কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম দেখে নিন

কৃতজ্ঞতা স্বীকার-জীবনে চলার পথে আমরা অনেকের কাছ থেকে নানা রকম সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে থাকি। এ জীবনে চলার পথে আমরা অনেকের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের জীবনটি খুবই স্বল্প হলেও আমরা আমাদের জীবনে নানা রকম সমস্যায় পড়ি এবং এই সমস্যা থেকে অনেকে আমাদের উদ্ধার করে এবং আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি।

এই সাহায্য সহযোগিতা পাবার জন্য আমাদের অনেকের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হয়। কিন্তু আমরা কি কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম জানি? আজকে যদি আপনারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম শিখতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু আপনাদের জন্য। হ্যাঁ বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদেরকে শেখাবো কিভাবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম    ।

কৃতজ্ঞতা অর্থ কি

কৃতজ্ঞতা শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ। যে শব্দটির মূল শব্দ হলো কৃতজ্ঞ। অর্থাৎ শব্দটি কৃতজ্ঞ থেকে এসেছে এবং কৃতজ্ঞ শব্দটি একটি বিশেষণ পদ। কৃতজ্ঞতা অর্থ হলো উপকার মনে রেখে তা স্বীকার করে নেওয়া। অর্থাৎ আপনাকে কেউ যদি কোনরকম উপকার করে থেকে থাকে তাহলে আপনারা সেই উপকর টিকে মেনে নিয়ে তা স্বীকার করাকে কৃতজ্ঞতা বলে।

সবদিক দিয়ে বিবেচনা করে বলা যায় কৃতজ্ঞতা অর্থ হলো মানুষের উপকার কে স্মরণ রাখা এবং তা স্বীকার করে নেওয়া।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম 

কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম

প্রত্যেকটি জিনিস লেখার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম থেকে থাকে ঠিক তেমনি কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম কিছু রয়েছে যা কৃতজ্ঞতা বা পত্র হলো একজনের,রাখতেও একসময় চিঠির অবদান ছিল। পত্রে আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। কৃতজ্ঞতা স্বীকার পত্র লেখার আগে আপনাকে এই নিয়মগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং তারপর সেই নিয়ম অনুসরণ করে কৃতজ্ঞতা পত্র লিখতে হবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম।

  •  সর্বপ্রথম  আপনি যে ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার পত্র লিখছেন তাকে  সম্বোধন করুন কোন ভাল একটি  সম্বোধন শব্দ দিয়ে।  যেমনঃ  প্রিয়,  প্রিয় ভাই,  প্রিয় বোন,  প্রিয় বন্ধু ইত্যাদি।
  • কৃতজ্ঞতা পত্রের  শুরুটা তার খোঁজখবর এবং তাকে অভিবাদন  করুন  যেমন সে কেমন আছে  কোথায় আছে  ইত্যাদি দিয়ে
  • কৃতজ্ঞতা পত্রে সর্বপ্রথম তার উপকার টি স্বীকার করে নিন এবং ভালোমতো উপস্থাপন করুন।  খুব বিনয়ের সাথে তার উপকার টি আপনার জীবনে ভালো একটি প্রভাব ফেলেছে তা উপস্থাপন করুন।
  • খুব সাবলীল ভাবে এবং সহজ ভাষা দিয়ে কৃতজ্ঞতা পত্রটি লিখুন জটিল ভাষা এবং সহজে বোঝা যায় না এরকম ভাষা ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
  • কৃতজ্ঞতা পত্রটি কয়েকটি ভাগে অর্থাৎ কয়টি পর্বে  বিভক্ত করে লিখুন।  এতে করে পাঠক আপনার লেখাটি পড়ে মজা পাবে।
  • যে ব্যক্তির কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছেন তার চরিত্র সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশংসনীয় বাক্য উল্লেখ করতে পারেন।
  • মনে রাখবেন আপনার প্রশংসার জন্য খুব বেশি না হয়ে থাকে।  সীমিত পরিসরে আপনি তার ব্যাপারে প্রশংসা করুন।
  • কৃতজ্ঞতা পত্র লেখার সময় সাবধান থাকবেন যেন কোনরকম বানান ভুল না হয়ে থাকে।
  • এবার একদম শেষে এসে আপনার কৃতজ্ঞতা স্বীকার পত্রের ইতি টানুন এবং সুন্দর একটি বাক্য দিয়ে এটি শেষ করুন। আপনার শেষে এসে নাম প্রকাশ করুন।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম নমুনা 

উপরে আমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের যথেষ্ট ধারণা দিয়েছি বলে আশা করা যায় এখন আমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম নিয়ে আপনাদের মাঝে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নমুনা তুলে ধরব যেন আপনারা লেখার সময় এই নমুনাগুলো দিয়ে আপনার লেখা সুন্দর করতে পারেন।

বড় ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা

প্রিয় ভাই

এটা আসলে আজকে আমাকে বলতেই হচ্ছে জীবনে আমি আপনার মত একজন বড় ভাই পেয়েছি। আমি আপনার ভাই হয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে আজকে আপনার উদ্দেশ্য এই লেখাটি। জানি না কিভাবে নিচ্ছেন। তবে আপনাকে আজ এই লেখা টি না লিখে পাড়ছি না।

ছোট বেলা থেকে বাবা মায়ের পরে আপনাকে একজন শ্রেষ্ঠ অভিভাবক হিসেবে পেয়েছি ভাইয়ের পাশাপাশি। ছোট বেলা থেকেই আপনাকে আমার সব সমস্যায় পেয়েছি। যেমন আমার শ্রেষ্ঠ অভিভাবক ছিলেনে ঠিক তেমনি একজন ভালো বন্ধুও ছিলেন।

আমার জীবনে আমি আপনার মত একজন ভাই পেয়ে  আসলেই কৃতজ্ঞ। পড়াশোনা থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে আমি সর্বদা আপনার সহযোগিতা পেয়েছি। আপনি আমার জীবনে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। আপনাকে আমার সকল বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার আদরের বোন,

ইশিতা

উপহার পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

প্রিয় বন্ধু!

তোমাকে আমার জন্মদিনে এরকম একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বই দেওয়ার জন্য অন্তরের অন্তস্থঃতল থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ” প্যাড়াডক্সিকাল সাজিদ” এবং  “আরিফ আজাদ” যে আমার একজন প্রিয় লেখক এটি স্বরণ রেখে ” প্যাড়াডক্সিকাল সাজিদ ” বই টি আমাকে উপহার হিসাবে দেওয়ার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।

আমাদের এরকম বন্ধুত্ব ঠিকে থাকুক হাজার বছর আমি এই প্রত্যাশা করি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আমি তোমাকেই আমার বন্ধু হিসাবে রাখতে চাই।

তোমার প্রিয় বন্ধু! 

অহনা

শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা

প্রিয় শিক্ষক! 

আসসালামু-আলাইকুম! আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আপনার স্বাস্থের মঙ্গল কামনা করি। আজকের এই লেখা টি শুধু আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ  করার জন্য। জানিনা আপনি এটিকে কিভাবে নিচ্ছেন তবে আজকে আমার এই লেখাটি লিখতে হচ্ছে কেননা আমি আসলেই গর্বিত আপনাকে আমার শিক্ষক হিসেবে পেয়ে।

বাবা মায়ের পর আপনার উপকার আমি কখনোই ভুলবো না আপনার কাছ থেকে আমার অনেক কিছু শেখা জীবনের চলার পথে আপনার সাথে আমার অনেক কিছু শেখা হয়েছে যা অন্য কারো কাছ থেকে শিখতে পারিনি কোনোভাবেই। আপনি আমকে এমন ভাবে শিখিয়েছেন যা হয়তো অন্য কারো কাছ থেকে কখনোই পেতাম না। আজকে আপনাকে বলতেই হচ্ছে প্রিয় শিক্ষক আপনার জন্য আজকে আমার সফলতা।

আজকে আমি আপনার কছে কৃতজ্ঞ! আপনার মত শিক্ষক যেন সবাই পায়।

 আপনার আদরের শিক্ষার্থী,

সৌরভ

শেষ কথা

কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করলাম এবং আপনাদের মাঝে কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়মের নমুনা তুলে ধরলাম আপনারা এই নমুনাগুলো আপনার লেখার সময় কাজে নিতে পারেন আপনি এর থেকে ভাল লিখতে পারলে অবশ্যই সেটি ভালো ফলাফল দিবে।

আজকে এ পর্যন্ত দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে এসে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আমাদের এই ছোট্ট ওয়েবসাইটটির সঙ্গেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Comment