্লাহ বলেন, ‘মৃত্যুযন্ত্রণা সত্যই আসবে। এটা হতে তোমরা অব্যাহতি চেয়ে এসেছ।’ (সুরা কাফ, আয়াত : ১৯)

অবিশ্বাসীদের জন্য ভয়ংকর মৃত্যুযন্ত্রণা : আল্লাহ বলেন, ‘যদি তুমি দেখতে পেতে যখন অবিচারকারীরা মৃত্যুযন্ত্রণায় থাকবে এবং ফেরেশতারা হাত বাড়িয়ে বলবে, তোমাদের প্রাণ বের করো। তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে অন্যায় বলতে ও তাঁর নিদর্শন সম্পর্কে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে। সে জন্য আজ তোমাদের অবমাননাকর শাস্তি দেওয়া হবে।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ৯৩)

মৃত্যুযন্ত্রণার কাছে মানুষ অসহায় : ইরশাদ হয়েছে, ‘উপরন্তু কেন নয়—প্রাণ যখন কণ্ঠাগত হয় এবং তখন তোমরা তাকিয়ে থাকো।’ (সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত : ৮৩-৮৪)

মৃত্যুযন্ত্রণা মৃত্যুর বার্তাবাহক : আল্লাহ বলেন, ‘কখনো নয়, যখন প্রাণ কণ্ঠাগত হবে এবং বলা হবে, কে তাকে রক্ষা করবে? তখন তার প্রত্যয় হবে যে এটা বিদায়ক্ষণ এবং পায়ের সঙ্গে পা জড়িয়ে যাবে। সেদিন তোমার প্রভুর কাছে সব কিছু প্রত্যানীত হবে।’ (সুরা কিয়ামা, আয়াত : ২৬-৩০

মুমিন ও পাপী উভয়ের জন্যই মৃত্যুযন্ত্রণা : পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকে বোঝা যায় মুমিন ও পাপী সবাই মৃত্যুযন্ত্রণার শিকার হবে। পাপীদের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি যদি দেখতে পেতে ফেরেশতারা অবিশ্বাসীদের মুখমণ্ডল ও পিঠে আঘাত করে তাদের প্রাণহরণ করছে এবং বলছে, তোমরা দহনযন্ত্রণা ভোগ কোরো।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ৫০)

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

সবচেয়ে কম মৃত্যুযন্ত্রণা হবে শহীদের : অবিশ্বাসী ও পাপীদের তুলনায় মুমিনের মৃত্যুযন্ত্রণা অবশ্যই হালকা হবে। আর সবচেয়ে কম মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করবে আল্লাহর রাস্তার শহীদরা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কাউকে পিঁপড়া কামড়ালে যতটুকু কষ্ট অনুভব করো, শহীদের নিহত হওয়ার কষ্ট তার চেয়ে বেশি হবে না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩১৬১)

মুমিনের মৃত্যুকষ্ট হয় কেন : একাধিক বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত মৃত্যুর সময় মহানবী (সা.)-এর শারীরিক কষ্ট হয়েছিল। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেছি একটি পানিভর্তি বাটি তার সামনে রাখা ছিল। তিনি সেই বাটিতে তার হাত প্রবেশ করাচ্ছিলেন এবং পানি দিয়ে তার মুখমণ্ডল মলছিলেন। আর বলছিলেন, ‘হে আল্লাহ, মৃত্যুকষ্ট ও মৃত্যুযন্ত্রণা হ্রাসে আমায় সহায়তা করুন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৯৭৮)

যে দোয়ায় মৃত্যুযন্ত্রণা হালকা হয় : মৃত্যুশয্যায় মহানবী (সা.) মৃত্যুযন্ত্রণা হালকা হওয়ার জন্য দুটি দোয়া করেন। তা হলো—‘হে আল্লাহ, মৃত্যুকষ্ট ও মৃত্যুযন্ত্রণা হ্রাসে আমায় সহায়তা করুন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৯৭৮)

আরো জানুন>>রাগ কমানোর সহজ উপায়

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি

“ধনী হন আর গরীব হন, একদিন যেতে হবে একই স্থানে। আপনি ধনী বলে গরীবকে অবহেলা করবেন, ঘৃনা করবেন, কিন্তু মৃত্যুর পর কি করবেন? সেখানে তো চেনার উপায় নেই, আপনি ধনী না গরীব।” – হযরত উমর (রা:)

“অজ্ঞদেরকে মৃত্যুবরণ করার পূর্বেই মৃত অবস্থায় কাল যাপন করতে হয় এবং সমাধিস্থ হবার পূর্বেই তাদের শরীর কবরের আঁধারে সমাহিত; কেননা তাদের অন্তর মৃত, আর মৃতের স্থান কবর।” – হযরত আলী (রাঃ)

“তোমরা যেখানে যে অবস্থাতেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের ধরবেই; যতো মজবুত কেল্লার মধ্যেই অবস্থান কর না কেন।” – সুরা আন নিসা

“মৃত্যুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাক, কারণ মৃত্যুর দূত তোমার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। তার ডাক দেবার পর আর প্রস্তুত হবার সময় থাকে না।” – হযরত আলী (রাঃ)

“কিসের জন্য এত আনন্দ কর? মৃত্যুকে স্মরণ কর। পরকাল অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।” – আল কোরান

“মরে যাওয়া যখন প্রত্যেকটি মানুষেরই নিয়তি, তখন শহীদ হয়ে মৃত্যু বরণ করাই সবচেয়ে বড়ো বুদ্ধিমানের কাজ।” – হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ)

তোমার রব কে ভয় করো, কেননা যে তার রবকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।
(হযরত ওমর রাঃ)

যারা সর্বদা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদের সাথে চলাফেরা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল।
::: হযরত উমার (রা)

আজকের কাজ আগামীকালের জন্য রেখে দিবেন নাকেননা কাজগুলো জমা হয়ে যাবে এবং আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।
–হযরত উমার (রা)

বন্ধুরা, মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো আপনাদের কেমন লাগলো, তা আমাদেরকে কমেন্টে লিখে জানাবেন । আপনাদের কমেন্টের আশায় রইলাম।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

হ্যালো বন্ধুরা, বরাবরের ন্যায় আজকেও নতুন একটি টপিকস নিয়ে হাজির হয়েছি।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা- পূর্ববর্তী নিবন্ধগুলোতে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কী, কারা সংক্রামিত, এবং এটি মা এবং শিশুদের কী জটিলতা সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷

এই নিবন্ধনে তাদের সমাধান, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এবং কী করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে৷

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সময় আপনার চিকিৎসা সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা বা কোনো সমস্যা আছে কিনা তা দেখতে আপনাকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সুগারের মাত্রা পরিমাপ করা

একটি গ্লুকোমিটার বা টেস্টিং কিটের সাহায্যে আপনি আপনার রক্তে সুগার পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেন। এখানে আঙুলের ডগায় একটি ধারালো, সুচের মতো যন্ত্র (ল্যান্সেট) ঢোকানো হয়।

রক্ত বের হয়ে আসলে টেস্টিং স্ট্রিপে এক ফোঁটা রক্ত ​​নিয়ে মিটারে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই ক্ষেত্রে, নিম্নলিখিত 3 টি জিনিস অবশ্যই জানা উচিত:

  1. কিভাবে সঠিক উপায়ে রক্তে সুগার পরিমাপ করবেন?

2. কখন এবং কতক্ষণ এই সুগার পরিমাপ করা উচিত? গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, সকালের নাস্তার আগে এবং খাবারের এক ঘন্টা পরে রক্তে সুগার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

3. আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত? এই গণনাটি গ্লুকোমিটারে mmol/l ইউনিটে দেখানো হয়েছে।
ডাক্তার আপনাকে বলবেন আপনার জন্য আদর্শ রক্তে শর্করার মাত্রা কী হওয়া উচিত।

এক্ষেত্রে আপনি যদি উপরের 3টি জিনিস না জানেন বা এটি সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন থাকে তবে তা ডাক্তার বা নার্সের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়েট

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এর জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের সাহায্য নিতে পারেন। তিনি আপনাকে সঠিক খাদ্য এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের পরামর্শ দিতে সক্ষম হবেন।

পরামর্শ যা হতে পারে:

  1. নিয়মিত খাবার খান

আপনাকে সারাদিনে নিয়মিত ৩ বেলা খাবার খেতে হবে এবং অন্য কোনো খাবার যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

2.স্টার্চি এবং কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খাওয়া

লাল চাল (বাদামী চাল) এবং ময়দা, কাটা চাল, ডাল, মটর, মটরশুটি, বার্লি ইত্যাদি হল কম-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স স্টার্চ।

এগুলি ধীরে ধীরে রক্তে চিনি ছেড়ে দেয়, হঠাৎ করে রক্তে শর্করা বাড়ায় না।

3. আরো ফল ও সবজি খান

4. চিনিযুক্ত, চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এর ক্ষেত্রে চিনি খাওয়া সম্পূর্ণ বাদ দেওয়ার দরকার নেই, তবে চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে ফল এবং বাদাম জাতীয় স্বাস্থ্যকর খাবার অভ্যাস করা উচিত।

5. কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ফলের রস বা স্মুদিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকতে পারে এবং “কোন যোগ চিনি না” যুক্ত পানীয়তে কিছুটা চিনি থাকতে পারে।

তাই পান করার আগে, আপনাকে লেবেলটি পড়তে হবে বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।

6.কম চর্বি (চর্বিহীন) মাংসের উৎস নির্বাচন করা

এই ধরনের মাংসের উৎস হতে পারে মাছ, চর্বিহীন মাংস ইত্যাদি। তবে, গর্ভাবস্থায় (যেমন নির্দিষ্ট মাছ বা পনিরের খাবার) এড়িয়ে চলা উচিত এমন খাবার না খাওয়ার ব্যাপারে আপনার সতর্ক থাকতে হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যায়াম

শরীরকে নিয়মিত সচল রাখলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যায়, তাই ব্যায়ামের মাধ্যমে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গর্ভাবস্থায় নিরাপদ ব্যায়ামের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

সাধারণত প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট (2 ঘন্টা 30 মিনিট) মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়, সাথে 2 দিন বা তার বেশি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ব্যায়াম।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধ

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় আপনার ডায়েট পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার 1-2 সপ্তাহ পরেও যদি আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকে বা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হয় তবে আপনাকে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে।

গর্ভাবস্থায় আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা সময়ের সাথে সাথে আরও বাড়তে পারে, তাই শুরুতে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরে আপনাকে ওষুধ খেতে হতে পারে।

যাইহোক, একটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে, আপনাকে সাধারণত ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ওষুধটি ট্যাবলেট বা ইনসুলিন ইনজেকশন হতে পারে।

মেটফর্মিন সাধারণত ট্যাবলেটে সুপারিশ করা হয়।

কখনও কখনও আপনার ডাক্তার আপনাকে মেটফর্মিনের পরিবর্তে গ্লিবেনক্লামাইড নামক ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।

মেটফর্মিন ট্যাবলেটগুলি সাধারণত দিনে 3 বার পর্যন্ত খাবারের সাথে বা পরে (খালি পেটে) নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যেমন:

1.বমি বমি ভাব

2.বমি করা

3.পেট কামড়ানো

4.ডায়রিয়া

5.ক্ষুধা কমে যাওয়া

কিছু ক্ষেত্রে ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যদি নিচের লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি উপস্থিত থাকে-

  1. আপনি মেটফর্মিন নিতে পারবেন না,

2.আপনি মেটফর্মিন গ্রহণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারেন,

3.মেটফর্মিন গ্রহণ করার পরেও আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে,

4.আপনার রক্তে শর্করা খুব বেশি,

5.আপনার শিশু আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড়, বা

6.আপনার ভ্রূণ অতিরিক্ত অ্যামনিওটিক তরল (পলিহাইড্রামনিওস) জমা করে।

ইনসুলিন সাধারণত একটি ইনজেকশন হিসাবে নেওয়া হয়। আপনার কতটা ইনসুলিন নিতে হবে তা আপনার ডাক্তার আপনাকে বলবেন।

আপনার ডাক্তার বা নার্সের সাথে চেক করুন কিভাবে বাড়িতে এই ইনজেকশনটি নিজে নিতে হয়।

আপনাকে কি ধরনের ইনসুলিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে আপনাকে খাওয়ার আগে, ঘুমানোর সময় বা ঘুম থেকে ওঠার পরে ইনসুলিন নিতে হতে পারে।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করা সাধারণত সময়ের সাথে বেড়ে যায়, তাই সময়ের সাথে সাথে ইনসুলিনের মাত্রাও বাড়তে পারে।

ইনসুলিনের প্রভাবে ব্লাড সুগার অনেক কমে যেতে পারে। এই অবস্থাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলা হয়, ইনসুলিনের একটি সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

কিছু উপসর্গ হল:

1.কাঁপছে

2.অবিরাম ঘামছে

3.ক্ষুধার্ত বোধ

4.চেহারা ফ্যাকাশে বা নিস্তেজ

5.কোনো কিছুর প্রতি মনোযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ক্ষেত্রে রক্তে শর্করা দ্রুত পরিমাপ করতে হবে এবং সুগারের মাত্রা খুব কম হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের পর্যবেক্ষণ

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের প্রভাব আপনার অনাগত সন্তানের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়, যেমন আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়া।

এই কারণেই গর্ভাবস্থায় আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘন ঘন একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে (জন্মপূর্ব অ্যাপয়েন্টমেন্ট) যাতে আপনার অনাগত শিশুর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা যায়।

এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হবে:

1.গর্ভাবস্থার 18-20 সপ্তাহের মধ্যে একটি আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান ভ্রূণের কোনো অস্বাভাবিকতা সনাক্ত করতে।

2.গর্ভাবস্থার 26, 32 এবং 36 সপ্তাহে আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করা হয় – এটি শিশুর বৃদ্ধি এবং গর্ভে অ্যামনিওটিক তরলের পরিমাণ দেখাবে।

3. 38 সপ্তাহ পর নিয়মিত চেকআপ করা হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সহ একটি শিশুর জন্ম দেওয়া

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়েদের সন্তান প্রসবের আদর্শ সময়কাল ৩৬ থেকে ৪০ সপ্তাহ। যদি আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং আপনার এবং আপনার শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা না থাকে,

তাহলে আপনি প্রসব শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।

যাইহোক, যদি আপনি 40 সপ্তাহ বা 7 দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে জন্ম না দেন, তাহলে আপনাকে কৃত্রিম ওষুধ দিয়ে প্রসবের প্রক্রিয়া শুরু করতে বা সিজারিয়ান সেকশন করার পরামর্শ দেওয়া হবে।

যদি আপনার বা আপনার শিশুর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে বা আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, তাহলে তাড়াতাড়ি ডেলিভারির সুপারিশ করা হতে পারে।

আপনাকে অবশ্যই একটি হাসপাতালে জন্ম দিতে হবে, যেখানে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত, দক্ষ ডাক্তার এবং নার্সরা আপনার সন্তানের সঠিক যত্ন নিতে পারে।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

প্রসবের জন্য হাসপাতালে যাওয়ার সময় আপনার রক্তে শর্করার পরিমাপের যন্ত্র এবং আপনি যে ওষুধগুলি আপনার সাথে নিয়ে যান তা নিন।

সাধারণত প্রসব শুরু না হওয়া পর্যন্ত বা সিজারিয়ান অপারেশনের আগে নিয়মিত রক্তে শর্করার পরিমাপ করে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন চালিয়ে যেতে হয়।

ডেলিভারি প্রক্রিয়া জুড়ে আপনার ব্লাড সুগার নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

প্রয়োজনে আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনাকে ইনসুলিন দেওয়া যেতে পারে।

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কি করবেন

সাধারণত একটি শিশুর জন্ম দেওয়ার পরে আপনি তাকে দেখতে পারেন, তাকে আপনার কোলে নিতে পারেন বা তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন।

প্রসবের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (30 মিনিটের মধ্যে) বুকের দুধ খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। 2-3 ঘন্টা পরে, তার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত তাকে নিয়মিত দুধ দিতে হবে।

জন্মের 2-4 ঘন্টা পর থেকে আপনার শিশুর রক্তে শর্করা নিয়মিত পরিমাপ করা হবে।

যদি চিনির মাত্রা কম হয়, তাহলে তাকে টিউব বা ড্রপ দিয়ে সাময়িকভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।

যদি শিশুটি অসুস্থ হয় বা তার নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়, তবে তাকে যত্নের জন্য একটি বিশেষ নবজাতক ইউনিটে (যেমন নবজাতক আইসিইউ) রাখতে হবে।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি যে ওষুধটি গ্রহণ করেছিলেন তা সাধারণত প্রসবের পরে প্রয়োজন হয় না।

যাইহোক, প্রসবের 1-2 দিন পরে, আপনাকে নিয়মিত আপনার রক্তে শর্করার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হবে।

মা এবং শিশু উভয়েই সুস্থ থাকলে, আপনি এবং আপনার শিশু প্রসবের 24 ঘন্টা পরে বাড়িতে যেতে পারবেন।

প্রসবের 6 থেকে 13 সপ্তাহ পরে ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য রক্ত ​​পরীক্ষা করা উচিত, কারণ গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অল্প সংখ্যক মহিলার প্রসবের পরে উচ্চ রক্তে শর্করা থাকে

এই রক্ত ​​পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক হলে, সাধারণত বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কারণ গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরবর্তী জীবনে টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।

এটি এমন একটি রোগ যা আপনাকে সারাজীবনের জন্য জর্জরিত করতে পারে যদি খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়।

আরো জানতে ক্লিক করুন…

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022

MM Kit বা এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022-হ্যালো ভিউয়ার্স, bdtechroom তে আপনাকে স্বাগতম।বরাবরের ন্যায় আজকেও আমরা নতুন একটি টপিক্স নিয়ে হাজির হয়েছি।

আজকে আমরা এমন একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি,যেটি প্রতিটি বিবাহিত মানুষের জানা অত্যন্ত জরুরী।আমাদের আজকের নিবন্ধটি শুধুমাত্র বিবাহিতদের জন্য।

তো চলুন মূল বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জনে নেয়া যাক।

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বিয়ের পর অল্প দিনের মধ্যেই কোন সন্তান নিতে চায় না।

যারা অল্পদিনের মধ্যে বাচ্চা নিতে আগ্রহী না তারা বা সেসকল দম্পতি ফেমিকন পিল গ্রহণ করে থাকে।

কিন্তু অসাবধানতা বসত কেউ গর্ভবতী বা প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলে মাসিক নিয়মিত করনের জন্য (সাধারণভাবে গর্ভপাতের জন্য) এম এম কিট গ্রহণ করা হয়।

সম্মানিত ভিজিটর, আজকের লেখাজুড়ে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো MM Kit বা এম এম কিট কি, খাওয়ার সঠিক নিয়ম বা কখন খেতে হয়,

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এম এম কিটের দাম, কোথায় কিনতে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত।

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022

এম এম কিট কি?

এম এম কিট (MM-Kit)হচ্ছে মাসিক নিয়মিতকরণ অথবা গর্ভপাতের জন্য একটি কম্বিনেশন ঔষধ।এখানে মাসিক নিয়মিতকরণ বলতে,

অস্ত্রোপচার ছাড়াই মাসিক নিয়মিত করাকে বোঝায় ।সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী ও নিরাপদ মাসিক নিয়মিতকরণ করতে  মিফেপ্রিস্টোন ও মিসোপ্রোস্টল এই দুটি ঔষধ একত্রে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ নষ্ট করে মেয়েদের বা মহিলাদের মাসিক নিয়মিত করার জন্য গর্ভধারণের ৬৩ দিন বা ৯ সপ্তাহের মধ্যে এম এম কিট গ্রহণ করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় mm-kit হচ্ছে প্রথম প্রোডাক্ট যা এই দুটি ওষুধ একত্রে একটি প্যাকেজ লাইসেন্স ও বাজারজাত করেছে ।

অবশ্যই এই ঔষধ গ্রহনের আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

এম এম কিট খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে আপনার স্ত্রী বা আপনি (মেয়েদের বলা হয়েছে) আসলেই গর্ভবতী কিনা।

এজন্য ফার্মেসী থেকে প্রেগন্যান্সি চেক করার কিট কিনতে পাওয়া যায় এর সাহায্যে ঘরে বসেই চেক করে নিন।

প্রেগন্যান্সি চেক করার পর নিশ্চিত হয়ে গর্ভধারণের ৬৩ দিন অর্থাৎ ৯ সপ্তাহের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে এই কিট সেবন করবেন।

একটি প্যাকেটে মোট ৫ টি ট্যাবলেট থাকে। যেখানে একটি বড় ও বাকি ৪ টি ছোট ছোট আকারের।

২০০ মি.গ্রা. বড় ট্যাবলেটটির নাম হচ্ছে মিফেপ্রিস্টোন এবং বাকি ৪ টি ট্যাবলেটের নাম হচ্ছে মিসোপ্রোস্টল।

MM Kit বা এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

MM Kit বা এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে প্রথমে বড় ট্যাবলেটটি হালকা গরম পানি দিয়ে খেতে হবে।

খাওয়ার ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর বাকি ৪ টি ট্যাবলেট প্যাকেট থেকে বের করে মুখের মধ্যে দুই পাশের মাড়ি ও দুই গালের মধ্যে দুইটি করে ট্যাবলেট রেখে আধাঘণ্টা বসে থাকুন যেন ট্যাবলেটগুলো গলে পেটের মধ্যে চলে যায়।

মুখে থু থু আসলে ফেলে দেওয়া যাবে না। মুখের মধ্যে লেগে থাকলে পানি দিয়ে খেয়ে ফেলুন।

ওষুধগুলো সেবনের পর ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ক্লিনিকে গিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফির মধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে গর্ভপাত হয়েছে কিনা। না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এম এম কিটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত এবং তলপেটে ব্যথা খুবই স্বাভাবিক যা গর্ভপাতের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ।এই লক্ষণগুলো ভারী মাসিক ও তার সাথে ব্যাথা হওয়ার মতই।

এছাড়া অন্যান্য   প্রতিক্রিয়াগুলো গুলো হচ্ছে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া ডায়রিয়া জ্বর জ্বর ভাব এবং জ্বর যা  একদিনের ও কম সময় স্থায়ী হয়।

এম এম কিট খাওয়ার পর নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে।

যেমন- জ্বর আসা, মাথা ব্যাথা করা, বমি আসা, বা বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, শরীর দুর্বলতা, মাসিক ১৫ দিন পিছিয়ে যাওয়া, মাসিকে তুলনামূলক বেশি রক্তক্ষরণ, পেটে মোচড় ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022

তবে অনেকের কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। উপসর্গের মাত্রা বেশি হলে বা বেশি খারাপ অনুভব করলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

গর্ভপাত সম্পূর্ণ না হলে কি ঘটতে পারে

যদি আপনার ডাক্তার দ্বিতীয় সপ্তাহের ফলোআপ এ নিশ্চিত করেন যে গর্ভপাত এখনো চলছে এ অবস্থায় ভ্যাকুউয়াম আ্যপিরেশন নির্দেশিত।

যদি এমন উপসর্গ দেখা যায় যে মাসিক নিয়মিতকরণ হয়েছে কিন্তু সব গর্ভটিস্যু বের হয়নি,

কিন্তু রোগী ভালো অনুভব করছে এবং স্বাস্থ্যবতী তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম ইন্সপিরেশনের প্রয়োজন নেই।

অন্য বিকল্প পদ্ধতি আরো কিছু সময় ধৈর্য ধরা অথবা মিসোটোল পুনরায় গ্রহণ করা।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিটি কাজই ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী করার চেষ্টা করুন, সেটি আপনার শরীর স্বাস্থ্য দুটির জন্যই ভালো হবে।

এতে করে ভবিষ্যতে গর্ভধারণে কোন ঝুঁকি তে নাও পরতে পারেন।

এম এম কিটের দাম

প্রতি ১ প্যাকেট এম এম কিটের দাম ৩০০ টাকা। যেখানে একটি পাতায় মোট ৫ টি ট্যাবলেট থাকে।

কিছু কথা

আমাদের লেখা শুধুমাত্র বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর জন্য। অসাবধানতা বসত গর্ভধারন করলে একান্ত সন্তান নিতে না চাইলে আপনারা উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন।

তবে মনে রাখবেন যেকোন জীবন ধ্বংস করা কিন্তু অনেক বড় পাপ।

আমাদের সমাজের বর্তমানে যৌনতা খুবই ভয়াবহ ও মারাত্মক আকার ধারন করেছে।

সাময়িক সুখের জন্য নারী পুরুষ বিবাহ বহির্ভূত অসামাজিক ও ধর্মে নিষিদ্ধ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে।

আরো জানতে ভিজিট করুন>>>

আর সমাজের কাছে নিজেকে সাধু সাজাতে অনেকেই গোপনে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলছে।

মেয়েদের বলছি আপনার বয়ফ্রেন্ড যদি কোন অসামজিক ও নিষিদ্ধ কাজের জন্য বিবাহের আগে আপনাকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করে তার থেকে সাবধানে থাকুন।

প্রয়োজনে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করুন।

মনে রাখবেন যে আপনার সাথে পবিত্র বিবাহে আবদ্ধ না হয়ে এই ধরণের সুখ উপভোগ করতে পারে সে ভবিষ্যতে আপনাকে ফেলে অন্য কারো সাথে বা আপনাকে ঠকিয়ে অন্য মেয়েদের সাথেও এমন করবে বা করতে দ্বিধাবোধ করবে না।

আর পরকালে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। যদি অসচেতনা বসত বা ভুলে এমন কাজ করে থাকেন আল্লাহর কাছে মাফ চান।

আল্লাহ মহান সঠিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি মাফ করবেন। আর ভবিষ্যতে এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।

সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

তবে মনে রাখবেন সম্পূর্ণ নিবন্ধটি না পড়ে যদি এম এম কিট ব্যাবহার করেন,তাহলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

তাই সম্পূর্ণ নিবন্ধ পড়ার পর ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিন,আপনি এই ঔষধটি ব্যাবহার করবেন কিনা।

এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকে,তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।ধন্যবাদ!

 

রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা ‘অ্যানিমিয়া’ মানে রক্তশূন্যতা। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া হয়। গর্ভাবস্থায় রক্তপাত এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে সাধারণত শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া নিরাময় করা সম্ভব।

আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতার লক্ষণ

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ার পাঁচটি লক্ষণের মধ্যে একটি হল:

১। ক্লান্তি আনুভব করছি

২। শরীরের শক্তি কমে যাওয়া বা দুর্বল বোধ করা.

৩। শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসকষ্ট

৪। বুক ধড়ফড় করছে.

৫। ফ্যাকাশে চামড়া.

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ার অন্যান্য লক্ষণ রয়েছে। যাইহোক, এই লক্ষণগুলি উপরের পাঁচটি উপসর্গের মতো সাধারণ নয় এবং গর্ভাবস্থার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এই লক্ষণগুলি হল:

  1. মাথাব্যথা
  2. মাথায় বা কানে টিনিটাস
  3. খাবারের স্বাদ অদ্ভুত
  4. শরীরে চুলকানি
  5. জিহ্বায় ক্ষত
  6. চুল পরা
  7. অখাদ্য জিনিস খাওয়ার ইচ্ছা। যেমন: কাগজ, পোড়ামাটির এবং বরফের মতো কিছু খেতে চাই। এই উপসর্গটিকে বলা হয় ‘পিকা’।
  8. গিলতে সমস্যা হচ্ছে
  9. মুখের কোণে বেদনাদায়ক ঘা বা আলসার
  10. নখের আকৃতি চা-চামচের মতো হয়ে যায়
  11. রেস্টলেস লেগস সিনড্রোম – স্নায়ুতন্ত্রের একটি রোগ যা পা সরানোর অনিবার্য তাগিদ সৃষ্টি করে।

আপনার যদি আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ার কোনো লক্ষণ থাকে তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা জরুরি। আপনি রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন না তা নিশ্চিত করার জন্য একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষাই যথেষ্ট। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া কেন হয়

গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা খুবই সাধারণ। বেশির ভাগ গর্ভবতী নারীর খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ যদি চাহিদার তুলনায় কম থাকে, তাহলে সেটাই রক্তস্বল্পতার কারণ।

পিরিয়ড বা মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে আয়রনের ঘাটতিজনিত অ্যানিমিয়াও বেশ সাধারণ। ঋতুস্রাবের সময় ভারী রক্তপাত হলে কিছু ওষুধ সেবনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে।

ঋতুস্রাব বন্ধ করে দেওয়া পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা পেট বা অন্ত্রের রক্তপাতের লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের রক্তপাতের কারণগুলো হল:

  • নন স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) গ্রহণ করা। যেমন: আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ।
  • গ্যাস্ট্রিক আলসার
  • প্রদাহের কারণে কোলনের প্রদাহ (কোলাইটিস)
  • ইসোফ্যাগাইটিস
  • পাইলস বা হেমোরয়েডস
  • পেট বা অন্ত্রের ক্যান্সার (তুলনামূলকভাবে বিরল)

অন্য কোনো কারণে শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হলে শরীরে রক্তশূন্যতাও হতে পারে। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা সনাক্ত করা

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর তিনি রোগীর জীবনযাত্রা এবং রোগের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করবেন। রক্তশূন্যতার কারণ স্পষ্ট না হলে তিনি কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। এই পরীক্ষাগুলির উদ্দেশ্য হল লক্ষণগুলির কারণ নির্ধারণ করা। প্রয়োজনে রোগীকে বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করা যেতে পারে।

রক্তশূন্যতা নির্ণয়ের জন্য কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়

ডাক্তার প্রথমে আপনাকে ‘ফুল ব্লাড কাউন্ট’ / ‘কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট’ নামে একটি পরীক্ষা দেবেন; এটি সিবিসি নামে বেশি পরিচিত। এই পরীক্ষাটি নির্ধারণ করবে আপনার রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিক কিনা। পরীক্ষা দেওয়ার আগে আপনাকে বিশেষ কোনো প্রস্তুতি নিতে হবে না।

সমস্ত ধরণের রক্তশূন্যতার মধ্যে, আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা সবচেয়ে সাধারণ। অন্য কোনো কারণে (যেমন ভিটামিন B12 বা ফোলেটের অভাব) রক্তস্বল্পতা পরীক্ষা করতেও CBC পরীক্ষা খুবই কার্যকর। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা দূর করার উপায়

রক্তস্বল্পতার কারণ শনাক্ত হয়ে গেলে, ডাক্তার কারণ অনুযায়ী অ্যানিমিয়া দূর করার জন্য সঠিক চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।

রক্তশূন্যতার ওষুধ

পরীক্ষার রিপোর্টে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে চিকিৎসক শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য আয়রন ট্যাবলেট বা বড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেবেন এবং আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম বলবেন।

আপনাকে এই ওষুধগুলি প্রায় 6 মাস ধরে খেতে হবে। ওষুধ খাওয়ার পর কমলার রস বা লেবুর রস পান করলে আপনার শরীরে আয়রন শোষণ হতে পারে।

আয়রন ট্যাবলেট কিছু মানুষের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যেমন

  • কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা মল
  • পেটে ব্যথা
  • অম্বল বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা (অম্লতা)
  • অসুস্থ লাগছে
  • অন্ধকার টয়লেট

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে, খাবারের সাথে বা সাথে সাথে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার চেষ্টা করুন। যাইহোক, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, এই ওষুধটি গ্রহণ চালিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তে আয়রনের পরিমাণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে কিনা তা জানতে ডাক্তার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আবার রক্ত ​​পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তাল্পতা জন্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং খাদ্য

আপনার খাদ্যতালিকায় আয়রনের অভাব যদি রক্তশূন্যতার জন্য আংশিকভাবে দায়ী হয়, তাহলে আপনার ডাক্তার আরও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।

রক্তশূন্যতা দূর করতে যেসব খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে

  • গাঢ় সবুজ শাকসবজি। যেমন: পালংশাক, কচুশাক, করলা, পটল ও কাঁচকলা।
  • উচ্চ আয়রন সিরিয়াল, ফরটিফাইড সিরিয়াল এবং রুটি
  • মাংস
  • ডাল

রক্তাল্পতা এড়াতে খাবার

নীচে তালিকাভুক্ত খাবার এবং পানীয় বেশি খাওয়া শরীরের আয়রন শোষণ করার ক্ষমতা হ্রাস করে:

  • চা আর কফি
  • দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
  • ফাইটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। উদাহরণস্বরূপ, গোটা বা গোটা শস্য শস্য। এগুলো শরীরের অন্যান্য খাবার ও ওষুধ থেকে আয়রন শোষণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

আপনি যদি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে না চান, তাহলে আপনি একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিতে পারেন।রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তশূন্যতার চিকিৎসার অভাবে সৃষ্ট জটিলতা

আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা সময়মতো চিকিৎসা না করলে গুরুতর জটিলতা হতে পারে। যেমন

আয়রনের ঘাটতি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এতে বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
হার্ট ও ফুসফুসের বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন: অস্বাভাবিক দ্রুত হার্টবিট (ট্যাকিকার্ডিয়া) বা হার্ট ফেইলিউর।
গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবের আগে এবং পরে জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

বিষণ্ণতা-মন খারাপ এবং ডিপ্রেশন হলে করণীয় কি?

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয় গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাস।

এটি সাধারণত প্রসবের পরে ভাল হয়ে যায়।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থার যেকোনো পর্যায়ে হতে পারে, তবে এটি ২য় বা ৩য় ত্রৈমাসিকের (৪র্থ থেকে ৯ম মাসে) বেশি দেখা যায়।

গর্ভাবস্থায় আপনার শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারলে এই সমস্যা হয়। ইনসুলিন একটি হরমোন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরে আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।

তবে তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

এই নিবন্ধে আপনি আপনার এবং আপনার অনাগত সন্তানের উপর গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে কারা?

যেকোনো গর্ভবতী মহিলার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হতে পারে, তবে কিছু ক্ষেত্রে ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

এই বর্ধিত ঝুঁকির মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হল:

১। অতিরিক্ত ওজন. যদি আপনার BMI 30 এর বেশি হয়

২। যদি আপনার সন্তানদের কেউ অতীতে 4.5 কেজি (10 পাউন্ড) বা তার বেশি ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে

৩। আপনি যদি আগে গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং সেই সময়ে যদি আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে

৪। যদি আপনার বাবা-মা বা ভাইবোনদের মধ্যে একজনের ডায়াবেটিস থাকে

৫। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস দক্ষিণ এশীয়, নিগ্রো, আফ্রিকান, ক্যারিবিয়ান বা মধ্যপ্রাচ্যে বেশি দেখা যায়

এই পাঁচটি ক্ষেত্রের যেকোনও  একটি যদি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তাহলে আপনার গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত।গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের লক্ষণ

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সাধারণত কোনো বিশেষ লক্ষণ থাকে না।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি গর্ভাবস্থার চেকআপের সময় ধরা পড়ে। যাইহোক, কিছু ক্ষেত্রে, রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে, কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন:

  • ঘন ঘন তৃষ্ণা,
  • আগের চেয়ে ঘন ঘন প্রস্রাব,
  • মুখ শুকনো, ও
  • ক্লান্তি আনুভব করা

এই লক্ষণগুলি থাকার অর্থ এই নয় যে আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রয়েছে। কিছু লক্ষণ সাধারণত গর্ভাবস্থায় দেখা যায়।

যাইহোক, যদি আপনার এই উপসর্গগুলির কোনটি থাকে এবং আপনি সেগুলি নিয়ে চিন্তিত হন তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের প্রভাব কী?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, গর্ভকালীন বয়স স্বাভাবিক, এমনকি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সহ, এবং ভ্রূণ সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করে।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্রূণের কিছু সমস্যা হতে পারে এবং সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন:

১। শিশুদের আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়া। এর ফলে প্রসবের সময় বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। প্ররোচিত শ্রম বা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্মের প্রয়োজন হতে পারে।

২। গর্ভাবস্থার 36 তম সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সন্তানের জন্ম। একে অকাল প্রসব বলে।

৩। গর্ভের শিশুকে ঘিরে থাকা তরল (অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইড) পরিমাণ বেশি হলে সঠিক সময়ের আগে প্রসব করা যেতে পারে। একে পলিহাইড্রামনিওস বলে।

৪। গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যা। যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি গর্ভাবস্থায় অনেক গুরুতর জটিলতার কারণ হতে পারে। একে প্রি-এক্লাম্পসিয়া বলা হয়।গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

৫। জন্মের পর, আপনার শিশুর রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় বা শিশুর ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যায় (জন্ডিস) – চিকিৎসার জন্য শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হতে পারে।

৬। মৃত সন্তানের জন্ম দেওয়া। যদিও এটা খুবই বিরল।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিশ্চিত করার উপায়

গর্ভাবস্থার ৭তম এবং ১২তম সপ্তাহের মধ্যে আপনার প্রথম চেকআপের সময়, আপনি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন কিনা তা জানতে ডাক্তার আপনাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন।

আপনার ক্ষেত্রে যদি এক বা একাধিক সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকে, তাহলে আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে কিনা তা জানতে আপনাকে একটি স্ক্রিনিং পরীক্ষা করতে বলা হবে।

এই স্ক্রীনিং টেস্টকে ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (OGTT) বলা হয়। এটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় 2 ঘন্টা সময় লাগে।

এটি প্রথমে সকালে খালি পেটে আপনার রক্ত ​​পরীক্ষা করবে।

শর্ত হল রক্ত ​​পরীক্ষার 8-10 ঘন্টা আগে আপনার কিছু খাওয়া বা ধূমপান করা উচিত নয়।

তবে পানি পান করা যেতে পারে। রক্ত পরীক্ষার পরে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্লুকোজযুক্ত তরল পান করতে দেওয়া হবে।

2 ঘন্টা বিরতির পরে, এই গ্লুকোজের সাথে আপনার শরীরে কী ধরণের প্রতিক্রিয়া রয়েছে তা দেখতে আপনার রক্ত ​​​​আবার পরীক্ষা করা হবে।

এই পরীক্ষা সাধারণত গর্ভাবস্থার 24-26 তম সপ্তাহে করা হয়।

যাইহোক,যদি আপনার আগে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়ে থাকে

তাহলে আপনার গর্ভাবস্থায় প্রথমবার একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করার সময় আপনাকে OGTT পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হবে। এই পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা কি?

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আপনার বাড়িতে যদি রক্তের শর্করার মিটার বা গ্লুকোমিটার থাকে তবে আপনি এই মাত্রাগুলি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে শরীরকে সচল রাখার মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো সম্ভব। তবে এত কিছুর পরও যদি রক্তে শর্করার মাত্রা না কমে তাহলে চিকিৎসার জন্য ওষুধ লাগবে- ওষুধটি ট্যাবলেট বা ইনসুলিন ইনজেকশন হতে পারে।

সম্ভাব্য সমস্যা এড়াতে গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সময় আপনাকে নিয়মিত চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

আপনার যদি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে তবে গর্ভাবস্থার 41 তম সপ্তাহের আগে সন্তান জন্ম দেওয়া ভাল।

এই সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক বা স্বাভাবিক প্রসব ব্যথা না থাকলে, ওষুধ বা অন্যান্য উপায়ে কৃত্রিম প্রসব শুরু করা হয় (প্ররোচিত শ্রম) অথবা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসবের পরামর্শ দেওয়া হয়।

যদি আপনার বা আপনার অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে, বা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, অকাল প্রসবের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।

বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের নিবন্ধটি পড়ুন….

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কী?

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস সাধারণত সন্তান প্রসবের পর সেরে যায়। যাইহোক, যাদের একবার এটি আছে তাদের ভবিষ্যতের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, সেইসাথে টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা তা দেখতে জন্ম দেওয়ার 6 থেকে 13 সপ্তাহ পর রক্ত ​​পরীক্ষা করুন।

ডায়াবেটিস আপনার যদি না থাকে তবে বছরে অন্তত একবার আপনার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন।

আপনার যদি উচ্চ রক্তে শর্করার কোনো উপসর্গ থাকে তবে চেকআপের জন্য অপেক্ষা না করে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

উচ্চ রক্তে শর্করার লক্ষণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

1. ঘন ঘন তৃষ্ণা,
2. ঘন ঘন প্রস্রাব, এবং
3. মুখ শুকনো।

আপনার কোনো উপসর্গ না থাকলেও নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা করানো উচিত, কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেক রোগীর এ ধরনের লক্ষণ থাকে না।

আপনার ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেবেন যে আপনি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে কী করতে পারেন, যেমন স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মায়েদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে তাদের পরবর্তী জীবনে ডায়াবেটিস বা অতিরিক্ত ওজনের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ভবিষ্যতের গর্ভধারণের পরিকল্পনা

যদি আপনার আগে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে এবং আপনি আবার গর্ভধারণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে ভুলবেন না।

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে সন্তানের জন্মের বিষয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

গর্ভবতী হওয়ার আগে, নিশ্চিত করুন যে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে।

আপনার যদি অপরিকল্পিত গর্ভাবস্থা থাকে তবে আপনার ডাক্তারকে বলুন যে আপনার আগে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ছিল এবং সেই অনুযায়ী পরামর্শ করুন।

এই সময়ে আপনার ডায়াবেটিস ধরা পড়লে, গর্ভাবস্থার প্রথম চেকআপের সময় (গর্ভাবস্থার 7-12 তম সপ্তাহে) এবং ফলাফল স্বাভাবিক হলে 24-26 তম সপ্তাহে আপনাকে একবার আপনার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে বলা হবে।

বিকল্পভাবে, আপনার ডাক্তার সুপারিশ করতে পারেন যে আপনি নিজের রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপ করুন।

আপনি আগের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সময় যেভাবে গ্লুকোমিটার ব্যবহার করেছিলেন সেইভাবে আপনি রক্তে শর্করার পরিমাপ চালিয়ে যেতে পারেন।

আরো স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস পেতে ক্লিক করুন এখানে….

নোরা ফাতেহি(Nora Fatehi) জীবনী উচ্চতা নতুন গান স্বামী ধর্ম বাড়ি বয়স প্রেমিক পরিবার

নোরা ফাতেহি

নোরা ফাতেহি জন্ম: 6 ফেব্রুয়ারি 1992 একজন কানাডিয়ান নৃত্যশিল্পী, মডেল, অভিনেত্রী এবং গায়ক। তিনি মরক্কো-কানাডিয়ান পরিবার থেকে এসেছেন এবং কানাডায় বেড়ে উঠেছেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেকে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাট হার্ট’ বলেছেন। Roar: Tigers of the Sundarbans দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় তার।

তিনি তেলুগু চলচ্চিত্র টেম্পার, বাহুবলী: দ্য বিগিনিং এবং কিক 2-এ আইটেম গান পরিবেশন করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। 2015 সালে, তিনি বিগ বস-এর একজন প্রতিযোগী ছিলেন এবং 84 তম দিনে প্রতিযোগিতা ছেড়ে চলে যান। 2016 সালে, তিনি নাচের রিয়েলিটি টেলিভিশন শো ঝলক দেখালে অংশ নিয়েছিলেন।

কর্ম জীবন

তিনি বলিউড চলচ্চিত্র Roar: The Tigers of the Sundarbans-এ অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি পুরী জগন্নাথের তেলেগু ফিল্ম টেম্পারে একটি আইটেম গান করেন। তিনি এমরান হাশমির 2015 সালের চলচ্চিত্র মিস্টার এক্স-এ একটি বিশেষ ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।

এরপর তিনি বাহুবলী: দ্য বিগিনিং এবং কিক 2 চলচ্চিত্রে আইটেম গান পরিবেশন করেন।

জুন 2015 সালে, তিনি তেলেগু চলচ্চিত্র শের-এ অভিনয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। আগস্ট 2015 সালে, তিনি আরেকটি তেলেগু চলচ্চিত্র লোফারে চুক্তিবদ্ধ হন। ওই বছরের নভেম্বরে তিনি উপরি ফিল্মস-এ চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি ডিসেম্বর 2015 এ ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ নিয়ে বিগ বস প্রতিযোগী হিসাবে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি প্রতিযোগিতায় 3 সপ্তাহ স্থায়ী ছিলেন। তিনি ঝলক দিখলা 2016-এর একজন প্রতিযোগী ছিলেন। 2016 সালে, তিনি আমার জন্মদিনের গান শিরোনামের একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।

2019 সালের ফেব্রুয়ারিতে, তিনি কোম্পানির আসন্ন চলচ্চিত্র, সঙ্গীত ভিডিও, ওয়েব সিরিজ এবং ওয়েব চলচ্চিত্রগুলিতে অভিনয় করার জন্য T-Series-এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

নোরা ফাতেহির মাতৃভাষা ইংরেজি হলেও তিনি আরবি, হিন্দি এবং ফরাসি ভাষায় কথা বলতে পারেন।

চলচ্চিত্র তালিকা

২০১৪ রোয়ার: টাইগার্স অব দ্য সুন্দরবনস হিন্দি সিজে
২০১৫ ক্রেজি কুক্কাড় ফ্যামিলি হিন্দি অ্যামি
২০১৫ টেম্পার তেলুগু ‘ইত্তাগে রেচ্চিপোদাম’ গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৫ মি. এক্স হিন্দি বিশেষ উপস্থিতি
২০১৫ ডাবল ব্যারেল মালয়লাম বিশেষ উপস্থিতি
২০১৫ বাহুবলী: দ্য বিগিনিং তেলুগু/তামিল ‘মনোহরী’ গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৫ কিক ২ তেলুগু গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৫ শের তেলুগু গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৫ লোফার তেলুগু গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৬ রকি হ্যান্ডসাম হিন্দি ‘রক দ্য পার্টি’ গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৬ উপ্রি তেলুগু / তামিল নেমালি ‘দূর নাম্বার’ গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৮ মাই বার্থডে সং হিন্দি স্যান্ডি
২০১৮ সত্যমেভ জয়তে হিন্দি ‘দিলবার’ গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৮ স্ত্রী হিন্দি কামারিয়া গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৮ কায়ামকুলাম কচুনি মালয়ালম ‘ন্রিথাগীথিকালেন্নুম ‘ গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৯ ভারত হিন্দি সুসান
২০১৯ বাটলা হাউস হিন্দি ‘সাকি সাকি’গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০১৯ মারজাভান হিন্দি আইটেম গানে বিশেষ উপস্থিতি
২০২০ স্ট্রিট ড্যান্সার হিন্দি মিয়া

বছর নাম চ্যানেল টীকা
২০১৫–১৬ বিগ বস ৯ কালার্স প্রতিযোগী (৫৮ তম দিনে প্রবেশ করেন এবং ৮৪ তম দিনে বিদায় নেন)
২০১৬ কমেডি নাইটস বাচাও অতিথি
ঝলক দিখলা যা ৯ প্রতিযোগী
২০১৭ এন্টারটেইনমেন্ট কি রাত অতিথি
২০১৮ এমটিভি ট্রল পুলিশ এমটিভি ইন্ডিয়া
টপ মডেল ইন্ডিয়া কালার্স ইনফিনিটি গেস্ট মেন্টর
এমটিভি ডেটিং ইন দ্য ডার্ক উপস্থাপিকা

মিউজিক ভিডিওতে উপস্থিতি

বছর গান লেবেল টীকা
২০১৭ নাহ সনি মিউজিক ইন্ডিয়া হার্ডি সান্ধুর সাথে
২০১৭ বেবি মারভাকে মানেগি জি মিউজিক কোম্পানি রাফতারের সাথে
২০১৮ দিলবার (আরবি ভার্শন) টি-সিরিজ ফন্যাইরের সাথে গানটি গেয়েছেন

নোরা ফাতেহি রিলেশনশিপঃ

নোরা ফাতেহির ভারুন ঘুমান নামের এক বডি- বিল্ডারের সাথে সম্পর্ক ছিলো। অঙ্গাদ বেদী তার এক্স -বয়ফ্রেন্ড ছিলেন তিনি একজন মডেল ও টিভি অভিনেতা।তার প্রিন্স নেরুলার সাথেও সম্পর্ক ছিলো তিনি একজন টিভি পার্সোনালিটি।

eporcha gov bd লগিন, খতিয়ান ডাউনলোড, আবেদন, মালিকানা যাচাই 2022

eporcha gov bd লগিন, খতিয়ান ডাউনলোড, আবেদন, মালিকানা যাচাই

ই পর্চা অনলাইন আবেদন-আজকে আমরা আপনাদের জন্য খুবই দরকারি একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি, যারা জমির খাতার মালিকানার বিষয়গুলো বোঝেন না তাদের জন্য আজকের বিষয় খুবই উপযোগী। আপনি যদি আমাদের সম্পূর্ণ নিবন্ধটি ভালভাবে পড়েন তবে আপনি জমির সমস্ত সমস্যা বুঝতে সক্ষম হবেন।

যেমন ই-পর্চা কী? ই-পর্চা কত প্রকার ও কি কি? লাভ কি কি? আপনার জমির এসএ খতিয়ান, সিএস খতিয়ান, আরএস খতিয়ান, ভূমি জরিপ সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

আপনি যদি এই নিবন্ধটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়েন, তাহলে আপনি বাড়িতে বসেই আপনার জমির মালিকানা যাচাই সহ সমস্ত তথ্য যাচাই করতে পারবেন।

ই- পর্চা কি?

ই-পর্চা হল একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যা আপনাকে সহজেই আপনার মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্সেস করে আপনার জমির রেজিস্টার বা জমির মালিকানা যাচাই করতে পারবেন।

ই-পর্চা বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম ডিজিটাল সেবা। ভূমি মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় তথ্য এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

যা আপনি ঘরে বসেই দেখতে পারবেন এবং সংরক্ষণ করতে পারবেন। বাংলাদেশ সরকার জনগণের দুর্ভোগ ও আর্থিক ব্যয় বিবেচনায় নেয়,

এবং সর্বোপরি বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে ভূমি অফিসের সকল কাজকে একটি ওয়েবসাইটের আওতায় নিয়ে আসে।

আপনি ঘরে বসেই আপনার মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ থেকে সহজেই এই ওয়েবসাইটের সাথে সংযোগ করতে পারেন এবং এখান থেকে যেকোনো ধরনের ডিজিটাল সেবা বা আপনার জমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

খতিয়ান বা পর্চা কত প্রকার?

ই-পর্চা হল একটি রাজস্ব দলিল যা একটি সম্পত্তির সমস্ত জমির মালিকানার বিবরণ লিপিবদ্ধ করে।

এটা রাজস্ব উদ্দেশ্যে সহায়ক. এই নথিগুলি মালিকানা প্রস্তুত করে এবং ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করে।

এটি খতিয়ান নামেও পরিচিত, বাংলাদেশে অনেক ধরনের খতিয়ান রয়েছে।

সমস্ত তথ্য অনলাইনে নথিভুক্ত করা হয়, যেমন ROR নথি, JL নম্বর, CS এবং RS নম্বর, এবং মৌজা এবং খতিয়ান নম্বর। ROR অধিকারের রেকর্ড বোঝায়।

১.সিএস খতিয়ান। (Cadastral Survey)

২.এসএ খতিয়ান । (State Acquisition Survey)

৩.আরএস খতিয়ান। (Re visional Survey)

৪.বিএস খতিয়ান/সিটি জরিপ। (City Survey)

ই-পর্চার সুবিধা

অবশ্যই, আমাদের ই-পর্চার সুবিধাগুলি জানতে হবে। কারণ আমাদের জটিল ও কঠিন কাজগুলো ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে অনেক সহজ হয়ে গেছে। তাই এসব সেবা সম্পর্কে জেনে আমরা আমাদের সময় ও শ্রম কমাতে পারি।

ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার (আইভেক), বাংলাদেশ সকল ব্রাঞ্চের নাম-ঠিকানা-মোবাইল নাম্বার এবং হটলাইন নাম্বার

এছাড়াও আমরা সবাই জানি যে জমি সংক্রান্ত কাজে প্রচুর সময় লাগে। সেক্ষেত্রে আমাদের এই সময় যাতে নষ্ট না হয়,

সেজন্য বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল সেবার ব্যবস্থা করেছে। যেখান থেকে আমরা সহজেই জমির মালিকানা জানতে পারি।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

জমির খাতা নম্বর বা জমির দাগ নম্বর দিয়েও আমরা মালিকের নাম জানতে পারি। এই পরিষেবাটির একটি মজার বিষয় হল যে,

ই-পর্চা ওয়েবসাইটটি মালিকের নামে জমি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানার জন্য জমির মালিকের নাম এবং মালিকের পিতার নাম ব্যবহার করে।

এই তথ্য জানার জন্য অনেক লোক এই পরিষেবাটিকে পছন্দ করে এবং বেছে নেয়।

আপনি যদি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনি এই বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে জানতে সক্ষম হবেন।

অনলাইন ই পর্চা

বর্তমান যুগে ই-পর্চা রেকর্ডগুলি অনলাইনে চেক করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।

আগে সব মালিক তাদের জমির বর্তমান অবস্থা চেক করতে তাদের নিকটস্থ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসে যেতেন। কিন্তু এখন এই চেকিং পদ্ধতি খুবই সহজ হয়ে গেছে।

যে কেউ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে এটি চেক করতে পারেন।

বাংলাদেশ সরকার eporcha.gov.bd login (ই পর্চা লগইন) ওয়েব সার্ভার চালু করেছে। এই সার্ভার থেকে আপনি যেকোন সময় ই-পর্চা , খতিয়ান ও নামজারি চেক করতে পারবেন।

বাংলাদেশি নাগরিকরা অনলাইনে এই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেক করবেন। এজন্য একে ই পর্চা বলা হয়। এখান থেকে আপনি ই-পর্চা সিস্টেম এবং চেকিং পদ্ধতি সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানতে পারবেন।

জমির ই-পর্চা তুলবেন যেভাবে

বাংলাদেশের জমির ই-পর্চা ডাউনলোড করুন: আমাদের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও একটি ডিজিটাল জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন৷ এটা আমাদের দেশের মানুষের উন্নতির জন্য ভালো হবে।

এখন বাংলাদেশী নাগরিকরা সকল জমির মালিকানা www.eporcha.gov.bd এর মাধ্যমে সহজেই তাদের জমির ই-পর্চা স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে, আপনি সহজেই এটি বাড়িতে চেক করতে পারেন। ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি নীচে দেওয়া হল।

১।প্রথমে https://eporcha.gov.bd/khatian-search-panel দেখুন।

২।তারপর, আপনার জেলা এবং বিভাগের নাম নির্বাচন করুন।

৩।তারপরে, নিম্নলিখিত বিভাগ থেকে সঠিক খৈতান প্রকারটি বেছে নিন।

৪।আপনার উপজেলা এবং মৌজা নির্বাচন করুন।

৫।তারপরে, আপনি 4টি বিকল্প পাবেন। খতিয়ান নং, দাগ নং, জমির মালিকের নাম, বা পিতা/স্বামীর নাম। তাদের যেকোনো একটি বেছে নিন এবং সম্পর্কিত ডেটা লিখুন।

৬।অবশেষে, ক্যাপচা কোড লিখুন এবং “অনুসন্ধান করুন” বাটনে ক্লিক করুন।

৭।সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, আপনি দেখতে পাবেন “দাগ” নাম্বার এবং “মালিক/খড়দার” নামের তালিকা।

৮।আবেদন করার জন্য আপনাকে “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

৯।এরপর “অনলাইন কপি” নির্বাচন করুন।

১০।NID নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানার জায়গায় আপনার সমস্ত তথ্য সম্পূর্ণ করুন।

১১।পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এটি আপনাকে পিডিএফ ডাউনলোড বিকল্পে পুনঃনির্দেশিত করবে।

যেখান থেকে, আপনি সহজেই আপনার ই-পর্চার কপি ডাউনলোড করতে পারেন কোনো চার্জ ছাড়াই।

ই-পর্চার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

এটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এই ওয়েব সার্ভারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য প্রদান করবে।

যেমন এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি লেজার, ই-পর্চা, ই-নামজারি ইত্যাদি চেক করতে পারবেন।

আপনি আপনার নাম, অ্যাকাউন্টের ধরন এবং নম্বর এবং জেলার সাথে বিভাগ যেমন তথ্য প্রদান করে এই তথ্যটি চেক করতে পারেন।

ওয়েবসাইটগুলো হলোঃwww.eporcha.gov.bd অথবা www.land.gov.bd।

অন্যদিকে, সাইটটি ভূমি পরিষেবা, ভূমি পরিষেবা ফর্ম, ডিজিটাল গার্ড ফাইল এবং খাতাগুলির জন্য অনলাইন আবেদনও সরবরাহ করে।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

সুতরাং, এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের সকল জমির মালিকানার জন্য খুবই সহায়ক।

ই-পর্চা ওয়েবসাইট নাগরিকদের লগইন করতে হয়। লোকেরা এই সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে এবং তারপরে তাদের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে সকল তথ্য জানার জন্য সকল সার্ভিসের অনুমতি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে আরএস পর্চা

এটি RI visional Severy নামে পরিচিত। মোট জমির পরিমাণ, মূল মালিকের নাম, অধ্যাপকের নাম ইত্যাদি এই বইয়ে লিপিবদ্ধ আছে।

আরএস বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত খাঁটি খাতা। আপনি আপনার আরএস লেজারকে বিভিন্ন প্রকারে চিহ্নিত করতে পারেন।

যেহেতু এটি উন্মুক্ত এবং দুটি পৃষ্ঠা রয়েছে, এখানে প্রদত্ত আরএস দলিলটি জেলার নাম, মৌজা, খাতার সংখ্যা, মালিকের বিবরণ এবং উত্তর সীমান্তের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার অধিকারী।

আপনি ই-পর্চা ওয়েবসাইটে আরএস পর্চা দেখতে পারেন।

ই-পর্চা ডাউনলোড

Jomir Porcha ডাউনলোড: একটি জমির দলিল হল একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যাতে জমি বা সম্পত্তি এবং পূর্ববর্তী জমির মালিকদের নাম সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য থাকে।

ROR জমি পর্চা রেজিস্ট্রেশন এবং ডাউনলোড 2022

www.eporcha.gov.bd বাংলাদেশ সরকারের ভূমি সংস্কার অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইটটি আপনাকে আপনার জমির সমস্ত তথ্য সংগ্রহ (ল্যান্ড পোর্চা রেজিস্ট্রেশন) করতে সহায়তা করে।

এবং সেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে, আপনি আপনার সমস্ত ডাটার জন্য একটি পোর্টাল খুলতে পারেন এবং সেখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন এবং আপনি নাগরিক কর্নার থেকে সমস্ত তথ্য পাবেন।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

সিটিজেন সার্ভিস খোলার পর আপনি আপনার জমির জন্য মিউটেট করতে পারবেন। মিউটেশনের জন্য অফিস অর্থপ্রদান করতে সক্ষম হবে এবং সেখান থেকে সমস্ত তথ্য পড়া যাবে।

আপনি আপনার জমির জন্য ডিজিটাল স্ক্রিন ডাউনলোড করতে পারেন।

ল্যান্ড রেকর্ড (ROR) বিনামূল্যে ডাউনলোডের জন্য অনলাইনে আবেদন করুন এবং ফি প্রদান করুন।

আরও ROR আবেদনের পরে, আপনি GRN এবং অ্যাপ্লিকেশন নম্বর ডাউনলোড করতে পারেন এবং আপনার জমির তথ্য ডাউনলোড করতে পারেন (ডিজিটাল আরএস পোর্চা)

ভূমি সেবার হটলাইন নাম্বার

অনেকেই আছেন যারা ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং ভূমি সেবার সাহায্য নিতে আগ্রহী।

এক্ষেত্রে সরাসরি তাদের কাছে গিয়ে সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অনেকেই মোবাইল কলের মাধ্যমে সেবা পেতে আগ্রহী।

এক্ষেত্রে তাদের ল্যান্ড সার্ভিস হটলাইন নম্বর প্রয়োজন। তাই আমরা এই পোস্টে ল্যান্ড সার্ভিস হটলাইন নম্বর দিয়ে আপনাকে সহায়তা করছি।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে ল্যান্ড সার্ভিস হটলাইন নম্বরে কল করুন। হট লাইন নম্বর হল – 16122

প্রতিটি দেশ এখন এই নতুন ইন্টারনেট যুগে কাজ করছে এবং এর জন্য, তারা ওয়েব পোর্টালগুলির সাহায্যে প্রতিটি সুবিধা প্রকল্পের পদ্ধতি অনলাইনে করার চেষ্টা করছে।

অন্যান্য দেশের মতো, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সরকারি কাজের বিবরণ অনলাইনে উপলব্ধ করেছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় পোর্টাল পরিষেবা তালিকা 2022

ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইন পোর্টালে সমস্ত পরিষেবা প্রদানের জন্য সম্পূর্ণ তালিকাটি দেখুন

  • ভূমি রেকর্ড ও মানচিত্রের ডিজিটালাইজেশন
  • দলিল নিবন্ধন অনলাইন.
  • নাগরিক-কেন্দ্রিক পরিষেবা
  • অনলাইন মিউটেশন প্রয়োগ করুন
  • রেকর্ড প্রস্তুত, হালনাগাদ ও রক্ষণাবেক্ষণ।
  • ISU এর ব্যবস্থাপনা
  • জমির রেকর্ডের প্রত্যয়িত কপি।
  • জমি বন্টন
  • জমির WB রেকর্ড (ROR) আবেদন
  • থিকা প্রজাস্বত্ব
  • মিউটেশন বিজ্ঞপ্তি 30 দিন
  • প্রশিক্ষণ (এলএমটিসি এবং আরটিআই)
  • মৌজা মানচিত্র-অনুরোধ/ উপলব্ধতা
  • ভাড়া নিয়ন্ত্রক
  • খতিয়ান স্ট্যাটাস অনলাইন

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

আশা রাখি সম্পুর্ণ নিবন্ধটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং আপনার যাবতীয় তথ্য খুব সহজে পেয়ে গেছেন।

নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য 2022

নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য

নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য 2022-আপনি কি ঢাকা হতে  চিলাহাটি  এবং চিলাহাটি হতে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের এর টিকিট মুল্, রুট, ট্রেন সিডিউল এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় রয়েছেন।

এখানে আপনি নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের  এর টিকিট মূল্য, যাতায়াতের সময় এবং সাপ্তাহিক বন্ধ তাছাড়া আরো অনেক তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন টি বাংলাদেশ রেলের একটি অন্যতম ট্রেন ব্যবস্থা। আপনি যদি ক্লান্তিহীনভাবে কোন জায়গায় যেতে চান তাহলে আমি বলব ট্রেন একটি অত্যন্ত ভালো যাতায়ত ব্যবস্থা।

ট্রেনে আপনি সব ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকবেন যেমন ট্রেনের মধ্যে নামাজের ব্যবস্থা, খাবারের ব্যবস্থ্‌ শোবার ব্যবস্থা এবং আপনাদের নিজস্ব কেবিন এর ব্যবস্থা রয়েছে যা আপনাদেরকে স্বাচ্ছন্দ্যে এক জায়গা হতে আরেক জায়গায় ক্লান্তিহীনভাবে নিয়ে যাবে।

নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য 2022

আপনি যদি ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তাহলে আমি বলব আপনি ট্রেনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারেন । এতে আপনার যেমন নিজের জীবনের উপর কোন প্রকার ঝুঁকি বা দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা কম এবং তার সাথে আপনার খরচ অন্যান্য যানবাহন এর তুলনায় অনেকাংশে কমিয়ে আসবে।

নিচে নীলসাগর এক্সপ্রেস এর যাতায়াতের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার সঠিক তথ্যটি সংগ্রহ করে আমাদের কষ্টটাকে সার্থক করে তুলবেন।

বর্তমান যুগ হচ্ছে ইন্টারনেটের যুগ তাই আপনাদের সুবিধার্থে গ্রামীণফোন এয়ারটেল রবি বিভিন্ন অপারেটরের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা Gpay অ্যাপের মাধ্যমে এবং রবি এয়ারটেল ব্যবহারকারীরা রবি ক্যাশ অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। আপনারা কিভাবে অনলাইনে টিকিট করে করবেন সেই সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

আপনি চাইলে এই পোস্টের মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করা যায় সেই সম্পর্কে আপনারা অবগত হতে পাবেন। তাছাড়া আপনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ট্রেনের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। তার জন্য আপনাদের কিছু রুলস ফলো করতে হবে, যায এই পোস্টে উপলব্ধ।

নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য ২০২২

এই পোস্টে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে। আপনি চাইলে এখান থেকে ট্রেনের বিভিন্ন আসনের টিকিটের মূল্য জানতে পারবেন। এই ট্রেনে তিন শ্রেণীর টিকিট এর ব্যবস্থা রয়েছে যা নিচে দেয়া হল।

আসন বিন্যাস প্রাপ্ত বয়স্ক অপ্রাপ্ত বয়স্ক
এসি বাথ ১৭৫২ টাকা ১১৭৭ টাকা
স্নিগ্ধা ৯৪৯ টাকা ৬২৭ টাকা
শোভন চেয়ার ৪৯৫ টাকা ৩৩০ টাকা

ঢাকা থেকে চিলাহাটি স্টপেজ স্টেশন এবং চিলাহাটি থেকে ঢাকা স্টপেজ স্টেশন

নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু করে চিলাহাটি পর্যন্ত যে সকল স্টপেজ এ অবস্থান করে সেই সকল স্টপেজ সমূহের নাম এবং সময় নিচে দেওয়া হল। আপনি চাইলেই এখান থেকে ট্রেনটি কখন কোন স্টেশনে অবস্থান করে সে অনুপাতে আপনি ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন

বিরতি স্টেশন এর নাম ঢাকা থেকে (৭৬৫) চিলাহাটি থেকে (৭৬৬)
বিমান বন্দর ০৭ঃ০৭ ০৪ঃ৫৩
জয়দেবপুর ০৭ঃ৩৩ ০৪ঃ২৭
বঙ্গবন্ধু সেতু ০৯ঃ০০ ০৩ঃ১০
মুলাডুলি ১০ঃ৩৯ ০১ঃ৪৫
নাটোর ১১ঃ১৬ ০০ঃ৩৩
আহসানগঞ্জ ১১ঃ৪০ ২৩ঃ৪৫
সান্তাহার ১২ঃ১৫ ২৩ঃ৩০
আক্কেলপুর ১২ঃ৪০ ২৩ঃ০১
জয়পুরহাট ১৩ঃ০৪ ২২ঃ৪৫
বিরামপুর ১৩ঃ৩৬ ২২ঃ১৪
ফুলবাড়ি ১৫ঃ৫০ ২২ঃ০০
পার্বতীপুর ১৪ঃ১৫ ২১ঃ৪০
সৈয়দপুর ১৪ঃ৪২ ২১ঃ০৩
নীলফামারী ১৫ঃ০৫ ২০ঃ৩৯
ডোমার ১৫ঃ২৪ ২০ঃ২১

ঢাকা থেকে চিলাহাটি গামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য সমূহ।

ট্রেন নাম্বারঃ ৭৬৫

ট্রেন রুটঃ ঢাকা -পার্বতীপুর- চিলাহাটি

ছাড়ার সময়ঃ০৬ঃ৪০(সকাল)

স্টার্টিং স্টেশনঃকমলাপুর রেলস্টেশন

আগমনের সময়ঃ১৫ঃ০৫(দুপুর)

চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য সমূহ।

ট্রেন নাম্বারঃ ৭৬৬

ট্রেন রুটঃ চিলাহাটি- পার্বতীপুর -ঢাকা কমলাপুর

ছাড়ার সময়ঃ ২০ঃ০০(রাত)

স্টার্টিং স্টেশনঃ চিলাহাটি

আগমনের সময়ঃ০৫ঃ৩০(ভোর)

নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে কখন কোন স্টেশনে কত সময় ধরে অবস্থান করে তা এই পোস্টে উপলব্ধ।

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকিটের মূল্য, ভাড়ার তালিকা ও বন্ধের দিন 2022

ট্রেনে যাত্রাকালীন সময় ট্রেনের ভেতরে কোনরকম ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলবেন না ।ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে রাখবেন এবং ট্রেনে পরিছন্নতা বজায় রাখবেন। আপনার যাত্রা শুভ হোক ধন্যবাদ।