এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার পদ্ধতি

এফিলিয়েট মার্কেটিং-ইতিমধ্যে অনেকের কাছে এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি পরিচিত শব্দ!  ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি বা ফেসবুকিং করার সময় হয়তো আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু না কিছু শুনে থাকবেন।

হ্যালো আসসালামুআলাইকুম!  বিডি টেক রুম থেকে  একজন অথর বলছি। আজকে যদি আপনারা এভিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আপনাকে স্বাগতম।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আমাদের জানার আগ্রহ প্রায় অনেকেরই আছে। তো যাদের জানার আগ্রহ আছে তারা অবশ্যই আমাদের আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি আপনারা সবাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

নিজের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ ইত্যাদি দিয়ে অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোট করার মাধ্যমে সেল দিয়ে যে প্রমোশন পাওয়া যায় সেই প্রোমোশন পাওয়ার প্রক্রিয়াটাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।শুনতে একটু কঠিনতম হলেও কাজটি যখন আপনারা শুরু করবেন তখন আপনার কাছে সহজে মনে হবে।

যখন আপনার কাছে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা দর্শনার্থী ভালো থাকবে। তখন আপনারা যদি চান অন্য কোন ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট (যেমনঃ দারাজ, টেন মিনিট স্কুল ইত্যাদি) আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রমোট করে সেল দিয়ে দিতে পারেন এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে সহজ ভাষায় এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।

বর্তমান সময়ে অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত হচ্ছেন। আপনি যদি এখনো যুক্ত না হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এর পুরো কার্যকলাপ এবং সুযোগ-সুবিধা দেখে অবশ্যই যুক্ত হতে চাইবেন। অনেকের কাছে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পূর্ণ নতুন একটা বিষয় তো এই নতুন বিষয়টিকে আপনাকে একদম গোড়া থেকে জানতে হবে।

এক কথায় এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সংজ্ঞা  নিজের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদিকে মাধ্যম বানিয়ে অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোশনের মাধ্যমে সেল দিয়ে যে প্রোমোশন পাওযায় তাকে মার্কেটিং বলে।

একটি উদাহরণঃ

ধরুন আমাদের বিডি টেকরুম ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এক হাজারের উপরে ভিজিটর আসে। এখন আমি চাচ্ছি আমার এই ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে। তো যখন আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং করব তখন অন্যান্য ওয়েবসাইট যেগুলো প্রোডাক্ট সেল দেয় যেমন আমাজন দারাজ টেন মিনিট স্কুল তাদের এক এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে আমি রেজিস্টার করার পর সেখান থেকে আমাকে সেই প্রোডাক্টটির একটি প্রোমোশনাল লিংক দেওয়া হবে।

তখন আমি আমার ওয়েবসাইটের যেগুলো কন্টেন্ট পাবলিশ করি সেই কনটেন্ট গুলোর মাঝে আমি সেই প্রমোশনাল এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করব। যখন কোন ভিজিটর আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে এবং সেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক অনুসরণ করে তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে কোন পণ্য কিনবে। তখন সেই পণ্যের কেনা বাবদ আমি কিছু কমিশন পাব।  যেমনঃ ১০% ১৫% ২০% ইত্যাদি৷ এই প্রমোশন আমার একাউন্টে যুক্ত হবে এবং আমি তাদের ওয়েবসাইট থেকে সেই টাকা যে কোন মেথডে উত্তোলন করতে পারব।

এই প্রসেসটিকে একত্রে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে পারি। আশা করি উদাহরণটি আপনাদের বোধগম্য হয়েছে।

ইতিমধ্যে হয়তো আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো জানতে আগ্রহশীল হচ্ছেন। তো এখন আপনার জন্য  আমরা আলোচনা করব এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এই বিষয়টি নিয়ে।

মার্কেটিং শুরু করতে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে কেননা এই কাজটি অল্প সময়ের কোন কাজ নয় আপনাকে প্রথমত ধৈর্যশীল হতে হবে এবং আপনাকে এপ্রিল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে জানতে হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে যা যা লাগবে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দরকার হবে। এগুলো অবশ্যই আপনাকে আপনার সাথে রাখতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে যে সকল বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ যথাঃ

  • একটি ফেসবুক পেজ,  ইউটিউব চ্যানেল বা  ওয়েবসাইট।
  • ফেসবুক পেজ ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইটে  ভালো পরিমাণে ট্রাফিক।
  • ইন্টারনেট কানেকশন।
  • একটি ভালো ডিভাইস। ( আপনারা চাইলে মোবাইল ফোন দিয়েও করতে পারবেন)

উপরের সকল বিষয়ের প্রতি আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং আপনার উপরের বিষয়গুলো যদি থাকে তাহলে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমঃ  ফেসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইট

এফিলেট মার্কেটিং করতে সর্বপ্রথম এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যম আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। আপনি চাইলে ফেসবুক ইউটিউব ওয়েবসাইট এগুলো সাহায্য নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। তো আপনার যদি একটি ভাল পরিমাণে ফেসবুক পেজ থাকে বা একটি ইউটিউব চ্যানেলে ভালো সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউ থাকে এবং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসে তাহলে আপনারা এই ট্রাফিক বা ভিজিটরদেরকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করতে পারবেন।

ফেসবুক পেজ

 বর্তমান সময়ে ফেসবুকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে। আপনি যদি ফেসবুক পেজকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করতে চান তাহলে প্রথমত আপনাকে একটি ভালো মানের ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে।  যেখানে আপনার ফলোয়ার বা অডিয়েন্স সংখ্যা লাখখানেকের মত। এখানে সংখ্যা দিয়ে কোন কিছু নির্ধারণ করা যায় না। আপনি যদি চান আপনার এক হাজার অডিয়েন্সকে কাজে লাগিয়েও। মার্কেটিং করতে পারেন। তো সব সময় খেয়াল রাখবেন আপনার পেইজে যেন সব অডিয়েন্সগুলো একটিভ থাকে এবং আপনার কনটেন্ট প্রতিনিয়ত ভালো মানে রিস পাই তাহলে আপনারা সেই কন্টেন্টের মাধ্যমে এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে উপার্জন করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল 

ইউটিউব চ্যানেলে আপনারা এডসেন্সের পাশাপাশি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও উপার্জন করতে পারবেন। সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ভালো সাবস্ক্রাইবার সংখ্যক ইউটিউব চ্যানেল দরকার হবে। যেখানে আপনার কনটেন্ট গুলো হাজার খানেক মানুষ দেখে তো আপনারা সেই কন্টেন্টের মাঝে আপনার এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন বর্তমান সময়ে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করছে এবং অনেক ইউটিউবার রয়েছে যারা মাসে হাজার হাজার ডলার ইউটিউব চ্যানেলকে কাজে লাগিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে উপার্জন করছে।

 ওয়েবসাইট 

আপনার যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট থেকে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় অনেক ব্লগার ওয়েবসাইট কে কাজে লাগিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে। এছাড়াও আপনার যে কোন ওয়েব সাইটে আপনি চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। তো এ বিষয়ে আপনাকে মেইন যে জিনিসটা লাগবে সেটি হল আপনার ভালো মানের ট্রাফিক।

ইন্টারনেট কানেকশন

বর্তমানে হয়তো আপনার ইন্টারনেট কানেকশন সম্পর্কে সবাই অবগত আছেন।  তো এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যেহেতু আপনাকে অনলাইনে কাজ করতে হবে সেহেতু আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন গ্রহণ করতে হবে। তো যখন আপনার ইন্টারনেট কানেকশন গ্রহণ করবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার কানেকশন যেন ভালো কোয়ালিটির হয়ে থাকে পরবর্তীতে আপনারা ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে ভালো মানের সার্ভিস পান।

ভালো ডিভাইস

বর্তমান সময়ে যারা অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত কার্যাবলীতে যুক্ত রয়েছে প্রায় সবাই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে। আপনার যদি একটি ভালো কম্পিউটার বা ল্যাপটপে থাকে তাহলে আপনারা সেটিকে আপনার মার্কেটিং এর মাধ্যম বানিয়ে উপার্জন করতে পারবেন। আর আপনারা যদি মোবাইল ফোন দিয়ে উপার্জন করতে চান তাহলেও সম্ভব আপনারা যদি ভালো ডিভাইস ব্যবহার করেন তাহলে আপনার কাজের গতি আরো বাড়বে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো 

 ধাপঃ- ১

সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ  ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে হবে। এরপর আপনার ফেসবুক পেজ ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইটে ভালো ভিজিটর বা অডিয়েন্স কালেক্ট করতে হবে।

ধাপঃ- ২

ইন্টারনেটে অনেকগুলো এফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে। তো সেই এফিলিয়েট প্রোগ্রামে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং সেখান থেকে পাওয়ার লিংক সংগ্রহ করতে হবে

গুরুত্বপূর্ণ এফিলিয়েট প্রোগ্রাম

  • অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (Amazon)
  • ওয়ান নেটওয়ার্ক ডিরেক্ট এপিলিয়েট প্রোগ্রাম ( One Network Direct)
  • কমিশন জংশন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (Commission Junction)
  • ইন ভেটো মার্কেট এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (Envato Market )
  • লিংক শেয়ার এফিলিয়েট প্রোগ্রাম ( Linkshare)
  • দারাজ এফিলিয়েট প্রোগ্রাম <(Daraz)
  •  টেন মিনিট স্কুল এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (Ten minute school)

 ধাপঃ- ৩

তারপর সেই লিংক আপনার ফেসবুক পেজ ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইটের কনটেন্টে যুক্ত করতে হবে।

ধাপঃ- ৪

আপনার লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি উল্লেখিত এফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এবং কোন কিছু কেনে তাহলে আপনারা সেখান থেকে কিছু পারসেন্ট প্রমোশন পাবেন।

ধাপঃ- ৫

সেই প্রোমোশনের অর্থ আপনার একাউন্টে জমা হবে এবং আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট অনুসারে পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা 

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা সম্পর্কে বলতে গেলে  বলা যায় এর সুবিধা খুবই গ্রহণযোগ্য এবং এর সুবিধা এর জন্য অনেক মানুষের মার্কেটিং খুব সহজে করছে।

কোনরকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। এতে করে আপনার কোন জায়গায় টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না এবং আপনার রিস্ক থাকবে না।

আপনি আপনার ফেসবুক পেজ থেকে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম ওয়েবসাইট এবং ইউটিউবের এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকামের পাশাপাশি  অপশনাল হিসেবে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। এটাকে আপনারা একটি বাড়তি আয় ও বলতে পারেন।

 এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সকল কার্যাবলী অনলাইনে হওয়ায় আপনারা ঘরে বসে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি  দিয়েও আপনারা চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন এবং সেখান থেকেই আশানুরূপ উপার্জন করতে পারবেন।

অনলাইনে পেমেন্ট মেথড থাকায় আপনার পেমেন্ট পেতে কোনরকম ভোগান্তি পোহাতে হবে না।  আপনার বাড়িতে বসেই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা  যেকোনো অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।

একদম ঘড়ে বসেই আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। আপনার কাজ হবে আপনার অডিয়েন্স দের মাঝে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করা এবং যে সকল অডিয়েন্স আপনার সেই লিংকে ক্লিক করে  কোন প্রোডাক্ট কিনবে তা থেকে উপার্জন হবে। তাহলে বলতেই পারেন এটিকে বসে বসে উপার্জন করা।

এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলাদেশ

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে। অনেকেই ইতিমধ্যে বাংলাদেশেও অনেকগুলো এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখান থেকে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন করতে পারবেন। যেমনঃ

দারাজ এফিলিয়েট মার্কেটিং (Daraz) : বাংলাদেশী শপিং মার্কেটপ্লেস দারাজ এখান থেকে আপনারা আপনাদের এফিলিয়েট লিংক ক্রিয়েট করে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এফিলেট মার্কেটিং করতে পারবেন। এটি বাংলাদেশে অন্যতম এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট। যেখানে আপনারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। যেমনঃ পোশাক, ইলেকট্রনিক, হার্ডয়্যার, টেকনোলজি রিলেটেড ইত্যাদি।

টেন মিনিট স্কুল এফিলিয়েট মার্কেটিং ( Ten minutes school) : বাংলাদেশে আরো একটি জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট টেন মিনিট স্কুল। যেখানে আপনারা আপনার  ডিজিটাল প্রোডাক্ট  মার্কেটিং করতে পারবেন। যেমনঃ কোর্স। তো বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে এটি খুবই জনপ্রিয় একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট। যেখান থেকে আপনি লিংক প্রমোশন করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণের উপার্জন করতে পারেন।

এছাড়াও আরো অনেক লোকাল একিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েব সাইটে রয়েছে। তো আমি আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট বাংলাদেশের মধ্যে তুলে ধরলাম।

আর দেখুন>>>অনলাইনে জিডি (GD)করার নিয়ম

আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং

আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের দুইটি এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি। এখন আমরা একটি বিদেশী বা ইন্টারন্যাশনাল এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কথা বলব। আমাজনের নাম আপনারা হয়তো সবাই শুনে থাকবেন। আমাজন হল ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস যেখানে নানারকম পণ্য কেনাবেচা হয়ে থাকে।  আপনারা শুনে খুশি হবেন যে এরকম একটি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম যুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ আপনারা এমাজনের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক মানুষ আমাজনের মাধ্যমে এপ্রিলয়েড মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করছে। তো আপনারা চাইলেও আমাজনের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা 

ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস হওয়ায় আপনারা সারা বিশ্বের  মানুষদের সামনে এই এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারবেন অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে বা অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট করার মাধ্যমে যদি বিদেশি ভিজিটর আসে তাহলে আপনারা  সেই বিদেশী ভিজিটর দিয়ে  আমাজনের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন।

 যেহেতু এখানে নানারকম এবং বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল হয়ে থাকে। সেহেতু আপনার আপনারা যে কোন প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে পারবেন।

ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইটে আপনারা যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন।  তাহলে আপনার  প্রত্যেক প্রমোশনে ভালো পরিমাণে উপার্জন হবে।

আমাজন একটি ট্রাস্ট কেনাবেচার ওয়েবসাইট। তাই আপনার পেমেন্টে কোন রকম অসুবিধা হবে না এবং বাংলাদেশী  এফিলেট মার্কেটিং ওয়েবসাইট থেকে আপনারা দ্বিগুণ উপার্জন করতে পারবেন।

এফিলিয়ে মার্কেটিং এর জন্য জনপ্রিয় প্রোডাক্ট 

সঠিক এবং জনপ্রিয় প্রোডাক্ট বাছাই করার মাধ্যমে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে দ্বিগুণ উপার্জন করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে প্রোডাক্ট নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে এবং আপনাকে এমন প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে হবে যেগুলোর মান বর্তমানে জনপ্রিয় এবং চাহিদা ভালো মানের।

নিচে কিছু জনপ্রিয় এবং চাহিদা পূর্ণ এফিলিয়েট প্রোডাক্ট দেওয়া হলঃ

  • ডোমেইন হোস্টিং 
  •  ওয়ার্ডপ্রেস থিম বা ব্লগার টেমপ্লেট
  • মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ
  • সময়োপযোগী জামা কাপড়
  • বইপত্র
  • নানারকম ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমন কোর্স 

এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং চাহিদা সম্পন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট নির্বাচন করে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে অবশ্যই লাভবান হবেন।

পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ এফিলিয়েট মার্কেটিং টিপস

ভালো মানের  ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ করা ।

যে কনটেন্টে আপনারা এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করবেন সেই কনটেন্টকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করবেন। যেন ভিজিটররা পড়ে বা দেখে  সন্তুষ্ট হয়।

ভালো মানের এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট নির্ধারণ করতে হবে আপনার সুবিধা অনুযায়ী।

ভালো মানের এফিলিয়েট প্রোডাক্ট যে প্রোডাক্টগুলো চাহিদা সম্পন্ন এবং জনপ্রিয় সেগুলো নির্বাচন করতে হবে।

নির্দিষ্ট কিছু ট্রাফিককে টার্গেট করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক মানুষের মনে নানা রকম প্রশ্ন থেকে থাকে। তো সেই প্রশ্নগুলো থেকে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো?

এই প্রশ্নটির উত্তর খুবই সহজ। কেননা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনারা খুব সহজেই উপার্জন করতে পারবেন। অন্যান্য যে সকল পদ্ধতি রয়েছে উপার্জন করার সে সকল পদ্ধতি থেকে একটি তুলনামূলক সহজ এখান থেকে উপার্জন করা। তাই আপনাকে বলতে  পারি কোনরকম পরিশ্রম ছাড়াই যদি আপনি উপার্জন করতে চান তাহলে ফিলিয়েট মার্কেটিং করুন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কত টাকা লাগে ?

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোন রকম ইনভেস্টমেন্ট করতে হয় না অর্থাৎ কোন টাকার প্রয়োজন হয় না আপনারা বিনা ইনভেস্টে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

 অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রভাল এর জন্য কি রিকোয়ারমেন্ট দেওয়া থাকে?

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম রিকোয়ারমেন্ট দেওয়া থাকবে। তাই আপনি যে ওয়েবসাইটের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন সেই ওয়েবসাইটে ভালোভাবে রিকোয়ারমেন্ট গুলো পড়ে নিবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে তেমন কোন বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে না। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রাখলেই আপনার মার্কেটিং করতে পারবেন। আর এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে এই কনটেন্টে আমরা সকল বিষয় তুলে ধরেছি তাই আমাদের কনটেন্টটি পড়লেই আপনারা বুঝতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়? 

ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিন্ন ভিন্ন পার্সেন্টেজ দেওয়া হয় হয় অর্থাৎ আপনারা যে ওয়েবসাইটের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সেই ওয়েব সাইটে নির্দিষ্ট এবং প্রোডাক্ট অনুযায়ী নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ দেওয়া থাকে সেটি হতে পারে ১০% ১৫% বা ২০%৷

Leave a Comment