শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন 2023

শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন

শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন 2023

হ্যালো বন্ধুরা বরাবরের ন্যায় আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি টপিক্স নিয়ে হাজির হয়েছি । আজকের আলোচনা শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন কিভাবে করতে হবে, আবেদনের যোগ্যতা ও টাকার পরিমাণ নিয়ে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গর্ভবতী মা এবং দরিদ্র পরিবারের শিশুদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য একটি ভাতা চালু করেছে। অনেকেই জানেন না কিভাবে আবেদন করতে হয় এবং কাগজপত্র পেতে কত খরচ হয়।

শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতা 2023

এই নিবন্ধনে আপনারা শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য কিভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হবে তার নিয়মাবলী সহ বিস্তারিত জানতে পারবেন। বাংলাদেশের দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মা ও শিশুকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি ভাতা চালু করেছেন। কিন্তু এই ভাতা পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় তা অনেকেই জানেনা,ফলে অনেকেই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। 

তাই আজকে আমরা শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতার জন্য কিভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হয় তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের সুবিধার্থে শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা সম্পর্কে কিছু নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তত্ত্ব সংগ্রহ করে সুষ্ঠুভাবে আবেদন করতে পারবেন।

শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন 2023

এ নিবন্ধ থেকে আপনি আরোও জানতে পারবেন শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতার আবেদন, শিশু ও মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকার পরিমান, আবেদনের যোগ্যতা এবং শিশু কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে এই নিবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে অনুসরণ করতে হবে।

শিশু ভাতা আবেদন ২০২৩

আপনি শিশু এবং মাতৃত্ব স্থায়ী ভাতা আবেদন, শিশু এবং মাতৃত্ব পোর্টাল ভাতার জন্য যোগ্যতা, অর্থের সম্ভাবনা এবং শিশু কার্ড সম্পর্কে এখানে জানতে পারবেন। নেটওয়ার্ক ডকুমেন্ট কিভাবে অনলাইনে আবেদন এবং জমা দিতে হবে, প্রত্যাহার প্রক্রিয়া। আপনি যদি এই ভাতার জন্য উপযুক্ত তবে নির্দেশিত তথ্যটি স্ক্রিপ্ট না করে পুরো নিবন্ধটি যত্ন সহকারে পড়ুন।

শিশু ভাতার জন্য আবেদন করার জন্য, আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশের শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে https://mowca.gov.bd/ প্রবেশ করতে হবে  এবং সেই অনুযায়ী আবেদন জমা দিতে হবে।আপনি যদি শিশু ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্য হয়ে থাকেন তবে আপনাকে শিশু কার্ডের নামে একটি কার্ড প্রদান করা হবে।

এরপর শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একজন কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেন।আপনি যদি চান তাহলে চেক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

মাতৃত্বকাল ভাতার আবেদন ফরম ২০২৩

অনেকের ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা থাকলেও অনলাইনে আবেদন না করার কারণে তা পাচ্ছেন না। আপনি যদি এই নিবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনি সহজে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তাই আসুন শিশু এবং মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি এবং অনলাইনে মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন করার জন্য কি কি লাগতে পারে তা জেনে নেওয়া যাক। শিশু-মাতৃ কালীন ভাতার আবেদনের নিয়ম- 2022

মাতৃত্বকাল ভাতার আবেদন ফরম

দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্ত্বকাল ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন ফরম (নতুন)

ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে। প্রিন্ট করার পর তা সহস্তে পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম এ প্রথমে

১.আবেদনকারীর নাম

২.পিতার নাম,

৩.মাতার নাম

৪. স্বামীর নাম,

৫. বর্তমান ঠিকানা

৬. স্থায়ী ঠিকানা,

৭.মোবাইল নাম্বার

৮.জন্মতারিখ,

৯. জন্ম নিবন্ধন সনদ নম্বর

১০. জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর,

১১. শিক্ষাগত যোগ্যতা

১২.রক্তের গ্রুপ,

১৩. প্রথম গর্ভধারণকাল

১৪. দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল,

১৫.প্রতিবন্ধী কিনা,

১৬.পেশা,

১৭.মাসিক আয়,

১৮.পরিবারের উপার্জনক্ষম মহিলার সংখ্যা ,

১৯. বসতবাড়ি আছে কিনা ,

২০. সরকার প্রদত্ত অন্য কোন সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে পুরন করার পর তারিখ ও আবেদনকারীর স্বাক্ষর দিতে হবে।

২১.বর্তমান ঠিকানা

২২.স্থায়ী ঠিকানা

আবেদন ফরম এর সাথে  দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা প্রদান করতে হবে। শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতার আবেদনের নিয়ম-যোগ্যতা-টাকার-পরিমাণ-2023

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা/উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত গর্ভধারণের সনদপত্র, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কর্তৃক দুই কপি জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিক সনদপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি। শিশু-মাতৃ কালীন ভাতার আবেদনের নিয়ম-2023

ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা

দরিদ্র মাতার জন্য মাতৃত্ব ভাতা, মার্চ, 2011 এর অপরাধ নীতির সাথে চুক্তিতে প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক মাতৃত্ব ভাতা পাওয়ার জন্য কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন।

১। প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভকালীন সময়কাল (যে কোনো সময়)।

২। বয়স কমপক্ষে 20 বছর বা তার বেশি।

৩। মোট মাসিক আয় 1500/-টাকার নিচে।

৪। দরিদ্র প্রতিবন্ধী মায়েরা বেশি অগ্রাধিকার পাবেন।

৫। শুধু একটি বাড়ি আছে বা অন্য জায়গায় থাকতে হবে।

৬। নিজের বা পরিবারের জন্য কোনো কৃষি জমি নেই, মাছ চাষের জন্য কোনো পুকুর নেই।

৭। বাছাইয়ের সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই গর্ভবতী হতে হবে, অর্থাৎ জুলাই মাসে।

৮। প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভাবস্থার সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের ২ (দুই) বছরের মধ্যে মারা গেলে,
তৃতীয় গর্ভাবস্থায় ভাতা দেওয়া হবে।

৯। সুবিধাভোগীরা জীবনে একবার 2 (দুই) বছরের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা পাবেন।

১০। যদি কোনো কারণে শিশুর মৃত্যু হয় বা গর্ভপাতের কারণে চক্রটি অসম্পূর্ণ থাকে,

তারপর যদি সে গর্ভবতী হয়

১১। আবার, অন্যান্য শর্ত পূরণ হলে তিনি পরবর্তী 2 (দুই) বছরের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার অধিকারী হবেন।

যদি উপরে উল্লিখিত শর্তগুলির মধ্যে কেউ 1, 2, এবং 7 সহ কমপক্ষে 5 (পাঁচ) শর্ত পূরণ করে তবে তার নাম প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং ভাতা পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।  শিশু ও মাতৃ কালীন ভাতার আবেদনের নিয়ম-যোগ্যতা-টাকার-পরিমাণ-2023

ধন্যবাদ আপনাকে শেষ অবধি এই নিবন্ধটি অনুসরণ করার জন্য। আশা রাখি উপরে প্রদত্ত শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা কালীন সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। শিশু মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কে আপনার কোন তথ্য বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আপডেট সব তথ্য পেতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন,ধন্যবাদ

শিশু ও মাতৃত্ব কালীন ভাতা আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন 2023

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন-করার সকল নিয়ম কানুন নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। প্রতিবন্ধী ভাতা নিয়ে যাদের জানার আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্যই আজকের আর্টিকেল টি।

বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধীকে প্রত্যেক মাসে ভাতা দিচ্ছে। আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধী বা আপনার আশেপাশে যদি কোন প্রতিবন্ধী থেকে তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনার আবেদনটি রিভিউ করা হবে। আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার যোগ্য হন তাহলে আপনাকে তারা প্রত্যেক মাসে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করব। যা দিয়ে আপনারা আপনাদের অর্থনৈতিকভাবে একটু হলেও লাভবান হবে।
আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য মোবাইল ফোন দিয়েও আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা কি

প্রতিবন্ধী ভাতা হলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সরকার কর্তে প্রত্যেক মাসে প্রতিবন্ধীদের যে পরিমাণে ভাতা দেওয়া হয়। আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা রয়েছে তারা নানারকম কাজে অক্ষম এবং তাদের চলাফেরা নানা রকম সমস্যা হয়ে থাকে এরকম মানুষদের জন্য সরকার কর্তৃক কিছু পরিমাণে টাকা তাদেরকে দেওয়া হয় যেন তাদের জীবন চালাতে এই অর্থ সাহায্য করে।
বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির জন্য এই সাহায্য দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার আবেদন করতে পারবে।
প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম
বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী ভাতার যে আবেদন রয়েছে সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে সেখানে শুধু প্রতিবন্ধীদের আবেদন গ্রহণযোগ্য করা হবে। প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম রয়েছে আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধী হন এবং প্রতিবন্ধীর সকল কাগজপত্র থাকে তাহলেই আপনারা প্রতিবন্ধী ভাতা পাবেন।
  •  আপনাকে আপনার প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
  • অনলাইনে আপনি প্রতিবন্ধী এটা যাচাই করার জন্য আপনার সুবর্ণ কার্ড সহ আরো অন্যান্য তথ্যাদি যুক্ত করতে হবে।
  •  তারপর আপনার অনলাইনে আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
  •  আপনার অনলাইনে আবেদন যদি সম্পূর্ণ করা হয় এবং পরে সকল তথ্যাদি আপনার যাচাই করা হবে। যদি আপনি একজন সত্যিকারের প্রতিবন্ধী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভাতা পেয়ে যাবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা 

অনেক প্রতিবন্ধীর একটি প্রশ্ন থেকে থাকে সেটি হল প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা দেওয়া হয়? প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধীকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হয় এবং এই প্রতিবন্ধী ভাতা সীমিত হলেও একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অর্থনৈতিক সাহায্য হিসেবে কাজ করে।
আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন করেন এবং আপনার ভাতারটি যদি অনুমোদন দেওয়া হয়। তাহলে <b> প্রত্যেক প্রতিবন্ধী প্রত্যেক মাসে ৮৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা পাবে।</b> আগে এই ভাতার পরিমাণ ছিল ৭৫০ টাকা যা বর্তমান সময়ে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা আপনারা আপনাদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার হাতে পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনারা নগদ ও বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্য পেতে পারেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা কয় মাস পর পর দেয় 

প্রত্যেক মাসেই আপনাকে ৮৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হবে। তবে এ টাকা আপনার কাছে কয়েক মাস পর পর পৌছাতে পারে অর্থাৎ আপনার প্রত্যেক মাসে ৮৫০ টাকা করে জমা হবে। তারপর তিন মাস পর আপনার গত তিন মাসের জমা হওয়ার টাকা আপনার মোবাইল ফোনে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পৌঁছে যাবে। অনেক সময় আপনারা তিন মাসের আগে এবং তিন মাসের পরেও এই টাকা পেতে পারেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা কবে দিবে 2023

প্রতিবন্ধী ভাতা কবে দিবে এভাবে আপনারা বিষয়টি নির্দিষ্ট ভাবে জানতে পারবেন না। যেহেতু আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার টাকা আপনার হাতে চলে আসবে সেহেতু টেনশন করার কোন কারণ নেই। আর আপনি যদি এ ব্যাপারে আরও জানতে চান তাহলে আপনার ইউনিয়ন পরিষদের যোগাযোগ করবেন। কেননা এরকম তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিনিয়ত আপডেট হয়। আর প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার নির্দিষ্ট কোন তারিখ নেই একেক এলাকায় একেক ভাবে এই ভাতা দেওয়া হয়।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে কি কি লাগবে 

” প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন “
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। অবশ্যই এই কাগজগুলোর প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি আপনি (যদি ১৮ বছরের উর্ধ্বে হয়ে থাকেন।
  2.  আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি! (আপনি যদি ১৮ বছরের নিচে হয়ে থাকেন।
  3.  প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধীর জন্য সুবর্ণ কার্ড থেকে থাকে, আপনার সুবর্ণ কার্ডের ফটোকপি। 
  4.  মোবাইল ব্যাংকিং নগদ বা বিকাশের একটি মোবাইল নাম্বার লাগবে।

 আবেদন করার আগে জরুরী কিছু নির্দেশনা

আপনি যদি সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে নানা রকম ভাতা (যেমনঃ বয়স্ক ভাতা , বিধবা ভাতা, হিজরা জনগোষ্ঠী থেকে ভাতা ইত্যাদি) পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতায় আবেদন করতে পারবেন না।
 আপনাকে শুধু একবার আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে যদি আপনারা একাধিকবার আবেদন করেন তাহলে আপনার আবেদন বাতিল করা হবে।
সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিদেরই শুধু প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হবে।
আপনার যেকোন সমস্যায় আপনারা চাইলে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন যেকোনো ভাতা নিয়ে।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

আপনারা চাইলে আপনার হাতের মোবাইল ফোনটি দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তো এই আবেদন করার প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ আমরা আপনাদেরকে পুরো ব্যাপার সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে বুঝিয়ে দিলাম। আশা করি আপনারা প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে পারবেন।
আপনি আপনার মোবাইলে থাকায় একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং এড্রেসের ওয়েবসাইটটার লিংকটি পেস্ট করুন।
ওয়েবসাইট লিংক https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication
” প্রতিবন্ধী ভাতা “
এবার আপনার সামনে নিজের মত একটি ইন্টারফেস শো করবে। এখানে আপনাকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেগুলো আপনি পড়বেন এবং পড়ার পর নিচে আপনি সম্মত আছেন এই বাটনটিতে ক্লিক করে টিক চিহ্ন দিন এবং সাথে থাকা ” আমি বুঝেছি পরবর্তী ধাপে যান” বাটনটিতে ক্লিক করে দিন।
 এবার আপনাদের মাঝে আরও একটি নতুন ইন্টার পেজ শো করবে কার্যক্রম হিসেবে আপনারা প্রতিবন্ধী ভাতা সিলেক্ট করে দিন। তাহলে এখানে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে আপনার আবেদনটি সম্পন্ন করতে হবে।

এখানে আপনাকে প্রায় ৩ ধরনের তথ্য দিতে হবে৷ যেমনঃ

ব্যক্তিগত তথ্য
প্রতিবন্ধী ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত
যোগাযোগ তথ্য
এখানে আপনাদের ব্যাক্তিগত তথ্য দিতে হবে।
যাচাইয়ের ধরনঃ  এখানে আপনার যাচাইয়ের ধরন নির্বাচন করুন। আপনি যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে যাচাই করতে চান তাহলে সেটি নির্বাচন করুন আর না হলে জন্ম নিবন্ধন নির্বাচন করুন।
জন্ম তারিখঃ এখানে আপনি আপনার জন্ম তারিখ দিন।
 আপনার জন্ম তারিখ বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের যে নাম্বারটি রয়েছে সেটি এখানে দিন।
 এবার আপনাকে এখানে প্রতিবন্ধী ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
এই ছকে আপনাকে প্রায় অনেকগুলো তথ্য দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করতে হবে। যেমনঃ আপনার ডি আই এস ও ডি আই এস কোড দিয়ে যাচাই করতে হবে।
তারপর আপনাকে আরো কিছু তথ্য দিতে হবে। যেমনঃ আপনার বৈবাহিক অবস্থা, আপনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা, আপনি কততম সন্তান, আপনার পেশা, আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি সকল তথ্য আপনারা এখানে দিন।
একদম শেষ ধাপে এসে আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য যোগাযোগ তথ্য দিতে হবে।
আপনি কোথায় থাকেন, আপনার ঠিকানা, আপনার মোবাইল নাম্বার, এখানে মোবাইল নাম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন যেন মোবাইল নাম্বার কোন ভাবে ভুল না হয় এবং আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর মোবাইল নাম্বার অর্থাৎ বিকাশ বা নগদের মোবাইল নাম্বারটি দিবেন আর এই নাম্বারেই আপনার টাকা আসবে।
আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা এখানে দিন। আর আপনার যদি ইমেইল এড্রেস থেকে থাকে সেটিও এখানে দিয়ে দিবেন আর না দিলেও সমস্যা হবে না।
সকল তথ্য দেওয়ার পর একদম নিচে চলে আসবেন স্ক্রল করার মাধ্যমে এবং এখানে এসে আপনারা একটি “সংরক্ষণ করুন” নামে বাটন দেখতে পারবেন এই বাটনটিতে ক্লিক করে দিন।
তাহলে আপনার প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করা হবে। আপনি যদি আবেদন করতে গিয়ে কোন রকম সমস্যায় পড়েন! তাহলে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সাথে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন এ ব্যাপারে সমাজসেবার মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর! 
প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা দেয়?
প্রতিবন্ধী ভাতা মাসে ৮৫০ টাকা করে দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই টাকার পরিমাণ ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে যা গত অর্থবছরে ছিল ৭৫০ টাকা।

প্রতিবন্ধী ভাতা কবে দিবে 2023 ? 

প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। আপনি যদি এ ব্যাপারে ভালোভাবে জানতে চান তাহলে আপনার ইউনিয়ন পরিষদের কর্মস্থ কোনো ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করুন।

প্রতিবন্ধী কার্ড করার নিয়ম?

প্রতিবন্ধী কার্ড করতে আপনারা আপনাদের সকল তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনার ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি মেম্বার এর কাছে যোগাযোগ করুন। তাহলেই আপনাকে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হবে।

প্রতিবন্ধী ভাতালিস্ট 2023 কোথায় পাবো?

প্রতিবন্ধী ভাতালিস্ট আপনারা আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদে পেয়ে যাবেন। এজন্য আপনি আপনার ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করতে পারেন।

শেষ কথা

আজকে আমরা আলোচনা করলাম প্রতিবন্ধী ভাতা নিয়ে। প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার সকল নিয়মকানুন আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি এবং আমরা দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে আপনারা মোবাইল ফোন দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন। আশা করি আপনারা সবাই এ ব্যাপার গুলো বুঝেছেন।
তো আজকে এই পর্যন্ত পরবর্তীতে দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুক আল্লাহাফেজ।

নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম এবং নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি জেনে নিন — ২০২৩

নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম এবং নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি জেনে নিন

নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম জেনে নিতে পারেন আজকের আর্টিকেল থেকে। অনেক সময় আমরা নগদ একাউন্ট দেখার প্রয়োজন বোধ করি। কিন্তু আমরা নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে জানি না। এরকম অবস্থায় আমাদের নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তো আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনাদের নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে আর কোনরকম ঝামেলা পোহাতে হবে না।

আপনারা খুব সহজে নগদ একাউন্ট দেখতে পারবেন। আপনার হাতের থাকা ফোনটি আপনার হাতে যদি একটি বাটন ফোন থাকে তবুও আপনারা খুব সহজে আপনার নগদ একাউন্ট দেখতে পারবেন। তাহলে চলুন আর্টিকেলটি শুরু করি এবং আপনারা সবাই ধৈর্য সহকারে পড়বেন আশা করি।

নগদ কি?

নগদ হলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা।  কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ বনানীতে নগদের সদর দপ্তর অবস্থিত। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করা নগদ তাদের গ্রাহকদের টাকা পাঠানো এবং পাবার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে। থ্রার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড এর দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠান।  নগদ বাংলাদেশের ডাক বিভাগের একটি পুরাতন সংস্করণ থেকে নতুন সংস্করণে আসা একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠান যেটি বাংলাদেশের মানুষকে টাকা ট্রান্সফার করতে সাহায্য করছে।

বাংলাদেশের যে কোন গ্রাহক নগদ ব্যবহার করে খুব সহজে টাকা লেনদেন করতে পারে। তারা চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন বা বাটন ফোনটি দিয়ে হলেও নগদ ব্যবহার করতে পারবেন। শুধু টাকা ট্রান্সফার করা ছাড়া আপনারা চাইলে নগদের মাধ্যমে নানারকম বিল পরিশোধ করতে পারবেন যেমনঃ বিদ্যুৎ বিল গ্যাস ইত্যাদি।

নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি

নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি খুবই সহজ এবং সাধারণ। আপনারা যে কেউ চাইলে খুব সহজে নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন। তো এখন আমরা আলোচনা করব নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি নিয়ে। নগদ একাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। তো আমরা আজকে আপনাদের সকল ধাপ সম্পর্কে আলোচনা কবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

  • নগদ একাউন্ট খুলতে যা যা লাগবে! 
  • একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল।
  • ইন্টারনেট কানেকশন।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র।
  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
  • এবং যার নামে একাউন্ট খোলা হবে তাকে উপস্থিত থাকতে।

আপনারা দেখতে পারছেন উপরে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের লাগবে। সেগুলো আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে তাই বলা যায় আপনার বাড়িতে বসেই একটি নগদ একাউন্ট করতে পারবেন।

ধাপঃ- ১  সর্বপ্রথম আপনারা প্লে স্টোর থেকে নগদ অ্যাপ্লিকেশনটি সংগ্রহ করে নিবেন। তারপর আপনার মোবাইল ফোনের নগদ অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে ওপেন করে নিবেন।

ধাপঃ- ২  এরপর আপনার নগদ অ্যাপ্লিকেশনটি তে প্রবেশ করার পর লগইন ইন্টারফেস দেখতে পারবেন তো এখানে থেকে আপনার নিচের দিকে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করে দিবেন।

ধাপঃ- ৩  এবার আপনার  সকল তথ্য যেমনঃ নাম, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি দিবেন। তারপর আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি পিন গেলে সেটি নগদ এপ্লিকেশনের কনফার্মেশন এর জন্য দিয়ে দিবেন। 

ধাপঃ- ৪ এবার আপনার ভোটার আইডি কার্ডের প্রথম দিক এবং দ্বিতীয় দিক উভয় দিকের ছবি তুলে নগদ অ্যাপ্লিকেশনে সাবমিট করবেন। 

ধাপঃ- ৫  এবার আপনার একটি সেলফি তুলুন সেলফি তোলার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার ফেস সম্পূর্ণভাবে  ফ্রেশ দেখা যায়। যখন আপনারা সেলফি তুলবেন তখন চোখের পাতা খোলা বন্ধ করবেন। 

ধাপঃ- ৬    এবার আপনারা নতুন একটি পিন সেটাপ করবেন এবং  পরের বক্সে আবার সেই পিনটি দিবেন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন আপনার পিন যেন অন্য কেউ জানতে না পারে।

ধাপঃ- ৭   এবার নগদ ব্যবহার করার কিছু নীতিমালা দিবে আপনার নীতিমালা গুলো পড়ার পর একটি টিক চিহ্ন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই আপনার নগড অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।

এভাবেই আপনার নগদ এপ্লিকেশন থেকে খুব সহজে একটি নগদ একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। তো যাদের এন্ড্রয়েড মোবাইল নেই তারা কিভাবে নগদ একাউন্টটা তৈরি করবে এ ব্যাপার সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব।যেকোনো একটি মোবাইল দিয়েও আপনারা চাইলে খুব সহজে একটি তৈরি করতে পারবেন । কোড ডায়াল করার মাধ্যমে আপনারা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

ধাপঃ- ১  প্রথমে আপনার মোবাইল এর ডায়াল অপশনে চলে যাবেন তারপর ডায়াল করবেন  *১৬৭# 

ধাপঃ- ২  এবার আপনাকে একটি নতুন মেসেজ স্কিনে নিয়ে আসবে এবং আপনাকে এখানে পিন সেট করতে বলা হবে তো আপনারা চারটি পিন সেট করে দিবেন। পিন সেট করার পর আপনি যদি সাবমিট বাটনে ক্লিক করেন তাহলেই আপনার নগদ এখন খোলা হয়ে যাবে। 

ধাপঃ- ৩   এবার এখানে আপনাকে মুনাফা সংক্রান্ত দুইটি অপশন দেওয়া হবে সেখান থেকে আপনি যদি মুনাফা নিতে চান তাহলে এক চাপুন আর মুনাফ নিতে না চাইলে দুই চাপুন।

 ধাপঃ- ৪  আপনার মোবাইল ফোনে একটি মেসেজের মাধ্যমে কনফার্মেশন করা হবে যে আপনার একাউন্ট খোলা হয়েছে।

 মূলত এভাবেই আপনারা চাইলে নগদ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। আমরা দুইটি মাধ্যমে আপনাদেরকে বুঝিয়ে দিলাম কিভাবে নগদ অ্যাকাউন্ট খুলবেন। তো আশা করি আপনারা সবাই নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং সহজে নগদের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।

নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম

অনেক সময় আমাদের প্রয়োজন পড়ে আমরা কতগুলো লেনদেন করলাম, কার সাথে লেনদেন করলাম, এই বিষয়গুলো নিয়ে। তো আজকে আমরা আপনাদেরকে খুব সহজভাবে নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাতে আপনারা যে কেউ যে কোন মোবাইল ফোন দিয়ে অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড বা বাটন ফোন যাই হোক তা দিয়ে আপনারা খুব সহজে আপনাদের নগদ একাউন্ট দেখতে পারবেন।

নগদ একাউন্ট দেখার উপায় মুলত ২ প্রকার।

  • নগদ অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে।
  • USSD কোড এর মাধ্যমে।

নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম গুলো আমরা কিছু ধাপে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আপনারা এই ধাপগুলো সম্পূর্ণভাবে পড়লে অবশ্যই নগদ একাউন্ট দেখতে পারবেন।

ধাপঃ- ১   সর্বপ্রথম আপনারা আপনাদের নগদ অ্যাপ্লিকেশনে চলে যাবেন এবং আপনার নগদ এপ্লিকেশনের পিন সেটাপ এর মাধ্যমে নগদে লগইন করবেন।

ধাপঃ- ২  এবার আপনার একাউন্টে লগইন হয়ে যাবে এবং এখান থেকে আপনারা অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সকল সেবা দেখতে পারবেন। তো কিছু সেবা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

ব্যালেন্স চেকঃ একদম উপরে দেখতে পারবেন  “ব্যালেন্স জানতে ট্যাপ করুন” এই রকম অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করলেই আপনারা ব্যালেন্স দেখতে পারবেন।

সেন্ড মানিঃ  আপনি যদি কারো পার্সোনাল নাম্বারে টাকা পাঠাতে চান তাহলে আপনাকে সেন্ট মানি অপশনটির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে।

ক্যাশ অ্যাউটঃ   আপনি যদি আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ক্যাশ আউট করে আপনার হাতে আনতে চান অর্থাৎ আপনার হাতে ক্যাশ আনতে চান। তাহলে আপনাকে ক্যাশ আউট  অপশনটি সাহায্য করবে এজেন্টের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে পারবেন।

মোবাইল রিচার্জঃ   আপনারা যদি আপনার নিজ এবং আত্মীয় স্বজনের নাম্বারে মোবাইল রিচার্জ করতে চান তাহলে। এই  অপশনটির মাধ্যমে আপনারা মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন।

অ্যাড মানিঃ আপনার নানা রকম কার্ড  ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড ইত্যাদি থেকে যদি আপনার নগদে টাকা যুক্ত করতে চান তাহলে অ্যাড মানি অপশনটির মাধ্যমে করতে পারবেন।

বিল পেঃ  বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বিল পানি বিল ইত্যাদি বিল দেওয়ার জন্য আপনারা নগদের বিল পে অপশন থেকে সকল রকমের বিল পরিশোধ করতে পারেন।

ধাপঃ- ৩   আপনার অ্যাকাউন্টের লেনদেন  History (ইতিহাস)  জানতে আপনারা নিচের স্ক্রিনশটের মার্ক করা অপশন দিতে ক্লিক করুন।

ধাপঃ- ৪  এবার আপনারা দেখতে পারবেন আপনার সকল লেনদেনের History  (ইতিহাস) অর্থাৎ কত টাকা নগদের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন।

এই ছিল নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম। এভাবে আপনারা নগদ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নগদ অ্যাকাউন্ট দেখতে পারবেন। 

আপনি যদি USSD কোড ব্যবহার করে নগদ অ্যাকাউন্ট দেখতে চান। তাহলে কিন্তু আপনার যেকোনো বাটন মোবাইলেও দেখতে পারবেন। তো নিচে আমরা এর ধাপগুলো উল্লেখ করলাম।

ধাপঃ- ১   সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার মোবাইলের ডায়াল বারে যেতে হবে এবং ডায়াল করতে হবে  *167# 

ধাপঃ- ২  এরপরে আপনাকে আপনার নগদ একাউন্টে নিয়ে আসা হবে এবং এখানে আপনি অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন যেমনঃ

  1. Cash Out
  2. Send Money
  3. Mobile Recharge
  4. Payment 
  5. Bill Pay
  6. EMI Payment

ধাপঃ- ৩   এখান থেকে আপনারা যদি আপনার নগদ একাউন্টে থাকা ব্যালেন্স দেখতে চান তাহলে আপনারা রিপ্লে অপশন থেকে 7 লিখে  SEND করবেন।

ধাপঃ- ৪ এখানে আপনারা আরো অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন তো প্রথমে আপনারা দেখবেন  “Balance Enquiry”  নামে একটি অপশন রয়েছে তো আপনারা আবার রিপ্লে অপশন থেকে 1 লিখে সেন্ড করে দিবেন। 

 ধাপঃ- ৫ এরপর আপনাকে এখানে আপনার পিনটি দিতে হবে তারপর সেন্ট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপঃ- ৬  এবার আপনারা দেখতে পারছেন আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা ব্যালেন্স এখানে শো করছে।

তো এভাবেই USSD কোড ব্যবহার করে আপনারা যে কোন মোবাইল ফোনে আপনার নগদ একাউন্ট দেখতে পারবেন।

নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে 

আমরা প্রায় সময়ই নগদ একাউন্টের পিন ভুলে যাই। এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়। পিন ভুলে যাওয়ার পরে আপনারা পিন রিসেট করতে গিয়ে নানা রকম ঝামেলায় পড়েন। নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে কিছু নির্দেশনা মাফিক কাজ করলে আপনারা কিন্তু খুব সহজেই পিন রিসেট করতে পারবেন।

পিন রিসেট অনেকের কাছে খুবই ঝামেলা মনে হয়। তো আজকে আমরা কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে আপনাদের পিন রিসেট সম্পর্কিত সকল ঝামেলা দূর করে দেওয়ার চেষ্টা করব।

নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে USSD এর মাধ্যমে 

সর্বপ্রথম *167# ডায়াল করুন।

একদম নিচের অপশনে PIN Reset অর্থাৎ 8 লিখে  সেন্ড করুন।

এবার 1 লিখে পিন ভুলে গেছেন এটি নিশ্চিত করুন।

আপনার যে ন্যাশনাল আইডি কার্ডটি দিয়ে নগদ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল এবার সেই ন্যাশনাল আইডি নাম্বারটি দিন এবং সেন্ড বাটনে ক্লিক করুন।

এবার আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডটির যে জন্ম তারিখটি রয়েছে সেটি দিন তারপর সেন্ট বাটনে ক্লিক করে দিন। 

এবার আপনার গত ৯০ দিনে কোন লেনদেন বা ট্রানজেকশন হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে YES অথবা NO বাটন ক্লিক করুন। 

যদি কোন লেনদেন হয়ে থাকে তাহলে আপনারা সেই লেনদেনের ধরন নির্ধারণ করুন। যেমনঃ ক্যাশ আউট, মোবাইল রিসার্চ, সেন্ট মানি ইত্যাদি।

সেই লেনদেনের পরিমাণ বা অ্যামাউন্ট লিখে দিন।

এবার সবকিছু ঠিক ঠিক থাকলে নগদ প্রতিষ্ঠান থেকে আপনার মোবাইল ফোনে একটি টেম্পোরারি পিন পাঠানো হবে।

এই পিনটি পাবার পর আপনারা আবার ডায়াল করুন *167# আপনার মোবাইলের ডায়েল বার থেকে।

এবার আবার পিন রিসেট অর্থাৎ ৮ নম্বর অপশনটি সিলেক্ট করুন 

এবার দুই নাম্বার অপশনটি সিলেক্ট করুন তারপর সম্প্রতি পাওয়া টেম্পোরারি পিন টি এখানে দিন। 

আপনার নতুন পিনটি এখানে লিখুন 

পরবর্তীতে আবার আপনি আপনার নতুন পিনটি  সেট করুন

উপরের সকল ধাপ আপনারা যদি ভালোভাবে মেনে চলেন তাহলে পিন রিসেট হয়ে যাবে।  উপরের এ সকলের নিয়ম কানুন মেনে আপনারা পিন সেট করতে পারেন।

নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে কাস্টোমার কেয়ার এর মাধ্যমে। 

নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে আপনারা কাস্টমার কেয়ারের সাহায্য নিতে পারেন। তো প্রথমে আপনাকে কাস্টমার কেয়ারের নাম্বারে ফোন দিতে হবে ।

তারপর আপনাকে আপনার সমস্যাটি খুলে বলতে হবে। তারপর সেখান থেকে আপনার কিছু ইনফরমেশন নিবে। যেমনঃ

আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর নাম্বার। 

আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ।

আপনার কত ৯০ দিনে হওয়া ট্রানজেকশন বা লেনদেন এর ধরন এবং পরিমাণ।

 সকল তথ্য দেওয়ার পর আপনাকে একটি টেম্পোরারি পিন দেওয়া হবে। আপনারা উপরে যেভাবে টেম্পোরারি পিন দিয়ে আপনার পিন টি রিসেট করেছেন ঠিক ওইভাবে আপনারা টেম্পোরারি পিন টি দিয়ে পিন রিসেট করে নিবেন।

নগদ কল সেন্টার নাম্বার

নগদ কল সেন্টার নাম্বার হলো 16167. এই নাম্বারটি ডায়াল করে আপনারা নগদ কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারবেন যেকোনো সমস্যায়। আমরা প্রায়ই নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি হই যেমনঃ নগদের পিন ভুলে যাই, নগদ একাউন্ট সম্পর্কে অনেক তথ্য আমাদের হালনাগাদ করতে হয়, এজন্য আমাদের নগদ কল সেন্টারের সাহায্য নিতে হয়।

নগদ কল সেন্টারে যোগাযোগ করার জন্য আপনারা আরো কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন যেমনঃ

ভয়েস কলের মাধ্যমে।

টেলিফোনের মাধ্যমে। 

ইমেইল এর মাধ্যমে। 

নগদ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এর লিস্ট!

ভয়েস কলিং

 16167

টেলিফোনে যোগাযোগ

  096 096 16167

ইমেইলে যোগাযোগ

info@nagad.com.bd

সর্বাধিক জিজ্ঞেস করা কিছু প্রশ্নের উত্তর

নগদ একাউন্টের সুবিধা 2023 কি? 

নগদ একাউন্টে অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। এখানে আপনারা খুব কম খরচে ক্যাশ আউট করতে পারবেন

। মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। কোনরকম চার্জ ছাড়াই সেন্ড মানি করতে পারবেন।

নগদ একাউন্টের কোড কি? 

নগদ একাউন্টের কোড হলো *167#. 

বিকাশ থেকে নগদ টাকা ট্রান্সফার করা যায়?

বিকাশ থেকে নগদ টাকা ট্রান্সফার করা যায় না। এরকম সুযোগ সুবিধা এখনো চালু হয়নি পরবর্তীতে চালু করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

নগদ একাউন্ট বন্ধ করার পদ্ধতি?

নগদ একাউন্ট বন্ধ করতে আপনার কাস্টমার কেয়ার এ যোগাযোগ করতে পারেন আপনার সকল তথ্য নিয়ে।

নগদ থেকে লোন নেওয়া যায়?

নগদ থেকে লোন নেওয়া যায়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নগদে সেবাটি চালু করেছে। আপনারা পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন মাসিক কিস্তিতে।

নগদ হেল্প লাইন নম্বর?

নগদ হেল্প লাইন নাম্বার হলো 16167.

 মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম

মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সহজ।  উপরে দেখে নিতে পারেন। এ-বিষয়ক আলোচনা করা হয়েছে।

 নগদ মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন নাম্বার

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন নাম্বার হলো ১৬১৬৭ । 

নগদ একাউন্ট টাকা দেখার নিয়ম ? 

প্রথমে আপনার নগদ এপ্লিকেশনে প্রবেশ করুন 

এরপর আপনার পিন নাম্বার দিয়ে  নগদে লগইন করুন

“ব্যালেন্স জানতে ট্যাপ করুন” বাটনটিতে ক্লিক করে দিন তাহলে আপনার ব্যালেন্স দেখতে পারবেন।

নগদ একাউন্টের ক্যাশ আউট চার্জ কত?

নগদ একাউন্টের ক্যাশ আউট চার্জ হলো ৯.৯৯ টাকা প্রতি হাজারে।

আজকে এই ছিলো নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কিত আলোচনা। আশা করি আপনারা আমাদের আলোচনাটি পড়ে নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেছেন। তো পরবর্তীতে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা হবে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

eporcha gov bd লগিন, খতিয়ান ডাউনলোড, আবেদন, মালিকানা যাচাই 2022

eporcha gov bd লগিন, খতিয়ান ডাউনলোড, আবেদন, মালিকানা যাচাই

ই পর্চা অনলাইন আবেদন-আজকে আমরা আপনাদের জন্য খুবই দরকারি একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি, যারা জমির খাতার মালিকানার বিষয়গুলো বোঝেন না তাদের জন্য আজকের বিষয় খুবই উপযোগী। আপনি যদি আমাদের সম্পূর্ণ নিবন্ধটি ভালভাবে পড়েন তবে আপনি জমির সমস্ত সমস্যা বুঝতে সক্ষম হবেন।

যেমন ই-পর্চা কী? ই-পর্চা কত প্রকার ও কি কি? লাভ কি কি? আপনার জমির এসএ খতিয়ান, সিএস খতিয়ান, আরএস খতিয়ান, ভূমি জরিপ সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

আপনি যদি এই নিবন্ধটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়েন, তাহলে আপনি বাড়িতে বসেই আপনার জমির মালিকানা যাচাই সহ সমস্ত তথ্য যাচাই করতে পারবেন।

ই- পর্চা কি?

ই-পর্চা হল একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যা আপনাকে সহজেই আপনার মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্সেস করে আপনার জমির রেজিস্টার বা জমির মালিকানা যাচাই করতে পারবেন।

ই-পর্চা বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম ডিজিটাল সেবা। ভূমি মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় তথ্য এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

যা আপনি ঘরে বসেই দেখতে পারবেন এবং সংরক্ষণ করতে পারবেন। বাংলাদেশ সরকার জনগণের দুর্ভোগ ও আর্থিক ব্যয় বিবেচনায় নেয়,

এবং সর্বোপরি বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে ভূমি অফিসের সকল কাজকে একটি ওয়েবসাইটের আওতায় নিয়ে আসে।

আপনি ঘরে বসেই আপনার মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ থেকে সহজেই এই ওয়েবসাইটের সাথে সংযোগ করতে পারেন এবং এখান থেকে যেকোনো ধরনের ডিজিটাল সেবা বা আপনার জমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

খতিয়ান বা পর্চা কত প্রকার?

ই-পর্চা হল একটি রাজস্ব দলিল যা একটি সম্পত্তির সমস্ত জমির মালিকানার বিবরণ লিপিবদ্ধ করে।

এটা রাজস্ব উদ্দেশ্যে সহায়ক. এই নথিগুলি মালিকানা প্রস্তুত করে এবং ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করে।

এটি খতিয়ান নামেও পরিচিত, বাংলাদেশে অনেক ধরনের খতিয়ান রয়েছে।

সমস্ত তথ্য অনলাইনে নথিভুক্ত করা হয়, যেমন ROR নথি, JL নম্বর, CS এবং RS নম্বর, এবং মৌজা এবং খতিয়ান নম্বর। ROR অধিকারের রেকর্ড বোঝায়।

১.সিএস খতিয়ান। (Cadastral Survey)

২.এসএ খতিয়ান । (State Acquisition Survey)

৩.আরএস খতিয়ান। (Re visional Survey)

৪.বিএস খতিয়ান/সিটি জরিপ। (City Survey)

ই-পর্চার সুবিধা

অবশ্যই, আমাদের ই-পর্চার সুবিধাগুলি জানতে হবে। কারণ আমাদের জটিল ও কঠিন কাজগুলো ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে অনেক সহজ হয়ে গেছে। তাই এসব সেবা সম্পর্কে জেনে আমরা আমাদের সময় ও শ্রম কমাতে পারি।

ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার (আইভেক), বাংলাদেশ সকল ব্রাঞ্চের নাম-ঠিকানা-মোবাইল নাম্বার এবং হটলাইন নাম্বার

এছাড়াও আমরা সবাই জানি যে জমি সংক্রান্ত কাজে প্রচুর সময় লাগে। সেক্ষেত্রে আমাদের এই সময় যাতে নষ্ট না হয়,

সেজন্য বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল সেবার ব্যবস্থা করেছে। যেখান থেকে আমরা সহজেই জমির মালিকানা জানতে পারি।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

জমির খাতা নম্বর বা জমির দাগ নম্বর দিয়েও আমরা মালিকের নাম জানতে পারি। এই পরিষেবাটির একটি মজার বিষয় হল যে,

ই-পর্চা ওয়েবসাইটটি মালিকের নামে জমি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানার জন্য জমির মালিকের নাম এবং মালিকের পিতার নাম ব্যবহার করে।

এই তথ্য জানার জন্য অনেক লোক এই পরিষেবাটিকে পছন্দ করে এবং বেছে নেয়।

আপনি যদি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনি এই বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে জানতে সক্ষম হবেন।

অনলাইন ই পর্চা

বর্তমান যুগে ই-পর্চা রেকর্ডগুলি অনলাইনে চেক করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।

আগে সব মালিক তাদের জমির বর্তমান অবস্থা চেক করতে তাদের নিকটস্থ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসে যেতেন। কিন্তু এখন এই চেকিং পদ্ধতি খুবই সহজ হয়ে গেছে।

যে কেউ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে এটি চেক করতে পারেন।

বাংলাদেশ সরকার eporcha.gov.bd login (ই পর্চা লগইন) ওয়েব সার্ভার চালু করেছে। এই সার্ভার থেকে আপনি যেকোন সময় ই-পর্চা , খতিয়ান ও নামজারি চেক করতে পারবেন।

বাংলাদেশি নাগরিকরা অনলাইনে এই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেক করবেন। এজন্য একে ই পর্চা বলা হয়। এখান থেকে আপনি ই-পর্চা সিস্টেম এবং চেকিং পদ্ধতি সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানতে পারবেন।

জমির ই-পর্চা তুলবেন যেভাবে

বাংলাদেশের জমির ই-পর্চা ডাউনলোড করুন: আমাদের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও একটি ডিজিটাল জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন৷ এটা আমাদের দেশের মানুষের উন্নতির জন্য ভালো হবে।

এখন বাংলাদেশী নাগরিকরা সকল জমির মালিকানা www.eporcha.gov.bd এর মাধ্যমে সহজেই তাদের জমির ই-পর্চা স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে, আপনি সহজেই এটি বাড়িতে চেক করতে পারেন। ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি নীচে দেওয়া হল।

১।প্রথমে https://eporcha.gov.bd/khatian-search-panel দেখুন।

২।তারপর, আপনার জেলা এবং বিভাগের নাম নির্বাচন করুন।

৩।তারপরে, নিম্নলিখিত বিভাগ থেকে সঠিক খৈতান প্রকারটি বেছে নিন।

৪।আপনার উপজেলা এবং মৌজা নির্বাচন করুন।

৫।তারপরে, আপনি 4টি বিকল্প পাবেন। খতিয়ান নং, দাগ নং, জমির মালিকের নাম, বা পিতা/স্বামীর নাম। তাদের যেকোনো একটি বেছে নিন এবং সম্পর্কিত ডেটা লিখুন।

৬।অবশেষে, ক্যাপচা কোড লিখুন এবং “অনুসন্ধান করুন” বাটনে ক্লিক করুন।

৭।সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, আপনি দেখতে পাবেন “দাগ” নাম্বার এবং “মালিক/খড়দার” নামের তালিকা।

৮।আবেদন করার জন্য আপনাকে “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

৯।এরপর “অনলাইন কপি” নির্বাচন করুন।

১০।NID নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানার জায়গায় আপনার সমস্ত তথ্য সম্পূর্ণ করুন।

১১।পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এটি আপনাকে পিডিএফ ডাউনলোড বিকল্পে পুনঃনির্দেশিত করবে।

যেখান থেকে, আপনি সহজেই আপনার ই-পর্চার কপি ডাউনলোড করতে পারেন কোনো চার্জ ছাড়াই।

ই-পর্চার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

এটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এই ওয়েব সার্ভারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য প্রদান করবে।

যেমন এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি লেজার, ই-পর্চা, ই-নামজারি ইত্যাদি চেক করতে পারবেন।

আপনি আপনার নাম, অ্যাকাউন্টের ধরন এবং নম্বর এবং জেলার সাথে বিভাগ যেমন তথ্য প্রদান করে এই তথ্যটি চেক করতে পারেন।

ওয়েবসাইটগুলো হলোঃwww.eporcha.gov.bd অথবা www.land.gov.bd।

অন্যদিকে, সাইটটি ভূমি পরিষেবা, ভূমি পরিষেবা ফর্ম, ডিজিটাল গার্ড ফাইল এবং খাতাগুলির জন্য অনলাইন আবেদনও সরবরাহ করে।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

সুতরাং, এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের সকল জমির মালিকানার জন্য খুবই সহায়ক।

ই-পর্চা ওয়েবসাইট নাগরিকদের লগইন করতে হয়। লোকেরা এই সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে এবং তারপরে তাদের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে সকল তথ্য জানার জন্য সকল সার্ভিসের অনুমতি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে আরএস পর্চা

এটি RI visional Severy নামে পরিচিত। মোট জমির পরিমাণ, মূল মালিকের নাম, অধ্যাপকের নাম ইত্যাদি এই বইয়ে লিপিবদ্ধ আছে।

আরএস বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত খাঁটি খাতা। আপনি আপনার আরএস লেজারকে বিভিন্ন প্রকারে চিহ্নিত করতে পারেন।

যেহেতু এটি উন্মুক্ত এবং দুটি পৃষ্ঠা রয়েছে, এখানে প্রদত্ত আরএস দলিলটি জেলার নাম, মৌজা, খাতার সংখ্যা, মালিকের বিবরণ এবং উত্তর সীমান্তের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার অধিকারী।

আপনি ই-পর্চা ওয়েবসাইটে আরএস পর্চা দেখতে পারেন।

ই-পর্চা ডাউনলোড

Jomir Porcha ডাউনলোড: একটি জমির দলিল হল একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যাতে জমি বা সম্পত্তি এবং পূর্ববর্তী জমির মালিকদের নাম সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য থাকে।

ROR জমি পর্চা রেজিস্ট্রেশন এবং ডাউনলোড 2022

www.eporcha.gov.bd বাংলাদেশ সরকারের ভূমি সংস্কার অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইটটি আপনাকে আপনার জমির সমস্ত তথ্য সংগ্রহ (ল্যান্ড পোর্চা রেজিস্ট্রেশন) করতে সহায়তা করে।

এবং সেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে, আপনি আপনার সমস্ত ডাটার জন্য একটি পোর্টাল খুলতে পারেন এবং সেখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন এবং আপনি নাগরিক কর্নার থেকে সমস্ত তথ্য পাবেন।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

সিটিজেন সার্ভিস খোলার পর আপনি আপনার জমির জন্য মিউটেট করতে পারবেন। মিউটেশনের জন্য অফিস অর্থপ্রদান করতে সক্ষম হবে এবং সেখান থেকে সমস্ত তথ্য পড়া যাবে।

আপনি আপনার জমির জন্য ডিজিটাল স্ক্রিন ডাউনলোড করতে পারেন।

ল্যান্ড রেকর্ড (ROR) বিনামূল্যে ডাউনলোডের জন্য অনলাইনে আবেদন করুন এবং ফি প্রদান করুন।

আরও ROR আবেদনের পরে, আপনি GRN এবং অ্যাপ্লিকেশন নম্বর ডাউনলোড করতে পারেন এবং আপনার জমির তথ্য ডাউনলোড করতে পারেন (ডিজিটাল আরএস পোর্চা)

ভূমি সেবার হটলাইন নাম্বার

অনেকেই আছেন যারা ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং ভূমি সেবার সাহায্য নিতে আগ্রহী।

এক্ষেত্রে সরাসরি তাদের কাছে গিয়ে সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অনেকেই মোবাইল কলের মাধ্যমে সেবা পেতে আগ্রহী।

এক্ষেত্রে তাদের ল্যান্ড সার্ভিস হটলাইন নম্বর প্রয়োজন। তাই আমরা এই পোস্টে ল্যান্ড সার্ভিস হটলাইন নম্বর দিয়ে আপনাকে সহায়তা করছি।

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে ল্যান্ড সার্ভিস হটলাইন নম্বরে কল করুন। হট লাইন নম্বর হল – 16122

প্রতিটি দেশ এখন এই নতুন ইন্টারনেট যুগে কাজ করছে এবং এর জন্য, তারা ওয়েব পোর্টালগুলির সাহায্যে প্রতিটি সুবিধা প্রকল্পের পদ্ধতি অনলাইনে করার চেষ্টা করছে।

অন্যান্য দেশের মতো, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সরকারি কাজের বিবরণ অনলাইনে উপলব্ধ করেছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় পোর্টাল পরিষেবা তালিকা 2022

ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইন পোর্টালে সমস্ত পরিষেবা প্রদানের জন্য সম্পূর্ণ তালিকাটি দেখুন

  • ভূমি রেকর্ড ও মানচিত্রের ডিজিটালাইজেশন
  • দলিল নিবন্ধন অনলাইন.
  • নাগরিক-কেন্দ্রিক পরিষেবা
  • অনলাইন মিউটেশন প্রয়োগ করুন
  • রেকর্ড প্রস্তুত, হালনাগাদ ও রক্ষণাবেক্ষণ।
  • ISU এর ব্যবস্থাপনা
  • জমির রেকর্ডের প্রত্যয়িত কপি।
  • জমি বন্টন
  • জমির WB রেকর্ড (ROR) আবেদন
  • থিকা প্রজাস্বত্ব
  • মিউটেশন বিজ্ঞপ্তি 30 দিন
  • প্রশিক্ষণ (এলএমটিসি এবং আরটিআই)
  • মৌজা মানচিত্র-অনুরোধ/ উপলব্ধতা
  • ভাড়া নিয়ন্ত্রক
  • খতিয়ান স্ট্যাটাস অনলাইন

ই পর্চা অনলাইন আবেদন

আশা রাখি সম্পুর্ণ নিবন্ধটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং আপনার যাবতীয় তথ্য খুব সহজে পেয়ে গেছেন।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম,একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে- ২০২২

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম,একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-২০২২,বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সহজ। এখন অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। বাড়িতে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন এবং ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন। এছাড়া বিভিন্নভাবে বিকাশ হিসাব খোলা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম জানেন না, যার কারণে আমরা প্রায়ই টাকা লেনদেন করতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হই।

নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলা একদম সিম্পল ! বর্তমানে সকল এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক, গ্রামীণফোন এবং রবি গ্রাহকগণ বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন নিজের ফোন থেকেই! বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাপ থেকেই ঘরে বসে একাউন্ট খুলতে পারবেন নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে।

আপনি যদি এখনও বিকাশ অ্যাকাউন্ট না খুলে থাকেন তবে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার সাথে সাথে আপনি 200 টাকা বোনাস পাবেন, সেইসাথে কেনাকাটা এবং অর্থপ্রদানের উপর বিভিন্ন অফার তো থাকবেই।

সুতরাং, আপনি যাতে এই সুবিধাগুলি এবং অফারগুলি মিস না করেন, তাই আজ আমরা বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম 2022 সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যাতে আজকের নিবন্ধটি পড়ার পরে, আপনি নিজেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

বিকাশ বর্তমান সময়ের জন্য একটি বহুল ব্যবহৃত এবং বিশ্বস্ত মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা। টাকা লেনদেনের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত বিকাশ ব্যবহার করি। এই উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা খুব দ্রুত এবং নিরাপদে টাকা লেনদেন করি। বিকাশ মূলত ব্র্যাক ব্যাংকের একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা।

ধরতে গেলে, বিকাশ আমাদের লেনদেনকে আরো সহজ করে দিয়েছে। তাই আজকাল প্রত্যেকের জন্য অন্তত একটি বিকাশ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরি। এছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে রেফার অফারের মাধ্যমে বিকাশে অর্থ উপার্জনের উপায় রয়েছে। তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন।

অ্যাপ থেকে নতুন একাউন্ট খুলতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন

বিকাশ লেনদেনের সবচেয়ে দ্রুত ও নিরাপদ মাধ্যম। বিকাশ আপনাকে দেয় সেন্ড মানি, অ্যাড মানি, পে বিল, মোবাইল রিচার্জ এবং পেমেন্টসহ লাইফ সিম্পল করার সব সার্ভিস।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-২০২২

অ্যাপ দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যা যা লাগবে:

  • স্মার্টফোন
  • মূল ভোটার আইডি কার্ড

ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম:

(ⅰ) প্রথমে আপনাকে আপনার মোবাইলে একটি নতুন বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।ডাউনলোড করার জন্য প্লে স্টোর গিয়ে সার্চ বক্সে গিয়ে bkash টাইপ করুন। এখান থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন।

(ⅱ) এরপর লগিন/রেজিস্ট্রেশন এ ট্যাপ করুন।বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম,একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে- ২০২২

(ⅲ) ইনস্টল সম্পূর্ণ হয়ে গেলে অ্যাপসটি ওপেন করুন।

(ⅳ) রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার মোবাইল নম্বরটি দিয়ে পরবর্তী ধাপে যান।

(ⅴ) মোবাইল অপারেটর সিলেক্ট করুন। যেমন গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক।

(ⅵ) আপনার মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে সেটি টাইপ করে কনফার্ম করুন আপসানে ট্যাপ করুন।

(ⅷ) নিয়ম ও শর্ত সমূহ ভালো করে দেখে নিয়ে সম্মতি দিন।

(ⅸ)রেজিস্ট্রেশন শুরু করার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি তুলতে হবে।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম,একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে- ২০২২

(ⅹ) জাতীয় পরিচয়পত্রের সামনের অংশটি ফ্রেমের মধ্যে রেখে ছবি তুলুন।

(ⅹⅰ) ছবি স্পষ্ট কিনা দেখে কনফার্ম করুন অথবা সাবমিট করুন।

(ⅹⅰⅰ) এবার জাতীয় পরিচয়পত্রের পিছনের অংশটি প্রেমের মধ্যে রেখে ছবি তুলুন।

(ⅹⅲ) পেছনের অংশের ছবিটি স্পষ্ট কিনা দেখে সাবমিট করুন।

(ⅹⅳ) আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যান।

(ⅹⅴ)এই অপশনে আপনাকে আরো কিছু তথ্য দিতে হবে। এখানে আপনার লিঙ্গ , আয়ের উৎস, আনুমানিক মাসিক আয়, পেশা সিলেক্ট করে পরবর্তী ধাপে যান।

(ⅹⅵ) এরপর আপনার নিজের ছবি ক্যামেরার মাধ্যমে তুলতে হবে।

(ⅹⅶ) নিজের ছবি তুলে স্বয়ংক্রিয় স্ক্যানিংয়ের জন্য অপেক্ষা করুন।

(ⅹⅷ) রেজিস্ট্রেশনের সকল তথ্য সাবমিট করার জন্য নিশ্চিত করুন।

(ⅹⅸ) কনফার্মেশন এসএমএসের জন্য অপেক্ষা করুন, এসএমএস আসলে লগইন করুন।

(ⅹⅹ) এরপর লগইন অপশনে ট্যাগ করুন।

(ⅹⅹⅰ) মোবাইল নম্বরটি দিয়ে পরবর্তী ধাপে যান।

(ⅹⅹⅱ) মোবাইল অপারেটর সিলেক্ট করুন

(ⅹⅹⅲ) আপনার মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এ আসা ভেরিফিকেশন কোড দিন।

(ⅹⅹⅳ) এবার আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার সেট করতে হবে।

(ⅹⅹⅴ) পিন নাম্বার সেট করার নির্দেশনা দেখে নিন।

(ⅹⅹⅵ)৫ ডিজিটের পিন নাম্বার দুইবার দিয়ে কনফার্ম করুন

(ⅹⅹⅶ) এবার আপনার মোবাইল নাম্বার ও পিন নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্টে লগইন করুন।

(ⅹⅹⅷ) আপনার নাম সেট করুন

(ⅹⅹⅸ) (+) আইকনে ট্যাপ করে আপনার প্রোফাইলের ছবি আপলোড করুন।

আপনার বিকাশ একাউন্টটি সক্রিয় হয়ে গেছে এখন আপনি বিকাশের মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় লেনদেন শুরু করুন।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-২০২২

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে একাউন্ট খুলুনঃ 

নিকটবর্তী ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে বিকাশ একাউন্ট খুলতে নিয়ে আসুন

     ১। মোবাইল ফোন

     ২। জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি

পদ্ধতিঃ 

     ১। এজেন্ট আপনার মোবাইল নাম্বার ও অপারেটর নিশ্চিত করে একাউন্ট খোলার জন্য অনুমতি নেবেন। 

    ২। আপনার নাম্বারে পাঠানো রেফারেন্স নাম্বারটি নেবেন। 

    ৩। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সামনের ও পেছনের অংশের ছবি তুলবেন। 

    ৪। এজেন্ট ই-কেওয়াইসি এন্ট্রির জন্য আপনার একটি ছবি তুলবেন। 

    ৫। সফল রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আপনি একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন। 

এজেন্ট পয়েন্টে কেওয়াইসি ফর্ম পূরণ করে বিকাশ একাউন্ট খুলুনঃ

নিকটবর্তী এজেন্ট পয়েন্টে বিকাশ একাউন্ট খুলতে নিয়ে আসুন

     ১। মোবাইল ফোন

     ২। জাতীয় পরিচয় পত্র (মূল এবং ফটোকপি)

     ৩। ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

গ্রাহক সেবায় বিকাশ একাউন্ট খুলুনঃ

নিকটবর্তী গ্রাহক সেবায় বিকাশ একাউন্ট খুলতে নিয়ে আসুন

১। মোবাইল ফোন

২। জাতীয় পরিচয়পত্র (ফটোকপি) / ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল এবং ফটোকপি) / পাসপোর্ট (মূল এবং ফটোকপি)

৩। ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে বিকাশ একাউন্ট খুলুনঃ

নিকটবর্তী গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে বিকাশ একাউন্ট খুলতে নিয়ে আসুন

  ১। মোবাইল ফোন

  ২। জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এবং ফটোকপি)/ মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স / মূল পাসপোর্ট

  ৩। ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-২০২২

একাউন্ট ওপেনিং ফরমটি পূরণ করুন এবং আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ ও স্বাক্ষর দিন। 

বিকাশ একাউন্ট খোলার পর আপনাকে আপনার বিকাশ মোবাইল মেন্যুটি এক্টিভেট করে নিতে হবে। আপনার মোবাইল মেন্যু এক্টিভেট করতে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুনঃ

১। *২৪৭# ডায়াল করে বিকাশ মোবাইল মেন্যুতে যান।

২। “ এক্টিভেট মোবাইল মেন্যু” বেছে নিন।

৩। বিকাশ একাউন্টের জন্য ৫ ডিজিটের পিন নম্বরটি প্রবেশ করান

৪। কনফার্ম করার জন্য আপনার পিন নম্বরটি আবার প্রবেশ করান  

* আপনার পিন নম্বরটি সব সময় গোপন রাখুন

সকল প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে সম্পন্ন হবার পর আপনার মোবাইল নম্বরটি একটি বিকাশ একাউন্ট নম্বর হিসেবে গণ্য হবে। আপনার বিকাশ একাউন্ট এর মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন এবং টাকা গ্রহণ সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে, আপনার KYC ফরম এর তথ্য যাচাই হয়ে গেলে, ৩-৫ দিনের মধ্যে আপনি “ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ পেমেন্ট” এবং বিকাশ এর  অন্যান্য সেবা সমূহ উপভোগ করতে পারবেন। আপনার একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় হওয়ার পর *247# ডায়াল করে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৭ দিন বিকাশের সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।

একজন গ্রাহক গ্রাহক সেবা কেন্দ্র অথবা গ্রাহক সেবা থেকে একাউন্ট খুললে সাথে সাথে বিকাশ এর সকল সেবা উপভোগ করতে পারবেন। 

আরো জানতে ভিজিট করুনঃরেডেক্স(RedEx) কুরিয়ার সার্ভিস বাংলাদেশ এর কাষ্টমার কেয়ার নাম্বার, শাখা সমূহ ও সার্ভিস চার্জ 2022

বাটন মোবাইল দিয়ে জাভা গেম ডাউনলোড করার নিয়ম

বাটন মোবাইল দিয়ে জাভা গেম ডাউনলোড করার নিয়ম

বাটন মোবাইল দিয়ে জাভা গেম ডাউনলোড করার নিয়ম-জাভা গেম প্রেমিদের জন্য আজকে জনপ্রিয় ৫ টি বাটন মোবাইল জাভা গেম নিয়ে আলোচনা করব । বর্তমান সময়ে জাভা মোবাইল ব্যবহারকারীরা অনেকাংশে কমে গেছে তবুও বর্তমান সময় অনেক মানুষ রয়েছে যারা এখনো জাভা বাটন মোবাইল ব্যবহার করি।

বাটন মোবাইল জাভা গেম  অনেকগুলো রয়েছে তার মধ্য থেকে আমরা  জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচলিত পাঁচটি বাটাম মোবাইল জাভা গেম আপনাদের সাথে তুলে ধরব। আশা করি আপনারা এই গেমগুলো খেলে খুবই আনন্দ উপভোগ করবেন।
বাটন মোবাইল জাভা গেম বর্তমানে ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনারা অনেকগুলো পেয়ে যাবেন। কিন্তু অনেক গেম গুলো রয়েছে বেশ সুবিধার না এবং জাভার বাটন মোবাইলে সাপোর্ট করে না তো আজকে যেগুলো গেম সাপোর্ট করে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জাভা ফুটবল গেম  নিয়ে আমরা আলোচনা করব এবং আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো  জাভা ফুটবল গেম এর জনপ্রিয় একটি গেম। এছাড়াও আজকের আলোচনা আমরা ক্রিকেট জাভা গেম নিয়েও আলোচনা করবো এবং আপনাদের সাথে সামনে তুলে ধরব জনপ্রিয় ক্রিকেট জাভা গেম

Midnight pool

প্রথম আমরা যে গেমটি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব সেই গেমটির নাম হল Midnight pool । অনেকে pool খেলার সাথে আপনারা পরিচিত আছেন। আপনার অবসরের সময়ের জন্য এই গেমটি আপনাকে খুবই আনন্দদায়ক সময় কাটানোর একটি মাধ্যম করে দিবে। বাটন মোবাইল জাভা গেম হিসাবে আপনারা যদি এই গেমটি খেলেন তাহলে অবশ্যই আপনার বাটন মোবাইল জাভা গেমে ভালো পারফরম্যান্স পাবেন। এই গেমটি খুবই জনপ্রিয় একটি গেম আপনি যদি আপনার বাটন মোবাইলে এই গেমটি খেলতে চান তাহলে খুব সহজে গেমটি খেলতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে গেমটি সংগ্রহ করতে হবে তারপর আপনাকে আপনার বাটন  জাভা ফোনে গেমটি ইন্সটল দিতে হবে।

Midnight pool গেমের ফিচার

  •  একটি জাভা গেম অনুযায়ী আপনি যদি এই গেমের গ্রাফিক্স বিচার করেন তাহলে মোটামুটি ভালো বলা যায়।
  • এই গেমটির সাথে আপনারা ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি পাবেন। আপনার মোবাইল অনুযায়ী এর পারফরম্যান্স নির্ভর করবে।
  • আপনি এখানে অনেকগুলো মুডে খেলতে পারবেন। যেমনঃ ফ্রেন্ডলি মোড, কুইক ম্যাচ ইত্যাদি।
  • এখানে Pool গেমের আরো অনেকগুলো খেলা আপনারা পাবেন। যেমনঃ 8 pool 12 pool ইত্যাদি!
  • গেম লফট কোম্পানি তৈরিকৃত এই গেমটি জাভা গেমে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এর সকল ফিচারের জন্য।

জাভা ফুটবল গেম

জাভা ফুটবল গেম হিসেবে এখন আমরা যে গেমটি সাথে আপনাদের কি পরিচয় করিয়ে দিব সেই গেমটির নাম হল real football 2008. আপনি যদি অবসর সময়ে গেম খেলতে চান তাহলে আপনার জন্য এই গেমটি ভালো হবে। পঞ্চম তম সংস্করণে গেমটিতে আরো আধুনিক করা হয়েছে। যেমনঃ এর কন্ট্রোল খুবই সহজ করা হয়েছে এর গ্রাফিক্সে আরো উন্নতি আনা হয়েছে। অন্যান্য বিষয়বস্তু মিলে বর্তমানে গেমটি খুবই জনপ্রিয় এবং জাভা মোবাইলের জন্য একটি ভালো এবং জনপ্রিয় গেম।

জাভা ফুটবল গেম গেমের ফিচার

  • জাভা ফুটবল গেমটির গ্রাফিক্স খুবই ভালো এবং আপনার জাভা বাটাম ফোন এর জন্য খুবই সুইটেবল একটা জাভা গেম।
  • খুব সহজে জাভা গেমটিকে কন্ট্রোল করা যায়।
  • আপনি এই গেমটিতে পুরোপুরি এন্ড্রয়েড মোবাইলের গেমের ফিল পাবেন।
  • এখানে আপনার অনেকগুলো টাইপের গেম খেলতে পারবেন। যেমনঃ ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে পারবেন, কুইকলি ম্যাচ খেলতে পারবেন, কাপ খেলতে পারবেন আরো অন্যান্য ম্যাচ এখানে সংযুক্ত করা রয়েছে। </li>
  • আপনারা অসাধারণ সাউন্ড কোয়ালিটি পাবেন যা আপনার গেম খেলাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে। </li>

Mobile poker

আপনি যদি জাভা বাটাম ফোন দিয়ে অনলাইনে গেম খেলার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এখনকার গেমটি ভালো একটি গেম হবে। সচরাচর বাটাম মোবাইল দিয়ে অনলাইনে গেম খেলা যায় না কিন্তু বর্তমানে আমরা যে গেমটি নিয়ে আলোচনা করব এই গেমটি দিয়ে আপনারা চাইলে অনলাইনে যে কোন প্লেয়ারের সাথে খেলতে পারবেন। গেমটির নাম হল Mobile Poker. এই গেমটির জাভা এবং অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন উভয় রয়েছে এবং আপনারা একটি সার্ভারে ই জাভা এবং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের প্লেয়াররা একসাথে খেলতে পারবে।

Mobile Poker গেমের ফিচার

  • সর্বপ্রথম যে ফিচার সম্পর্কে কথা বলব সেটি হল আপনারা যে কোন বাটাম মোবাইল দিয়ে হলেও এই গেমটি খেলতে পারবেন এবং সকল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের সাথে তাল মিলিয়ে গেমটি খেলতে পারবেন।
  • জাভা বাটাম মোবাইল হিসেবে গেমে গ্রাফিক্স খুবই আকর্ষণীয় অন্যান্য গেম থেকে যা আপনাকে অবশ্যই মুগ্ধ করবে।
  • আপনারা এখানে একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার গেমের সকল কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনাকে গেম খেলার আগে এখানে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে যা অন্যান্য গেমে আপনারা পাবেন না।
  • আপনারা এখানে চাইলে দুইজন একজন বা একটি স্কোয়ার্ড তৈরি করে গেম খেলতে পারবেন।যা কিন্তু বর্তমান সময় এন্ড্রয়েড মোবাইল গেমগুলোতে দেখা যায়।
  • গেমে টি তে আপনারা গেম খেলার সময় সাউন্ড পাবেন যার কোয়ালিটি মোটামুটি অনেক ভালো।

ক্রিকেট জাভা গেম

ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা আমরা সবাই জানি আর আপনি যদি আপনার বাটাম মোবাইলে ক্রিকেট গেম খেলতে চান তাহলে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিব জাভা বাটাম ফোনের জনপ্রিয় একটি ক্রিকেট গেম এর সাথে। জাভা বাটাম ফোনের জন্য অনেকগুলো ক্রিকেট থাকলেও এখন আমরা যে গেমটি নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতেছি এই গেমে আপনারা অনেক কিছু ফিচার পাবেন এবং খেলতেও খুব ভালো লাগবে। গেমটির নাম হল WCC 2.

ক্রিকেট জাভা গেম গেমের ফিচার

  • গেমের গ্রাফিক্সের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা গেমটি অন্যান্য গেম থেকে খুবই ভালো লক্ষ্য করতে পারবো। একটি জাভা বাটাম মোবাইলের গেম হিসাবে।
  • এখানে খুব সহজভাবে আপনারা ব্যাটিং বোলিং কন্ট্রোল করতে পারবেন।
  • অনেক ধরনের গেম কুইক ম্যাচ ফ্রেন্ডলি ম্যাচ এশিয়া কাপ বিশ্বকাপ ইত্যাদি খেলতে পারবেন।
  •  গেমে চাইলে আপনারা আপনাদের মত প্লেয়ার কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
  • গেমের সাউন্ড কোয়ালিটি যদি আপনারা খেয়াল করেন তাহলে ভালো একটা পারফরম্যান্স দেখতে পারবেন।

গ্যাং স্টার ২

আপনি যদি আপনার হাতে থাকা জাভা বাটাম ফোনটি দিয়ে হলেও একশন গেম খেলতে চান। তাহলে এখনকার গেমটা শুধুই আপনার জন্য। আমরা অনেকেই একশন গেম খুবই পছন্দ করি এবং আমাদের অবসর সময় একশন গেম খেলি। জাভা বাটাম ফোনের জন্য এই গেমটি ভরপুর একটি একশন গেম। এই গেমটির নাম হলো গ্যাংস্টার ২। আপনারা চাইলে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলেও এই গেম খেলতে পারবেন এবং আপনার জামা বাটাম ফোন দিও খেলতে পারবেন।

গ্যাং স্টার ২ গেমের ফিচার

  • প্রত্যেকটি গেমের আমরা গ্রাফিক্স নিয়ে কথা বলি তো গ্রাফিক্সের মোটামুটি ভালো আপনারা গেম খেলার সময় বিষয়টি লক্ষ্য করে থাকবেন।
  • গেমে আপনারা নানা রকম ভেরিয়েন্টের জায়গা পাবেন। যেখানে আপনারা গেম রান করাতে পারবেন এবং আমার ফাইটিং করতে পারবেন।
  • গেমের সাউন্ড কোয়ালিটি খুবই অসাধারণ যা আপনার জাভা বাটাম ফোন অনুযায়ী আপনাকে ভালো পারফরম্যান্স দেবে।
  • গেমে আপনারা চাইলে গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন অর্থাৎ আপনারা চাইলে এই গেমে গাড়ি চালাতে পারবেন।
  •  এখানে অনেকগুলো মিশন দেওয়া থাকবে আপনারা গেম খেলার মাধ্যমে মিশন গুলো কমপ্লিট করতে পারবেন এবং পয়েন্ট পাবেন যা দিয়ে আপনারা পরবর্তীতে গেমে নানা রকম জিনিস কিনতে পারবেন।
এই ছিল আজকের নতুন জনপ্রিয় ৫ টি বাটাম মোবাইল জাভা গেম — ২০২২

নতুন জাভা গেম

cএখানে আলোচনাকৃত প্রত্যেকটি গেমে আপনারা ভালো পারফরম্যান্স পাবেন। আর বর্তমান সময়ে আপনার হয়তো জেনে থাকবেন নতুন জাভা গেম রিলিজ হয় না। বর্তমান সময়ে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ইউজ করার পরিমান বেড়ে যাওয়ায় এন্ড্রয়েড মোবাইল গেম নিয়ে নানারকম গেম রিলিজ হলেও জাভা গেম নিয়ে তেমন কোনো নতুন জাভা গেম রিলিজ হয় না।

জাভা গেম খেলে টাকা আয়

আপনারা হয়তো অনেকেই জাভা গেম খেলে টাকা আয় করতে চান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বলা যায় যে জাভা এরকম তেমন গেম রিলিজ করেনি। তবে আপনারা জেনে খুশি হবেন যে যাবার  একটি অনলাইন গেম রয়েছে যা দিয়ে আপনারা টাকা আয় করতে পারবেন ইতিমধ্যে আমরা আপনাদেরকে এই গেমটি সম্পর্কে পরিচিত করে দিয়েছি।
গেমটির নাম হল Mobile poker. সর্বপ্রথম আপনারা গেমটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে নিবেন। তারপর আপনার জাভা ফোনে গেমটি ইন্সটল দিয়ে দিবেন। তারপর আপনাকে গেমে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর আপনারা একটি ইমেইল ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে একাউন্ট দেওয়া হবে এবং আপনার এই গেমটি খেলার জন্য এখান থেকে কিছু পয়েন্ট আপনাকে দেওয়া হবে। আর এখান থেকে আপনার যদি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ডলার বেট করতে হবে এবং আপনি যদি বেটে জিতে যান তাহলে এখান থেকে আপনারা টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার প্রতিপক্ষকে হারানোর মাধ্যমে।
এই ছিল জাভা ফোন এর অনলাইন গেম যার মাধ্যমে আপনারা গেম খেলে টাকা আয় করতে পারবেন আশা করি আপনারা পুরো বিষয়টি বুঝেছেন।

জাভা ফুটবল গেম

জাভা ফুটবল গেম যদি আপনারা পেতে চান তাহলে আপনাকে ইন্টারনেটে সার্চ করতে হবে এবং জাভা ফুটবল গেম টি খুজে নিতে হবে। ইতিমধ্যে আমরা জাভা ফুটবল গেম সম্পর্কে আলোচনা করেছি এবং আপনাদের মাঝে জনপ্রিয় একটি জাভা ফুটবল গেম তুলে ধরেছি আপনারা এই গেমটি যদি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে কিন্তু ভালো একটি গেম খেলতে পারবেন।

ক্রিকেট জাভা গেম

আমরা অনেকেই আছি যারা ক্রিকেট খেলা কে ভালবাসি আর এই ক্রিকেট খেলার জন্য আপনারা ক্রিকেট গেমটি ইন্সটল করে নিবেন। তারপর আপনারা খুব সহজেই এই গেমটি খেলতে পারবেন। আর আমরা ইতিমধ্যে ক্রিকেট সিরিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট গেম আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আর এই গেমটির গ্রাফিক্স খুবই ভালো আর আপনারা চাইলে এই গেমটি আপনার জাভা বাটাম ফোনে খেলতে পারেন।
আজকের আলোচনা এ পর্যন্ত। পরবর্তীতে দেখা হবে নতুন কোন টপিক নিয়ে। আর প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করার অনুরোধ রইল। আর এরকম নিত্য নতুন বিষয়বস্তু শিখতে অবশ্যই আমাদের বিডিটেকরুম এর সঙ্গেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

২ মিনিটেই শিখুন ইসলামী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম

ইসলামী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম

ইসলামী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম-ইসলামী ব্যাংকের একজন গ্রাহক হয়ে থাকলে আপনাকে অবশ্যই চেক বই লিখতে হবে। আর চেক বই লেখার নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মেনে চেক বই যদি না লিখে থাকেন তাহলে আপনারা পড়তে পারেন ঝামেলায়। তো সেই ঝামেলা এড়াতে এখনই আমাদের আর্টিকেলটি থেকে ইসলামী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম শিখে নিন।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন? আজকের নতুন আর্টিকেলে আপনাদের স্বাগতম। আপনার ইতিমধ্যে জেনে গেছেন আজকে আমরা ইসলামী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করতে চাচ্ছি।

প্রত্যেকটি ব্যাংকেরই চেক রয়েছে এবং প্রত্যেক ব্যাংকে চেক আলাদা আলাদা যা লেখার সময় অনেকেরই নানা রকম ঝামেলা হয়ে থাকে। তো সেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আজকে আমরা ইসলামী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ইসলামি ব্যাংক চেক বই কি?

চেক বই হল একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল যার মাধ্যমে ব্যাংকের মালিক ব্যাংকের সাথে এবং অন্যান্য ব্যক্তির সাথে লেনদেন করতে পারে। ইসলামী ব্যাংকের চেক বই হল যে দলিল খানা দিয়ে ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে লেনদেন করা যায়। সেই হস্তরাতের যোগ্য দলিলকেই ইসলামী ব্যাংক চেক বই বলে।

ইসলামী ব্যাংক চেক বই

ব্যাংকের চেক বই প্রধানত তিন প্রকার। আপনি এই তিন প্রকারের চেক বই দিয়ে লেনদেন করতে পারবেন। নিচে চেক বইয়ের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

 বাহক চেকঃ বাহক সেক হল এমন একটি চেক যে চেকের পাতায় প্রাপকের নামের পরপরই  “বাহককে” শব্দগুলি লিখা থাকে এবং ব্যাংকে যখন এই চেক উপস্থাপন করা হয় তখন  সাথে সাথেই এই  বাহকের নিকট  অর্থ পরিশোধ করা হয়।  বাহক চেকের মাধ্যমে  টাকা উত্তোলন করা খুবই সহজ।  বাহক থেকে অতিরিক্ত স্বাক্ষর হিসেবে উলটা পেজে কোনরকম সাক্ষ্য করতে হয় না চেক লেখক কে। এই চেকটা দেখানোর মাধ্যমে ব্যাংক তৎক্ষণাৎ টাকা পরিশোধ করে দেয় বলে এই চেক যদি কখনো হারিয়ে যায় তাহলে আপনার উচিত হবে ব্যাংকে এই বিষয়ে অবগত করা।

হুকুম চেকঃ যে চেকের টাকা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অথবা তার আদেশ মতে অন্য কোন ব্যক্তি বা সংস্থানকে  প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকে তাকে আমরা হুকুম চেক বলে থাকি । হুকুম চেক  তখন বাপ থেকে রূপান্তরিত হয় যখন এই চেকের বিপরীত পাশে চেক লেখক তার একটি স্বাক্ষর প্রদান করে। হুকুম থেকে প্রাপকের নামের শেষে  “অথবা আদেশ অনুসারে “কথাটি লিখা থাকে।

দাগ কাটা চেক দাগ কাটা চেক এমন একটি চেক যে চেকের উপরে সাধারণত বাম কোনায় এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে দুটি সমান্তরাল রেখা টানা হয়। এই চেক আপনারা নির্দিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি ভাংগাতে পারবেন না।  এই চেক আপনাকে আদায়ের উদ্দেশ্যে  নিজস্ব ব্যাংকে চেকটি জমা দিতে হবে।

ইসলামী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম 

ইসলামী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম অত্যন্ত সহজ। আপনারা এখন ঘরে বসেই ইসলামী ব্যাংকের চেক লিখতে পারবেন। তো নিচে আমরা প্রত্যেকটি ধাপ আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।

#ধাপঃ- ১

সর্বপ্রথম আপনারা চেকটি লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন উপরের দিকে <b>”DATE”</b> নামে একটা ফাঁকা ঘর রয়েছে।  এই ঘরে আপনারা চেক ইস্যুকৃত দিনের তারিখটি উল্লেখ করবেন অর্থাৎ আপনি যেদিনে চেক টি লিখছেন তার তারিখ এখানে দিবেন।

#ধাপঃ- ২

এবার নিচের দিকে তাকালে নামে একটি ঘর দেখতে পারবেন। এখানে আপনারা যদি নিজে টাকা উত্তোলন করতে চান সেহেতু আপনার নাম দিতে পারেন।  অন্য কারো দাঁড়ায় টাকা তোলাতে চাইলে সেই ব্যক্তির নাম দিতে পারেন।

#ধাপঃ- ৩

এর নিচে ” The sum of Taka ” ফাঁকা ঘরটিতে আপনি যত টাকা উত্তোলন করতে চান সেই টাকার পরিমান লিখে দিবেন এবং টাকার পরিমান অবশ্যই কথায় লিখবেন এবং এর শেষে  “মাত্র ”  কথাটি যুক্ত করে দিবেন।

#ধাপঃ- ৪

তার পাশে  “Tk” ই ঘরটি দেখতে পারবেন। এই ঘরে আপনার উত্তোলন করতে চাওয়া টাকার পরিমান অংকে লিখুন।

 #ধাপঃ- ৫

ডান দিকে নিচে চেক ইস্যু কারী ব্যক্তির জন্য একটি স্বাক্ষর রয়েছে এই ঘরে আপনি নিজের স্বাক্ষর প্রদান করুন।

নোটঃ আপনি যদি নিজে টাকা উত্তোলন না করে অন্য ব্যক্তির দাড়িয়ে টাকা উত্তোলন করতে চান। তাহলে অবশ্যই ” Pay to” ঘরে আপনি যার দ্বারা টাকা উত্তোলন করতে চান তার নাম লিখবেন এবং চেকের উল্টা পাশে অবশ্যই আপনার একটি স্বাক্ষর দিবেন।

 ইসলামী ব্যাংকে চেক লেখার সর্তকতাঃ-

চেক প্রত্যেকটি লেখা স্পষ্ট ভাবে লিখবেন যেন বুঝতে কোনো কষ্ট না হয়।

চেকের লেখাতে কোন রকম কাটাকাটি যেন না হয় এই দিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। </li>

চেকে টাকার পরিমাণ লেখার সময় অবশ্যই সজাগ থাকবেন।  টাকা কথায় লেখার পর <b> “মাত্র”</b> কথাটি আর ইংলিশে যদি আপনি চেক লিখে থাকেন তাহলে <b> ” Only”</b> কথাটি ব্যবহার করবেন।

উদাহরণঃ- “দশ হাজার টাকা মাত্র” /  “Ten Thousands Taka only”

চেক দেখার  সময় তারিখের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন  কেননা একটি চেক ইস্যু করার পর 6 মাস পর্যন্ত  ব্যাহত থাকে।

বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নোত্তর

ইসলামি ব্যাংক চেকের মেয়াদ কত দিন?

ইসলামী ব্যাংক থেকে মেয়াদ ছয় মাস থাকে। একটি চেক ইস্যু করার পর 6 মাস সেই চেকটি টাকা উত্তোলনের জন্য অব্যাহত থাকে।

ইসলামি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা কে?

ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রহিম।

ইসলামি ব্যাংকিং সিস্টেম কেমন?

ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেম ইসলাম শরিয়া মোতাবেক পরিচালিত হয়।

পরিশেষে!

আজকে আমরা আলোচনা করলাম ইসলামী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে আশা করি আপনারা সবাই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে ইসলামী ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম শিখে নিয়েছেন।

ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে যে কোন মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। তো আজকে এ পর্যন্ত দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে এসে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার পদ্ধতি

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার পদ্ধতি

এফিলিয়েট মার্কেটিং-ইতিমধ্যে অনেকের কাছে এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি পরিচিত শব্দ!  ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি বা ফেসবুকিং করার সময় হয়তো আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু না কিছু শুনে থাকবেন।

হ্যালো আসসালামুআলাইকুম!  বিডি টেক রুম থেকে  একজন অথর বলছি। আজকে যদি আপনারা এভিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আপনাকে স্বাগতম।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আমাদের জানার আগ্রহ প্রায় অনেকেরই আছে। তো যাদের জানার আগ্রহ আছে তারা অবশ্যই আমাদের আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি আপনারা সবাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

নিজের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ ইত্যাদি দিয়ে অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোট করার মাধ্যমে সেল দিয়ে যে প্রমোশন পাওয়া যায় সেই প্রোমোশন পাওয়ার প্রক্রিয়াটাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।শুনতে একটু কঠিনতম হলেও কাজটি যখন আপনারা শুরু করবেন তখন আপনার কাছে সহজে মনে হবে।

যখন আপনার কাছে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা দর্শনার্থী ভালো থাকবে। তখন আপনারা যদি চান অন্য কোন ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট (যেমনঃ দারাজ, টেন মিনিট স্কুল ইত্যাদি) আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রমোট করে সেল দিয়ে দিতে পারেন এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে সহজ ভাষায় এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।

বর্তমান সময়ে অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত হচ্ছেন। আপনি যদি এখনো যুক্ত না হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এর পুরো কার্যকলাপ এবং সুযোগ-সুবিধা দেখে অবশ্যই যুক্ত হতে চাইবেন। অনেকের কাছে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পূর্ণ নতুন একটা বিষয় তো এই নতুন বিষয়টিকে আপনাকে একদম গোড়া থেকে জানতে হবে।

এক কথায় এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সংজ্ঞা  নিজের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদিকে মাধ্যম বানিয়ে অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোশনের মাধ্যমে সেল দিয়ে যে প্রোমোশন পাওযায় তাকে মার্কেটিং বলে।

একটি উদাহরণঃ

ধরুন আমাদের বিডি টেকরুম ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এক হাজারের উপরে ভিজিটর আসে। এখন আমি চাচ্ছি আমার এই ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে। তো যখন আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং করব তখন অন্যান্য ওয়েবসাইট যেগুলো প্রোডাক্ট সেল দেয় যেমন আমাজন দারাজ টেন মিনিট স্কুল তাদের এক এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে আমি রেজিস্টার করার পর সেখান থেকে আমাকে সেই প্রোডাক্টটির একটি প্রোমোশনাল লিংক দেওয়া হবে।

তখন আমি আমার ওয়েবসাইটের যেগুলো কন্টেন্ট পাবলিশ করি সেই কনটেন্ট গুলোর মাঝে আমি সেই প্রমোশনাল এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করব। যখন কোন ভিজিটর আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে এবং সেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক অনুসরণ করে তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে কোন পণ্য কিনবে। তখন সেই পণ্যের কেনা বাবদ আমি কিছু কমিশন পাব।  যেমনঃ ১০% ১৫% ২০% ইত্যাদি৷ এই প্রমোশন আমার একাউন্টে যুক্ত হবে এবং আমি তাদের ওয়েবসাইট থেকে সেই টাকা যে কোন মেথডে উত্তোলন করতে পারব।

এই প্রসেসটিকে একত্রে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে পারি। আশা করি উদাহরণটি আপনাদের বোধগম্য হয়েছে।

ইতিমধ্যে হয়তো আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো জানতে আগ্রহশীল হচ্ছেন। তো এখন আপনার জন্য  আমরা আলোচনা করব এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এই বিষয়টি নিয়ে।

মার্কেটিং শুরু করতে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে কেননা এই কাজটি অল্প সময়ের কোন কাজ নয় আপনাকে প্রথমত ধৈর্যশীল হতে হবে এবং আপনাকে এপ্রিল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে জানতে হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে যা যা লাগবে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দরকার হবে। এগুলো অবশ্যই আপনাকে আপনার সাথে রাখতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে যে সকল বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ যথাঃ

  • একটি ফেসবুক পেজ,  ইউটিউব চ্যানেল বা  ওয়েবসাইট।
  • ফেসবুক পেজ ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইটে  ভালো পরিমাণে ট্রাফিক।
  • ইন্টারনেট কানেকশন।
  • একটি ভালো ডিভাইস। ( আপনারা চাইলে মোবাইল ফোন দিয়েও করতে পারবেন)

উপরের সকল বিষয়ের প্রতি আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং আপনার উপরের বিষয়গুলো যদি থাকে তাহলে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমঃ  ফেসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইট

এফিলেট মার্কেটিং করতে সর্বপ্রথম এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যম আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। আপনি চাইলে ফেসবুক ইউটিউব ওয়েবসাইট এগুলো সাহায্য নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। তো আপনার যদি একটি ভাল পরিমাণে ফেসবুক পেজ থাকে বা একটি ইউটিউব চ্যানেলে ভালো সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউ থাকে এবং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসে তাহলে আপনারা এই ট্রাফিক বা ভিজিটরদেরকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করতে পারবেন।

ফেসবুক পেজ

 বর্তমান সময়ে ফেসবুকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে। আপনি যদি ফেসবুক পেজকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করতে চান তাহলে প্রথমত আপনাকে একটি ভালো মানের ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে।  যেখানে আপনার ফলোয়ার বা অডিয়েন্স সংখ্যা লাখখানেকের মত। এখানে সংখ্যা দিয়ে কোন কিছু নির্ধারণ করা যায় না। আপনি যদি চান আপনার এক হাজার অডিয়েন্সকে কাজে লাগিয়েও। মার্কেটিং করতে পারেন। তো সব সময় খেয়াল রাখবেন আপনার পেইজে যেন সব অডিয়েন্সগুলো একটিভ থাকে এবং আপনার কনটেন্ট প্রতিনিয়ত ভালো মানে রিস পাই তাহলে আপনারা সেই কন্টেন্টের মাধ্যমে এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে উপার্জন করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল 

ইউটিউব চ্যানেলে আপনারা এডসেন্সের পাশাপাশি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও উপার্জন করতে পারবেন। সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ভালো সাবস্ক্রাইবার সংখ্যক ইউটিউব চ্যানেল দরকার হবে। যেখানে আপনার কনটেন্ট গুলো হাজার খানেক মানুষ দেখে তো আপনারা সেই কন্টেন্টের মাঝে আপনার এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন বর্তমান সময়ে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করছে এবং অনেক ইউটিউবার রয়েছে যারা মাসে হাজার হাজার ডলার ইউটিউব চ্যানেলকে কাজে লাগিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে উপার্জন করছে।

 ওয়েবসাইট 

আপনার যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট থেকে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় অনেক ব্লগার ওয়েবসাইট কে কাজে লাগিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে। এছাড়াও আপনার যে কোন ওয়েব সাইটে আপনি চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। তো এ বিষয়ে আপনাকে মেইন যে জিনিসটা লাগবে সেটি হল আপনার ভালো মানের ট্রাফিক।

ইন্টারনেট কানেকশন

বর্তমানে হয়তো আপনার ইন্টারনেট কানেকশন সম্পর্কে সবাই অবগত আছেন।  তো এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যেহেতু আপনাকে অনলাইনে কাজ করতে হবে সেহেতু আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন গ্রহণ করতে হবে। তো যখন আপনার ইন্টারনেট কানেকশন গ্রহণ করবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার কানেকশন যেন ভালো কোয়ালিটির হয়ে থাকে পরবর্তীতে আপনারা ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে ভালো মানের সার্ভিস পান।

ভালো ডিভাইস

বর্তমান সময়ে যারা অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত কার্যাবলীতে যুক্ত রয়েছে প্রায় সবাই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে। আপনার যদি একটি ভালো কম্পিউটার বা ল্যাপটপে থাকে তাহলে আপনারা সেটিকে আপনার মার্কেটিং এর মাধ্যম বানিয়ে উপার্জন করতে পারবেন। আর আপনারা যদি মোবাইল ফোন দিয়ে উপার্জন করতে চান তাহলেও সম্ভব আপনারা যদি ভালো ডিভাইস ব্যবহার করেন তাহলে আপনার কাজের গতি আরো বাড়বে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো 

 ধাপঃ- ১

সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ  ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে হবে। এরপর আপনার ফেসবুক পেজ ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইটে ভালো ভিজিটর বা অডিয়েন্স কালেক্ট করতে হবে।

ধাপঃ- ২

ইন্টারনেটে অনেকগুলো এফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে। তো সেই এফিলিয়েট প্রোগ্রামে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং সেখান থেকে পাওয়ার লিংক সংগ্রহ করতে হবে

গুরুত্বপূর্ণ এফিলিয়েট প্রোগ্রাম

  • অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (Amazon)
  • ওয়ান নেটওয়ার্ক ডিরেক্ট এপিলিয়েট প্রোগ্রাম ( One Network Direct)
  • কমিশন জংশন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (Commission Junction)
  • ইন ভেটো মার্কেট এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (Envato Market )
  • লিংক শেয়ার এফিলিয়েট প্রোগ্রাম ( Linkshare)
  • দারাজ এফিলিয়েট প্রোগ্রাম <(Daraz)
  •  টেন মিনিট স্কুল এফিলিয়েট প্রোগ্রাম (Ten minute school)

 ধাপঃ- ৩

তারপর সেই লিংক আপনার ফেসবুক পেজ ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইটের কনটেন্টে যুক্ত করতে হবে।

ধাপঃ- ৪

আপনার লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি উল্লেখিত এফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এবং কোন কিছু কেনে তাহলে আপনারা সেখান থেকে কিছু পারসেন্ট প্রমোশন পাবেন।

ধাপঃ- ৫

সেই প্রোমোশনের অর্থ আপনার একাউন্টে জমা হবে এবং আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট অনুসারে পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা 

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা সম্পর্কে বলতে গেলে  বলা যায় এর সুবিধা খুবই গ্রহণযোগ্য এবং এর সুবিধা এর জন্য অনেক মানুষের মার্কেটিং খুব সহজে করছে।

কোনরকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। এতে করে আপনার কোন জায়গায় টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না এবং আপনার রিস্ক থাকবে না।

আপনি আপনার ফেসবুক পেজ থেকে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম ওয়েবসাইট এবং ইউটিউবের এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকামের পাশাপাশি  অপশনাল হিসেবে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। এটাকে আপনারা একটি বাড়তি আয় ও বলতে পারেন।

 এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সকল কার্যাবলী অনলাইনে হওয়ায় আপনারা ঘরে বসে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি  দিয়েও আপনারা চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন এবং সেখান থেকেই আশানুরূপ উপার্জন করতে পারবেন।

অনলাইনে পেমেন্ট মেথড থাকায় আপনার পেমেন্ট পেতে কোনরকম ভোগান্তি পোহাতে হবে না।  আপনার বাড়িতে বসেই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা  যেকোনো অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।

একদম ঘড়ে বসেই আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। আপনার কাজ হবে আপনার অডিয়েন্স দের মাঝে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করা এবং যে সকল অডিয়েন্স আপনার সেই লিংকে ক্লিক করে  কোন প্রোডাক্ট কিনবে তা থেকে উপার্জন হবে। তাহলে বলতেই পারেন এটিকে বসে বসে উপার্জন করা।

এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলাদেশ

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে। অনেকেই ইতিমধ্যে বাংলাদেশেও অনেকগুলো এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখান থেকে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন করতে পারবেন। যেমনঃ

দারাজ এফিলিয়েট মার্কেটিং (Daraz) : বাংলাদেশী শপিং মার্কেটপ্লেস দারাজ এখান থেকে আপনারা আপনাদের এফিলিয়েট লিংক ক্রিয়েট করে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এফিলেট মার্কেটিং করতে পারবেন। এটি বাংলাদেশে অন্যতম এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট। যেখানে আপনারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। যেমনঃ পোশাক, ইলেকট্রনিক, হার্ডয়্যার, টেকনোলজি রিলেটেড ইত্যাদি।

টেন মিনিট স্কুল এফিলিয়েট মার্কেটিং ( Ten minutes school) : বাংলাদেশে আরো একটি জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট টেন মিনিট স্কুল। যেখানে আপনারা আপনার  ডিজিটাল প্রোডাক্ট  মার্কেটিং করতে পারবেন। যেমনঃ কোর্স। তো বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে এটি খুবই জনপ্রিয় একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট। যেখান থেকে আপনি লিংক প্রমোশন করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণের উপার্জন করতে পারেন।

এছাড়াও আরো অনেক লোকাল একিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েব সাইটে রয়েছে। তো আমি আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট বাংলাদেশের মধ্যে তুলে ধরলাম।

আর দেখুন>>>অনলাইনে জিডি (GD)করার নিয়ম

আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং

আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের দুইটি এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি। এখন আমরা একটি বিদেশী বা ইন্টারন্যাশনাল এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কথা বলব। আমাজনের নাম আপনারা হয়তো সবাই শুনে থাকবেন। আমাজন হল ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস যেখানে নানারকম পণ্য কেনাবেচা হয়ে থাকে।  আপনারা শুনে খুশি হবেন যে এরকম একটি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম যুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ আপনারা এমাজনের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক মানুষ আমাজনের মাধ্যমে এপ্রিলয়েড মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করছে। তো আপনারা চাইলেও আমাজনের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা 

ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস হওয়ায় আপনারা সারা বিশ্বের  মানুষদের সামনে এই এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারবেন অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে বা অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট করার মাধ্যমে যদি বিদেশি ভিজিটর আসে তাহলে আপনারা  সেই বিদেশী ভিজিটর দিয়ে  আমাজনের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন।

 যেহেতু এখানে নানারকম এবং বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল হয়ে থাকে। সেহেতু আপনার আপনারা যে কোন প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে পারবেন।

ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইটে আপনারা যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন।  তাহলে আপনার  প্রত্যেক প্রমোশনে ভালো পরিমাণে উপার্জন হবে।

আমাজন একটি ট্রাস্ট কেনাবেচার ওয়েবসাইট। তাই আপনার পেমেন্টে কোন রকম অসুবিধা হবে না এবং বাংলাদেশী  এফিলেট মার্কেটিং ওয়েবসাইট থেকে আপনারা দ্বিগুণ উপার্জন করতে পারবেন।

এফিলিয়ে মার্কেটিং এর জন্য জনপ্রিয় প্রোডাক্ট 

সঠিক এবং জনপ্রিয় প্রোডাক্ট বাছাই করার মাধ্যমে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে দ্বিগুণ উপার্জন করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে প্রোডাক্ট নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে এবং আপনাকে এমন প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে হবে যেগুলোর মান বর্তমানে জনপ্রিয় এবং চাহিদা ভালো মানের।

নিচে কিছু জনপ্রিয় এবং চাহিদা পূর্ণ এফিলিয়েট প্রোডাক্ট দেওয়া হলঃ

  • ডোমেইন হোস্টিং 
  •  ওয়ার্ডপ্রেস থিম বা ব্লগার টেমপ্লেট
  • মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ
  • সময়োপযোগী জামা কাপড়
  • বইপত্র
  • নানারকম ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমন কোর্স 

এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং চাহিদা সম্পন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট নির্বাচন করে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে অবশ্যই লাভবান হবেন।

পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ এফিলিয়েট মার্কেটিং টিপস

ভালো মানের  ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ করা ।

যে কনটেন্টে আপনারা এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করবেন সেই কনটেন্টকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করবেন। যেন ভিজিটররা পড়ে বা দেখে  সন্তুষ্ট হয়।

ভালো মানের এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট নির্ধারণ করতে হবে আপনার সুবিধা অনুযায়ী।

ভালো মানের এফিলিয়েট প্রোডাক্ট যে প্রোডাক্টগুলো চাহিদা সম্পন্ন এবং জনপ্রিয় সেগুলো নির্বাচন করতে হবে।

নির্দিষ্ট কিছু ট্রাফিককে টার্গেট করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক মানুষের মনে নানা রকম প্রশ্ন থেকে থাকে। তো সেই প্রশ্নগুলো থেকে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো?

এই প্রশ্নটির উত্তর খুবই সহজ। কেননা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনারা খুব সহজেই উপার্জন করতে পারবেন। অন্যান্য যে সকল পদ্ধতি রয়েছে উপার্জন করার সে সকল পদ্ধতি থেকে একটি তুলনামূলক সহজ এখান থেকে উপার্জন করা। তাই আপনাকে বলতে  পারি কোনরকম পরিশ্রম ছাড়াই যদি আপনি উপার্জন করতে চান তাহলে ফিলিয়েট মার্কেটিং করুন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কত টাকা লাগে ?

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোন রকম ইনভেস্টমেন্ট করতে হয় না অর্থাৎ কোন টাকার প্রয়োজন হয় না আপনারা বিনা ইনভেস্টে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

 অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রভাল এর জন্য কি রিকোয়ারমেন্ট দেওয়া থাকে?

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম রিকোয়ারমেন্ট দেওয়া থাকবে। তাই আপনি যে ওয়েবসাইটের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন সেই ওয়েবসাইটে ভালোভাবে রিকোয়ারমেন্ট গুলো পড়ে নিবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে তেমন কোন বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে না। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রাখলেই আপনার মার্কেটিং করতে পারবেন। আর এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে এই কনটেন্টে আমরা সকল বিষয় তুলে ধরেছি তাই আমাদের কনটেন্টটি পড়লেই আপনারা বুঝতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়? 

ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিন্ন ভিন্ন পার্সেন্টেজ দেওয়া হয় হয় অর্থাৎ আপনারা যে ওয়েবসাইটের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সেই ওয়েব সাইটে নির্দিষ্ট এবং প্রোডাক্ট অনুযায়ী নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ দেওয়া থাকে সেটি হতে পারে ১০% ১৫% বা ২০%৷

অনলাইনে জিডি (GD)করার নিয়ম

অনলাইনে জিডি (GD)করার নিয়ম

জিডি করার নিয়ম-বর্তমান সময়ে আমরা অনেক সময় নানা রকম প্রয়োজনীয় জিনিস (যেমনঃ মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ড জাতীয় পরিচয় পত্র, ব্যাংকিং বিষয়ক কাগজপত্র ইত্যাদি) হারিয়ে ফেলি। এজন্য আমাদের জিডি করতে হয়। তাই আমাদের জিডি করার নিয়ম জানতে হয়।

আমাদের অনিচ্ছায় এসব জিনিস নানা ভাবে হারিয়ে ফেলি। আমাদের এই জিনিস গুলো খুবই প্রোয়জনীয় হওয়ার কারনে আমাদের এই জিনিস গুলো দরকার হয়ে থাকে পরবর্তী সময়ে।  আমরা আমাদের এই জিনিস গুলো ফিরে পাওয়া জন্য অনেক ভাবে খোজাখুজি করি অনেক সময়ে ব্যার্থ হই।

প্রতিনিয়ত আমাদের কারো না কারো এরকম ভাবে নানা রকম জিনিসপত্র নানাভাবে হারিয়ে যাচ্ছে। এই জিনিসগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য আমরা  একটি উপায় অবলম্বন করতে পারি। যেটির মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ আমাদেরকে সহযোগিতা করবে আমাদের হারানোর জিনিসপত্র ফিরে পেতে তো এই প্রসেসটি হল জিডি।

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি পাঁচ মিনিটে জিডি করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে এবং অনলাইনে খুব সহজে জিডি করার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব। আশা করি আপনারা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন এবং আপনার কোন জিনিস হারিয়ে গেলে আপনারা খুব সহজে ঘরে বসে বা থানায় গিয়ে  জিডি করতে পারবেন।

বর্তমানে আপনারা যদি চান আপনারা খুব সহজে একটি জিডি করতে পারবেন কারো সাহায্য ছাড়া তাহলে চলুন আজকে জিডি সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো জেনে নিন।

 জিডি কি এবং কেন করতে হয়? 

আমরা যদি GD (জিডি) এর ডিফিনেশন দেখি তাহলে দেখা যাবে General Dairy। আমরা যদি এর বাংলা অর্থ দেখি তাহলে আমরা দেখতে পারবো সাধারণ ডায়েরি। অর্থাৎ আমরা যদি জিডি কি এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলি তাহলে বলা যায় জি ডি হলো কোন আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য করা একটি সাধারণ ডায়েরি। যেখানে আপনি কি রকম সেবা পেতে চান তার একটি বিবরণ দেওয়া থাকে। এক্ষেত্রে জিডি আপনার নানারকম বিষয়বস্তুর উপর হতে পারে যেমন কোন কিছু হারিয়ে গেলে নানা রকম হুমকি থেকে রক্ষা পেতে ইত্যাদি ইত্যাদি কারণে জিডি করানো যেতে পারে।

এখন আমরা জানবো জিডি কেন করতে হয়। আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে অনেকেই জেনে থাকবেন জিডি কেন করতে হয়।  তো যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্য আমি বলে রাখি। আপনি যেকোনো ধরনের আইনি সহায়তা পেতে আপনাকে একটি জিডি বা সাধারণ ডায়েরি আপনার নিকটস্থ থানায় জমা দিতে হবে।

অনেক সময় আমরা দেখে থাকি ভবিষ্যৎ বা কোন কিছু হবে তার নমুনা আন্দাজ করে আমরা জিডি থানায় জমা দিয়ে থাকি। ধরুন আপনাকে কেউ হু’মকি দিয়েছে আপনি চাইলে তার নামে একটি জিডি করে রাখতে পারেন পরবর্তীতে সময় যেন কোনো রকম সমস্যা আপনার সাথে না হয় এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য।

আবার অনেক সময় আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হারিয়ে গেলে আমরা জিডি করতে পারি। এ বিষয়টি হয়তো আপনারা অনেকেই দেখেছেন আবার অনেকেই এই বিষয় সম্পর্কে জানেন ন।  ধরুন আপনার কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস (যেমনঃ মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ড জাতীয় পরিচয় পত্র, ব্যাংকিং বিষয়ক কাগজপত্র ইত্যাদি) হারিয়ে গেল। এমন অবস্থায় আপনি যদি একটি জিডি করেন আপনার নি কটবর্তী থানায় তাহলে কিন্তু আপনারা আইডি সহায়তা পারবেন আপনার হারিয়ে যাওয়া জিনিস (যেমনঃ মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ড জাতীয় পরিচয় পত্র, ব্যাংকিং বিষয়ক কাগজপত্র ইত্যাদি) ফিরে পেতে।

আশা করা যায় আপনারা জিডি কি এবং জিডি কেন করতে হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এবং আশানুরূপ তথ্য জেনেছেন এবং আমি এটিও আশা করতে পারি আপনারা এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝেছেন।

চলুন জিডি সম্পর্কিত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেই!

জিডি করার উপায় 

আপনার যদি কোন  প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র (যেমনঃ মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ড জাতীয় পরিচয় পত্র, ব্যাংকিং বিষয়ক কাগজপত্র ইত্যাদি) হারিয়ে যায় এবং অন্যান্য কারণে আইনি সহায়তা নিতে চান। তাহলে আপনারা একটি জিডি করতে পারেন। তো জিডি করার ক্ষেত্রে আপনারা চাইলে দুইটি উপায়ের মাধ্যমে জিডি করতে পারেন যেমনঃ

  1. থানায় জিডি
  2. অনলাইনে জিডি

আপনারা চাইলে উপরে দুইটি নিয়ম অনুসরণ করে জিডি করতে পারেন। আপনার নিকটে যদি কোন থানা থেকে থাকে তাহলে আপনারা খুব সহজে থানায় জিডি করতে পারবেন যেকোন সমস্যার সহযোগিতা পেতে।

বর্তমান সবাই দেখা যায় আমরা নানা রকম কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং থানায় নানা রকম জটিলতা এড়াতে অনলাইনের দিকে যেকোনো সমস্যায় ঝুকে পড়ি। তো আপনারা জেনে খুশি হবেন যে অনলাইনে আপনারা চাইলে খুব সহজে মাত্র পাঁচ মিনিটের মাধ্যমে জিডি করতে পারবেন।

আজকে আমরা জিডি সম্পর্কিত থানা এবং অনলাইনে কিভাবে জিডি করতে হয় এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনারা সবাই ধৈর্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়বেন।

জিডি করার নিয়ম

সবগুলো কাজেরই নানা রকম নিয়ম থেকে থাকে। আপনারা কোন কাজে নিয়মের বাইরে করতে পারবেন না ঠিক তেমনি জিডি করার ক্ষেত্রে আপনাকে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তো অনেকেই এই নিয়মগুলো না মানার কারণে তাদের নানা রকম ভোগান্তি হয় এবং সময় অপচয় হয়ে থাকে। আপনারা যদি এ নিয়মগুলো আগে থেকে জেনে নেন তাহলে কিন্তু আপনাদের পরবর্তীতে কোন রকম সমস্যা হবে না একটি জিডি তৈরি করতে বা জিডি জমা দিতে।

 থানায় জিডি করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে আপনার নিজের থানায় যদি করতে হবে ধরুন আপনি একটি জিনিস হারিয়ে ফেলেছেন তো যেখানে হারিয়ে ফেলেছেন সেই জায়গায় কোন থানা রয়েছে সে জায়গায় জিডি করবেন।

  • যে বিষয়টি নিয়ে জিডি করবেন সে বিষয়ে নিয়ে সুন্দরভাবে একটি বর্ণনা প্রদান করবেন।
  • হারিয়ে যাওয়া জিনিসটি কখন কোথায় কিভাবে হারিয়ে গিয়েছে এই বিষয়টি জিডিতে উল্লেখ করবেন।
  • সুন্দরভাবে একটি আবেদন পত্র তৈরি করবেন  অবশ্যই আপনার হাতের লেখা যেন স্পষ্ট হয়।
  •  আপনার সাথে যেন যোগাযোগ করা যায় সে সম্পর্কে যোগাযোগের মাধ্যম উল্লেখ করবেন জিডিতে।

অনলাইনে জিডি করার নিয়ম

অনলাইনে জিডি করার নিয়ম খুবই সহজ। আপনারা যে কেউ চাইলে মাত্র ৫ মিনিটের মাধ্যমে অনলাইনে জিডি করতে পারবেন। যে কোন বিষয় নিয়ে বর্তমান সময়ে আমরা যেকোনো সময় বা কোন কাজে আমরা অনলাইনের দিকে একটু বেশি ঝুঁকে পড়ি। অনলাইনে ঝুঁকে পড়ার নানারকম কারণ রয়েছে যেমনঃ আপনার ঘরে বসে যে কোন ধরনের কাজ করতে পারবেন এবং আপনারা ঘরে বসে কাজ করাতে সময় বাঁচবে এজন্য অনেকেই অনলাইনে যে কোন কাজ সুবিধা এবং গ্রহণযোগ্য মনে করে।

অনলাইনে জিডি করতে গেলে আপনাকে কিছু ধাপ মেনে কাজ করতে হবে। তো আমরা কিছু ধাপ আপনাকে উল্লেখ করে দিলাম। আপনারা যদি এই কাজগুলো ধাপ মেলে করেন তাহলে অবশ্যই খুব সহজে ৫ মিনিটের মাধ্যমে অনলাইনে জিডি করতে পারবেন।

 রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত ধাপ 

প্রথমে আপনার নিচের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। ওয়েবসাইট লিংকঃ https://http://gd.police.gov.bd/

( এটি বাংলাদেশ পুলিশের একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট) 

ধাপঃ–২  ওয়েব সাইটে প্রবেশ করলে নিচের মতো একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। তো আপনাকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তো উপরে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করবেন।

 অনলাইনে জিডি করার নিয়ম

ধাপঃ-৩  তারপর আপনার নিজের মত একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। এখানে আপনাকে বলা হবে তাদের একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে একাউন্ট খুলতে। তো আপনারা তাদের অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে একটি একাউন্ট খুলে নিবেন।

অনলাইনে জিডি করার নিয়ম 

 ধাপঃ-  ৪ এবার আপনারা এখন খোলা হয়ে গেলে লগইন বাটনে ক্লিক করবেন।

অনলাইনে জিডি করার নিয়ম 

 ধাপঃ- ৫ লগিন বাটনে ক্লিক করলে নিচের মতো ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। এখানে আপনার ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিবেন।

অনলাইনে জিডি করার নিয়ম

জিডি জমা দেওয়া সম্পর্কিত ধাপ

একটি জিডি জমা দিতে আপনাকে শুধুমাত্র তিনটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে নিচে তিনটি ধাপ নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম যেন আপনারা ভালোভাবে বুঝেন।

ধাপঃ-১

এবার জিডি করার অপশন থেকে আপনারা জিডি করার যে ইন্টারফেস হয়েছে সেখানে চলে আসবেন।

  •  আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিন।
  • এরপর আপনার জন্ম তারিখ দিন।
  • এরপর আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিন।
  • তারপর আপনারা “জমা দিন” বাটনটিতে ক্লিক করে দিন।

ধাপঃ- ২

এবার আপনাকে নতুন একটি ইন্টারফেস নিয়ে আসা হবে এখানে আপনার জিডি সম্পর্কিত নানা রকম তথ্য চাওয়া হবে।

  • আপনি কিসের জন্য জিডি করতেছেন এ বিষয়টি আপনাকে এখানে নির্বাচন করতে হবে।
  •  আপনি নিজের জন্য বা অন্য কারো জন্য জিডি করতেছেন কিনা সে বিষয়টি নির্বাচন করুন।
  •  যে থানায় জিডি করবেন সেটি নির্বাচন করুন।

তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপঃ-  ৩

এই ইন্টারফেস এ আপনাকে আরো জিডি সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে হবে তো নিচে তথ্যগুলো সম্পর্কে পয়েন্ট করে দেওয়া হল।

  • এখানে আপনারা যে ভোটার আইডি কার্ডটির নাম্বার দিয়েছেন সে ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী আপনার ঠিকানা ইত্যাদি তথ্যাদি পূরণ হয়ে গেছে অটোমেটিক ভাবে।
  •  এখানে আপনারা যদি কোন কিছু পরিবর্তন করতে চান তাহলে করতে পারেন।
  •  জিডি সম্পর্কিত হারানো বস্তুটি নিয়ে আপনারা এখানে বিস্তারিতভাবে লিখতে পারেন। (কখন কোথায় কিভাবে হারিয়ে গিয়েছে) এ বিষয়গুলো নিয়ে।
  • আপনারা চাইলে এখানে জিডি সম্পর্কিত ফাইল আপলোড দিতে পারেন।
  • এখানে আপনার সিগনেচার এর একটি স্ক্যান কপি আপলোড দিতে হবে।

এবার সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিন

তাহলে আপনার ভিডিটি আবেদন করা হয়ে যাবে এরপর আপনারা চাইলে লগইন করে আপনার জিডি সম্পর্কিত  হাল নাগাদ তথ্য দেখতে পারবেন।

থানায় জিডি করার নিয়ম

থানায় জিডি করার নিয়ম গুলো অত্যন্ত সহজ। আপনারা যে কেউ চাইলে খুব সহজে থানায়ও জিডি করতে পারবেন।

তো প্রথমে আপনাকে আপনার থানা নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে থানার অন্তর্ভুক্ত সে থানাতে আপনাকে জিডি করতে হবে এবং জিডি করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই থানাতে উপস্থিত হতে হবে।  আপনার বয়স অন্ততপক্ষে 18 বছরের উপরে হতে হবে। একটি জিডি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এই নিয়মটি মেনে চলতে হবে।

তারপর আপনাকে থানায় একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। যেখানে আপনি পুলিশ ইনচার্জ এর উদ্দেশ্যে একটি আবেদন পত্র লিখবেন এবং আপনার জিডি সম্পর্কিত তথ্যাবলী এখানে অন্তর্ভুক্ত করবেন।

এরপর থানায় গিয়ে এই আবেদনপত্র টি জমা দিয়ে আসবেন এবং থানায় প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন আপনার জিডি সম্পর্কিত হালদার তথ্য পাওয়ার জন্য।

 জিডির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম 

আবেদন পত্র লেখার নিয়মটি অত্যন্ত সহজ। আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে নানা রকম আবেদন পত্র লিখে অভ্যস্ত হয়েছেন আমাদের এ ব্যাপারে পাঠ্যপুস্তকে নানা রকম বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং আমাদেরকে আবেদন পত্র লেখার নিয়মটি শেখানো হয়েছে।

তা আপনারা চাইলে জিডির আবেদন পত্র লেখার যে নিয়ম কানুন রয়েছে সাধারণ আবেদন পত্র লেখার নিয়ম কানুনের সাথে মিলে লিখতে পারেন।

আপনাকে আবেদন পত্রটি পুলিশ ইনচার্জ এর উদ্দেশ্যে লিখতে হবে।

আপনার পরিচয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আপনারা যে বিষয়টির উপর জিডি করবেন সে বিষয়টি এর উপর বিস্তারিত তথ্য লিখবেন।

আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য  কন্টাক্ট নাম্বার  ঠিকানা ইত্যাদি দিতে পারেন।

আবেদন পত্রের নমুনা

তারিখঃ ( আবেদন করার তারিখ)

বরাবর,

অফিসার ইনচার্জ

(আপনার থানার নাম)………………..থানা, ঢাকা।

বিষয় : সাধারণ ডায়েরি ভুক্তির জন্য আবেদন।

জনাব,

আমি নাম: …………………………………(আবেদন কারির নাম)

বয়স : ………………………………………………………(আবেদন কারির বয়স)

পিতা/স্বামী : ………………………………………………..(আবেদন কারির পিতা / স্বামীর নাম)

ঠিকানা : …………………………………………………….( আবেদন কারির ঠিকানা)

( এখানে আপনার হারানো বিষয়ে একটি ছোটো বিবরণ দিবেন।)

বিষয়টি থানায় অবগতির জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার অনুরোধ করছি।

বিনীত

নাম: (আবেদন কারির নাম)

ঠিকানা: ( আবেদন কারির ঠিকানা)

মোবাইল নম্বর: ( আবেদন কারির মোবাইল নম্বর)

মোবাইল হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম 

আমাদের অনেক সময়  প্রয়োজনীয় মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যায় এবং আমাদের বর্তমান সময়ের মোবাইল ফোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস তা আপনি যদি কখনো মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু আপনারা জিরির মাধ্যমে থানায় বিষয়টি অবহিত করতে পারেন এবং এখানে আপনারা আইনি সহায়তা পেতে পারেন।

মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে আপনাদেরকে একটি জিডির আবেদন পত্র  থানায় জমা দিতে হবে তো নিচে আবেদন পত্রের একটি নমুনা দেওয়া হলোঃ

নমুনা পত্র

” মোবাইল হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম   “

অর্ন্তভুক্তি

  • আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটির  আইএমই কোড টি একটি ফটোকপিতে  সংযুক্ত করবেন  এটি করলে অবশ্য আপনার ভালো হবে আর কি
  • আপনার মোবাইল ফোনটি কখন কোথায় কিভাবে হারিয়ে গেছে এটি খুব ভালোভাবে  বিবরণ আকারে দিবেন
  • আপনার মোবাইল ফোনটি কখন কিনেছেন কোথায় কিনেছেন এই বিষয়গুলো দিলেও ভালো হয়

সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম

সার্টিফিকেট কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ আপনারা সবাই জানেন। তো আপনার কখনো যদি সার্টিফিকেট হারিয়ে যায় তাহলে আপনারা জিডি করার মাধ্যমে খুব সহজে সার্টিফিকেট ফিরে পেতে আইনি সহায়তা পেতে পারেন।

আপনি চাইলে থানায় বা অনলাইনে যে কোন মাধ্যমে জিডি করতে পারেন। থানায় জিডি করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে একটি আবেদন পত্র লিখতে হবে। তো নিচে আমরা জিডি আবেদন পত্রের নমুনা দিয়ে রাখলাম আপনাদের সুবিধার্থে।

নমুনা পত্র

” সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম “

 অর্ন্তভুক্তি 

  • সার্টিফিকেটের ফটোকপি যদি থাকে সেটি কপি সহকারে জিডির সাথে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
  • আপনার সার্টিফিকেটের বিবরণ সহ ছোট্ট একটি বিবরণ জিডিতে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
  • কোথায় কিভাবে হারিয়ে গিয়েছে সে বিষয়টি উল্লেখ করবেন।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম

পাসপোর্ট আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনাদের যদি কারো পাসপোর্ট হারিয়ে যায় তাহলে আপনারা আপনাদের অন্তর্গত থানায় একটি জিডি করার মাধ্যমে পাসপোর্ট ফিরে পেতে আইনি সহায়তা পেতে পারেন।

আপনার যে কোন ভাবে জিডি করতে পারেন সেটি হোক অনলাইন বা থানায় গিয়ে। জিডি করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি বিষয় মানতে হবে সেটি হল একটি আবেদনপত্র তৈরি করতে হবে। আপনারা এই বিষয়টি সম্পর্কে আগে জেনেছেন। তো জিডি আমরা কি নমুনা দিয়ে দিলাম আপনারা নমুনা অনুযায়ী একটা আবেদনপত্র তৈরি করবেন।

নমুনা পত্র

“পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম “

অর্ন্তভুক্তি 

  • পাসপোর্টে যদি পুরনো কোন কপি থেকে সেহেতু আপনারা জিডির সাথে সেই কপিটা অন্তর্ভুক্ত করবেন।
  • আর পাসপোর্টটি কোন দেশের অন্তর্ভুক্ত এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা জিডি অন্তর্ভুক্ত করবেন।
  • কোথায় কিভাবে আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে গিয়েছে এ বিষয়ে সম্পর্কে জিডিতে স্পষ্ট ধারণা দিবেন। </li>

আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র যদি হারিয়ে যায় তাহলে আপনারা জিডি করতে পারেন এতে করে আপনার জিডি  আপনারা আইডি কার্ডটি ফিরে পেতে পারেন।

নিচে আমরা জিডির আবেদন পত্র দেখি নমুনা ছক আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম যাতে করে আপনারা খুব সহজে আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে জিডি করতে পারেন।

নমুনা পত্র 

আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম

অর্ন্তভুক্তি

  •  আইডি কার্ডের একটি ফটোকপি আপনারা  জিডির সাথে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
  • কোথায় কিভাবে আইডি কার্ডটি হারিয়ে গিয়েছে তার একটি বিবরণ দিবেন।

এই ছিল জিডি করার নিয়ম। আশা করি আপনারা সবাই আমাদের আর্টিকেলটি পুরোপুরি ভাবে বুঝেছেন। দেখা হবে পরবর্তী নতুন কোন আর্টিকেলে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

সুইস ব্যাংক কি?ব্যাংকে হিসাব খোলার নিয়ম,একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে,কি কি একাউন্ট খোলা যায়

সুইস ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে-সুইস ব্যাংক কি? ব্যাংকে হিসাব খোলার নিয়ম,একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে,কি কি একাউন্ট খোলা যায়-তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো এই নিবন্ধনে।সুইস ব্যাংকের সব তথ্য জানতে সম্পুর্ন নিবন্ধটি অনুসরণ করুন।

সুইস ব্যাংক কি?

সুইচ ব্যাংক বলতে সুজারল্যান্ড এর যে কোন ব্যাংকে বুঝায়। এটি আসলে কোন একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকে বুঝায় না। বরং এর মাধ্যমে ব্যাংকিং নেটওয়ার্ককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সুইস ব্যাংকের হিসাব ও অন্য আর একটি সাধারণ ব্যাংকের হিসাবের মতো।

তবে সুইচ ব্যাংকের এমন কিছু নীতি ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকের দিকে ঝুকছে।

দেশটির সব ব্যাংকে নিয়ন্ত্রণ করে সুইস ফেডারেল ব্যাংকিং কমিশন বা সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সুইস ব্যাংকে বিত্তশালীদের আগ্রহের কারণ

বিশ্বজুড়ে ধনী ব্যক্তিদের অর্থ সুইস ব্যাংকে রাখার আগ্রহের অন্যতম মূল কারণ দেশটির গোপনীয়তার নীতি। সুইজারল্যান্ডের আইনে ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নয়।

টাকার উৎস তারা জানতে চায় না। সুইচ আইন অনুসারে একজন ব্যাংকার কখনোই কোন গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করতে পারেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেকোনো সময় ব্যাংক হিসেবের যাবতীয় তথ্য পেতে পারেন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ব্যবস্থাটাই এমন। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সুইস ব্যাংক কি?ব্যাংকে হিসাব খোলার নিয়ম,একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে,কি কি একাউন্ট খোলা যায়

ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী কখনোই যেন কোন হিসাবের তথ্য যেন প্রকাশ করতে না পারেন, সেজন্য ১৯৩৪ সালে একটি আইন পাস করে সুইজারল্যান্ড।

সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখার আরেকটি কারণ হলো কম ঝুঁকি। সুইজারল্যান্ড অর্থনীতি ও অবকাঠামো খুবই স্থিতিশীল।

একইসঙ্গে সুইচ ব্যাংকাররা খুবই দক্ষ ও গ্রাহকের অর্থ কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে,

সে ব্যাপারে ও তারা যথেষ্ট পারদর্শী। তাছাড়া সুইচ ট্রাকে পৃথিবীর অন্যতম স্থিতিশীল মুদ্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সুইস ব্যাংকে হিসাব খোলার নিয়ম

যে কেউ চাইলে সুইচ ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারেন। ১৮ বছর বয়সের যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সুইস ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারেন।

সুইস ব্যাংকে হিসাব খুলতে বৈধ পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমস্ত সম্পদের উৎস দেখাতে হবে।

বড় অংক ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে অন্য ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট দেখানোর প্রয়োজনও হতে পারে। এবং সেই টাকার উৎসেরও যথাযথ কাগজপত্র লাগতে পারে।

বিদেশীদের কে মূলত স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে হিসাব খোলার জন্য আবেদন করতে হয়।

সুইস ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে

এই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখতে হয়। বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ জমা রাখতে হয়।

সুইস ব্যাংকে হিসাব খোলার জন্য 5 লাখ ডলার বা প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা থাকতে হবে।যদি এই পরিমাণ অর্থ আপনার থাকে তাহলে আপনি একাউন্ট খুলতে পারবেন।

সুইস ব্যাংকে কি কি একাউন্ট খোলা যায়

অন্যান্য সাধারণ ব্যাংকের মতো এখানে চলতি হিসাব, সঞ্চয় হিসাব সহ বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।

তবে বিদেশি নাগরিকদের জন্য সুইচ ব্যাংক গুলো ইনভেস্টমেন্ট একাউন্ট খুলতে উৎসাহিত করে।

ইনভেস্টমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

যিনি একাউন্ট খুলতে চান তিনি কিংবা তার প্রতিনিধিকে প্রথমেই সুইস ব্যাংকের যে কোন একটি শাখায় ভিজিট করতে হবে।

প্রতিনিধি পাঠালে প্রতিনিধি কিংবা যার নামে একাউন্ট তার তথ্য ব্যাংকে দিতে হবে।

অফিস বা নিজ প্রতিষ্ঠানের সত্যায়িত আইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট এর ফটোকপি ব্যাংকের কাছে জমা দিতে হবে। কিছু ব্যাংক এই প্রক্রিয়া মোবাইলের মাধ্যমে করে থাকে।

ব্যক্তিগত একাউন্ট খোলার নিয়ম

এই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ভিজিট করতে হবে।

একাউন্ট খোলার সময় ব্যক্তিকে অবশ্যই স্বশরীরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে।

একাউন্ট খুলতে কি কি যোগ্যতা লাগে?

যদি কেউ সুইস ব্যাংকে একটি নাম্বারড অ্যাকাউন্ট খুলতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। এছাড়াও বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করতে হয়।

নাম্বারড অ্যাকাউন্টে আপনাকে প্রথম অবস্থায় কমপক্ষে এক লাখ ডলার জমা করতে হবে।

এবং অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আপনাকে বছরে 300 ডলার দিতে হবে।

আরো জানতে ভিজিট করুন>>>বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম,একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে- ২০২২

সুইস ব্যাংকের গোপনীয়তা

ব্যাংক গ্রাহকদের তথ্য গোপন রাখাটাই সুইজারল্যান্ডের আইন। এ কারণে আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা,এশিয়া সহ তৃতীয়  বিশ্বের দুর্নীতিবাজ, সামরিক-বেসামরিক, স্বৈরশাসক রাজনীতিবিদ এবং

উন্নত বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়ীদের অর্থ জমা রাখার জায়গা এই সুইস ব্যাংক।

অর্থ বা সম্পদ লুকিয়ে রাখার জন্য এর চেয়ে বড় জায়গা পৃথিবীতে নেই ।

কঠোর গোপনীয়তা কম ঝুঁকির কারণে বিশ্বের অধিকাংশ বিত্তশালী মানুষেই প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেয় সুইস ব্যাংকে।

সুইস ব্যাংকের গোপনীয়তার সুবিধা নিয়ে মানি লন্ডারিং নতুন কিছু নয় ।

তাই মানিলন্ডারিং এর সাথে জড়িত অনেকেই সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার করে থাকে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অপরাধীদের কালো টাকার গন্তব্য হচ্ছে সুইস ব্যাংক।

বিশ্বের ৮৬টি দেশের নাগরিকদের ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে সেই দেশের সরকারকে জানাই সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

কোন কোন দেশের নাগরিক ওই ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছে সে সম্পর্কে তথ্য দেয় সুইজারল্যান্ড ফেডারেট ট্যাক্স administrator। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার নাম

সরকারি হিসেবের বাইরেও দামি একাউন্ট বা দামি সংস্থার মাধ্যমে অনৈতিকভাবে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখেন।

আবার এর বাইরেও প্রবাসীরা বৈধ ভাবে টাকা রাখেন। তাই এই হিসেব দেখে কালো টাকার পরিমাণ সম্ভব নয় বলছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

তবে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশ ও ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

সম্পূর্ণ নিবন্ধটি দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আশা রাখি এই নিবন্ধ থেকে আপনি কিভাবে সুইস ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন, একাউন্ট খোলার জন্য কত টাকা জমা রাখতে হয় এবং কি কি অ্যাকাউন্ট খোলা যায় তা জানতে পেরেছেন।

আপডেট সব তথ্য পেতে আমাদের পেজের সাথে থাকুন।ধন্যবাদ!