টেরিবল টু | বাচ্চার অতিরিক্ত জেদ কীভাবে সামলাবেন?

প্রতিটি শিশুই আলাদা। একেকজনের বেড়ে ওঠার পরিবেশ, আচরণ, মানসিক বিকাশ খুব স্বাভাবিকভাবেই ডিফারেন্ট হবে। শিশুর বয়স যখন দুই বছরের কাছাকাছি চলে আসে, তখন তার বদমেজাজী হয়ে উঠা বা অল্পতেই রেগে যাওয়া খুব কমন একটি ব্যাপার। আপনার যদি দুই বছর বা তার কাছাকাছি বয়সের কোনো বাচ্চা থেকে থাকে, তাহলে ‘টেরিবল টু’ টার্মটির সাথে আপনি হয়তোবা পরিচিত। হুট করেই কি আপনার বাচ্চা রেগে যাচ্ছে, অতিরিক্ত জেদ করছে? কীভাবে সামলাবেন এই পরিস্থিতি? চলুন জেনে নেই আজ।

টেরিবল টু কি স্বাভাবিক বিষয়?
দুই বছর বা তার কাছাকাছি বয়সের বাচ্চাদের কিছু আচরণগত পরিবর্তন দেখা যায়। এটি শিশুর বিকাশের একটি স্বাভাবিক পর্যায়। এই বয়সী কোনো বাচ্চার ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন, সব কিছুতেই ‘না’ বলা ও ছোটখাটো বিষয়ে চিৎকার করা – এই বিষয়টিকেই শিশু বিশেষজ্ঞরা ‘টেরিবল ২’ নামে আখ্যায়িত করেছেন। এই ধাপটি খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তাই যারা বাচ্চার এই ফেজ নিয়ে চিন্তিত, তারা কীভাবে এই পরিস্থিতি সহজে সামলে উঠবেন তা নিয়েই আজকের আর্টিকেলে কিছু টিপস শেয়ার করবো।

টেরিবল টু

এই ফেজ কখন শুরু হয়?
সাধারণত ১৮ মাস শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের মধ্যে টেরিবল ২ এর কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ শিশু ২ থেকে ৩ বছর বয়সের মধ্যে আক্রোশ ও বিরোধীতা প্রদর্শন করতে শুরু করে। এই লক্ষণগুলো সাধারণত ৩/৪ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে পারে। অনেক বাবা-মা এই সময়ে বেশ হতাশ হয়ে যান, তবে মনে রাখতে হবে বাচ্চাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিরই একটি অংশ এটি।

টেরিবল টু এর লক্ষণ কী?
এর কমন লক্ষণ হলো যে আপনার বাচ্চাকে আপনি যা করতে বলবেন তাতে সে রিঅ্যাক্ট করবে, অকারণেই জেদ করবে। বাবা-মায়েরা খুব সহজেই এই আচরণগত পরিবর্তন চিহ্নিত করতে পারেন। জামাকাপড়/ ডায়পার চেঞ্জ না করতে চাওয়া, খেলনা ছুড়ে ফেলা, জোরে কান্নাকাটি, ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন, খেতে বা ঘুমাতে না চাওয়া, এমনকি বেশি রেগে গেলে কামড়ানো, আঘাত করা ইত্যাদি টেরিবল টু এর সাধারণ লক্ষণ। এই সময়ে বাচ্চারা নিজের মনের ভাব পুরোপুরি বোঝাতে পারে না, তাই খুব সহজেই তাদের মেজাজের পরিবর্তন ঘটে।

কীভাবে সামলাবেন?
ধৈর্য ধরুন
বাচ্চা যতই জেদ করুক না কেন, আপনাকে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। কারণ আপনিও যদি সেই সময়ে রেগে যান তাহলে বাচ্চা ভয় পাবে কিংবা আরও বেশি অ্যাগ্রেসিভ বিহেভ করবে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে, এই সময়টা কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হবে না। বাচ্চা জেদ করলে ইগনোর করুন এবং অন্যদিনে তার মাইন্ড ডাইভার্ট করার ট্রাই করুন।

টেরিবল টু

পজেটিভ থাকুন
সন্তানের সাথে সবসময় ইতিবাচক আচরণ করা উচিত। এতে সে পজেটিভ মাইন্ড নিয়ে বড় হয়। ভালো কিছু করলে প্রশংসা করা ও ভুল করলে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেওয়া ইতিবাচক আচরণের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো আপনার সন্তানকে শেখাবে কোন আচরণ গ্রহণযোগ্য ও কোনটি নয়। ছোট থেকেই সে পজেটিভ মেন্টালিটি নিয়ে বড় হবে।

তাকে চয়েস অপশন দিন
বাচ্চার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এটা বোঝাতে মাঝেমধ্যে তাকে ‘চয়েস অপশন’ বা যেকোনো দু’টি থেকে একটি বেছে নিতে বলুন। তাকে প্রায়োরিটি দিন, তবে এই বয়সে শিশুকে কোনো কিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ দিবেন না, সিদ্ধান্ত আপনারই নিতে হবে।

রুটিন সেট করুন
এই বয়সে বাচ্চারা নিয়ম-কানুন মেনে চলতে চায় না। কিন্তু বাবা-মায়ের উচিত তার রুটিন সেট করে দেওয়া। খাওয়ার সময় খাওয়া, ঘুমের সময় ঘুম ও খেলার সময় খেলা। বাচ্চাকে অর্গানাইজড ওয়েতে বড় করার পারফেক্ট সময় এটি। রুটিনে যখন বাচ্চা অভ্যস্ত হয়ে যাবে, তখন আপনারই সুবিধা হবে।

বাচ্চার রুটিন সেট করা

কাজে উৎসাহী করে তুলুন
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে ২ বছর বয়সে বাচ্চারা তাদের ফিলিংস কন্ট্রোল করা শিখতে পারে যদি তাদের প্রোপার ট্রেইনিং দেওয়া যায়। বাচ্চা যখন ভালো কাজ করবে, সঠিক আচরণ করবে; তখন তাকে পুরস্কৃত করুন ও বাহবা দিন। তাহলে সে এই কাজে আরও উৎসাহী হয়ে উঠবে। খেলনা গুছিয়ে রাখা, গাছে পানি দেওয়া, নিজের হাতে খাওয়া, কাপড় ভাজ করে রাখা- এই ধরনের কাজে তাকে উৎসাহ দিন। এতে তার অস্থিরতা কমবে।

কখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টেরিবল টু স্টেজ বাচ্চার জন্য একদম স্বাভাবিক বিষয় এবং আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা রয়েছে। তবে বাচ্চার কিছু অস্বাভাবিক আচরণ, যেমন – রাগের বসে মাথায় আঘাত করা, নিজেকে আঁচড় দেওয়া বা দেওয়ালে আঘাত করা, ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা ইত্যাদি যদি বার বার করতে থাকে, তাহলে দ্রুত একজন চাইল্ড নিউরোলজিস্টের সাথে কনসাল্ট করুন। আপনার শিশুর যদি ডেভেলপমেন্টাল ডিলে থাকে, কমান্ড না ফলো করে, সেই সাথে চঞ্চলতা অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায়, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে

লাহোর প্রস্তাব কী ? লাহোর প্রস্তাবের মূল বিষয়বস্তু এর পটভূমি ও ফলাফল বর্ণনা করো।

লাহোর প্রস্তাব কী ? লাহোর প্রস্তাবের মূল বিষয়বস্তু এর পটভূমি ও ফলাফল বর্ণনা করো।

ভূমিকা: ২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত একটি অধিবেশনে লাহোর প্রস্তাবটি প্রস্তাব করা হয়েছিল। যা ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা ছিল। বাংলার বিখ্যাত বাঘ শেরেবাংলা ফজলুল হক এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। লাহোর প্রস্তাবের মূল বিষয় ছিল মুসলিম অধিকার ও স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

লাহোর প্রস্তাব

২৩ মার্চ, ১৯৪০ সালে, ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিখিল ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন লাহোরে আহ্বান করা হয়েছিল। . সেই অধিবেশনে, বিখ্যাত বেঙ্গল টাইগার রাজনীতিবিদ এবং বাংলার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ভারতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে একাধিক রাজ্য গঠনের দাবি নিয়ে প্রস্তাব পেশ করেন, তাই এটি লাহোর প্রস্তাব নামে পরিচিত। লাহোর অধিবেশনে গৃহীত হওয়ায় প্রস্তাবটিকে অবাস্তব বলে অভিহিত করা হয়। এই প্রস্তাবের ফলে ভারতে রাজনৈতিক ও শাসন আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়। যা ধীরে ধীরে ভারত ভাগের দিকে নিয়ে যায়।

লাহোর প্রস্তাবের পটভূমি

নিম্নে লাহোর প্রস্তাবের পটভূমি রয়েছে-

(১) ব্রিটিশ সরকারের ঘোষণা

১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্রিটিশরা মুসলমানদের একটি পৃথক জাতি হিসেবে ভাবতে শুরু করে। ১৯০৯ সালের মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন মুসলমানদের জন্য সাম্প্রদায়িক লাইনে নির্বাচনের অনুমতি দেয়। এরপর ইংল্যান্ডের হাউস অফ লর্ডসে লর্ড মর্লে ঘোষণা করেন যে ভারতীয় মুসলমানরা শুধুমাত্র একটি পৃথক ধর্মই অনুসরণ করে না বরং জীবনধারা ও সামাজিক আচরণের দিক থেকে একটি পৃথক জাতির সমান।

(২) স্যার সৈয়দ আহমদের ভূমিকা

উনিশ শতকের শেষ দিকে, স্যার সৈয়দ আহমদ খান ভারতীয় রাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতার বীজ বপন করেছিলেন। তিনি প্রথমে বলেন যে ভারত দুটি ভিন্ন জাতি দ্বারা বসবাস করে। সেজন্য তিনি মুসলমানদের হিন্দু অধ্যুষিত কংগ্রেসে যোগ দিতে নিষেধ করেছিলেন।

(৩) লক্ষ্মৌমুক্তি এবং জিন্নাহর চৌদ্দ দফা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ও পরে ভারতের মুসলমানরা স্বাধীন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। লক্ষ্মৌ চুক্তি ও ১৪ দফায় এর প্রতিফলন ঘটেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, উলামারা সম্প্রদায়ের রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছিলেন এবং মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদকে আরও শক্তিশালী করেছিলেন। ফলস্বরূপ, লাহোর প্রস্তাব পেশ করা হয় মুসলমানদেরকে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

(৪) হিন্দুদের প্রভাব

ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বারা মুসলিম সম্প্রদায় নানাভাবে নির্যাতিত হয়। শুধু তাই নয়, যেসব প্রদেশে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল সেখানে মুসলমানদের তুলনায় হিন্দুরা বেশি সুযোগ-সুবিধা পেত এবং ব্যবসা, প্রশাসন, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুসলমানদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। পশ্চাৎপদ মুসলিম সমাজে সব দিক দিয়ে সমাধান।

(৫) ১৯৩৭ সালের নির্বাচন

১৯৩৫ সালের ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে, মুসলিম লীগ দুটি প্রদেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। সাতটি প্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠন করে কিন্তু এই সাতটি প্রদেশের একটিতেও কংগ্রেস সরকার মুসলিম লীগের কোনো সদস্যকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দেয়নি। এতে মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। এই অসন্তোষের ফলে লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হয়।

লাহোর প্রস্তাবের মূল কথা

লাহোর প্রস্তাবের মূল বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো–
(১) ভৌগলিকভাবে সংলগ্ন এলাকাগুলিকে পৃথক এলাকা হিসাবে গণ্য করা হবে৷

(২) মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়ে উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব ভারতের সমস্ত অঞ্চলে কয়েকটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।

(৩) এই সমস্ত স্বাধীন রাষ্ট্রের অঞ্চলগুলি সার্বভৌম এবং স্বশাসিত হবে৷

(৪) ভারত এবং নবগঠিত মুসলিম রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিক এবং অন্যান্য অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষার সামগ্রিক ব্যবস্থা সংবিধানে থাকতে হবে।

(৫) দেশের যে কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় উল্লিখিত বিষয়গুলোকে মৌলিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

লাহোর প্রস্তাবের ত্রুটি

(১) লাহোর প্রস্তাবে স্বাধীন রাষ্ট্র এবং সার্বভৌম শব্দগুলি এমনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে যে তাদের প্রকৃত অর্থ আবিষ্কার করা খুব কঠিন।

(২) ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা নিয়ে কয়েকটি স্বাধীন রাজ্য গঠনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যগুলি স্বতন্ত্রভাবে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বা রাষ্ট্র হবে কিনা তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি
শুধুমাত্র একটি ফেডারেশন ধরনের রাজ্য থাকবে।

(৩) এই প্রস্তাবে অখণ্ড রাষ্ট্রের কোনো উল্লেখ নেই। দুটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের পরিকল্পনা লক্ষ্য করা যায়। একটি হল উত্তর-পশ্চিম ভারতের সিন্ধু, বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এবং কাশ্মীর। অন্যটি হল উত্তর-পূর্ব ভারতের বাংলাদেশ ও আসামের সমন্বয়।

(৪) ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত, জিন্নাহ একাধিক রাজ্যকে লাহোর প্রস্তাব হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। পরে পাকিস্তান নামের একটি দেশের কথা বলেন। ১৯৪৪ সালে জিন্নাহ এবং গান্ধীর মধ্যে বৈঠকে, জিন্নাহ একটি মুসলিম রাষ্ট্রের কথা বলেছিলেন এবং তিনি গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে প্রদেশগুলি সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে কিনা। তাই লাহোরের প্রস্তাব ছিল অস্পষ্ট।

আরো পড়ুন…১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা কর

লাহোর প্রস্তাবের তাৎপর্য ও ফলাফল

লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব ও ফলাফল নিম্নরূপ-

(১) মুসলিম লীগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব

লাহোর প্রস্তাবের ফলে, মুসলিম লীগ উপমহাদেশে কংগ্রেসের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। ফলে ব্রিটিশ সরকার মুসলিম লীগের পাশাপাশি কংগ্রেসের দাবিকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে। ফলে সকল মুসলমান মুসলিম লীগের ছায়াতলে আসতে থাকে।

(২) নতুন নীতি ও স্বাধীনতা আইন পাস

লাহোর প্রস্তাবের ফলে ভারতীয় রাজনীতি নতুন দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে ভারতের সামাজিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ব্রিটিশ সরকার মনে করেছিল যে ভারতে একক রাষ্ট্র সৃষ্টি এই সংকটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। ফলস্বরূপ, ১৯৪৭ সালে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাস হয়, যা ভারতীয় রাজনীতিতে একটি নবজাগরণ ঘটায়।

(৩) স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব

১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব ব্রিটিশ ভারতে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্মকে চিহ্নিত করে। অর্থাৎ জাতিগত সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে ভারত ও পাকিস্তান দুটি রাষ্ট্রের জন্ম স্পষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে উপমহাদেশে ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে স্বাধীন ভারতের অভ্যুদয় ঘটে।

(৪) ‘স্বাধীন’ শব্দের প্রথম ব্যবহার

ভারতের রাজনৈতিক ও কর্তৃত্ববাদী ইতিহাসে ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এই প্রস্তাবের আগে ভারতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের প্রধান দাবি ছিল স্বায়ত্তশাসন। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে, ‘স্বাধীন’ শব্দটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে মুসলিম লীগ প্রথমবারের মতো ব্যবহার করে।

(৫) বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বীজ

বলা হয়, ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবে বাংলাদেশের বীজ নিহিত ছিল। স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। পূর্ব বাংলায়, স্বায়ত্তশাসনের জন্য সমস্ত আন্দোলন ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের দিকে নির্দেশ করে। ১৯৫৪ সালের ২১-দফা কর্মসূচি এবং ১৯৬৬ সালের ছয়-দফা কর্মসূচিতে লাহোর প্রস্তাবের সরাসরি উল্লেখ ছিল। তাই বলা যায় লাহোর প্রস্তাবে বাংলাদেশের বীজ নিহিত ছিল।

(৬) ঐতিহাসিক ছয় দফাসহ মুক্তি আন্দোলনের জন্য লাহোর প্রস্তাব

লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির ঐতিহাসিক ৬ দফা সনদ জারি করেন। আর এই ৬ দফার ওপর ভিত্তি করে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়। যার চূড়ান্ত ফল ছিল মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন।

আরো পড়ুন..১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি, গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোচনা করো

উপসংহার:

পরিশেষে বলা যায় যে লাহোর প্রস্তাব ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। রাজনৈতিক অঙ্গনে মুসলিম লীগের আবির্ভাব হয় নতুন পন্থা নিয়ে। পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর ঘোষণার প্রতিধ্বনি করে, মুসলিম লীগ ঘোষণা করেছিল, “ভারত দুটি দল নয়; বরং তিনটি দল এবং মুসলিম লীগ তাদের মধ্যে একটি।” উপমহাদেশে দ্বিজাতিবাদের প্রসার ঘটেছিল মূলত লাহোর প্রস্তাবের কারণে।কংগ্রেস ও হিন্দু নেতারা বিভিন্ন কারণে লাহোর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করতে থাকে।

বিভিন্ন স্থানে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গাও হয়।এই প্রস্তাবের ফলশ্রুতিতে ব্রিটিশরা সরকার বুঝতে পেরেছিল যে এই উপমহাদেশে হিন্দু ও মুসলমানদের একক রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অধীনে আনা সম্ভব নয়।অবশেষে, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংগ্রামের মধ্যে 1947 সালে পাকিস্তান জাতির জন্ম হয়।নিঃসন্দেহে লাহোর প্রস্তাব এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি, গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোচনা করো

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি, গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ভূমিকা-ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি বাঙালির জীবন ইতিহাসে অহংকার ও গৌরবের স্মৃতিময় একটি ঘটনা। এই ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে একটি গৌরবের কাহিনী গাঁথা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ১৯৪৭ সালের পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের জনগণের স্বাধিকার আন্দোলনের পদক্ষেপ এর সূচনা হয়|  

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের ফলে সৃষ্টি হয় দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের , একটি হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান। দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হওয়ার পরেই শুরু হয় দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে মানবিক বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তানে মানুষের উপর শুরু করে মানবিক অন্যায় অত্যাচার। তারা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়। তারা পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত দিতে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে তারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানায়। তারা বাঙালির মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চায়।

১৯৪৮ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জোরালো ভাবে ঘোষনা করেন যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা| বাঙালি ছাত্র-জনতা প্রচন্ডভাবে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। বাংলা ভাষাকে রক্ষা করার জন্য তারা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন।

আরো পড়ুন>>১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা কর

১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দানে যখন খাজা নাজিমুদ্দিনের কথার পুনরাবৃত্তি করেন তখন বাঙালি ছাত্র-জনতা একুশে ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট আহ্বান করেন। এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়| রফিক রফিক সালাম জব্বার বরকত সহ নাম-না-জানা আরো অনেকে নিহত হন। এরই মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি

  নিচে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

১. অফিস আদালতে উর্দু ভাষার ব্যবহার: পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই মুসলিম লীগ সরকার বাঙালি জাতির উপর বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচার শুরু করেন। ৫৬ ভাগ লোকের মাতৃভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও অফিস-আদালতে ইংরেজি উর্দু ব্যবহারের পাশাপাশি পোস্টকার্ড প্রকৃতির মতো ছোটখাটো জিনিসে উর্দু ব্যবহার হতে থাকে।

এভাবে সরকার বাঙ্গালীদের অনুভূতিতে আঘাত হানে। ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর গঠিত তমুদ্দুন মজলিশ সর্বপ্রথম বাংলা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেন।

২. গণপরিষদে  ইংরেজি ও উর্দুর ব্যবহার: ১৯৪৮ সালের ২৩ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার পূর্বেই হবে গণপরিষদের ভাষা। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকে গণপরিষদে ব্যবহার করার দাবি উত্থাপন করেন। কিন্তু তারা এ দাবি মানেনি। এরই প্রতিবাদে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ সারাদেশব্যাপী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন করে এবং বিক্ষোভ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল করে।

আরো পড়ুন>>লাহোর প্রস্তাব কী ? লাহোর প্রস্তাবের মূল বিষয়বস্তু এর পটভূমি ও ফলাফল বর্ণনা করো।

৩. জিন্নাহর ঘোষণা: পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন যে urdu and urdu shall be the state language of pakistan. আর অন্য কোন ভাষা নয়| জিন্নাহর এ সমস্ত উক্তি বুদ্ধিজীবী ও ছাত্র মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এর প্রতিক্রিয়ায় পূর্ববাংলায় তুমুল বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়|

৪. আরবি হরফে বাংলা লেখার ব্যবহার: বাংলা ভাষাকে বিভিন্নভাবে অপদস্ত করা ছাড়াও পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষাকে বিকৃত করার উদ্দেশ্যে আরবি হরফে বাংলা লেখার উদ্যোগ গ্রহণ করে| এতে বাঙালি জনগণ আরো বেশি ক্ষোভে ফেটে পড়ে।

৫. খাজা নাজিমুদ্দিনের ঘোষণা: ১৯৫২সালের ২৬জানুয়ারি পল্টন ময়দানের জনসভায় পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেন যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এরই প্রতিবাদে ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্রজনতা প্রতিবাদ দিবস পালন করে। তারা ৩১ জানুয়ারি সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে।

 ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম| ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিচে আলোচনা করা হলো।

  1. বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ: ভাষা আন্দোলনে বাঙালি জাতীয়তার ঐক্যসূত্র গৃহীত হয় অতি দৃঢ়ভাবে| বাঙালিরা এ কই জাতিসত্তা  বাধা,ভাষা আন্দোলন এটাই প্রমাণ করে। ভাষা আন্দোলন কে তাই বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ এর অন্যতম উপাদান বলা যায়।
  2. অধিকার সচেতনতাবোধ: ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালিরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার শিক্ষা পায়। এর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি অন্যায় অত্যাচার ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের শিক্ষা লাভ করেন।

3.সংহতি ও একাত্মবোধ: ভাষা আন্দোলন বাঙ্গালীদের জাতীয় জীবনে সংহতি ও একাত্মবোধ এর জন্ম দেয়| শুধু  ছাত্ররাই নয় কৃষক শ্রমিক বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর এক কাতারে শামিল হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জেগে ওঠে।

  1. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি: ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পূর্ব বাংলায় হিন্দু মুসলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়। তারা অসাম্প্রদায়িক হওয়ার শিক্ষা লাভ করে।

 5.রাজনীতিতে মধ্যবিত্তের অংশগ্রহণ: ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই পূর্ববাংলার প্রভাবশালী অংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর রাজনীতিতে অংশগ্রহণ শুরু হয় এবং রাজনীতির মূল কেন্দ্র বিন্দুতে মধ্যবিত্ত শ্রেণি উঠে আসে।

  1. শহীদ মিনার স্থাপন: ভাষা আন্দোলনের ফলে শহর ও গ্রামে অসংখ্য শহীদ মিনার স্থাপিত হয় এবং প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
  2. স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা: স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার  বীজ নিহিত ছিল ভাষা আন্দোলনের মধ্যে| এই আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙ্গালী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা লাভ করে এবং স্বাধীনতা অর্জন করে|
  3. বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি: ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। ১৯৬২ সালের সংবিধানে বাংলা ভাষাকে বহাল রাখা হয় ,ফলে বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

আরো পড়ুন>>লাহোর প্রস্তাব কী ? লাহোর প্রস্তাবের মূল বিষয়বস্তু এর পটভূমি ও ফলাফল বর্ণনা করো।

 উপসংহার:

 পরিশেষে বলা যায় যে ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষার জন্য আন্দোলন নয় ,এ আন্দোলন বাঙালি জাতির জীবনের একটি সামগ্রিক আন্দোলনের ফল স্বরূপ। এ আন্দোলন ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হলেও এর রাজনৈতিক প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। আন্দোলনের পর থেকেই বাঙালিরা ধাপে ধাপে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে সংগ্রামের পথে অগ্রসর হয় এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিতে সক্ষম হয়।

রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটের সকল আন্তঃনগর ট্রেনের নতুন সময়সূচী,টিকিটের মূল্য এবং যাত্রাবিরতি ষ্টেশন 2022

রাজশাহী টু পঞ্চগড় ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া

রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটের সকল আন্তঃনগর ট্রেনের নতুন সময়সূচী,টিকিটের মূল্য এবং যাত্রাবিরতি ষ্টেশন 2023

রাজশাহী -ঢাকা-রাজশাহী রুটের আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী 2023-রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে চলাচলকারী সকল

আন্তঃনগর ট্রেনের নতুন সময়সূচী,টিকিট ও টিকিটের মূল্য এবং যাত্রাবিরতি ষ্টেশনের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আজকের প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে।

রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের মাধ্যমে যেতে চাইলে এই প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আজ আমরা রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে চলাচলকারী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের কথা বলব। আপনি কি রাজশাহী থেকে ঢাকা

এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের সকল ট্রেন সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় রয়েছেন।কারণ

এই নিবন্ধে আমরা শুধু রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে চলাচলকারী সকল আন্তঃনগর ট্রেন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব।

এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে চলাচলকারী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী, ছুটির দিন, টিকিটের মূল্য

এবং রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী যাত্রার সময় ট্রেনগুলো কোন কোন স্টেশনে কত মিনিট বিরতি দিয়ে থাকে, ট্রেনের সুবিধা সহ অন্যান্য সব তথ্য তুলে ধরব।

রাজশাহী টু ঢাকা এবং ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের তালিকাঃ

রাজশাহী টু ঢাকা এবং ঢাকা টু রাজশাহী রুটে মোট ৪ টি আন্তঃনগর ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে থাকে।আপনারা যারা রাজশাহী টু ঢাকা এবং ঢাকা টু রাজশাহী রুটে চলাচল করতে চাচ্ছেন,

কিন্তু কোন কোন ট্রেন এই রুটে চলাচল করে থাকে তা যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আপনাকে অনেক বিভ্রান্তির মুখে সম্মুখীন হতে হবে।

তাই আপনাদের যাতায়তের সুবিধার্তে আমাদের আজকের এই পোস্ট। নিচে রাজশাহী টু ঢাকা এবং ঢাকা টু রাজশাহী রুটে চলাচলরত আন্ত;নগর ট্রেনের নাম এবং ট্রেন নম্বর প্রকাশ করা হলো।

১। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস(ট্রেন নং-৭৫৩/৭৫৪):

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের মাঝে অন্যতম একটি ট্রেন। ট্রেনটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা কমলাপুর রেলষ্টেশন থেকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিয্যবাহী মহানগরী রাজশাহী রেলষ্টেশনের মধ্যে চলাচল করে থাকে।এই ট্রেনটি অত্যাধুনিক ও বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি ২০০৩ সালের ১৪ই আগষ্ট চালু হয়।

সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচীঃ

আপনি কি ঢাকা থেকে রাজশাহী এবং রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এ নিবন্ধটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।

এই নিবন্ধে আপনি সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও বন্ধের দিন সম্পর্কে জানতে পারবেন। নিচে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী টেবিল আকারে প্রকাশ করা হলো।

ট্রেন

নং

উৎস প্রস্থানের সময় গন্তব্য প্রবেশের সময় সাপ্তাহিক

ছুটি

৭৫৩ নং আপ সিল্কসিটি এক্সপ্রেস কমলাপুর,ঢাকা ১৪:৪৫ রাজশাহী ২০:৩৫ রবিবার
৭৫৪ নং ডাউন সিল্কসিটি এক্সপ্রেস রাজশাহী ০৭:৪০ কমলাপুর, ঢাকা ১৩:৩০

রাজশাহী -ঢাকা-রাজশাহী রুটের আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী 2023

সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি ষ্টেশনঃ

সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা -রাজশাহী রুটে চলাচলের সময় ১২ টি ষ্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে থাকে।

বিরতি ষ্টেশন ঢাকা থেকে রাজশাহী থেকে
ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ১৫ঃ১২  ১২ঃ৫৩
জয়দেবপুর জংশন ১৫ঃ৪৮ ১২ঃ২৫
মির্জাপুর ১৬ঃ২৬ ১১ঃ৩৬
টাঙ্গাইল ১৬ঃ৫৮ ১১ঃ০৯
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব জংশন ১৭ঃ১৯ ১০ঃ৪৭
শহীদ এম মনসুর আলী ১৭ঃ৫৫ ১০ঃ০৩
জামতৈল জংশন ১৮ঃ০৬ ০৯ঃ৫২
উল্লাপাড়া ১৮ঃ২৯ ০৯ঃ৩৮
বড়াল ব্রীজ ১৮ঃ৫৭ ০৯ঃ১২
চাটমোহর ১৯ঃ১৩ ০৮ঃ৫৭
ঈশ্বরদী বাইপাস ১৯ঃ৩৫ ০৮ঃ৩৬
আব্দুলপুর জংশন ১৯ঃ৫০ ০৮ঃ২০

২। পদ্মা এক্সপ্রেস( ট্রেন নং-৭৫৯/৭৬০)

 বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের মাধ্যে অন্যতম একটি ট্রেন সার্ভিস। ট্রেনটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে বাংলাদেশের অন্যতম মহানগরী রাজশাহীর মাঝে যাতায়াত করে। এটি একটি বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ১৯৯৯ সালের  ১৫ সেপ্টেম্বর চালু হয়।

পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচীঃ

যে সকল বন্ধুরা ঢাকা থেকে রাজশাহী এবং রাজশাহী থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।

সে সকল বন্ধুদের জন্য আজকের এই নিবন্ধটি সাজানো হয়েছে। পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও বন্ধের দিন জানার জন্য নিচের টেবিলটিতে চোখ রাখুন।

রাজশাহী -ঢাকা-রাজশাহী রুটের আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী 2023

ট্রেন

নং

উৎস প্রস্থান গন্তব্য প্রবেশ সাপ্তাহিক

ছুটি

৭৫৯ কমলাপুর ২৩:০০ রাজশাহী ০৪:৩০ মঙ্গলবার
৭৬০ রাজশাহী ১৬:০০ কমলাপুর ২১:৪০

৩। ধুমকেতু এক্সপ্রেস(৭৬৯/৭৭০)

ধুমকেতু এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৬৯/৭৭০) হল বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত ঢাকা-রাজশাহী রুটে তৃতীয় বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন।

ট্রেনটিতে এসি স্লীপার কোচ ২ টি,এসি চেয়ার কোচ ২ টি,নন এসি চেয়ার কোচ ১০ টি,পাওয়ার, গার্ডব্রেক এবং লাগেজ ক্যারিয়ার সংযুক্ত কোচ ২ টি,

একটি চালকের গাড়ি এবং গার্ড ব্রেক সহ ২টি ডাইনিং কার রয়েছে। ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানী থেকে ৩৪৩ কিলোমিটার দূরে রাজশাহী পৌঁছাতে সময় নেয় ৫ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।

ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

এখানে আমরা ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী নিয়ে আলোচনা করব। ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন সপ্তাহে পাঁচ দিন চলাচল করে। দুই দিন বন্ধ থাকে।

ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ০৬টায় ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে রাজশাহী ষ্টেশনে ১১ঃ৪০ মিনিটে প্রবেশ করে এবং ছুটির দিন হলো বৃহষ্পতিবার।

একইভাবে রাজশাহী থেকে যাত্রা শুরু হয় 23:20 এবং ঢাকা পৌঁছায় 04:45 মিনিটে । ছুটির দিন শুক্রবার। আপনার সুবিধার জন্য, স্টেশনের নাম ছুটির দিন, প্রস্থানের সময় এবং আগমনের সময় একটি টেবিল আকারে দেওয়া হয়েছে।

ট্রেন

নং

উৎস প্রস্থান গন্তব্য প্রবেশ সাপ্তাহিক

ছুটি

৭৬৯ কমলাপুর ০৬:০০ রাজশাহী ১১:৪০ বৃহষ্পতিবার
৭৭০ রাজশাহী ২৩:২০ কমলাপুর ০৪:৪৫ বুধবার

আপনি যদি ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে ভাড়ার তালিকা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।কম খরচে, নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণ উপলব্ধ থাকার কারণে ট্রেন ভ্রমণ অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় বেশি জনপ্রিয়।

রাজশাহী -ঢাকা-রাজশাহী রুটের আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী 2023

৪। বনলতা এক্সপ্রেস(৭৯১/৭৯২)

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের মাঝে অন্যতম একটি ট্রেন। ট্রেনটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা কমলাপুর রেলষ্টেশন থেকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিয্যবাহী মহানগরী রাজশাহী রেলষ্টেশনের মধ্যে চলাচল করে থাকে।

এই ট্রেনটি অত্যাধুনিক ও বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি ২০১৯ সালের ২৫শে এপ্রিল বৃহষ্পতিবার চালু হয়।

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচীঃ

বনলতা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৯১/৭৯২) বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি বিরতিহীন এবং আধুনিক আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করে।

একটি বিরতিহীন ট্রেন হিসেবে, বনলতা এক্সপ্রেস ঢাকা-রাজশাহী রুটের অন্যান্য ট্রেনের মতো মাঝপথে থামে না, এটি ঢাকা-রাজশাহী যাত্রীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেনে পরিণত হয়েছে।

ট্রেন

নং

উৎস প্রস্থান গন্তব্য প্রবেশ সাপ্তাহিক

ছুটি

৭৯১ কমলাপুর ১৩:৩০ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১৯:৩০ শুক্রবার
৭৯২ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ০৬:০০ কমলাপুর ১১:৩০

ট্রেনে ভ্রমণের খরচ অন্যান্য পরিবহনে ভ্রমণের খরচের তুলনায় অনেক কম। ফলে অনায়াসে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে সব শ্রেণীর মানুষ। অন্যদিকে, দীর্ঘ দূরত্বের তুলনায় ট্রেনের অনেক সুবিধা রয়েছে।

যা অন্য কোনো পরিবহনে নেই। অনেকের কাছে পরিবহনের সর্বোত্তম মাধ্যম হল ট্রেন। তাই বলা যায়- রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ২৪৫ কিঃমি দীর্ঘ রেলপথ ট্রেন যাত্রাই সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।

খাদ্য সেবাঃ

প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের সাথে খাবারের বগী সংযুক্ত থাকে। করিডোর দিয়ে ট্রেনের যেকোনো প্রান্ত থেকে খাবারের বগীতে গিয়ে  খাবার সংগ্রহ করা যায়। সকল খাবারের মূল্য তালিকা খাবারের বগীতে টাঙ্গানো  থাকে।

এখানে বার্গার, কেক,চিপস, স্যান্ডউইচ, প্যাটি, রোল, পাউরুটি, চা, কফি, কাটলেট, সেদ্ধ ডিম, ফ্রায়েড চিকেন, কাবাব সিঙ্গারা, সামুচা, বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয় এবং পানি পাওয়া যায়। দৈনিক সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনও পাওয়া যায়।

অন্যান্য সুবিধাঃ

আন্তঃনগর ট্রেনগুলো নামাযের জন্য নির্ধারিত জায়গা রয়েছে। কতর্ব্যরত গার্ডের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স রয়েছে। টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ট্রেন থেমে থাকা অবস্থায় টয়লেট ব্যবহার না করা ভালো।

প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকেন। যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

রাজশাহী -ঢাকা-রাজশাহী রুটের আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী 2023

যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া।

ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া। এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা রয়েছে।

মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হয়। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ঢাকা,চট্রগ্রাম,খুলনা,রাজশাহী,সিলেট,বরিশাল,রংপুর এর ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর

সুন্দরবন কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর:-সুন্দরবন কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস/Sundarban courier and parcel Service-সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস বাংলাদেশের একটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নত দেশেও এর বিস্তার লাভ করেছে। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পণ্য আদান প্রদান করা হয়। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সার্ভিস ব্যবস্থা অনেক ভালো।

আজকেও আমরা বরাবরের ন্যায় নতুন একটি টপিক্স নিয়ে হাজির হয়েছি। যে সকল বন্ধুরা বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় আপনাদের মহামূল্যবান কোন পণ্য পার্সেল করতে চান তাহলে এই নিবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে অনুসরণ করুন। এখানে আমরা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সকল শাখা সমূহের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সহ বিভিন্ন তত্ত্ব তুলে ধরবো। আপনারা চাইলে এখান থেকে আপনাদের কাঙ্খিত তত্ত্বটি সংগ্রহ করে আপনাদের মহামূল্যবান কোন পণ্য পার্সেল করতে পারেন।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে মোট ৮২৫ টি ব্রাঞ্চ চালু করেছে। যেখানে ২০ লাখেরও বেশি কাস্টমার রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস বাইরের ২৫ টি দেশে পার্সেল সরবরাহ করে থাকেন।

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগ সকল শাখা সমূহের নাম ও ঠিকানা
এখানে আমরা ঢাকা বিভাগের সকল সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের স্বামীর নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর সহ বিভিন্ন তত্ত্ব তুলে ধরেছি। আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার সঠিক তথ্যটি সংগ্রহ করতে পারেন।সুন্দরবন কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস/Sundarban courier and parcel Service

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম এর সকল শাখা সমূহের নাম ও ঠিকানা
চট্টগ্রাম শহর একটি বাণিজ্যিক এলাকা। বাইরের দেশ থেকে কোন পণ্য যদি বাংলাদেশে আপনারা  আনতে চান তাহলে সুন্দরবন কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস একটি ভাল মাধ্যম

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর

Branch Name Division Office Address Contact Number
Ati Bazar
Dhaka Ati Bazar, Keranigonj, Dhaka

01936003086

Bangla Bazar
Dhaka 34/2, Northbrook Hall Road, Madrasah Market, Bangla Bazar, Dhaka-1100

01936008150

Babu Bazar
Dhaka Alif Lam Mim Complex, Babu Bazar, Dhaka

01952255671

Banani
House-135, Road-13, Block-E, Banani, Dhaka ০১৭৪২৫১১৮০৮
Banasree
1, R-10, B-C, Banasree, Dhaka

01952255685

Chamelibagh
26 Chamelibagh, Near Twin Tower, Chamelibag, Dhaka

029357873, 01716327552

Dhaka (Head Office)
Head Office, 24-25, Dillkusha, Dhaka-1000.

01974524118, 01324727899

Dhanmondi
House No: 741, Road No: 9/A, Underground of Mina Bazar, Under Uttara Bank

01963603060, 029136184

Dohar
Lota Khola, Korom Ali More, Dohar, Dhaka

01718068831

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর

Branch Name Division Office Address Contact Number
Dilkusha
Dhaka 7 Dilkusha, Motijheel, Dhaka.

01936003204

EPZ,Dhaka
Majid Tower, (Ground Floor) Near Eastern Bank, South Side of Ashulia Thana, Baipail

01936003165

Hemayetpur, Savar
Hemayetpur, Saver

01936008137

Jigatala
15/G Jigatala, Siddiq Mention(1st Floor)

01936008302

Kawran Bazar
Ground Floor, 4 Kawran Bazar Link Road, AJ Tower, Dhaka.

02-55014034

Khilgaon
Khilgaon, Dhaka

01936003264

Kalabagan
01 No Lek Sarkas, Mama Halim Building (2nd Floor), Kalabagan

01936008121

Kallayanpur
4 No South Kallyanpur, In Back of Sohrab Petrol Pump, Kallyanpur, Dhaka

01936003175

Kamarpara
115/126, Dour Chowrasta, Turag Thana Road, Infront Prottasha Bridge, Kamarpara, Dhaka.

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর

Keraniganj
Dhaka Keraniganj,Dhaka

01838592726, 01192021810

Lalbagh
Dhaka 19 Shayesta Khan Road, Lalbag, Dhaka

01936003153

Lost and Found Store
Dhaka 7 Dilkusha C/A, Beside Biman Office, West Side of Shilpo Montronaloy, Motijheel-1000

01973043188

Mirpur-10
Dhaka Mirpur 10 Goal Chattor, In Back of Fal Potti, Dhaka

01974259544, 01936008351

Mirpur-11
Dhaka Section 6, Block- C, Behind Nokia Care, Mirpur 11, Dhaka

01963603043

Mirpur 1
Dhaka Ananda Enterprise, 11 No. Somit Bhaban, 1 No. Super Market, (Bus Stand), Mirpur 1, Dhaka 1216

01552456119

Mirpur-6 Hub
Dhaka House- 38/2, Lane – 1, Block – A, Mirpur-06

09678119131

Mugdah
Dhaka 1/30/Ga/1, South Mugdapara, WASHA Road, Mugdha, Dhaka

01936008411

Mohammadpur,DHK
Dhaka Mohammanpur Branch,16/2,Azam Road,Sohid Park Jamme Mosjeed,Dhaka-1207

01936006514

সুন্দরবন কুরিয়ার অ্যান্ড পার্সেল সার্ভিস খুলনা বিভাগের সকল শাখা সমূহের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার যে সকল বন্ধুরা খুলনা বিভাগে অবস্থান করেন সে সকল বন্ধুদের এই টপিকটি অনেক কাজে আসবে।আপনারা যারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আপনাদের মহামূল্যবান কোন পন্য পার্সেল করতে চান তাহলে সুন্দরবন কুরিয়ার অ্যান্ড পার্সেল একটি উত্তম মাধ্যম।

এখানে আপনারা সুন্দরবন কুরিয়ার অ্যান্ড পার্সেল সার্ভিস খুলনা বিভাগের সকল শাখা সমূহের নাম ঠিকানা এবং যোগাযোগের নাম্বার টেবিল আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার নিকটস্থ শাখা সমূহের অবস্থান জেনে এবং সেখানকার মোবাইল নাম্বার এ যোগাযোগ করে আপনার পণ্য কিংবা ডকুমেন্ট পার্সেল করতে পারেন।

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর

Branch Name

Division

Office Address

Office Type

Contact Number

Boyra
Khulna Boyra More, Khulna

Branch

01956373897

Doulatpur, Khulna
Khulna Parsha Bhaban, Khan-e Sabur Road, Daulatpur Bus Stand, Khulna.

Branch

01936003351

Fulbari Gate, Khulna
Khulna Fulbari Gate, Kulna

Branch

01923062754

Khulna Biman Office, Khulna
Khulna New Market, Opposite of Cats Eye Show Room, 27, Khan-e Sabur Road, Upazila Sadar, Khulna.

Branch

01936003285

Khulna
Khulna Biman Bhobon, Opposite site of New Market

Branch

01963603051

Nerala, Khulna
Khulna Nirala More, Khulna

Branch

01753105762

Shib Bari, Khulna
Khulna KDA, EX Building, KDA Avenue, Shibbari Mor, Khulna.

Branch

01979575490

রেডেক্স(RedEx) কুরিয়ার সার্ভিস বাংলাদেশ এর কাষ্টমার কেয়ার নাম্বার, শাখা সমূহ ও সার্ভিস চার্জ 2022

DHL-courier-service-bangladesh সার্ভিস পয়েন্ট ,ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য 2023

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য 2023

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী,টিকিটের মূল্য,যাত্রা বিরতি ২০২২-হ্যালো বন্ধুরা ,আজকেও আমরা বরাবরের ন্যায় নতুন একটি টপিক্স নিয়ে হাজির হয়েছি।যে সকল বন্ধুরা সিলেট এবং চট্রগ্রাম শহরে ঘুরতে যেতে চান এবং যে সকল বন্ধুরা সিলেট ও চট্রগ্রামে বসবাস করেন তাদের সুবিধার্তে আমাদের আজকের নিবন্ধনটি সাজানো হয়েছে।

আপনি যদি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট এবং সিলেট থেকে চট্রগ্রাম ট্রেনের মাধ্যমে যেতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।ট্রেন ভ্রমণ সবার জন্য উপভোগ্য। প্রকৃত অর্থে প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভব করার সুযোগ পাওয়া যায় ট্রেন ভ্রমনের মাধ্যমে।

ট্রেন ভ্রমনের সময় ট্রেনের ভেতরের পরিবেশ এবং বাহিরের পরিবেশ মিলে সবকিছুই অনেক আনন্দের হয়ে থাকে। আজ আমরা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের কথা বলব। আপনি কি পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ছুটির দিন, ভাড়া তালিকা, স্টেশন বিরতির সময় খুঁজছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আমি এই পোস্টের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য তুলে ধরব।

ঢাকা-সিলেট-ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী,টিকিটের মূল্য 2023

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত করে মূলত সিলেট এবং চট্রগ্রাম রুটে। অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত খুবই সহজ ও আরামদায়ক। ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার মত।

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

এখানে আপনি পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন।পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিয়মিত চট্টগ্রাম থেকে সিলেট এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রাম 6 দিন নিয়মিত চলাচল করে। এই ট্রেনটি প্রতি সোমবার বন্ধ থাকে।

এর মানে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে একদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। অন্যদিকে সপ্তাহে ছয় দিন নিয়মিত চট্টগ্রাম থেকে চট্টগ্রামের রুটিন চলে। এই ট্রেনে প্রতি শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য 2023

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নম্বর ৭১৯ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে সকাল 09:00 টায় ছেড়ে যায় এবং বিকেল ০৫:০০ টায় সিলেট পৌঁছায়। আবার ৭২০ নম্বর নিয়ে সিলেট থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে সকাল 10:15 মিনিটে ছাড়ে এবং চট্টগ্রামে 19:35 এ পৌঁছায়।

এই যাত্রায় প্রায় 9 ঘন্টা সময় লাগে। চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রুটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক ছুটি সোমবার এবং সিলেট থেকে চট্রগ্রাম রুটে সাপ্তাহিক ছুটি শনিবার।

আপনাদের সুবিধার্তে নিচে টেবিল আকারে প্রকাশ করা হলো

ট্রেন

নং

উৎস

প্রস্থান

গন্তব্য

প্রবেশ

সাপ্তাহিক

ছুটি

৭১৯ চট্টগ্রাম ০৯:০০ সিলেট ১৮:০০ সোমবার
৭২০ সিলেট ১০:১৫ চট্টগ্রাম ১৯:৩৫ শনিবার

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন বিরতি ষ্টেশন ও সময়সুচী 2023

এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে যাওয়ার জন্য অনেকেই এই ট্রেনে উটে থাকেন। ট্রেন ভ্রমণের জন্য ষ্টেশন বিরতির সময়সূচী খুবই গুরুত্বপূর্ণ।পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি ষ্টেশন ও সময়সুচী বলতে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট যাওয়ার পথে কোন স্টেশনে থামে এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কোন স্টেশনে বিরতি দিয়ে থাকে এবং তা কত মিনিটের জন্য থেমে থাকে তা বোঝায়।

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য 2023

যে সকল বন্ধুরা এক স্টেশন থেকে নিকটবর্তী কোন ষ্টেশনে যেতে চান, তাদের জন্য এই ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী জানা খুবই জরুরি।চট্রগ্রাম-সিলেট এর ভ্রমণ দূরত্ব ৩৭৭ কিলোমিটার (২৩৪ মাইল)।পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য ১৪ টি স্টেশনে বিরতি দিয়ে থাকেন। এছাড়াও অলস পূর্ণ ভ্রমণ থেকে বাঁচতে স্টেশন বিরতি সময়সূচী সম্পর্কে জেনে রাখুন।

বিরতি ষ্টেশন ও সময়সুচী নিচে দেওয়া হলো

বিরতি ষ্টেশন এর নাম

ছাড়ায় সময়

পৌছানোর সময়

ফেনী

১০ঃ৩১

১৭ঃ৫০

নাঙ্গলকোট

১১ঃ০৪

১৭ঃ২১

লাকসাম

১১ঃ২৫

১৭ঃ০০

কুমিল্লা

১২ঃ০৫

১৬ঃ৩২

কসবা

১২ঃ৪৭

১৫ঃ৪২

আখাউড়া

১৩ঃ২০

১৫ঃ১০

হরষপুর

১৩ঃ৫৫

১৪ঃ১৯

নওয়াপাড়া

১৪ঃ১৯

১৩ঃ৪০

শায়েস্তাগঞ্জ

১৪ঃ৪৫

১৩ঃ১২

শ্রীমঙ্গল

১৫ঃ২৬

১২ঃ২৯

ভানুগাছ

১৫ঃ৪৯

১২ঃ০২

শমসের নগর

১৬ঃ০০

১১ঃ৫৫

কুলাউড়া

১৬ঃ২৬

১১ঃ২৪

মাইজগাঁও

১৭ঃ০৮

১০ঃ৫৩

এই ট্রেনে 12টি বগি এবং চারটি আসন রয়েছে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কেবিন এবং এসি চেয়ার রুম রয়েছে।

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভ্রমণ দূরত্ব 36 কিমি (234 মাইল) এবং টিকিটের মূল্য ব্যয়বহুল নয়। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি সেকশন রয়েছে। প্রতিটি বিভাগের জন্য টিকিটের মূল্য আলাদা। আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টিকিট কিনতে পারেন। টিকিট কেনার জন্য টিকিট কাউন্টারে আসতে পারেন। আবার, আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে টিকিট কিনতে পারেন।

আমরা পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের নির্দিষ্ট টিকিটের দাম কমিয়েছি। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস টিকিটে প্রচুর ক্লাস আছে। পাহাড়িকা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস টিকিটের মূল্য তার আসনের বিভাগের উপর ভিত্তি করে। এই ট্রেনের টিকিট 120 টাকা থেকে শুরু হয় এবং 700 টাকায় শেষ হয়৷ নীচের চার্টে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেখুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের জন্য বেছে নিন৷

টিকিটের মূল্য নীচের টেবিলে দেওয়া হলো

আসন বিভাগ

টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট)

শোভন চেয়ার

৫০৫ টাকা

স্নিগ্ধা

৯৬৬ টাকা

এসি সিট

১১৫৬ টাকা

এসি বার্থ

১৭৮১  টাকা

আরো জানতে ক্লিক করুন>>>

পহেলা বৈশাখ 2023- পহেলা বৈশাখের কবিতা, ছবি, ইংরেজি কত তারিখ

পহেলা বৈশাখ 2023

প্রিয় ভিউয়ার্স আপনাদেরকে জানাই অগ্রিম বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন টিকে আমরা পহেলা বৈশাখ বলে থাকি। আজকে আমরা পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা যারা পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বাংলা নববর্ষ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি।

আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব বাংলা নববর্ষ কে চালু করেন, পহেলা বৈশাখ কিভাবে উদযাপন করি, পহেলা বৈশাখ 2020 ইংরেজি কত তারিখ, পহেলা বৈশাখের কবিতা, পহেলা বৈশাখের ছবি ও ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি বৈশাখ সম্পর্কে বা পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে যদি সঠিক তথ্য পেতে চান তাহলে আজকে আমাদের এই কনটেন্টে সম্পূর্ণ পড়ুন।

আরো জানুন..

শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন 2023

বাংলা নববর্ষ কে চালু করেন

বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালীদের কাছে একটি প্রাণের উৎসব। বাঙালিরা নিজেদের নতুন করে সাজিয়ে নিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় এই বাংলা নববর্ষের দিনে। অর্থাৎ বাংলা নতুন বছরের সূচনা যেদিন হয়, সে দিন কে আমরা বাংলা নববর্ষ বলি। বাংলা বৈশাখ মাসের প্রথম তারিখ অর্থাৎ পহেলা বৈশাখকে আমরা বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালন করি। এই বাংলা নববর্ষ কে চালু করেন, কখন চালু হয়, এ নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে।

বাংলা নববর্ষ চালু করেছিলেন মুঘল সম্রাট আকবর। সিংহাসনে আহরণের পূর্বেই বাংলা নববর্ষ চালু করেন। কিন্তু তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন আহরণ এর পরবর্তী সময়ে। সম্রাট আকবর ১৫৮৪ সালে বাংলা নববর্ষ প্রবর্তন করেন কিন্তু ১৬৫৬ সালের ৫ নভেম্বর তিনি যেদিন সিংহাসন আহরণ করেছিলেন, সেই দিন থেকে বাংলা নববর্ষ কার্যকর করা হয়।

পহেলা বৈশাখ কিভাবে উদযাপন করি

প্রিয় পাঠক, বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ আমরা কিভাবে উদযাপন করি, তার কিছু বর্ণনা আজকে তুলে ধরলাম। নববর্ষের দিনে আমরা নতুন জামা কাপড় পড়ি। বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে আমরা পান্তাভাত, সাথে কাঁচা মরিচ, শুটকির ভর্তা, ইলিশ মাছের ভাজি, আলু ভর্তা এবং আরো অনেক রকমের খাবার খাই। নববর্ষের দিনে সারা বাংলা নতুন রূপে সেজে ওঠে।

বাংলার মানুষজন নতুন বছরকে বরণ করতে নিজেদেরকে এবং নিজেদের জায়গা কে নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। ভরিয়ে দেয় রং-বেরংয়ের ফুলে, রং দিয়ে তারা আবির মেখে দোলনায় উঠে এবং বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করে। এই মেলায় ঘুরতে যায় ছেলে-বুড়ো, শিশু সব বয়সের লোকজন । মেলায় দেখা যায় বিভিন্ন রকমের দোকানপাট, খেলার সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন গান বাজনা।

মেলায় বিশেষ করে শিশুদের আনন্দ বেশি হয়। কারণ তাদের জন্য বেশিরভাগ আয়োজন করা হয়। কোন কোন স্থানে আবার ঘোড়ার গাড়িতে চড়ার ব্যবস্থা করা হয়। নববর্ষের দিনে আমরা প্রিয়জনদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠি। বন্ধুরা মিলে গিটার বাজিয়ে গান বাজনা করে সময় কাটাই। বাংলা নববর্ষের দিন হচ্ছে সরকারি ছুটির দিন। তাই এই দিনে মানুষের কোন অফিশিয়াল কাজ থাকেনা। তাই বাঙালিরা এই দিনকে যে যার মতো করে, নিজের মতো করে কাটিয়ে দেয়।

আরো জানুন..

রাগ কমানোর সহজ উপায়

পহেলা বৈশাখ 2023 ইংরেজি কত তারিখ

পহেলা বৈশাখ – প্রশ্নটার মাঝেই উত্তর টা লুকিয়ে আছে। বৈশাখ মাসের ১ তারিখ এ পহেলা বৈশাখ বলা হয়। ইংরেজী এপ্রিল মাসের 14 তারিখ সবসময় পহেলা বৈশাখ হয় ।

১ লা বৈশাখের কবিতা

প্রিয় ভিউয়ার্স আপনারা যারা পহেলা বৈশাখের কবিতা খুজতেছেন তাদের বেশ কয়েকটি কবিতা তুলে ধরলাম। বিভিন্ন কবির কবিতা সংগ্রহ করে আপনাদের জন্য একত্রিত করলাম। আপনাদের বিভিন্ন সাইটে খোঁজাখুঁজি ঝামেলা থেকে সহজ করে দিলাম। পহেলা বৈশাখে অনেকেই পহেলা বৈশাখের কবিতা খুঁজে। নিজে পড়ার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করার জন্য আপনি এই কবিতাগুলো পড়তে পারেন।

আরো জানুন..

সফলতার উক্তি

এসো হে বৈশাখ এসো এসো

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো

তাপস নিঃশ্বাস বায়ে

মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে

বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক

এসো এসো…

যাক পুরাতন স্মৃতি

যাক ভুলে যাওয়া গীতি

যাক অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক

যাক যাক

এসো এসো…

মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা

অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা

রসের আবেশ রাশি

শুষ্ক করি দাও আসি

আনো আনো, আনো তব প্রলয়ের শাঁখ

মায়ার কুঁজঝটি জাল যাক, দূরে যাক যাক যাক

এসো এসো…

পহেলা বৈশাখের কবিতা

এসেছে বৈশাখ

এসেছে বৈশাখ তোমাদের দ্বারে

দিও না ফিরিয়ে খালি হাতে তারে

ভুলে যেও  যত যাতনা

দিয়েছি তোমারে

পাঠালাম শুভেচ্ছা অঞ্জলি পেতে

রেখে দিও স্মরণে হৃদয়ের তরে।

নতুন বছরে

-রেদোয়ান মাসুদ

নতুন বছরে হৃদয়ে নামুক বৃষ্টির জোয়ার

পূর্ণ চাঁদের আলোয় হোক ভালোবাসার সওয়ার

মুছে যাক হৃদয়ে জমে থাকা সকল আধার

শিহরণে উঠুক কেঁপে হৃদয় আবার।

পহেলা বৈশাখের ছবি

আপনারা যারা পহেলা বৈশাখের ছবি খুজতেছেন তাদের জন্য নতুন নতুন ছবি দেওয়া হল। পহেলা বৈশাখের যে ছবিগুলো আমাদের কাছে রয়েছে তা আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের দেয়া ছবিগুলো আপনারা বন্ধুদের উপহার দিতে পারেন।

আরো জানুন..

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি

পহেলা বৈশাখ

 

 

শুভ নববর্ষ 2022
শুভ নববর্ষ 2022

 

 

শুভ নববর্ষ 2023 এর শুভেচ্ছা, ইতিহাস, বার্তা, ছবি ও বাংলা নববর্ষের প্রবর্তক

পহেলা বৈশাখ 2023

প্রিয় পাঠক, আপনাকে নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা । আগামী এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ উদযাপিত হতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ। নববর্ষ হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব। তাই আজকে আমাদের এই পোস্টে আমরা বাংলা নববর্ষের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানে আপনি বাংলা নববর্ষের ইতিহাস খুঁজে পাবেন। বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা পাবেন। বাংলা নববর্ষের ছবি পাবেন। বাংলা নববর্ষ কে প্রবর্তন করে, তার উত্তর খুঁজে পাবেন। এগুলো জানতে হলে আপনাকে পুরো পোস্টটি ভাল ভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

বাংলা নববর্ষের ইতিহাস

একটি সাল বা একটি বছর কিন্তু আপনা আপনিই সৃষ্টি হয়নি। এটি কেউ সৃষ্টি করেছে, কারো মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। ইংরেজি সালের যেমন কারো হাতে সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি বাংলা সাল ও কারো হাতেই সৃষ্টি হয়েছে। হ্যাঁ বন্ধুরা, আমি সেই বাংলা নববর্ষের কথা বলছি, বাংলা নববর্ষ যা বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাঙালির ঐতিহ্য কে ধারণ করার উৎসব । বাংলা নববর্ষ প্রতিটি বাঙালির কাছে একটি জীবন্ত সময়।

বাংলা নববর্ষের ইতিহাস বহু প্রাচীন। মুঘল সাম্রাজ্যের জমিদারগণ প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের জন্য একটি দিন ধার্য করেন। এই দিনে সব প্রজাদেরকে খাজনা দিতে হয় । কেননা কোন দিন ধার্য না হলে এলোমেলোভাবে প্রজারা খাজনা দিত। তাতে জমিদারের আর্থিক সংকট তৈরি হতো এবং প্রজারা ঠিকমতো খাজনা ও দিত না।

যেদিনে প্রজারা খাজনা দিতে আসতো জমিদারের বাড়িতে, সেদিন জমিদারগণ নতুন জামা কাপড় পরতো। এবং প্রজাদেরকে নতুন কাপড় পড়ার আদেশ দিত। প্রজারা খাজনা দিতে আসলে জমিদারগণ তাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। তাই মুঘল সম্রাট আকবর তার সিংহাসনে আহরণের পূর্বেই একটি বাংলা সাল চালু করার চিন্তা করেছিলেন।

অর্থাৎ তিনি এমন একটি দিন শুরু করতে চেয়ে ছিলেন, যেদিন থেকে বাংলা বছর গণনা শুরু হবে, এবং প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় হয়ে যাবে। কারণ এর আগে কোন বাংলা সন চালু ছিল না।

আরো জানুন

রোজা কি-রোজার নিয়ত বাংলা অর্থ সহ

শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা 2023

বাংলা নববর্ষ প্রতিটি বাঙালির কাছে একটি প্রাণের উৎসব। নববর্ষের দিনে বাঙালি নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে নিজেকে প্রকাশ করে। তাদের মনে নতুনের ছোঁয়া লাগে, তারা নতুনত্বের স্বাদ নেয়। নববর্ষ মানেই নতুন একটি বছরের সূচনা। আর তাই বাংলা নববর্ষে বাঙালিরা পুরাতন বছরের সমস্ত দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা, জীর্ণ সব মুছে ফেলে নতুন করে আরেকটি নতুন বছরে নিজেকে সাজিয়ে নিতে তারা প্রস্তুত হয়।

তাই বাংলা নববর্ষের দিনটা বাঙালিদের কাছে একটি বিশেষ দিন। প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো বাংলা নববর্ষের কিছু শুভেচ্ছাবার্তা খুঁজছেন। যা আপনি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে চান অথবা আপনি আপনার প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে চান। তাই আর চিন্তা না করে আজকের এই পোস্ট থেকে শুভেচ্ছা বার্তা গুলো সংগ্রহ করতে পারেন । আপনাদের জন্য আমরা বাংলা নববর্ষের কিছু শুভেচ্ছাবার্তা সংগ্রহ করেছি।

আরো জানুন

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি

বাংলা নববর্ষের প্রবর্তক কে

প্রিয় বন্ধুরা, আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে, বাংলা নববর্ষ কে প্রবর্তন করেছেন। অর্থাৎ আমরা যে বাংলা নববর্ষ পালন করি এটি কার মাধ্যমে চালু হয়েছিল। আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই আজকের এই পোষ্ট । আপনারা যারা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন , তাদের জন্য নিচে উত্তরটি দেওয়া হয়েছে । বাংলা নববর্ষ প্রবর্তন করেন মুঘল সম্রাট আকবর

মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ সালে বাংলা নববর্ষ প্রবর্তন করেন কিন্তু তখনই তা কার্যকর হয়নি। ১৬৫৬ সালের ৫ নভেম্বর তারিখ থেকে বাংলা নববর্ষ কার্যকর হয়। এই দিনই সম্রাট আকবর তার সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। অর্থাৎ তাঁর সিংহাসন আরোহণের দিন থেকেই বাংলা নববর্ষ কার্যকর হয়।

আরো জানুন

কালো জিরার উপকারিতা কি নিয়ে কিছু কথা

শুভ নববর্ষের ছবি 2023

প্রিয় পাঠক, আপনারা হয়তো বাংলা নববর্ষের সুন্দর সুন্দর ছবি খুঁজছেন। আপনাদের জন্যই আজকে নববর্ষের কিছু সুন্দর ছবি সংগ্রহ করে করেছি আমরা। আপনারা চাইলে এগুলো ডাউনলোড করে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন অথবা নিজের টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন অথবা প্রিয়জনদের সেন্ড করতে পারেন।

 

বাংলা নববর্ষ ইংরেজির কত তারিখ

বাংলা নববর্ষ মানেই বাংলায় একটি নতুন বছর শুরু। বাংলায় যে বারটি মাস রয়েছে, তার প্রথম মাস হচ্ছে বৈশাখ। এই বৈশাখ মাসের প্রথম তারিখে হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ আমরা বাংলা নববর্ষ পালন করি। এই বাংলা বৈশাখ মাস শুরু হয় ইংরেজি এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ থেকে। তাই বুঝতেই পারছেন যে, ইংরেজি এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে হয় বাংলা নববর্ষ

আরো জানুন

সম্মানিত ভিউয়ার্স আশা করি আমাদের আজকের কনটেন্টটি আপনাদের ভাল লেগেছে। আমরা চেষ্টা করি সব সময় সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করার। আপনাদের ভালো লাগাটাই আমাদের পাওয়া। বাংলা নববর্ষের ইতিহাস শুভেচ্ছা বার্তা ছবি এবং বাংলা নববর্ষের প্রবর্তক সম্পর্কে তুলে ধরেছি। যতটুকু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি তা সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে এবং আপনাদের মতামত কমেন্টে জানাবেন। নতুন বছর আপনাদের ভালোভাবে কাটুক এই প্রত্যাশা করি। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করি ।

”শুভ নববর্ষ”

শুভ নববর্ষ 2022
শুভ নববর্ষ 2023

শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন 2023

শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন

শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন 2023

হ্যালো বন্ধুরা বরাবরের ন্যায় আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি টপিক্স নিয়ে হাজির হয়েছি । আজকের আলোচনা শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন কিভাবে করতে হবে, আবেদনের যোগ্যতা ও টাকার পরিমাণ নিয়ে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গর্ভবতী মা এবং দরিদ্র পরিবারের শিশুদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য একটি ভাতা চালু করেছে। অনেকেই জানেন না কিভাবে আবেদন করতে হয় এবং কাগজপত্র পেতে কত খরচ হয়।

শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতা 2023

এই নিবন্ধনে আপনারা শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য কিভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হবে তার নিয়মাবলী সহ বিস্তারিত জানতে পারবেন। বাংলাদেশের দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মা ও শিশুকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি ভাতা চালু করেছেন। কিন্তু এই ভাতা পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় তা অনেকেই জানেনা,ফলে অনেকেই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। 

তাই আজকে আমরা শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতার জন্য কিভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হয় তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের সুবিধার্থে শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা সম্পর্কে কিছু নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তত্ত্ব সংগ্রহ করে সুষ্ঠুভাবে আবেদন করতে পারবেন।

শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন 2023

এ নিবন্ধ থেকে আপনি আরোও জানতে পারবেন শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতার আবেদন, শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকার পরিমান, আবেদনের যোগ্যতা এবং শিশু কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে এই নিবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে অনুসরণ করতে হবে।

শিশু ভাতা আবেদন ২০২৩

আপনি শিশু এবং মাতৃত্ব স্থায়ী ভাতা আবেদন, শিশু এবং মাতৃত্ব পোর্টাল ভাতার জন্য যোগ্যতা, অর্থের সম্ভাবনা এবং শিশু কার্ড সম্পর্কে এখানে জানতে পারবেন। নেটওয়ার্ক ডকুমেন্ট কিভাবে অনলাইনে আবেদন এবং জমা দিতে হবে, প্রত্যাহার প্রক্রিয়া। আপনি যদি এই ভাতার জন্য উপযুক্ত তবে নির্দেশিত তথ্যটি স্ক্রিপ্ট না করে পুরো নিবন্ধটি যত্ন সহকারে পড়ুন।

শিশু ভাতার জন্য আবেদন করার জন্য, আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশের শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে https://mowca.gov.bd/ প্রবেশ করতে হবে  এবং সেই অনুযায়ী আবেদন জমা দিতে হবে।আপনি যদি শিশু ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্য হয়ে থাকেন তবে আপনাকে শিশু কার্ডের নামে একটি কার্ড প্রদান করা হবে।

এরপর শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একজন কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেন।আপনি যদি চান তাহলে চেক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

মাতৃত্বকাল ভাতার আবেদন ফরম ২০২৩

অনেকের ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা থাকলেও অনলাইনে আবেদন না করার কারণে তা পাচ্ছেন না। আপনি যদি এই নিবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনি সহজে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তাই আসুন শিশু এবং মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি এবং অনলাইনে মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন করার জন্য কি কি লাগতে পারে তা জেনে নেওয়া যাক। শিশু-মাতৃ কালীন ভাতার আবেদনের নিয়ম- 2022

মাতৃত্বকাল ভাতার আবেদন ফরম

দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্ত্বকাল ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন ফরম (নতুন)

ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে। প্রিন্ট করার পর তা সহস্তে পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম এ প্রথমে

১.আবেদনকারীর নাম

২.পিতার নাম,

৩.মাতার নাম

৪. স্বামীর নাম,

৫. বর্তমান ঠিকানা

৬. স্থায়ী ঠিকানা,

৭.মোবাইল নাম্বার

৮.জন্মতারিখ,

৯. জন্ম নিবন্ধন সনদ নম্বর

১০. জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর,

১১. শিক্ষাগত যোগ্যতা

১২.রক্তের গ্রুপ,

১৩. প্রথম গর্ভধারণকাল

১৪. দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল,

১৫.প্রতিবন্ধী কিনা,

১৬.পেশা,

১৭.মাসিক আয়,

১৮.পরিবারের উপার্জনক্ষম মহিলার সংখ্যা ,

১৯. বসতবাড়ি আছে কিনা ,

২০. সরকার প্রদত্ত অন্য কোন সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে পুরন করার পর তারিখ ও আবেদনকারীর স্বাক্ষর দিতে হবে।

২১.বর্তমান ঠিকানা

২২.স্থায়ী ঠিকানা

আবেদন ফরম এর সাথে  দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা প্রদান করতে হবে। শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতার আবেদনের নিয়ম-যোগ্যতা-টাকার-পরিমাণ-2023

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা/উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত গর্ভধারণের সনদপত্র, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কর্তৃক দুই কপি জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিক সনদপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি। শিশু-মাতৃ কালীন ভাতার আবেদনের নিয়ম-2023

ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা

দরিদ্র মাতার জন্য মাতৃত্ব ভাতা, মার্চ, 2011 এর অপরাধ নীতির সাথে চুক্তিতে প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক মাতৃত্ব ভাতা পাওয়ার জন্য কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন।

১। প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভকালীন সময়কাল (যে কোনো সময়)।

২। বয়স কমপক্ষে 20 বছর বা তার বেশি।

৩। মোট মাসিক আয় 1500/-টাকার নিচে।

৪। দরিদ্র প্রতিবন্ধী মায়েরা বেশি অগ্রাধিকার পাবেন।

৫। শুধু একটি বাড়ি আছে বা অন্য জায়গায় থাকতে হবে।

৬। নিজের বা পরিবারের জন্য কোনো কৃষি জমি নেই, মাছ চাষের জন্য কোনো পুকুর নেই।

৭। বাছাইয়ের সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই গর্ভবতী হতে হবে, অর্থাৎ জুলাই মাসে।

৮। প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভাবস্থার সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের ২ (দুই) বছরের মধ্যে মারা গেলে,
তৃতীয় গর্ভাবস্থায় ভাতা দেওয়া হবে।

৯। সুবিধাভোগীরা জীবনে একবার 2 (দুই) বছরের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা পাবেন।

১০। যদি কোনো কারণে শিশুর মৃত্যু হয় বা গর্ভপাতের কারণে চক্রটি অসম্পূর্ণ থাকে,

তারপর যদি সে গর্ভবতী হয়

১১। আবার, অন্যান্য শর্ত পূরণ হলে তিনি পরবর্তী 2 (দুই) বছরের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার অধিকারী হবেন।

যদি উপরে উল্লিখিত শর্তগুলির মধ্যে কেউ 1, 2, এবং 7 সহ কমপক্ষে 5 (পাঁচ) শর্ত পূরণ করে তবে তার নাম প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং ভাতা পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।  শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতার আবেদনের নিয়ম-যোগ্যতা-টাকার-পরিমাণ-2023

ধন্যবাদ আপনাকে শেষ অবধি এই নিবন্ধটি অনুসরণ করার জন্য। আশা রাখি উপরে প্রদত্ত শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা কালীন সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। শিশু মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কে আপনার কোন তথ্য বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আপডেট সব তথ্য পেতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন,ধন্যবাদ

শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে

কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম দেখে নিন

কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম দেখে নিন

কৃতজ্ঞতা স্বীকার-জীবনে চলার পথে আমরা অনেকের কাছ থেকে নানা রকম সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে থাকি। এ জীবনে চলার পথে আমরা অনেকের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের জীবনটি খুবই স্বল্প হলেও আমরা আমাদের জীবনে নানা রকম সমস্যায় পড়ি এবং এই সমস্যা থেকে অনেকে আমাদের উদ্ধার করে এবং আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি।

এই সাহায্য সহযোগিতা পাবার জন্য আমাদের অনেকের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হয়। কিন্তু আমরা কি কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম জানি? আজকে যদি আপনারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম শিখতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু আপনাদের জন্য। হ্যাঁ বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদেরকে শেখাবো কিভাবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম    ।

কৃতজ্ঞতা অর্থ কি

কৃতজ্ঞতা শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ। যে শব্দটির মূল শব্দ হলো কৃতজ্ঞ। অর্থাৎ শব্দটি কৃতজ্ঞ থেকে এসেছে এবং কৃতজ্ঞ শব্দটি একটি বিশেষণ পদ। কৃতজ্ঞতা অর্থ হলো উপকার মনে রেখে তা স্বীকার করে নেওয়া। অর্থাৎ আপনাকে কেউ যদি কোনরকম উপকার করে থেকে থাকে তাহলে আপনারা সেই উপকর টিকে মেনে নিয়ে তা স্বীকার করাকে কৃতজ্ঞতা বলে।

সবদিক দিয়ে বিবেচনা করে বলা যায় কৃতজ্ঞতা অর্থ হলো মানুষের উপকার কে স্মরণ রাখা এবং তা স্বীকার করে নেওয়া।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম 

কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম

প্রত্যেকটি জিনিস লেখার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম থেকে থাকে ঠিক তেমনি কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম কিছু রয়েছে যা কৃতজ্ঞতা বা পত্র হলো একজনের,রাখতেও একসময় চিঠির অবদান ছিল। পত্রে আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। কৃতজ্ঞতা স্বীকার পত্র লেখার আগে আপনাকে এই নিয়মগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং তারপর সেই নিয়ম অনুসরণ করে কৃতজ্ঞতা পত্র লিখতে হবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম।

  •  সর্বপ্রথম  আপনি যে ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার পত্র লিখছেন তাকে  সম্বোধন করুন কোন ভাল একটি  সম্বোধন শব্দ দিয়ে।  যেমনঃ  প্রিয়,  প্রিয় ভাই,  প্রিয় বোন,  প্রিয় বন্ধু ইত্যাদি।
  • কৃতজ্ঞতা পত্রের  শুরুটা তার খোঁজখবর এবং তাকে অভিবাদন  করুন  যেমন সে কেমন আছে  কোথায় আছে  ইত্যাদি দিয়ে
  • কৃতজ্ঞতা পত্রে সর্বপ্রথম তার উপকার টি স্বীকার করে নিন এবং ভালোমতো উপস্থাপন করুন।  খুব বিনয়ের সাথে তার উপকার টি আপনার জীবনে ভালো একটি প্রভাব ফেলেছে তা উপস্থাপন করুন।
  • খুব সাবলীল ভাবে এবং সহজ ভাষা দিয়ে কৃতজ্ঞতা পত্রটি লিখুন জটিল ভাষা এবং সহজে বোঝা যায় না এরকম ভাষা ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
  • কৃতজ্ঞতা পত্রটি কয়েকটি ভাগে অর্থাৎ কয়টি পর্বে  বিভক্ত করে লিখুন।  এতে করে পাঠক আপনার লেখাটি পড়ে মজা পাবে।
  • যে ব্যক্তির কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছেন তার চরিত্র সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশংসনীয় বাক্য উল্লেখ করতে পারেন।
  • মনে রাখবেন আপনার প্রশংসার জন্য খুব বেশি না হয়ে থাকে।  সীমিত পরিসরে আপনি তার ব্যাপারে প্রশংসা করুন।
  • কৃতজ্ঞতা পত্র লেখার সময় সাবধান থাকবেন যেন কোনরকম বানান ভুল না হয়ে থাকে।
  • এবার একদম শেষে এসে আপনার কৃতজ্ঞতা স্বীকার পত্রের ইতি টানুন এবং সুন্দর একটি বাক্য দিয়ে এটি শেষ করুন। আপনার শেষে এসে নাম প্রকাশ করুন।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম নমুনা 

উপরে আমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের যথেষ্ট ধারণা দিয়েছি বলে আশা করা যায় এখন আমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম নিয়ে আপনাদের মাঝে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নমুনা তুলে ধরব যেন আপনারা লেখার সময় এই নমুনাগুলো দিয়ে আপনার লেখা সুন্দর করতে পারেন।

বড় ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা

প্রিয় ভাই

এটা আসলে আজকে আমাকে বলতেই হচ্ছে জীবনে আমি আপনার মত একজন বড় ভাই পেয়েছি। আমি আপনার ভাই হয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে আজকে আপনার উদ্দেশ্য এই লেখাটি। জানি না কিভাবে নিচ্ছেন। তবে আপনাকে আজ এই লেখা টি না লিখে পাড়ছি না।

ছোট বেলা থেকে বাবা মায়ের পরে আপনাকে একজন শ্রেষ্ঠ অভিভাবক হিসেবে পেয়েছি ভাইয়ের পাশাপাশি। ছোট বেলা থেকেই আপনাকে আমার সব সমস্যায় পেয়েছি। যেমন আমার শ্রেষ্ঠ অভিভাবক ছিলেনে ঠিক তেমনি একজন ভালো বন্ধুও ছিলেন।

আমার জীবনে আমি আপনার মত একজন ভাই পেয়ে  আসলেই কৃতজ্ঞ। পড়াশোনা থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে আমি সর্বদা আপনার সহযোগিতা পেয়েছি। আপনি আমার জীবনে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। আপনাকে আমার সকল বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার আদরের বোন,

ইশিতা

উপহার পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

প্রিয় বন্ধু!

তোমাকে আমার জন্মদিনে এরকম একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বই দেওয়ার জন্য অন্তরের অন্তস্থঃতল থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ” প্যাড়াডক্সিকাল সাজিদ” এবং  “আরিফ আজাদ” যে আমার একজন প্রিয় লেখক এটি স্বরণ রেখে ” প্যাড়াডক্সিকাল সাজিদ ” বই টি আমাকে উপহার হিসাবে দেওয়ার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।

আমাদের এরকম বন্ধুত্ব ঠিকে থাকুক হাজার বছর আমি এই প্রত্যাশা করি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আমি তোমাকেই আমার বন্ধু হিসাবে রাখতে চাই।

তোমার প্রিয় বন্ধু! 

অহনা

শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা

প্রিয় শিক্ষক! 

আসসালামু-আলাইকুম! আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আপনার স্বাস্থের মঙ্গল কামনা করি। আজকের এই লেখা টি শুধু আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ  করার জন্য। জানিনা আপনি এটিকে কিভাবে নিচ্ছেন তবে আজকে আমার এই লেখাটি লিখতে হচ্ছে কেননা আমি আসলেই গর্বিত আপনাকে আমার শিক্ষক হিসেবে পেয়ে।

বাবা মায়ের পর আপনার উপকার আমি কখনোই ভুলবো না আপনার কাছ থেকে আমার অনেক কিছু শেখা জীবনের চলার পথে আপনার সাথে আমার অনেক কিছু শেখা হয়েছে যা অন্য কারো কাছ থেকে শিখতে পারিনি কোনোভাবেই। আপনি আমকে এমন ভাবে শিখিয়েছেন যা হয়তো অন্য কারো কাছ থেকে কখনোই পেতাম না। আজকে আপনাকে বলতেই হচ্ছে প্রিয় শিক্ষক আপনার জন্য আজকে আমার সফলতা।

আজকে আমি আপনার কছে কৃতজ্ঞ! আপনার মত শিক্ষক যেন সবাই পায়।

 আপনার আদরের শিক্ষার্থী,

সৌরভ

শেষ কথা

কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করলাম এবং আপনাদের মাঝে কৃতজ্ঞতা স্বীকার লেখার নিয়মের নমুনা তুলে ধরলাম আপনারা এই নমুনাগুলো আপনার লেখার সময় কাজে নিতে পারেন আপনি এর থেকে ভাল লিখতে পারলে অবশ্যই সেটি ভালো ফলাফল দিবে।

আজকে এ পর্যন্ত দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে এসে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আমাদের এই ছোট্ট ওয়েবসাইটটির সঙ্গেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ।