টেরিবল টু | বাচ্চার অতিরিক্ত জেদ কীভাবে সামলাবেন?

প্রতিটি শিশুই আলাদা। একেকজনের বেড়ে ওঠার পরিবেশ, আচরণ, মানসিক বিকাশ খুব স্বাভাবিকভাবেই ডিফারেন্ট হবে। শিশুর বয়স যখন দুই বছরের কাছাকাছি চলে আসে, তখন তার বদমেজাজী হয়ে উঠা বা অল্পতেই রেগে যাওয়া খুব কমন একটি ব্যাপার। আপনার যদি দুই বছর বা তার কাছাকাছি বয়সের কোনো বাচ্চা থেকে থাকে, তাহলে ‘টেরিবল টু’ টার্মটির সাথে আপনি হয়তোবা পরিচিত। হুট করেই কি আপনার বাচ্চা রেগে যাচ্ছে, অতিরিক্ত জেদ করছে? কীভাবে সামলাবেন এই পরিস্থিতি? চলুন জেনে নেই আজ।

টেরিবল টু কি স্বাভাবিক বিষয়?
দুই বছর বা তার কাছাকাছি বয়সের বাচ্চাদের কিছু আচরণগত পরিবর্তন দেখা যায়। এটি শিশুর বিকাশের একটি স্বাভাবিক পর্যায়। এই বয়সী কোনো বাচ্চার ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন, সব কিছুতেই ‘না’ বলা ও ছোটখাটো বিষয়ে চিৎকার করা – এই বিষয়টিকেই শিশু বিশেষজ্ঞরা ‘টেরিবল ২’ নামে আখ্যায়িত করেছেন। এই ধাপটি খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তাই যারা বাচ্চার এই ফেজ নিয়ে চিন্তিত, তারা কীভাবে এই পরিস্থিতি সহজে সামলে উঠবেন তা নিয়েই আজকের আর্টিকেলে কিছু টিপস শেয়ার করবো।

টেরিবল টু

এই ফেজ কখন শুরু হয়?
সাধারণত ১৮ মাস শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের মধ্যে টেরিবল ২ এর কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ শিশু ২ থেকে ৩ বছর বয়সের মধ্যে আক্রোশ ও বিরোধীতা প্রদর্শন করতে শুরু করে। এই লক্ষণগুলো সাধারণত ৩/৪ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে পারে। অনেক বাবা-মা এই সময়ে বেশ হতাশ হয়ে যান, তবে মনে রাখতে হবে বাচ্চাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিরই একটি অংশ এটি।

টেরিবল টু এর লক্ষণ কী?
এর কমন লক্ষণ হলো যে আপনার বাচ্চাকে আপনি যা করতে বলবেন তাতে সে রিঅ্যাক্ট করবে, অকারণেই জেদ করবে। বাবা-মায়েরা খুব সহজেই এই আচরণগত পরিবর্তন চিহ্নিত করতে পারেন। জামাকাপড়/ ডায়পার চেঞ্জ না করতে চাওয়া, খেলনা ছুড়ে ফেলা, জোরে কান্নাকাটি, ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন, খেতে বা ঘুমাতে না চাওয়া, এমনকি বেশি রেগে গেলে কামড়ানো, আঘাত করা ইত্যাদি টেরিবল টু এর সাধারণ লক্ষণ। এই সময়ে বাচ্চারা নিজের মনের ভাব পুরোপুরি বোঝাতে পারে না, তাই খুব সহজেই তাদের মেজাজের পরিবর্তন ঘটে।

কীভাবে সামলাবেন?
ধৈর্য ধরুন
বাচ্চা যতই জেদ করুক না কেন, আপনাকে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। কারণ আপনিও যদি সেই সময়ে রেগে যান তাহলে বাচ্চা ভয় পাবে কিংবা আরও বেশি অ্যাগ্রেসিভ বিহেভ করবে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে, এই সময়টা কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হবে না। বাচ্চা জেদ করলে ইগনোর করুন এবং অন্যদিনে তার মাইন্ড ডাইভার্ট করার ট্রাই করুন।

টেরিবল টু

পজেটিভ থাকুন
সন্তানের সাথে সবসময় ইতিবাচক আচরণ করা উচিত। এতে সে পজেটিভ মাইন্ড নিয়ে বড় হয়। ভালো কিছু করলে প্রশংসা করা ও ভুল করলে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেওয়া ইতিবাচক আচরণের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো আপনার সন্তানকে শেখাবে কোন আচরণ গ্রহণযোগ্য ও কোনটি নয়। ছোট থেকেই সে পজেটিভ মেন্টালিটি নিয়ে বড় হবে।

তাকে চয়েস অপশন দিন
বাচ্চার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এটা বোঝাতে মাঝেমধ্যে তাকে ‘চয়েস অপশন’ বা যেকোনো দু’টি থেকে একটি বেছে নিতে বলুন। তাকে প্রায়োরিটি দিন, তবে এই বয়সে শিশুকে কোনো কিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ দিবেন না, সিদ্ধান্ত আপনারই নিতে হবে।

রুটিন সেট করুন
এই বয়সে বাচ্চারা নিয়ম-কানুন মেনে চলতে চায় না। কিন্তু বাবা-মায়ের উচিত তার রুটিন সেট করে দেওয়া। খাওয়ার সময় খাওয়া, ঘুমের সময় ঘুম ও খেলার সময় খেলা। বাচ্চাকে অর্গানাইজড ওয়েতে বড় করার পারফেক্ট সময় এটি। রুটিনে যখন বাচ্চা অভ্যস্ত হয়ে যাবে, তখন আপনারই সুবিধা হবে।

বাচ্চার রুটিন সেট করা

কাজে উৎসাহী করে তুলুন
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে ২ বছর বয়সে বাচ্চারা তাদের ফিলিংস কন্ট্রোল করা শিখতে পারে যদি তাদের প্রোপার ট্রেইনিং দেওয়া যায়। বাচ্চা যখন ভালো কাজ করবে, সঠিক আচরণ করবে; তখন তাকে পুরস্কৃত করুন ও বাহবা দিন। তাহলে সে এই কাজে আরও উৎসাহী হয়ে উঠবে। খেলনা গুছিয়ে রাখা, গাছে পানি দেওয়া, নিজের হাতে খাওয়া, কাপড় ভাজ করে রাখা- এই ধরনের কাজে তাকে উৎসাহ দিন। এতে তার অস্থিরতা কমবে।

কখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টেরিবল টু স্টেজ বাচ্চার জন্য একদম স্বাভাবিক বিষয় এবং আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা রয়েছে। তবে বাচ্চার কিছু অস্বাভাবিক আচরণ, যেমন – রাগের বসে মাথায় আঘাত করা, নিজেকে আঁচড় দেওয়া বা দেওয়ালে আঘাত করা, ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা ইত্যাদি যদি বার বার করতে থাকে, তাহলে দ্রুত একজন চাইল্ড নিউরোলজিস্টের সাথে কনসাল্ট করুন। আপনার শিশুর যদি ডেভেলপমেন্টাল ডিলে থাকে, কমান্ড না ফলো করে, সেই সাথে চঞ্চলতা অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায়, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে

ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

ড্রাগন ফলের উপকারিতা-হ্যালো বন্ধুরা বরাবরের ন্যায় আজকেও আমরা নতুন একটি টিপস নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রত্যেক মানুষই তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি অনেক যত্নশীল হয়ে থাকেন। প্রবাদ আছে যে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

স্বাস্থ্য কে ঠিক রাখতে হলে আমাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। তারই আলোকে আমাদের আজকের এই পোস্টটি।

তাই আজকে আমরা ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনাদের অবহিত করব। বাংলাদেশে এই ফলটির নাম অনেকেই শুনেছেন কিংবা দেখেছেন কিন্তু অনেকেই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেনা।

সুতরাং আজকের এই পোস্টে ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

ড্রাগন ফল টি একসময় আমাদের দেশে অনেক অপরিচিত ছিল কিন্তু বর্তমানে এর ব্যাপক প্রচার হয়েছে এবং বাংলাদেশেও এর চাষ হচ্ছে।

লাল টকটকে সুমিষ্ট ও সুস্বাদু দানাযুক্ত ফলটির সুপারফুড হিসেবেও বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছে।

ড্রাগন ফলটি আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী হিসেবে কাজ করে।

আরো পড়ুনঃফুডপান্ডা বাংলাদেশের সকল ব্রাঞ্চের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার ২০২৩

বিদেশি এই ফলটির স্বাস্থ্য উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে।

রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও এর অনেক কার্যকারিতা রয়েছে।

তাহলে বন্ধুরা আসুন জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা

১। দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করে

ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি প্রদাহ ও কোষের ক্ষতি থেকে হওয়া রোগের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য হূদরোগ ক্যান্সার ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসের মত দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

২। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এই ফলটি অনেক টা পিচ্ছিল জাতীয় হয় এটি হজমে অনেক ভালো কাজ করে।

তাছাড়া এটি হূদরোগ থেকে রক্ষা করতে টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অসুস্থ শরীর ওজন বজায় রাখতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।

৩। হার্টের জন্য উপকারী

ড্রাগন ফলে ক্ষুদ্র কাল বীজগুলি ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা 9 ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ। এর ফলে এটি হার্টের জন্য খুবই ভালো।

এই ফলটি হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৪। হার মজবুত করতে সহায়তা করে

ড্রাগন ফলের 18 শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা হারকে অনেক শক্তিশালী করে তোলে এবং হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এর ফলে হাড়ের বিভিন্ন ব্যথা ফ্রাকচার কিংবা ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

৫। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে

চোখের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ছানি পড়ে যাওয়া এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

৬। গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে উপকারী

এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি বুলেট এবং আয়রন রয়েছে তাই এটি গর্ভবতী নারীদের জন্য অনেক উপকারী ফল। ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে এবং গর্ভাবস্থায় শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

এছাড়াও এতে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রুনের হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

৭। পাইলস রোগের জন্য অনেক উপকারী

ড্রাগন ফল টি অনেক সুস্বাদু ও পিচ্ছিল জাতীয় হাওয়ায় এটি পাইলস রোগের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে।

যে সকল বন্ধুরা তাদের স্বাস্থ্য কে অনেক ভালোবাসেন সে সকল বন্ধুদের কে বলব আপনাদের দৈনিক খাবার তালিকায় ড্রাগন ফল টি সংযুক্ত করবেন।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং সেইসাথে এই নিবন্ধটি আপনাদের উপকারে আসলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

হ্যালো বন্ধুরা, বরাবরের ন্যায় আজকেও নতুন একটি টপিকস নিয়ে হাজির হয়েছি।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা- পূর্ববর্তী নিবন্ধগুলোতে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কী, কারা সংক্রামিত, এবং এটি মা এবং শিশুদের কী জটিলতা সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷

এই নিবন্ধনে তাদের সমাধান, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এবং কী করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে৷

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সময় আপনার চিকিৎসা সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা বা কোনো সমস্যা আছে কিনা তা দেখতে আপনাকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সুগারের মাত্রা পরিমাপ করা

একটি গ্লুকোমিটার বা টেস্টিং কিটের সাহায্যে আপনি আপনার রক্তে সুগার পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেন। এখানে আঙুলের ডগায় একটি ধারালো, সুচের মতো যন্ত্র (ল্যান্সেট) ঢোকানো হয়।

রক্ত বের হয়ে আসলে টেস্টিং স্ট্রিপে এক ফোঁটা রক্ত ​​নিয়ে মিটারে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই ক্ষেত্রে, নিম্নলিখিত 3 টি জিনিস অবশ্যই জানা উচিত:

  1. কিভাবে সঠিক উপায়ে রক্তে সুগার পরিমাপ করবেন?

2. কখন এবং কতক্ষণ এই সুগার পরিমাপ করা উচিত? গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, সকালের নাস্তার আগে এবং খাবারের এক ঘন্টা পরে রক্তে সুগার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

3. আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত? এই গণনাটি গ্লুকোমিটারে mmol/l ইউনিটে দেখানো হয়েছে।
ডাক্তার আপনাকে বলবেন আপনার জন্য আদর্শ রক্তে শর্করার মাত্রা কী হওয়া উচিত।

এক্ষেত্রে আপনি যদি উপরের 3টি জিনিস না জানেন বা এটি সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন থাকে তবে তা ডাক্তার বা নার্সের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়েট

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এর জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের সাহায্য নিতে পারেন। তিনি আপনাকে সঠিক খাদ্য এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের পরামর্শ দিতে সক্ষম হবেন।

পরামর্শ যা হতে পারে:

  1. নিয়মিত খাবার খান

আপনাকে সারাদিনে নিয়মিত ৩ বেলা খাবার খেতে হবে এবং অন্য কোনো খাবার যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

2.স্টার্চি এবং কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খাওয়া

লাল চাল (বাদামী চাল) এবং ময়দা, কাটা চাল, ডাল, মটর, মটরশুটি, বার্লি ইত্যাদি হল কম-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স স্টার্চ।

এগুলি ধীরে ধীরে রক্তে চিনি ছেড়ে দেয়, হঠাৎ করে রক্তে শর্করা বাড়ায় না।

3. আরো ফল ও সবজি খান

4. চিনিযুক্ত, চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এর ক্ষেত্রে চিনি খাওয়া সম্পূর্ণ বাদ দেওয়ার দরকার নেই, তবে চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে ফল এবং বাদাম জাতীয় স্বাস্থ্যকর খাবার অভ্যাস করা উচিত।

5. কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ফলের রস বা স্মুদিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকতে পারে এবং “কোন যোগ চিনি না” যুক্ত পানীয়তে কিছুটা চিনি থাকতে পারে।

তাই পান করার আগে, আপনাকে লেবেলটি পড়তে হবে বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।

6.কম চর্বি (চর্বিহীন) মাংসের উৎস নির্বাচন করা

এই ধরনের মাংসের উৎস হতে পারে মাছ, চর্বিহীন মাংস ইত্যাদি। তবে, গর্ভাবস্থায় (যেমন নির্দিষ্ট মাছ বা পনিরের খাবার) এড়িয়ে চলা উচিত এমন খাবার না খাওয়ার ব্যাপারে আপনার সতর্ক থাকতে হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যায়াম

শরীরকে নিয়মিত সচল রাখলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যায়, তাই ব্যায়ামের মাধ্যমে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গর্ভাবস্থায় নিরাপদ ব্যায়ামের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

সাধারণত প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট (2 ঘন্টা 30 মিনিট) মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়, সাথে 2 দিন বা তার বেশি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ব্যায়াম।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধ

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় আপনার ডায়েট পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার 1-2 সপ্তাহ পরেও যদি আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকে বা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হয় তবে আপনাকে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে।

গর্ভাবস্থায় আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা সময়ের সাথে সাথে আরও বাড়তে পারে, তাই শুরুতে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরে আপনাকে ওষুধ খেতে হতে পারে।

যাইহোক, একটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে, আপনাকে সাধারণত ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ওষুধটি ট্যাবলেট বা ইনসুলিন ইনজেকশন হতে পারে।

মেটফর্মিন সাধারণত ট্যাবলেটে সুপারিশ করা হয়।

কখনও কখনও আপনার ডাক্তার আপনাকে মেটফর্মিনের পরিবর্তে গ্লিবেনক্লামাইড নামক ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।

মেটফর্মিন ট্যাবলেটগুলি সাধারণত দিনে 3 বার পর্যন্ত খাবারের সাথে বা পরে (খালি পেটে) নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যেমন:

1.বমি বমি ভাব

2.বমি করা

3.পেট কামড়ানো

4.ডায়রিয়া

5.ক্ষুধা কমে যাওয়া

কিছু ক্ষেত্রে ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যদি নিচের লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি উপস্থিত থাকে-

  1. আপনি মেটফর্মিন নিতে পারবেন না,

2.আপনি মেটফর্মিন গ্রহণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারেন,

3.মেটফর্মিন গ্রহণ করার পরেও আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে,

4.আপনার রক্তে শর্করা খুব বেশি,

5.আপনার শিশু আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড়, বা

6.আপনার ভ্রূণ অতিরিক্ত অ্যামনিওটিক তরল (পলিহাইড্রামনিওস) জমা করে।

ইনসুলিন সাধারণত একটি ইনজেকশন হিসাবে নেওয়া হয়। আপনার কতটা ইনসুলিন নিতে হবে তা আপনার ডাক্তার আপনাকে বলবেন।

আপনার ডাক্তার বা নার্সের সাথে চেক করুন কিভাবে বাড়িতে এই ইনজেকশনটি নিজে নিতে হয়।

আপনাকে কি ধরনের ইনসুলিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে আপনাকে খাওয়ার আগে, ঘুমানোর সময় বা ঘুম থেকে ওঠার পরে ইনসুলিন নিতে হতে পারে।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করা সাধারণত সময়ের সাথে বেড়ে যায়, তাই সময়ের সাথে সাথে ইনসুলিনের মাত্রাও বাড়তে পারে।

ইনসুলিনের প্রভাবে ব্লাড সুগার অনেক কমে যেতে পারে। এই অবস্থাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলা হয়, ইনসুলিনের একটি সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

কিছু উপসর্গ হল:

1.কাঁপছে

2.অবিরাম ঘামছে

3.ক্ষুধার্ত বোধ

4.চেহারা ফ্যাকাশে বা নিস্তেজ

5.কোনো কিছুর প্রতি মনোযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ক্ষেত্রে রক্তে শর্করা দ্রুত পরিমাপ করতে হবে এবং সুগারের মাত্রা খুব কম হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের পর্যবেক্ষণ

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের প্রভাব আপনার অনাগত সন্তানের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়, যেমন আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়া।

এই কারণেই গর্ভাবস্থায় আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘন ঘন একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে (জন্মপূর্ব অ্যাপয়েন্টমেন্ট) যাতে আপনার অনাগত শিশুর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা যায়।

এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হবে:

1.গর্ভাবস্থার 18-20 সপ্তাহের মধ্যে একটি আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান ভ্রূণের কোনো অস্বাভাবিকতা সনাক্ত করতে।

2.গর্ভাবস্থার 26, 32 এবং 36 সপ্তাহে আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করা হয় – এটি শিশুর বৃদ্ধি এবং গর্ভে অ্যামনিওটিক তরলের পরিমাণ দেখাবে।

3. 38 সপ্তাহ পর নিয়মিত চেকআপ করা হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সহ একটি শিশুর জন্ম দেওয়া

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়েদের সন্তান প্রসবের আদর্শ সময়কাল ৩৬ থেকে ৪০ সপ্তাহ। যদি আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং আপনার এবং আপনার শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা না থাকে,

তাহলে আপনি প্রসব শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।

যাইহোক, যদি আপনি 40 সপ্তাহ বা 7 দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে জন্ম না দেন, তাহলে আপনাকে কৃত্রিম ওষুধ দিয়ে প্রসবের প্রক্রিয়া শুরু করতে বা সিজারিয়ান সেকশন করার পরামর্শ দেওয়া হবে।

যদি আপনার বা আপনার শিশুর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে বা আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, তাহলে তাড়াতাড়ি ডেলিভারির সুপারিশ করা হতে পারে।

আপনাকে অবশ্যই একটি হাসপাতালে জন্ম দিতে হবে, যেখানে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত, দক্ষ ডাক্তার এবং নার্সরা আপনার সন্তানের সঠিক যত্ন নিতে পারে।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

প্রসবের জন্য হাসপাতালে যাওয়ার সময় আপনার রক্তে শর্করার পরিমাপের যন্ত্র এবং আপনি যে ওষুধগুলি আপনার সাথে নিয়ে যান তা নিন।

সাধারণত প্রসব শুরু না হওয়া পর্যন্ত বা সিজারিয়ান অপারেশনের আগে নিয়মিত রক্তে শর্করার পরিমাপ করে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন চালিয়ে যেতে হয়।

ডেলিভারি প্রক্রিয়া জুড়ে আপনার ব্লাড সুগার নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

প্রয়োজনে আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনাকে ইনসুলিন দেওয়া যেতে পারে।

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কি করবেন

সাধারণত একটি শিশুর জন্ম দেওয়ার পরে আপনি তাকে দেখতে পারেন, তাকে আপনার কোলে নিতে পারেন বা তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন।

প্রসবের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (30 মিনিটের মধ্যে) বুকের দুধ খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। 2-3 ঘন্টা পরে, তার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত তাকে নিয়মিত দুধ দিতে হবে।

জন্মের 2-4 ঘন্টা পর থেকে আপনার শিশুর রক্তে শর্করা নিয়মিত পরিমাপ করা হবে।

যদি চিনির মাত্রা কম হয়, তাহলে তাকে টিউব বা ড্রপ দিয়ে সাময়িকভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।

যদি শিশুটি অসুস্থ হয় বা তার নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়, তবে তাকে যত্নের জন্য একটি বিশেষ নবজাতক ইউনিটে (যেমন নবজাতক আইসিইউ) রাখতে হবে।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি যে ওষুধটি গ্রহণ করেছিলেন তা সাধারণত প্রসবের পরে প্রয়োজন হয় না।

যাইহোক, প্রসবের 1-2 দিন পরে, আপনাকে নিয়মিত আপনার রক্তে শর্করার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হবে।

মা এবং শিশু উভয়েই সুস্থ থাকলে, আপনি এবং আপনার শিশু প্রসবের 24 ঘন্টা পরে বাড়িতে যেতে পারবেন।

প্রসবের 6 থেকে 13 সপ্তাহ পরে ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য রক্ত ​​পরীক্ষা করা উচিত, কারণ গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অল্প সংখ্যক মহিলার প্রসবের পরে উচ্চ রক্তে শর্করা থাকে

এই রক্ত ​​পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক হলে, সাধারণত বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কারণ গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরবর্তী জীবনে টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।

এটি এমন একটি রোগ যা আপনাকে সারাজীবনের জন্য জর্জরিত করতে পারে যদি খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়।

আরো জানতে ক্লিক করুন…

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022

MM Kit বা এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022-হ্যালো ভিউয়ার্স, bdtechroom তে আপনাকে স্বাগতম।বরাবরের ন্যায় আজকেও আমরা নতুন একটি টপিক্স নিয়ে হাজির হয়েছি।

আজকে আমরা এমন একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি,যেটি প্রতিটি বিবাহিত মানুষের জানা অত্যন্ত জরুরী।আমাদের আজকের নিবন্ধটি শুধুমাত্র বিবাহিতদের জন্য।

তো চলুন মূল বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জনে নেয়া যাক।

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বিয়ের পর অল্প দিনের মধ্যেই কোন সন্তান নিতে চায় না।

যারা অল্পদিনের মধ্যে বাচ্চা নিতে আগ্রহী না তারা বা সেসকল দম্পতি ফেমিকন পিল গ্রহণ করে থাকে।

কিন্তু অসাবধানতা বসত কেউ গর্ভবতী বা প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলে মাসিক নিয়মিত করনের জন্য (সাধারণভাবে গর্ভপাতের জন্য) এম এম কিট গ্রহণ করা হয়।

সম্মানিত ভিজিটর, আজকের লেখাজুড়ে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো MM Kit বা এম এম কিট কি, খাওয়ার সঠিক নিয়ম বা কখন খেতে হয়,

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এম এম কিটের দাম, কোথায় কিনতে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত।

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022

এম এম কিট কি?

এম এম কিট (MM-Kit)হচ্ছে মাসিক নিয়মিতকরণ অথবা গর্ভপাতের জন্য একটি কম্বিনেশন ঔষধ।এখানে মাসিক নিয়মিতকরণ বলতে,

অস্ত্রোপচার ছাড়াই মাসিক নিয়মিত করাকে বোঝায় ।সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী ও নিরাপদ মাসিক নিয়মিতকরণ করতে  মিফেপ্রিস্টোন ও মিসোপ্রোস্টল এই দুটি ঔষধ একত্রে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ নষ্ট করে মেয়েদের বা মহিলাদের মাসিক নিয়মিত করার জন্য গর্ভধারণের ৬৩ দিন বা ৯ সপ্তাহের মধ্যে এম এম কিট গ্রহণ করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় mm-kit হচ্ছে প্রথম প্রোডাক্ট যা এই দুটি ওষুধ একত্রে একটি প্যাকেজ লাইসেন্স ও বাজারজাত করেছে ।

অবশ্যই এই ঔষধ গ্রহনের আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

এম এম কিট খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে আপনার স্ত্রী বা আপনি (মেয়েদের বলা হয়েছে) আসলেই গর্ভবতী কিনা।

এজন্য ফার্মেসী থেকে প্রেগন্যান্সি চেক করার কিট কিনতে পাওয়া যায় এর সাহায্যে ঘরে বসেই চেক করে নিন।

প্রেগন্যান্সি চেক করার পর নিশ্চিত হয়ে গর্ভধারণের ৬৩ দিন অর্থাৎ ৯ সপ্তাহের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে এই কিট সেবন করবেন।

একটি প্যাকেটে মোট ৫ টি ট্যাবলেট থাকে। যেখানে একটি বড় ও বাকি ৪ টি ছোট ছোট আকারের।

২০০ মি.গ্রা. বড় ট্যাবলেটটির নাম হচ্ছে মিফেপ্রিস্টোন এবং বাকি ৪ টি ট্যাবলেটের নাম হচ্ছে মিসোপ্রোস্টল।

MM Kit বা এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

MM Kit বা এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে প্রথমে বড় ট্যাবলেটটি হালকা গরম পানি দিয়ে খেতে হবে।

খাওয়ার ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর বাকি ৪ টি ট্যাবলেট প্যাকেট থেকে বের করে মুখের মধ্যে দুই পাশের মাড়ি ও দুই গালের মধ্যে দুইটি করে ট্যাবলেট রেখে আধাঘণ্টা বসে থাকুন যেন ট্যাবলেটগুলো গলে পেটের মধ্যে চলে যায়।

মুখে থু থু আসলে ফেলে দেওয়া যাবে না। মুখের মধ্যে লেগে থাকলে পানি দিয়ে খেয়ে ফেলুন।

ওষুধগুলো সেবনের পর ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ক্লিনিকে গিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফির মধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে গর্ভপাত হয়েছে কিনা। না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এম এম কিটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত এবং তলপেটে ব্যথা খুবই স্বাভাবিক যা গর্ভপাতের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ।এই লক্ষণগুলো ভারী মাসিক ও তার সাথে ব্যাথা হওয়ার মতই।

এছাড়া অন্যান্য   প্রতিক্রিয়াগুলো গুলো হচ্ছে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া ডায়রিয়া জ্বর জ্বর ভাব এবং জ্বর যা  একদিনের ও কম সময় স্থায়ী হয়।

এম এম কিট খাওয়ার পর নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে।

যেমন- জ্বর আসা, মাথা ব্যাথা করা, বমি আসা, বা বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, শরীর দুর্বলতা, মাসিক ১৫ দিন পিছিয়ে যাওয়া, মাসিকে তুলনামূলক বেশি রক্তক্ষরণ, পেটে মোচড় ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022

তবে অনেকের কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। উপসর্গের মাত্রা বেশি হলে বা বেশি খারাপ অনুভব করলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

গর্ভপাত সম্পূর্ণ না হলে কি ঘটতে পারে

যদি আপনার ডাক্তার দ্বিতীয় সপ্তাহের ফলোআপ এ নিশ্চিত করেন যে গর্ভপাত এখনো চলছে এ অবস্থায় ভ্যাকুউয়াম আ্যপিরেশন নির্দেশিত।

যদি এমন উপসর্গ দেখা যায় যে মাসিক নিয়মিতকরণ হয়েছে কিন্তু সব গর্ভটিস্যু বের হয়নি,

কিন্তু রোগী ভালো অনুভব করছে এবং স্বাস্থ্যবতী তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম ইন্সপিরেশনের প্রয়োজন নেই।

অন্য বিকল্প পদ্ধতি আরো কিছু সময় ধৈর্য ধরা অথবা মিসোটোল পুনরায় গ্রহণ করা।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিটি কাজই ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী করার চেষ্টা করুন, সেটি আপনার শরীর স্বাস্থ্য দুটির জন্যই ভালো হবে।

এতে করে ভবিষ্যতে গর্ভধারণে কোন ঝুঁকি তে নাও পরতে পারেন।

এম এম কিটের দাম

প্রতি ১ প্যাকেট এম এম কিটের দাম ৩০০ টাকা। যেখানে একটি পাতায় মোট ৫ টি ট্যাবলেট থাকে।

কিছু কথা

আমাদের লেখা শুধুমাত্র বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর জন্য। অসাবধানতা বসত গর্ভধারন করলে একান্ত সন্তান নিতে না চাইলে আপনারা উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন।

তবে মনে রাখবেন যেকোন জীবন ধ্বংস করা কিন্তু অনেক বড় পাপ।

আমাদের সমাজের বর্তমানে যৌনতা খুবই ভয়াবহ ও মারাত্মক আকার ধারন করেছে।

সাময়িক সুখের জন্য নারী পুরুষ বিবাহ বহির্ভূত অসামাজিক ও ধর্মে নিষিদ্ধ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে।

আরো জানতে ভিজিট করুন>>>

আর সমাজের কাছে নিজেকে সাধু সাজাতে অনেকেই গোপনে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলছে।

মেয়েদের বলছি আপনার বয়ফ্রেন্ড যদি কোন অসামজিক ও নিষিদ্ধ কাজের জন্য বিবাহের আগে আপনাকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করে তার থেকে সাবধানে থাকুন।

প্রয়োজনে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করুন।

মনে রাখবেন যে আপনার সাথে পবিত্র বিবাহে আবদ্ধ না হয়ে এই ধরণের সুখ উপভোগ করতে পারে সে ভবিষ্যতে আপনাকে ফেলে অন্য কারো সাথে বা আপনাকে ঠকিয়ে অন্য মেয়েদের সাথেও এমন করবে বা করতে দ্বিধাবোধ করবে না।

আর পরকালে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। যদি অসচেতনা বসত বা ভুলে এমন কাজ করে থাকেন আল্লাহর কাছে মাফ চান।

আল্লাহ মহান সঠিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি মাফ করবেন। আর ভবিষ্যতে এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।

সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

তবে মনে রাখবেন সম্পূর্ণ নিবন্ধটি না পড়ে যদি এম এম কিট ব্যাবহার করেন,তাহলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

তাই সম্পূর্ণ নিবন্ধ পড়ার পর ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিন,আপনি এই ঔষধটি ব্যাবহার করবেন কিনা।

এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকে,তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।ধন্যবাদ!

 

রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা ‘অ্যানিমিয়া’ মানে রক্তশূন্যতা। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া হয়। গর্ভাবস্থায় রক্তপাত এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে সাধারণত শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া নিরাময় করা সম্ভব।

আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতার লক্ষণ

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ার পাঁচটি লক্ষণের মধ্যে একটি হল:

১। ক্লান্তি আনুভব করছি

২। শরীরের শক্তি কমে যাওয়া বা দুর্বল বোধ করা.

৩। শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসকষ্ট

৪। বুক ধড়ফড় করছে.

৫। ফ্যাকাশে চামড়া.

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ার অন্যান্য লক্ষণ রয়েছে। যাইহোক, এই লক্ষণগুলি উপরের পাঁচটি উপসর্গের মতো সাধারণ নয় এবং গর্ভাবস্থার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এই লক্ষণগুলি হল:

  1. মাথাব্যথা
  2. মাথায় বা কানে টিনিটাস
  3. খাবারের স্বাদ অদ্ভুত
  4. শরীরে চুলকানি
  5. জিহ্বায় ক্ষত
  6. চুল পরা
  7. অখাদ্য জিনিস খাওয়ার ইচ্ছা। যেমন: কাগজ, পোড়ামাটির এবং বরফের মতো কিছু খেতে চাই। এই উপসর্গটিকে বলা হয় ‘পিকা’।
  8. গিলতে সমস্যা হচ্ছে
  9. মুখের কোণে বেদনাদায়ক ঘা বা আলসার
  10. নখের আকৃতি চা-চামচের মতো হয়ে যায়
  11. রেস্টলেস লেগস সিনড্রোম – স্নায়ুতন্ত্রের একটি রোগ যা পা সরানোর অনিবার্য তাগিদ সৃষ্টি করে।

আপনার যদি আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ার কোনো লক্ষণ থাকে তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা জরুরি। আপনি রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন না তা নিশ্চিত করার জন্য একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষাই যথেষ্ট। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া কেন হয়

গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা খুবই সাধারণ। বেশির ভাগ গর্ভবতী নারীর খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ যদি চাহিদার তুলনায় কম থাকে, তাহলে সেটাই রক্তস্বল্পতার কারণ।

পিরিয়ড বা মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে আয়রনের ঘাটতিজনিত অ্যানিমিয়াও বেশ সাধারণ। ঋতুস্রাবের সময় ভারী রক্তপাত হলে কিছু ওষুধ সেবনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে।

ঋতুস্রাব বন্ধ করে দেওয়া পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা পেট বা অন্ত্রের রক্তপাতের লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের রক্তপাতের কারণগুলো হল:

  • নন স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) গ্রহণ করা। যেমন: আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ।
  • গ্যাস্ট্রিক আলসার
  • প্রদাহের কারণে কোলনের প্রদাহ (কোলাইটিস)
  • ইসোফ্যাগাইটিস
  • পাইলস বা হেমোরয়েডস
  • পেট বা অন্ত্রের ক্যান্সার (তুলনামূলকভাবে বিরল)

অন্য কোনো কারণে শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হলে শরীরে রক্তশূন্যতাও হতে পারে। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা সনাক্ত করা

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর তিনি রোগীর জীবনযাত্রা এবং রোগের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করবেন। রক্তশূন্যতার কারণ স্পষ্ট না হলে তিনি কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। এই পরীক্ষাগুলির উদ্দেশ্য হল লক্ষণগুলির কারণ নির্ধারণ করা। প্রয়োজনে রোগীকে বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করা যেতে পারে।

রক্তশূন্যতা নির্ণয়ের জন্য কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়

ডাক্তার প্রথমে আপনাকে ‘ফুল ব্লাড কাউন্ট’ / ‘কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট’ নামে একটি পরীক্ষা দেবেন; এটি সিবিসি নামে বেশি পরিচিত। এই পরীক্ষাটি নির্ধারণ করবে আপনার রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিক কিনা। পরীক্ষা দেওয়ার আগে আপনাকে বিশেষ কোনো প্রস্তুতি নিতে হবে না।

সমস্ত ধরণের রক্তশূন্যতার মধ্যে, আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা সবচেয়ে সাধারণ। অন্য কোনো কারণে (যেমন ভিটামিন B12 বা ফোলেটের অভাব) রক্তস্বল্পতা পরীক্ষা করতেও CBC পরীক্ষা খুবই কার্যকর। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা দূর করার উপায়

রক্তস্বল্পতার কারণ শনাক্ত হয়ে গেলে, ডাক্তার কারণ অনুযায়ী অ্যানিমিয়া দূর করার জন্য সঠিক চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।

রক্তশূন্যতার ওষুধ

পরীক্ষার রিপোর্টে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে চিকিৎসক শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য আয়রন ট্যাবলেট বা বড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেবেন এবং আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম বলবেন।

আপনাকে এই ওষুধগুলি প্রায় 6 মাস ধরে খেতে হবে। ওষুধ খাওয়ার পর কমলার রস বা লেবুর রস পান করলে আপনার শরীরে আয়রন শোষণ হতে পারে।

আয়রন ট্যাবলেট কিছু মানুষের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যেমন

  • কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা মল
  • পেটে ব্যথা
  • অম্বল বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা (অম্লতা)
  • অসুস্থ লাগছে
  • অন্ধকার টয়লেট

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে, খাবারের সাথে বা সাথে সাথে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার চেষ্টা করুন। যাইহোক, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, এই ওষুধটি গ্রহণ চালিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তে আয়রনের পরিমাণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে কিনা তা জানতে ডাক্তার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আবার রক্ত ​​পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তাল্পতা জন্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং খাদ্য

আপনার খাদ্যতালিকায় আয়রনের অভাব যদি রক্তশূন্যতার জন্য আংশিকভাবে দায়ী হয়, তাহলে আপনার ডাক্তার আরও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।

রক্তশূন্যতা দূর করতে যেসব খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে

  • গাঢ় সবুজ শাকসবজি। যেমন: পালংশাক, কচুশাক, করলা, পটল ও কাঁচকলা।
  • উচ্চ আয়রন সিরিয়াল, ফরটিফাইড সিরিয়াল এবং রুটি
  • মাংস
  • ডাল

রক্তাল্পতা এড়াতে খাবার

নীচে তালিকাভুক্ত খাবার এবং পানীয় বেশি খাওয়া শরীরের আয়রন শোষণ করার ক্ষমতা হ্রাস করে:

  • চা আর কফি
  • দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
  • ফাইটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। উদাহরণস্বরূপ, গোটা বা গোটা শস্য শস্য। এগুলো শরীরের অন্যান্য খাবার ও ওষুধ থেকে আয়রন শোষণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

আপনি যদি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে না চান, তাহলে আপনি একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিতে পারেন।রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তশূন্যতার চিকিৎসার অভাবে সৃষ্ট জটিলতা

আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা সময়মতো চিকিৎসা না করলে গুরুতর জটিলতা হতে পারে। যেমন

আয়রনের ঘাটতি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এতে বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
হার্ট ও ফুসফুসের বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন: অস্বাভাবিক দ্রুত হার্টবিট (ট্যাকিকার্ডিয়া) বা হার্ট ফেইলিউর।
গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবের আগে এবং পরে জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

বিষণ্ণতা-মন খারাপ এবং ডিপ্রেশন হলে করণীয় কি?

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয় গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাস।

এটি সাধারণত প্রসবের পরে ভাল হয়ে যায়।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থার যেকোনো পর্যায়ে হতে পারে, তবে এটি ২য় বা ৩য় ত্রৈমাসিকের (৪র্থ থেকে ৯ম মাসে) বেশি দেখা যায়।

গর্ভাবস্থায় আপনার শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারলে এই সমস্যা হয়। ইনসুলিন একটি হরমোন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরে আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।

তবে তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

এই নিবন্ধে আপনি আপনার এবং আপনার অনাগত সন্তানের উপর গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে কারা?

যেকোনো গর্ভবতী মহিলার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হতে পারে, তবে কিছু ক্ষেত্রে ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

এই বর্ধিত ঝুঁকির মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হল:

১। অতিরিক্ত ওজন. যদি আপনার BMI 30 এর বেশি হয়

২। যদি আপনার সন্তানদের কেউ অতীতে 4.5 কেজি (10 পাউন্ড) বা তার বেশি ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে

৩। আপনি যদি আগে গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং সেই সময়ে যদি আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে

৪। যদি আপনার বাবা-মা বা ভাইবোনদের মধ্যে একজনের ডায়াবেটিস থাকে

৫। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস দক্ষিণ এশীয়, নিগ্রো, আফ্রিকান, ক্যারিবিয়ান বা মধ্যপ্রাচ্যে বেশি দেখা যায়

এই পাঁচটি ক্ষেত্রের যেকোনও  একটি যদি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তাহলে আপনার গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত।গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের লক্ষণ

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সাধারণত কোনো বিশেষ লক্ষণ থাকে না।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি গর্ভাবস্থার চেকআপের সময় ধরা পড়ে। যাইহোক, কিছু ক্ষেত্রে, রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে, কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন:

  • ঘন ঘন তৃষ্ণা,
  • আগের চেয়ে ঘন ঘন প্রস্রাব,
  • মুখ শুকনো, ও
  • ক্লান্তি আনুভব করা

এই লক্ষণগুলি থাকার অর্থ এই নয় যে আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রয়েছে। কিছু লক্ষণ সাধারণত গর্ভাবস্থায় দেখা যায়।

যাইহোক, যদি আপনার এই উপসর্গগুলির কোনটি থাকে এবং আপনি সেগুলি নিয়ে চিন্তিত হন তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের প্রভাব কী?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, গর্ভকালীন বয়স স্বাভাবিক, এমনকি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সহ, এবং ভ্রূণ সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করে।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্রূণের কিছু সমস্যা হতে পারে এবং সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন:

১। শিশুদের আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়া। এর ফলে প্রসবের সময় বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। প্ররোচিত শ্রম বা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্মের প্রয়োজন হতে পারে।

২। গর্ভাবস্থার 36 তম সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সন্তানের জন্ম। একে অকাল প্রসব বলে।

৩। গর্ভের শিশুকে ঘিরে থাকা তরল (অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইড) পরিমাণ বেশি হলে সঠিক সময়ের আগে প্রসব করা যেতে পারে। একে পলিহাইড্রামনিওস বলে।

৪। গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যা। যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি গর্ভাবস্থায় অনেক গুরুতর জটিলতার কারণ হতে পারে। একে প্রি-এক্লাম্পসিয়া বলা হয়।গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

৫। জন্মের পর, আপনার শিশুর রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় বা শিশুর ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যায় (জন্ডিস) – চিকিৎসার জন্য শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হতে পারে।

৬। মৃত সন্তানের জন্ম দেওয়া। যদিও এটা খুবই বিরল।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিশ্চিত করার উপায়

গর্ভাবস্থার ৭তম এবং ১২তম সপ্তাহের মধ্যে আপনার প্রথম চেকআপের সময়, আপনি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন কিনা তা জানতে ডাক্তার আপনাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন।

আপনার ক্ষেত্রে যদি এক বা একাধিক সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকে, তাহলে আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে কিনা তা জানতে আপনাকে একটি স্ক্রিনিং পরীক্ষা করতে বলা হবে।

এই স্ক্রীনিং টেস্টকে ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (OGTT) বলা হয়। এটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় 2 ঘন্টা সময় লাগে।

এটি প্রথমে সকালে খালি পেটে আপনার রক্ত ​​পরীক্ষা করবে।

শর্ত হল রক্ত ​​পরীক্ষার 8-10 ঘন্টা আগে আপনার কিছু খাওয়া বা ধূমপান করা উচিত নয়।

তবে পানি পান করা যেতে পারে। রক্ত পরীক্ষার পরে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্লুকোজযুক্ত তরল পান করতে দেওয়া হবে।

2 ঘন্টা বিরতির পরে, এই গ্লুকোজের সাথে আপনার শরীরে কী ধরণের প্রতিক্রিয়া রয়েছে তা দেখতে আপনার রক্ত ​​​​আবার পরীক্ষা করা হবে।

এই পরীক্ষা সাধারণত গর্ভাবস্থার 24-26 তম সপ্তাহে করা হয়।

যাইহোক,যদি আপনার আগে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়ে থাকে

তাহলে আপনার গর্ভাবস্থায় প্রথমবার একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করার সময় আপনাকে OGTT পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হবে। এই পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা কি?

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আপনার বাড়িতে যদি রক্তের শর্করার মিটার বা গ্লুকোমিটার থাকে তবে আপনি এই মাত্রাগুলি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে শরীরকে সচল রাখার মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো সম্ভব। তবে এত কিছুর পরও যদি রক্তে শর্করার মাত্রা না কমে তাহলে চিকিৎসার জন্য ওষুধ লাগবে- ওষুধটি ট্যাবলেট বা ইনসুলিন ইনজেকশন হতে পারে।

সম্ভাব্য সমস্যা এড়াতে গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সময় আপনাকে নিয়মিত চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

আপনার যদি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে তবে গর্ভাবস্থার 41 তম সপ্তাহের আগে সন্তান জন্ম দেওয়া ভাল।

এই সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক বা স্বাভাবিক প্রসব ব্যথা না থাকলে, ওষুধ বা অন্যান্য উপায়ে কৃত্রিম প্রসব শুরু করা হয় (প্ররোচিত শ্রম) অথবা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসবের পরামর্শ দেওয়া হয়।

যদি আপনার বা আপনার অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে, বা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, অকাল প্রসবের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।

বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের নিবন্ধটি পড়ুন….

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কী?

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস সাধারণত সন্তান প্রসবের পর সেরে যায়। যাইহোক, যাদের একবার এটি আছে তাদের ভবিষ্যতের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, সেইসাথে টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা তা দেখতে জন্ম দেওয়ার 6 থেকে 13 সপ্তাহ পর রক্ত ​​পরীক্ষা করুন।

ডায়াবেটিস আপনার যদি না থাকে তবে বছরে অন্তত একবার আপনার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন।

আপনার যদি উচ্চ রক্তে শর্করার কোনো উপসর্গ থাকে তবে চেকআপের জন্য অপেক্ষা না করে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

উচ্চ রক্তে শর্করার লক্ষণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

1. ঘন ঘন তৃষ্ণা,
2. ঘন ঘন প্রস্রাব, এবং
3. মুখ শুকনো।

আপনার কোনো উপসর্গ না থাকলেও নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা করানো উচিত, কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেক রোগীর এ ধরনের লক্ষণ থাকে না।

আপনার ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেবেন যে আপনি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে কী করতে পারেন, যেমন স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মায়েদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে তাদের পরবর্তী জীবনে ডায়াবেটিস বা অতিরিক্ত ওজনের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ভবিষ্যতের গর্ভধারণের পরিকল্পনা

যদি আপনার আগে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে এবং আপনি আবার গর্ভধারণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে ভুলবেন না।

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে সন্তানের জন্মের বিষয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

গর্ভবতী হওয়ার আগে, নিশ্চিত করুন যে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে।

আপনার যদি অপরিকল্পিত গর্ভাবস্থা থাকে তবে আপনার ডাক্তারকে বলুন যে আপনার আগে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ছিল এবং সেই অনুযায়ী পরামর্শ করুন।

এই সময়ে আপনার ডায়াবেটিস ধরা পড়লে, গর্ভাবস্থার প্রথম চেকআপের সময় (গর্ভাবস্থার 7-12 তম সপ্তাহে) এবং ফলাফল স্বাভাবিক হলে 24-26 তম সপ্তাহে আপনাকে একবার আপনার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে বলা হবে।

বিকল্পভাবে, আপনার ডাক্তার সুপারিশ করতে পারেন যে আপনি নিজের রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপ করুন।

আপনি আগের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সময় যেভাবে গ্লুকোমিটার ব্যবহার করেছিলেন সেইভাবে আপনি রক্তে শর্করার পরিমাপ চালিয়ে যেতে পারেন।

আরো স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস পেতে ক্লিক করুন এখানে….

পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

পাইলস একটি সুপরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি Hemorrhoids নামেও পরিচিত। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভোগেন কিন্তু পরামর্শ নিতে বা ডাক্তারের কাছে যেতে অনীহা বোধ করেন।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাইলসের সঠিক চিকিৎসার পরিবর্তে হোমিওপ্যাথি, কবিরাজি ওষুধসহ অন্যান্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এসব কারণে পাইলস ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করে।

তাই পাইলস বা Hemorrhoids এর খুঁটিনাটি সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

পাইলস বা Hemorrhoids কি?

মলদ্বার বা মলের মুখ কোনো কারণে ফুলে গেলে এবং তা থেকে রক্ত বের হলে বা মলে পিণ্ড থাকলে তাকে পাইলস বলে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে Hemorrhoids ।

হেমোরয়েডগুলি জটিল আকার ধারণ করার আগে অস্ত্রোপচার ছাড়াই চিকিত্সা করা যেতে পারে।

পাইলসের লক্ষণগুলো কী কী?

পাইলস বা হেমোরয়েডের চারটি লক্ষণ নিচে দেওয়া হল। যদি এই লক্ষণগুলি দেখা দেয় তবে চিকিত্সা শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।

1. টয়লেটে রক্তপাত

পাইলস হলে টয়লেটের সঙ্গে উজ্জ্বল লাল রঙ অর্থাৎ তাজা রক্ত ​​যেতে পারে। সাধারণত টয়লেটে যাওয়ার পর টয়লেট পেপার ব্যবহার করলে রক্ত ​​জমাট বাঁধতে পারে।

অথবা কমোড বা প্যানে সুন্দর লাল রক্তের দাগ দেখতে পারেন।

মলদ্বারের মুখে মলদ্বারের কুশন থেকে রক্তপাত হয়। এই রক্ত ​​বের হয়ে জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করার সুযোগ পায় না। এ কারণে এ ক্ষেত্রে তাজা লাল রক্ত ​​দেখা যায়।

কিন্তু কোনো কারণে মলে গাঢ় বাদামি রক্ত ​​গেলে বা আলকাতের মতো কালো ও নরম মল থাকলে তা সাধারণত পাইলসের কারণে হয় না।

পরিপাকতন্ত্রের যে কোনো অংশে রক্তপাত হলে মলের মধ্যে ভারী রক্তপাত হতে পারে, তাই রক্তপাতের কারণ নির্ণয় করার জন্য অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

2. মলদ্বারের মুখের প্রসারিত অংশ

পাইলসের ক্ষেত্রে সাধারণত পায়ুপথে মলত্যাগের পর নরম পিণ্ডের মতো বেরিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর এগুলো নিজেরাই ভেতরে চলে যায়।

অনেক ক্ষেত্রে এগুলো আঙ্গুল দিয়ে ঢোকানোর প্রয়োজন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, পাইলস এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে আঙ্গুল দিয়েও পিণ্ড ঢোকানো যায় না।পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

3. টয়লেটের রাস্তায় ব্যথা

তীব্র ব্যথা সাধারণত পাইলসের কারণে হয় না। তবে মলদ্বারের পুরোটা যদি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে আঙুল দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ঢোকানো যায় না এবং তাতে রক্ত ​​চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তীক্ষ্ণ ব্যথা হতে পারে।

এই ব্যথা সাধারণত 1-2 দিন স্থায়ী হয়। ব্যথা তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। উপরন্তু, বাড়িতে ব্যথা চিকিত্সার জন্য বিশেষ প্রয়োজন ব্যবহার করা যেতে পারে।

4. বাথরুমে চুলকানি

পাইলসের কারণে কখনো কখনো মলদ্বারে বা মুখের চারপাশে চুলকানি হতে পারে।

এছাড়া মলদ্বার দিয়ে মিউকাস বা শ্লেষ্মা জাতীয় পিচ্ছিল ও আঠালো পদার্থ বের হতে পারে।

বারবার মলত্যাগের পরও বারবার মনে হতে পারে যে পেট পরিষ্কার হচ্ছে না, আবার মলত্যাগ করতে হবে।

পাইলস এবং অ্যানাল ফিসারের মধ্যে পার্থক্য কীভাবে করবেন?

যদিও পাইলস এবং অ্যানাল ফিসার বা গেজ রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে কিছু মিল রয়েছে, তবে এই দুটি ভিন্ন রোগ। উভয় রোগই মলদ্বারে চুলকানি এবং তাজা লাল রক্তের কারণ হতে পারে।পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

তবে পায়ুপথে খুব কম রক্ত যায়। পাইলস এবং এনাল ফিসারের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল:

পাইলস মলদ্বারে নরম পিণ্ডের মতো দেখায়। সাধারণত মলত্যাগের পরে পিণ্ডগুলি বেরিয়ে আসে, তারপর কিছুক্ষণ পরে সেগুলি নিজেরাই প্রবেশ করে বা আঙ্গুল দিয়ে প্রবেশ করাতে হয়।

এছাড়াও, মলদ্বারে কিছু পিচ্ছিল পদার্থ দেখা দিতে পারে যদি এটি শ্লেষ্মা মত দেখায়।

এনাল ফিসার বা গজ রোগের ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো সাধারণত দেখা যায় না। এই ক্ষেত্রে, প্রতিবার মলত্যাগ করার সময় তীব্র ব্যথা হয়। পাইলস সাধারণত ব্যাথা করে না।

পাইলস কেন হয়?

কিছু জিনিস পাইলসের ঝুঁকি বাড়ায়, সেইসাথে এমন কাউকে বাড়িয়ে দেয় যার ইতিমধ্যেই পাইলস রোগ আছে, যেমন:

  • শক্ত বা ট্যানড টয়লেট
  • মলত্যাগের সময় শক্তিশালী চাপ
  • দীর্ঘ সময় ধরে মলত্যাগের কসরত করা
  • টয়লেটের গতি সীমাবদ্ধ করুন
  • শারীরিক পরিশ্রম করবেন না
  • অতিরিক্ত ওজন

এছাড়াও গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তনের কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে পাইলসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্বাভাবিক অবস্থায় মলদ্বার বা মলদ্বারের মুখ সাধারণত বন্ধ থাকে। প্রয়োজনে শরীর থেকে মল বা মল বের করার জন্য মলদ্বারের মুখ চাপ দিয়ে খুলে দেওয়া হয়।পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

মলদ্বারের মুখ বন্ধ রাখতে বেশ কিছু জিনিস একসঙ্গে কাজ করে। বিশেষ গুরুত্ব পায়ু কুশন। এই কুশনগুলি 3 দিক থেকে চাপ প্রয়োগ করে মলদ্বারের মুখ বন্ধ রাখতে সাহায্য করে।

যদি কোনো কারণে এই তিনমুখী গদি ফুলে যায়, রক্তপাত হয়, নিচে পড়ে যায় বা মলদ্বারের চারপাশে পিণ্ডের মতো দেখায়, তাকে পাইলস বলে।পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

পাইলস এর ব্যথা সারানোর উপায়

পাইলসের ব্যথা উপশমে প্যারাসিটামল সেবন করা যেতে পারে। অন্যান্য ব্যথানাশক এবং মলম পাওয়া যায়, তবে আপনি আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন।

বাড়িতে হেমোরয়েডের ব্যথা কমানোর জন্য এখানে 4 টি উপায় রয়েছে:

১. কালশিটে স্থানটি হালকা গরম জলে ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। কুসুম সেখানে ছোট বাচ্চাদের স্নানের আকারের বাটিতে গরম পানি নিয়ে বসতে পারে। এটি দিনে 3 বার পর্যন্ত করা যেতে পারে।

অন্য কোথাও বসতে চাইলে বালিশ ব্যবহার করে বসতে পারেন।

২. একটি প্যাকেটে কিছু বরফ নিন এবং একটি তোয়ালে মুড়িয়ে মলদ্বারে মলদ্বারে লাগান। এটা আরামদায়ক হবে।

৩. বিছানায় শুয়ে পা উঁচু করে রাখলে পাইলসের পিণ্ডে রক্ত ​​চলাচল সহজ হবে এবং ব্যথা উপশম হবে। ঘুমানোর সময় পায়ের নিচে বালিশ রাখতে পারেন। এ ছাড়া বিছানার একপাশ বিছানার পায়ের নিচে কিছু দিয়ে ওঠানো যেতে পারে।পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

৪. মলদ্বার সবসময় পরিষ্কার এবং শুকনো রাখা উচিত। মলত্যাগের পরে, জায়গাটি শক্ত না ঘষে আস্তে আস্তে পরিষ্কার করতে হবে। আপনি টয়লেট পেপার হালকাভাবে ভিজিয়ে তারপর মুছে ফেলতে পারেন।

ব্যথানাশক যা ব্যবহার করা যাবে না

ট্রামাডল: এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি হল কোষ্ঠকাঠিন্য, তাই এটি হেমোরয়েডের জন্য নেওয়া উচিত নয়। প্যারাসিটামল এবং ট্রামাডলের সংমিশ্রণও এড়ানো উচিত।পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

আইবুপ্রোফেন: এটি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই আপনার পায়ুপথে ব্যথার সঙ্গে রক্তপাত হলে তা খাওয়া উচিত নয়।

কখন হাসপাতালে ছুটতে হবে?

কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেমন

  • টানা ৭ দিন বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়ার পরও অবস্থার উন্নতি না হলে
  • বারবার পাইলসের সমস্যা হলে
  • 55 বছরের বেশি বয়সী কারো যদি প্রথমবারের মতো পাইলসের লক্ষণ দেখা দেয়
  • পাইলস থেকে পুঁজ বের হলে
  • জ্বর বা কাঁপুনি, বা খুব অসুস্থ বোধ করা
  • একটানা রক্তক্ষরণ হলে।পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022
  • অত্যধিক রক্তপাত (উদাহরণস্বরূপ, যদি কমোডের পানি লাল হয়ে যায় বা মলদ্বার দিয়ে বড় রক্ত জমাট বেঁধে যায়)
  • যদি তীব্র, অসহ্য ব্যথা হয়
  • টয়লেটের রং কালো বা আলকাতরার মতো কালো দেখালে

পাইলসের ঘরোয়া প্রতিকার

পাইলসের কারণ রোধে পাইলসের চিকিৎসা করতে হবে। হেমোরয়েডের জন্য এখানে 6টি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে:

১.কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে আপনাকে বেশি করে ফাইবার বা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, ফলমূল, ডাল, লাল চাল ও লাল আটা। এছাড়াও আপনাকে প্রচুর পানি পান করতে হবে।

ফাইবার জল শোষণ করে অন্ত্রকে নরম করে, তাই আপনি যদি ফাইবার কাজ করতে চান তবে আপনাকে সারা দিন কমপক্ষে দুই লিটার জল পান করতে হবে।

এই দুটি কাজ করলে সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাইলসের সমস্ত লক্ষণ চলে যায়।

যদি 6 সপ্তাহ বা দেড় মাস খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার নিশ্চিত করা হয়, তাহলে পাইলসের রোগীদের 95% মলে রক্ত চলাচল কম হয়।

ইসবগুলের ভুসি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার একটি কার্যকরী ওষুধ।পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

২. মলত্যাগের সময় খুব জোরে চাপ দেওয়া এড়িয়ে চলুন। টয়লেট যাতে নরম হয় এবং সহজে মলত্যাগ করা যায় সেজন্য উপদেশ মেনে চলতে হবে।

৩. মলত্যাগে অতিরিক্ত সময় কাটানো যাবে না। টয়লেটে বসে ম্যাগাজিন, পেপার, মোবাইল এড়িয়ে চলতে হবে।

৪. মলের চাপ আসলে এটিকে ধরে রাখা উচিত নয়, কারণ এটি মলকে শক্ত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে। চাপ আসলে দেরি না করে বাথরুমে যাওয়ার।

৫. নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ভারী ব্যায়াম বা প্রতিদিন দৌড়ানোর মধ্যে বেছে নেওয়া একটি বিকল্প নয়।

আপনার শরীরকে সচল রাখতে আপনি হাঁটা, হালকা স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম ইত্যাদির মধ্যে বেছে নিতে পারেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটা বা হালকা ব্যায়ামও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

প্রয়োজনে, আপনি ছোট শুরু করতে পারেন। দিনে 20 মিনিট হাঁটুন। একটি দিয়ে শুরু করুন, তারপর সকালে এবং সন্ধ্যায় দুবার হাঁটুন।

প্রথমে সপ্তাহে তিন দিন এভাবে হাঁটুন এবং ধীরে ধীরে পাঁচ দিনে নিয়ে আসুন।

৬. আপনার ওজন বেশি হলে তা কমাতে হবে। অতিরিক্ত ওজন পাইলসের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই পাইলস রোগীদের ওজন কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

ওজন কমানোর কার্যকর উপায় সম্পর্কে আরও জানতে আপনি আমাদের সম্পর্কিত নিবন্ধগুলি পড়তে পারেন।

নিবন্ধগুলি পড়তে ক্লিক করুন…..

পাইলস অপারেশন

যদি অর্শ্বরোগ সঠিকভাবে ঘরোয়া প্রতিকার এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলার পরেও সমাধান না হয়, তাহলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

আপনার ডাক্তার আপনাকে এই বিষয়ে পরামর্শ দেবেন। সাধারণত 3 ধরনের অপারেশন সঞ্চালিত হয়:

১. Hemorrhoidectomy: এই অপারেশনে পাইলস অপসারণ করা হয়।

২. স্ট্যাপল্ড হেমোরয়েডেক্স: এই পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আবার মলদ্বারে পাইলস ঢোকানো জড়িত।

৩. Hemorrhoidal artery ligation: এই ক্ষেত্রে পাইলসের পিণ্ডগুলিতে রক্ত সরবরাহ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে পিণ্ডগুলি শুকিয়ে যায়।

এই অপারেশনগুলির জন্য, রোগীকে সাধারণত অ্যানেস্থেশিয়া বা অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহার করে চেতনানাশক করা হয় এবং অস্ত্রোপচারের পরে এক বা দুই দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।

ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022

ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022-স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।যে সকল বন্ধুরা তাদের স্বাস্থ্যকে অনেক ভালোবাসেন এবং অনেক Take care করেন,

সে সকল বন্ধুদের জন্য আজকের এই নিবন্ধনটি সাজানো হয়েছে।

কাঁচা ছোলা খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক ছোলার উপকারিতা।

ছোলা (Cicer arietinum L.) হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ডাল ফসল যা সারা বিশ্বে, বিশেষ করে আফ্রো-এশীয় দেশগুলিতে জন্মায় এবং খাওয়া হয়।

এটি কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের একটি ভাল উৎস হিসাবে বিবেচিত হয় এবং প্রোটিনের গুণমান অন্যান্য ডালের চেয়ে ভাল।

স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ছোলা বা বুটের বেশ সুনাম রয়েছে। এটি সুস্বাদুও বটে। শক্তি দেয়। অনেকক্ষণ পেটে থাকে।

সাধারণত দুই ধরনের ছোলা পাওয়া যায়- দেশি ছোলা এবং কাবুলি ছোলা।

দেশি ছোলা আকারে ছোট, রঙে কিছুটা গাঢ় এবং অপেক্ষাকৃত শক্ত।

কাবুলি ছোলা আকারে কিছুটা বড়, রঙে উজ্জ্বল এবং দেশীয় ছোলার চেয়ে নরম।

এই উপমহাদেশে দেশি ছোলা পাওয়া যায়। কাবুলি ছোলা আফগানিস্তান, দক্ষিণ ইউরোপ – এই সমস্ত জায়গায় জন্মে।

ছোলাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সালফারযুক্ত অ্যামিনো অ্যাসিড ছাড়া সমস্ত প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা দৈনন্দিন খাদ্যে সিরিয়াল যোগ করে পরিপূরক হতে পারে।

স্টার্চ হল প্রধান সঞ্চয়কারী কার্বোহাইড্রেট যার পরে ডায়েটারি ফাইবার, অলিগোস্যাকারাইড এবং সাধারণ শর্করা যেমন গ্লুকোজ এবং সুক্রোজ থাকে।ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022

অন্যান্য ডালের মতো, ছোলার বীজেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বিভিন্ন রান্নার কৌশল দ্বারা হ্রাস বা নির্মূল করা যায়।

ছোলার স্বাস্থ্য উপকারিতা

অন্যান্য মটরশুটির মতো, ছোলাতেও দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্যতালিকাগত ফাইবার সমৃদ্ধ।

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে অদ্রবণীয় ফাইবার শুধুমাত্র মল এবং অন্ত্রের সমস্যা বাড়াতে সাহায্য করে না, বরং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম এবং ডাইভার্টিকুলোসিসের মতো হজম সংক্রান্ত অভিযোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

প্রমাণগুলি পরামর্শ দেয় যে ছোলা খাওয়া ডিসলিপিডেমিয়া উন্নত করার একটি দুর্দান্ত উপায় (যখন রক্তে কোলেস্টেরল বা লিপিডের ঘনত্ব স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়) এবং ডায়াবেটিস এড়াতে।ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022

তৃপ্তি বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ

ছোলা প্রোটিন এবং ফাইবার উভয়ই লোড করে, যা আপনাকে পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করবে এবং খাবার এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমাতে সাহায্য করবে।

গবেষণা পরামর্শ দেয় যে ফাইবার খাওয়া ওজন কমানোর সাথে জড়িত।ঘন ঘন খাবার খাওয়া যেমন চর্বি পোড়ানো গারবানজো মটরশুটি স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই ওজন কমাতে সাহায্য করার একটি দুর্দান্ত উপায়।

তৃপ্তির অনুভূতি আপনাকে খালি-ক্যালোরি, প্রক্রিয়াজাত ফাস্ট ফুডে নাস্তা করার সম্ভাবনা কম করে তোলে যা আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

শাকসবজি বা জৈব ছাগলের পনিরের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে ছোলা বেশি ভরা হয়।

যেহেতু তারা ক্যালোরিতে কম কিন্তু প্রয়োজনীয় ফাইবার এবং সেইসাথে প্রোটিনে পূর্ণ, তাই এগুলি এমন লোকদের জন্য একটি আদর্শ খাবার যাদের কয়েক পাউন্ড কমাতে হবে কিন্তু যারা ক্যালোরি গ্রহণ করতে চাইছেন।ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022

চুল পড়া রোধ করেঃ

আপনার চুল আপনার শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং আপনাকে নিয়মিত এটির সঠিক যত্ন নিতে হবে।

আপনি স্পষ্টভাবে এটি পতন বা এমনকি ভাঙ্গা পছন্দ করেন না? তাই এই ধরনের সাধারণ চুলের সমস্যা এড়াতে, আমরা আপনাকে স্বাস্থ্যকর মঙ্গল পূর্ণ ছোলা ব্যবহার করার পরামর্শ দিই।

তারা সাধারণ চুলের সমস্যা মোকাবেলা করার পাশাপাশি চুল পড়ার মাধ্যমে চুলকে রক্ষা করবে।

শুধু তাই নয়, এগুলোর সাহায্যে আপনি ওয়েল্ডিং করতে পারেন।

তাই আপনার চুলকে এমন একটি চেহারা দিতে যা আপনি ক্রমাগত গোপনে পছন্দ করেছেন, আপনি অবশ্যই কিছু মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারেন।

শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ

থায়ামিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পুষ্টির সাথে বেঙ্গল গ্রাম ট্রেস খনিজ ম্যাঙ্গানিজের একটি চমৎকার উৎস।

ম্যাঙ্গানিজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সহ-ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করে যা শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেইসাথে আপনার সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

পচনতন্ত্রের জন্য উপকারীঃ

ছোলা, অন্যান্য ডালের মতো অন্ত্রে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে, যা ছোলার অত্যধিক ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত অনেক নেতিবাচক প্রভাবগুলির মধ্যে একটি।

তবুও, যাদের অন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ছোলা কিছু আকর্ষণীয় স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করতে পারে।

2012 সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি মূল্যায়ন রিপোর্ট করেছে যে মসুর ডাল সমৃদ্ধ খাবার পরিপাকতন্ত্র থেকে পুষ্টি সরাতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানোর মাধ্যমে সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022

ডায়াবেটিসের জন্য উপকারীঃ

আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে জানুয়ারিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, যারা ছোলা খান তাদের টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম।

একটি গবেষণা প্রতিবেদনের সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে মহিলারা ছোলা খেয়েছেন এবং ছোলা খান না এমন মহিলাদের তুলনায় টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা 40% কম।

লেখকরা লক্ষ্য করেছেন যে ছোলার কার্বোহাইড্রেটগুলি ধীরে ধীরে ভেঙে যায়, রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং সেইসাথে ভ্যালি যা ইনসুলিন প্রতিরোধের পাশাপাশি ডায়াবেটিস হতে পারে।

শক্তিশালী হাড় গঠনে উপকারীঃ

আপনি যদি শক্ত হাড় পেতে চান তবে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু ছোলার ডাল অন্তর্ভুক্ত করুন।

এগুলো আপনার হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য সেরা। সমস্ত ফ্রি র্যাডিকেল শরীরের মাধ্যমে নির্মূল হবে।

যেহেতু এটি ভিটামিন কে পূর্ণ, আপনি চমৎকার হাড় এবং শরীরের স্বাস্থ্য আশা করতে পারেন। আপনি অনেক হৃদরোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন এবং এর থেকে কিছু উপকারী বৈশিষ্ট্যও পাবেন।

শুধু তাই নয়, হৃদরোগের সাহায্যে আপনি অনেক স্ট্রোক থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাই সুস্বাস্থ্য ও মজবুত হাড় চাইলে বেছে নিন কাঁচা ছোলা।ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022

কোলেস্টারেল কমাতে সাহায্য করেঃ

আপনার প্রতিদিনের খাবারে 3/4 কাপ ছোলা অন্তর্ভুক্ত করা সহজেই এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ছোলায় ডিসলিপিডেমিয়া আছে যা রক্তে কোলেস্টেরলের শক্তি বন্ধ করে দেয়। তাই এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগের পাশাপাশি স্ট্রোকের সম্ভাব্য ঝুঁকি হ্রাস করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেঃ

গরবাঞ্জো মটরশুটি ঘন ঘন ব্যবহার খারাপ কোলেস্টেরল পরিষ্কার করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় সেইসাথে ট্রাইগ্লিসারাইডস। এই ধরনের শিম হৃদয়ের বন্ধু।

ছোলাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রাথমিক সংমিশ্রণ রক্তনালীগুলির দেয়াল বরাবর রক্তকে সমর্থন করে।ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022

আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড (ALA) এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড একসঙ্গে করোনারি হৃদরোগের পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

বার্ধক্য বিরোধী লড়াই করেঃ

বার্ধক্য হল সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলির মধ্যে একটি যা  ত্রিশ বছরের  মহিলাদের মধ্যে সম্মুখীন হয়। সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা, কালো দাগ এবং নিস্তেজতা বার্ধক্যের কিছু লক্ষণ।

এই সমস্যাটি মোকাবেলা করার এবং সারা বছর ত্বককে তারুণ্য এবং উজ্জ্বল রাখার একটি দুর্দান্ত উপায় হল কিছু ছোলা ব্যবহার করা।

এটি বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে, আপনার ত্বককে আঁটসাঁট করতে পারে এবং আপনাকে আপনার ত্বকে একটি প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর আভা দিতে পারে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ

আপনি যখন ছোলা খান, তখন আপনার শরীরে একটি শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে যার নাম বুটাইরেট।

গবেষণায় দেখা গেছে, বুটাইরেট অসুস্থ ও মৃত কোষ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

এটি আপনার কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ছোলাতে অন্যান্য ক্যান্সার-বিরোধী যৌগও থাকে, যেমন লাইকোপিন এবং স্যাপোনিন।

মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করেঃ

ছোলাতে রয়েছে কোলিন, একটি পুষ্টি যা স্মৃতিশক্তি, মেজাজ, পেশী নিয়ন্ত্রণ এবং মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য রাসায়নিককে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারীঃ

এই বিশেষ মাসগুলিতে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য তাজা, সবুজ এবং সুস্বাদু ছোলার ডাল প্রয়োজন। এটি শিশুকে যেকোনো ধরনের ক্ষতি বা এমনকি রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022

ছোলা শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে এবং আপনাকে কখনই কোনো ধরনের ত্রুটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ সেই বিপজ্জনক অবস্থাগুলি কখনই আপনার শিশুকে স্পর্শ করবে না।

আপনার শিশুর জন্ম হলেই সুস্থ ও সুন্দর হবে। এটি একটি প্রধান কারণ

যে কারণে অনেক ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতী মহিলাদের ছোলার ডাল সহ প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন।

চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ

আপনার সামগ্রিক দৃষ্টি উন্নত করতে, আমরা আপনাকে প্রতিদিন ছোলা ব্যবহার করার পরামর্শ দিই।

এই চমৎকার খাবারটি আপনার চোখকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে তা দেখে আপনি অবাক হবেন।

ছোলা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা আপনার শ্লেষ্মা ঝিল্লি, দৃষ্টিশক্তি এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

তাই আপনি যদি পরিষ্কার এবং আরও ভাল দৃষ্টি পেতে চান তবে আমরা আপনাকে কিছু ছোলা খেতে পরামর্শ দিই।

আপনি এগুলো সিদ্ধ করে খেতে পারেন কিংবা কাঁচা হিসেবে খেতে পারেন বা আপনার প্রিয় পনির বা কিমা কারিতেও যোগ করতে পারেন।

ছোলা আপনার ব্রাউন রাইস পোলাওতে যোগ করতে পারেন।আপনি অবশ্যই দুর্দান্ত ফলাফল দেখতে পাবেন।

জন্ডিসের জন্য উপকারীঃ

জন্ডিসের চিকিৎসার জন্যও ছোলা আদর্শ। এক কাপ ছোলা ও গুড় জলে ভিজিয়ে রাখলে জন্ডিস এবং এর সাথে সম্পর্কিত ঘন ঘন বমি সারাতে সাহায্য করে।

যৌনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিয়মিত কাঁচা ছোলা খেলে আপনার যৌনশক্তি আগের চেয়ে অনেকাংশে বেড়ে যাবে।ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022

রাতে ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে এর উপকার বেশি পাওয়া যায়।

মহিলাদের হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেঃ

ছোলা পুষ্টির একটি ভালো উৎস, বিশেষ করে ফাইটো-ইস্ট্রোজেন (উদ্ভিদের হরমোন) পাশাপাশি স্যাপোনিন (অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট)।

এই বিশেষ লেবু আপনার স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায় এবং রক্তে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বজায় রেখে অস্টিওপরোসিস থেকে রক্ষা করে।ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা-2022

ছোলা মাসিক জুড়ে মেজাজ পরিবর্তনের পাশাপাশি মহিলাদের মধ্যে মেনোপজ-পরবর্তী লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে।

পাইলস বা অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 2022

আশা রাখি এই নিবন্ধনটির মাধ্যমে আপনাদের অনেক উপকারে লেগেছে এবং আপনাদের স্বাস্থ্যকে অনেক নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসছেন।

আপনাদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ ও সবল রাখতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

Pregnancy Symptoms, Precautions and Advice 2022

Motherhood is a happy and memorable moment in every girl’s life. Everyone wants to make their first taste of motherhood memorable. The feeling of fullness of life in girls is through pregnancy. But many times women do not realize at first that she is childbearing.

Especially those who are getting pregnant for the first time do not usually experience the symptoms of pregnancy.

As a result, many times a big accident can happen without your knowledge. So it is very important to determine the symptoms of pregnancy. But how do you know if you have childbearing? Its symptoms are the subject of our discussion today.

Most of the girls who get pregnant for the first time do not know the symptoms of pregnancy. For their convenience, we have arranged this article today. I hope you will benefit a lot. For that you need to follow our article from beginning to end.

There are 8 signs of pregnancy. When these 8 signs are seen in a girl then it should be understood that that girl is child prone. The symptoms are revealed below for your convenience.

1) Feeling nauseous:

We have always heard from women around us besides our mothers, aunts, uncles, aunts, grandmothers, nannies that if you get pregnant you feel dizzy for no reason, you feel weak, you feel dizzy all the time. .

2) Not menstruating:

Sudden onset of menstruation or irregular menstruation is one of the most common symptoms of pregnancy. Menstruation usually occurs every 28 days but the rule is different in case of pregnancy, in this case menstruation stops completely.

3) Breast changes:

Another special sign of understanding the signs of pregnancy is the change in the breasts. If you are pregnant, the shape of the breasts will increase a little, you will feel pain a lot of the time, the stalk will be darker in color.

4) Dislike of food taste:

Suddenly no taste in food, no smell of food, the food that is your favorite food has become the most disliked food. Gives.

5) Mood swings:

Mood plays a very important role in understanding the symptoms of pregnancy. Because mood swings are not always the same in hormonal manipulation, sometimes changes occur. .

6) Feeling tired:

During this time, the body feels tired, drowsy, sleepy all the time. As a result, you will understand that you are child-bearing.

6) Increase in body temperature:

If you are pregnant, you will notice a difference in your body temperature for 18 to 20 days continuously. It is much higher than normal temperature.

6) Frequent urination:

In the early stages of pregnancy, the rate of blood flow to the kidneys increases. As a result, the bladder fills up faster than usual, which leads to frequent urination.

Things to do during pregnancy:

Every mother has to be very careful during pregnancy. At the same time, fathers have to be very careful with their pregnant mothers. Below are some things to do during pregnancy.

1) If you have a pregnancy plan, try to live a healthy and disciplined life from now on. Refrain from smoking and all kinds of drugs.

2) If you are using any medicine, consult your doctor to find out if it is safe to get pregnant.

3) Talk to a specialist and start taking Prin Natal Multivitamin. Try to eat at least 400 micro grams of folic acid every day. This protects the baby from many birth defects. Folic acid should be taken at least three months before conception.

4) Practice light exercise every day.

5) To refrain from all kinds of hard work at this time.

6) Eat nutritious vegetables, fruits regularly.

7) If you have chronic diseases such as blood pressure, shortness of breath, diabetes, etc., try to control it and consult a doctor.

Hopefully by following these you will be able to give birth to a healthy and strong newborn. Many good wishes to every mother.

In this article, I have tried to give you a clear idea about Aumra’s health. If you have any opinion or need to know, you can leave a comment in our comment box. We will try to give a proper answer. —— Thanks

এলার্জি ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়

এলার্জি ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়-আসসালামু আলাইকুম ! কেমন আছেন আপনারা সবাই আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজকে আমরা আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে।

আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। আজকে আমরা যে টপিক্স নিয়ে আলোচনা করবো তা হলো ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে এলার্জি,ব্রণ দূর করা যায়।তো চলুন বন্ধুরা মূল আলোচনা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

এলার্জি ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা একবার ব্রণ হলে তা দূর করা যায় ঠিকই কিন্তু যাওয়ার আগে মুখে তার দাগ ও গর্ত রেখে যায়। এছাড়াও বন্ধুরা গর্ত ও এলার্জির কারণে অনেকের মুখে র্যাশ ও লালচে ভাব থাকে। এটি আপনাদের পুরো সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে।

তাহলে বন্ধুরা আজকে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই সমস্যাগুলো থেকে সহজেই আপনারা মুক্তি পেতে পারবেন। আর আপনাদের ত্বকে যদি প্যাক গুলো ভাল কাজ করে তবে ব্যবহার করতে পারেন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত।

হলুদ ও লেবুর প্যাক

বন্ধুরা প্রথমে এক চা চামচ লেবুর রস নিয়ে এরসাথে মেশাতে এক চা চামচ হলুদ। আপনারা চাইলে কাঁচা হলুদ কিংবা গুড়ো যে কোনটাই ব্যবহার করতে পারেন।

এবার মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে ধুয়ে প্যাকটি মুখে সব জায়গায় সমান করে লাগাতে হবে। বিশ মিনিট পরে মুখ স্বাভবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম অথবা লোশন লাগিয়ে নিতে হবে।

প্যাকটি নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য

পাঠক বন্ধুরা আপনারা প্যাকটি লাগিয়ে অর্থাৎ মুখে লাগানো অবস্থায় কখনোই চুলার কাছে যাবেন না।হলুদ এবং লেবু দুটি উপাদানই ফটোসেন্সিটিভ তাই চেষ্টা করবেন প্যাকটি রাতে ঘুমানোর আগে লাগাতে।

এটি আপনাদের স্কিনের ব্রণের গর্ত এবং র্যাশের মত এলার্জি দূর করবে খুবই ভাল ভাবে। টানা দুই সপ্তাহ লাগাবেন। এরপর চাইলে প্যাকটি নিয়মিত করতে পারেন। কারণ এটি আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে ভীষনভাবে। তিন দিন লাগানোর পর থেকেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃরাগ কমানোর সহজ উপায়

চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ২০২২

টক দই, লেবুর খোসা এবং গোলাপজল

প্রথমে একটি বাটিতে এক চা চামচ টক দই, এক চা চামচ লেবুর খোসা বাটা এবং সামান্য একটু গোলাপজল নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এটি কে ভালো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে পুরোপুরি না শুকানো পর্যন্ত। পুরো শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

বন্ধুরা এই প্যাকটি পোরস, গর্ত ইত্যাদি দূর করার সাথে সাথে আপনাদের ত্বককে সুপার হাইড্রেট, ময়েশ্চারাইজ এবং মসৃন করবে। বাড়াবে ত্বকের কোমলতাও।

প্যাকটির কার্যকারিতা :

আমরা কম বেশি সবাই জানি লেবুর খোসা ব্রণ সৃষ্টিকারি ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে, ত্বকের রঙ হালকা করে, সান ট্যান দূর করে এবং এটি একটি খুব ভালো এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান।

গোলাপজল ত্বকের পোরস ছোট করতে সাহায্য করে। টক দই ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে এবং লালচে ভাব কমায়। ভালো ফলাফল এর জন্য এক মাস টানা করতে হবে।

ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস

বন্ধুরা একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে এর সাথে মেশান এক চা চামচ লেবুর রস। ভালো করে মেশিয়ে এবার এটি মুখে লাগান সমান করে। শুকাতে দিন পুরোপুরি। মুখে যখন টান ধরবে তখন পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখবেন যেন মুখে একটুও থেকে না যায়।

প্যাকটির কার্যকারিতা:

মুখ উজ্জ্বল হবে, টানটান হবে, পোরস ছোট হবে, গর্ত চলে যাবে।সপ্তাহে ৩-৪ দিন করে লাগাতে হবে এক মাস পর্যন্ত।

সর্বশেষ তথ্যঃ বন্ধুরা অবশ্যই যে কোন প্যাক লাগানোর পরই মুখ প্রচুর পানি দিয়ে ধুতে হয়। তাহলে মুখে কিছু থেকে যাবার সম্ভাবনা থাকে না। মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার হয়।

অনেক বন্ধুরা আছেন যারা সানব্লক লাগানোটাকে প্রয়োজনীয় মনে করেন না। কিন্তু ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া, কুঁচকে যাওয়া রোধ করার জন্য নিয়মিত সানব্লক ব্যবহারের অভ্যাস করা খুবই জরুরি।