জন্মদিনের শুভেচ্ছা, মেসেজ, ফেসবুকে স্ট্যাটাস 2023

জন্মদিনের শুভেচ্ছা, মেসেজ, ফেসবুকে স্ট্যাটাস

জন্মদিনের-শুভেচ্ছা-স্ট্যাটাস 2023-হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা, মেসেজ, ফেসবুকে স্ট্যাটাস 2022 নিয়ে আলোচনা করব এই পোস্টটিতে।এখানে আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে কিভাবে ব্যতিক্রম  ভাবে উইশ করবেন তা পেয়ে যাবেন। তার জন্য আপনাকে যেটা করতে হবে আমার এই নিবন্ধটিকে ভালোভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনুসরন করতে হবে।

জন্মদিনের-শুভেচ্ছা-স্ট্যাটাস 2023

জন্মদিনঃ

ক্যালেন্ডার অনুসারে জন্মদিন হল মানুষের জন্মগ্রহনের দিনটিকে বুঝানো হয়েছে। জন্মবার্ষিকী সাধারণত জন্মদিন উদযাপনের মাধ্যমে পালিত হয়। এই জন্মদিনটি সাধারণত শিশু, তার পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন বা ব্যক্তি বছরের একটি নির্দিষ্ট মাসে একটি নির্দিষ্ট তারিখে উদযাপন করে।

অর্থাৎ বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে শিশু বা ব্যক্তির জন্মের আনন্দ উদযাপনকে জন্মদিন বলে। সাধারণত শিশুদের ঘিরেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাছাড়া সারা বিশ্বের কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীরা তাদের জন্মদিন উদযাপন করতে দেখা যায়। আনুষ্ঠানিক উদযাপন ছাড়াও, শুভেচ্ছা জন্মদিন উদযাপনের প্রধান উপায়।

ফুডপান্ডা বাংলাদেশের সকল ব্রাঞ্চের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার ২০২৩

জন্মদিনে করণীয়ঃ

প্রধান উপাদান সংগ্রহ

মোমবাতি, বেলুন এবং কেক দীর্ঘদিন ধরে জন্মদিনের জন্য প্রয়োজনীয় আইটেম হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। সাধারণ কেকের একটি সাধারণ নাম রয়েছে এবং তাদের চারপাশে বা ভিতরে মোমবাতির সংখ্যা বয়স দ্বারা নির্ধারিত হয়। এছাড়াও মিষ্টি, বিস্কুট, কলা, চা, কফি, কোমল পানীয়, দই ইত্যাদি প্রদান করা হয়।

মোমবাতিতে শিখা জ্বালানোর পর, ছুরি দিয়ে কেক কেটে শিশু বা ব্যক্তির মুখে রেখে জন্মদিন শুরু করা হয়, বাকি কেক টুকরো টুকরো করে আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া হয়।

ফেসবুক ভিআইপি অ্যাকাউন্ট 2023-Facebook VIP Account 2023

নিমন্ত্রণ প্রদান ও আমন্ত্রণ

গুরুত্ব অনুযায়ী আমন্ত্রিত অতিথিদের পূর্বে সাজানো জন্মদিন কার্ডের মাধ্যমে জানানো হয়। কার্ডগুলিতে জন্মদিনের সংখ্যা, কখন, অভ্যর্থনা, পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন সহ শিশু বা ব্যক্তির ছবি রয়েছে। এছাড়াও দৈনিকগুলির বিজ্ঞাপন বিভাগে শিশু বা ব্যক্তির দীর্ঘায়ু কামনা করে ছড়া বা জন্মদিনের শুভেচ্ছা রয়েছে। বেশিরভাগ অংশে, জন্মদিনের পার্টিতে প্রতিবেশীদের শুধুমাত্র মৌখিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

আয়োজনে আর্থিক স্বচ্ছলতা

নতুন পোশাক পরা একটি শিশু বা ব্যক্তির জন্য একটি বিশেষ জন্মদিন উদযাপন হয়ে ওঠে। এ ছাড়া আমন্ত্রিত বা আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা নিজেদের আরামদায়ক ও রুচিশীল পোশাক পরেন। জন্মদিনের আয়োজন পারিবারিক বা প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সুস্থতার উপর নির্ভর করে। সাধারণত ধনী পরিবার জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করে। ফলে ওই দিন তৈরি হওয়া জন্মদিন উদযাপন বেশ প্রাণবন্ত।

জন্মদিনের গান

জনপ্রিয় গান “হ্যাপি বার্থডে টু ইউ” জনপ্রিয় গান হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি ভারতীয় বাংলা সঙ্গীত হিসেবে “তোমার জন্মদিনে আমি তোমাকে উপহার হিসেবে আর কি দিতে পারি/ বাংলায় পেয়ার নাহি, হিন্দিতে পেয়ার না”; ‘আজ জন্মদিন, যাই গলায়’ কিংবা ‘অচেনা বছর এসেছে’;

জন্মদিনের-শুভেচ্ছা-স্ট্যাটাস 2023

অথবা বাংলাদেশে, বাংলায়, মাইলস ব্যান্ডের “আজ জন্মদিন তোমার” গানগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বাড়িতে এসব গান বাজানোর পাশাপাশি আজকাল অনেকেই রেডিও বা অন্যান্য মিডিয়ায় একে অপরকে উপহার হিসেবে শোনেন।

যে সকল বন্ধুরা তাদের প্রিয় মানুষদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা মেসেজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস ইত্যাদি পাঠাতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। প্রতিদিন কোন না কোন মানুষের জন্মদিন পালিত হয় আর যদি সে মানুষটি কারো ভালোবাসার মানুষ কিংবা খুব কাছের বন্ধু বান্ধব, ছোট ভাই বড় ভাই বাবা-মা ভাই বোন কিংবা কোন আত্মীয়-স্বজন এরমধ্যে হয়ে থাকে তাহলে তো আর কোন কথায় নেই। প্রিয় মানুষটিকে কিভাবে  খুশি রাখা যায় তা  নিয়ে আমাদের আজকের এই পোস্ট।

প্রেমিকার জন্মদিনের শুভেচ্ছাঃ

মেয়েদের মন খুব নরম প্রকৃতির হয়ে থাকে। সব মেয়েরাই চায় যে তাদের বয়ফ্রেন্ড তাদেরকে কোন না কোন ভাবে সারপ্রাইজ করুক।আর যদি সেটা জন্মদিন নিয়ে হয় তাহলে তো আর কোন কথাই থাকে না। কোন  মেয়ে যদি তার ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে জন্মদিনের উইশ পেয়ে থাকেন ,তখন সে অনেক খুসি হয়। 

   1.                      

   “আসুক ফিরে এমন দিন,

 হয়ে উঠুক তোমার জীবন রঙিন।

  শুভ জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা”

 2.

 “নতুন সকাল, নতুন দিন,

নতুন করে শুরু, যা হয় না যেন শেষ.

জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছার সাথে

পাঠালাম তোমায় এই এস এম এস 

শুভ জন্মদিন”

3

আজকের এই সময়টা

শুধু তোমার জন্য আর

কারো নয়

শুভ জন্মদিন”

 4.

 “তোমার জন্য প্রার্থনা করি,

১২ মাস আনন্দের,

৫২ সপ্তাহ খুশির,

৩৬৫ দিন সাফল্যের

৮৭৬০ ঘণ্টা সুস্বাস্থ্য,

আর ৫২৬০০ মিনিট সৌভাগ্যের !

শুভ জন্মদিন”

 5.

 জন্মদিনে কি বা দিবো

   তোমায় উপহার ?

             বাংলায় নাও ভালোবাসা

                                   হিন্দিতে নাও পেয়ার।

                                    শুভ জন্মদিন তোমার 

6.

রাজার আছে অনেক ধন,

আমার আছে সুন্দর মন,

পাখির আছে ছোট্ট বাসা,

আমার মনে একটি আশা,

দিবো তোমায় ভালোবাসা।

 HAPPY BIRTHDAY TO YOU

7.

তোমার কথা ভাবতে ভাবতে

হয়না যেন দিন শেষ,

জন্মদিনের শুভক্ষণে তোমায়

পাঠালাম এই SMS

শুভ জন্মদিন 

8.

আজকের এই বিশেষ দিনে

হয়ে ওঠো আরো নবীন,

ভালবেসে জানাই তোমায়

 শুভ জন্মদিন 

9.

চাঁদের জন্য পূর্নিমা,

পাহাড়ের জন্য ঝর্না,

নদীর জন্য মোহনা,

আর তোমার জন্য রইলো

জন্মদিনের অনেক

অনেক শুভ কামনা।

 Happy Birthday 

10.

রূপ কোথার রানী তুমি,

২ নয়নের আলো,

সারা জীবন এমন করে

বেশে যাবো ভালো।

তুমি আমার জীবন মরন,

আমার চলার সাথি।

তোমাকে ছারা ১ লা আমি

কি করে থাকি ?

 শুভ জন্মদিন 

Janu

11.

কোন রাজার সিংহাসন

থেকে নয়,

হিমালয়ের পাদদেশ

থেকে নয়।

৭ সমুদ্র ১৩ নদীর ওপাড়

থেকে নয়,

আমার হৃদয়ের ছোট্ট কুঠির

থেকে জানাই শুভ জন্মদিন।

জন্মদিনের-শুভেচ্ছা-স্ট্যাটাস 2023

প্রেমিকের জন্মদিনের শুভেচ্ছা

আপনি যদি আপনার প্রেমিককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চান কিংবা খুশি করতে চান তাহলে এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দের বার্তাটি সংগ্রহ করে আপনার পছেন্দের মানুষটিকে পাঠাতে পারেন।

বন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা 

বন্ধু ছাড়া কোন মানুষ চলাফেরা করতে পারে না। প্রতিটা মানুষেরই কোন কোন বন্ধু রয়েছে। বন্ধুর কাছে নিজের সকল দুঃখ কষ্টের কথা শেয়ার করা যায়। তাই আজকে আমরা বন্ধুকে কিভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠাবেন তা এখানে উপলব্ধ।

মা- বাবাকে  জন্মদিনের শুভেচ্ছা

মা বাবা ছাড়া কেউ পৃথিবীতে আসতে পারতনা। মা ডাকটি অনেক মধুর। পৃথিবীর সব মানুষ পর হয়ে যেতে পারে কিন্তু মা কখনো পর হতে পারেনা। প্রতিটা মা-বাবাই সন্তানের কাছে অনেক মূল্যবান। পিতা-মাতা ছাড়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অনেক কষ্ট হয়। মা- বাবার হাত ধরে প্রতিটা সন্তান বেরে উঠে।মা-বাবার কাছে সন্তানের মূল্য অনেক বেশি। নিচে মা-বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিয়ে কিছু বার্তা প্রকাশ করা হলো। আপনি চাইলে তা সংগ্রহ করে মা-বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মা-বাবাকে অনেক খুশি করতে পারেন।

মা বাবার শুভ জন্মদিন এস এম এস

এরকম অনেক মধুর বাক্য আমাদের জন্মদিয়ে দুনিয়াতে এনেছেন আমাদের মা বাবা। তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা দুনিয়াতে আমাদের জন্য সেরা উপহার।আমাদের দেয়া সামান্য উপহারেই তারা অনেক বেশি খুশি হয় তাই আমরা তাদের জন্য লিখতে পারি  মা বাবার শুভ জন্মদিন এস এম এস বা নিজেই ভার্চুয়াল একাউন্ট এ লিখে দিতে পারি মা বাবার শুভ জন্মদিন স্ট্যাটাস

12.

বাবা, তোমাকে শুভেচ্ছা,

বিশেষ এই দিনটির মতোই

আমার জীবনের বিশেষ মানুষ তুমি।

! শুভ জন্মদিন বাবা !

13.

মা জননী চোখের মনি

অসিম তোমার দান.

খোদার পরে তোমার আসন

আসমানের সমান,

ত্রিভুবনে তোমার মত হয় না

কারো মান,

! শুভ জন্মদিন মা !

14.

প্রথম স্পর্শ “মা”

১ম পাওয়া “মা”

প্রথম শব্দ “মা”

১ম দেখা “মা”

আমার জান্নাত তুমি “মা”

! শুভ জন্মদিন মা !

15.

“মা” দিয়ে মাসজিদ,

“মা” দিয়ে মাদ্রাসা,

“মা” দিয়ে মাদিনা,

“মা” দিয়ে মাক্কা,

So “মা” কে কেউ কষ্ট দিয় না,

! শুভ জন্মদিন মা !

জন্মদিনের-শুভেচ্ছা-স্ট্যাটাস 2023

বড় বোনের জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস / শুভ জন্মদিন বড় ভাই

আমাদের মা বাবার পরে যেই মানুষ গুলো আমাদের পাশে থাকে তারা হচ্ছে আমাদের বড় ভাই বা বড় বোন। তাদের জন্মদিনেও আমরা তাদের ট্যাগ করে লিখতে পারি শুভ জন্মদিন বড় বোন / বড় ভাইয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা এস এম এস। অথবা তাদের জন্য লিখতে পারি শুভ জন্মদিন এস এম এস।

16.

 শুভ জন্মদিন বনু 

জীবনে অনেক অনেক সুখী হও,

সব ইচ্ছেগুলো পূরণ হোক,

এই কামনায় করি।

আর হ্যা ভালো করে পড়াশুনা করো

”””’না হলে””’

কিন্তু তোমার জন্য ভালো বর পাবোনা।

এটা মাথায় রেখো।

17.

বাবা মায়ের পর,

সবচেয়ে আপন বলে যাকে জেনেছি,

সেই মানুষটি হচ্ছো তুমি দিদি।

আর আজকে তোমার জন্মদিনে,

তোমাকে জানায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

! শুভ জন্মদিন দিদি !

18.

শুভ রজনী শুভ দিন,

আমার প্রিয় ভাই আজকে তোমার জন্মদিন।

জন্মদিনে কি বা দিবো তোমায়,

এক বুক ভালবাসা ছাড়া,

কিছুই দেওয়ার নেই আমার।

! শুভ জন্মদিন প্রিয় ভাই !

19.

তনয়ের মত উজ্জ্বল হও।

তটিনীর মত চঞ্চল হও।

অম্বর এর মত করে উদার হও।

আর ঢেউয়ের মতন হও উচ্ছল।

! শুভ জন্মদিন ভাই !

জন্মদিনের-শুভেচ্ছা-স্ট্যাটাস 2023

ছোট বোনের জন্মদিন স্ট্যাটাস / ছোট ভাইয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা

আমাদের সবচাইতে স্নেহের হয় ছোট বোন/ ভাই এদের সাথে ভালোবাসা খুনশুটি সবই চলে হরদম। তাদের জন্মদিনে তারা আপনার কাছে ট্রিট চাওয়ার আগেই আপনি টাইমলাইনে দিয়ে দিতে পারেন ছোট বোনের জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস / ছোট ভাইয়ের জন্মদিন স্ট্যাটাস। আর তাদের জন্য গিফট কিনতে কিন্তু ভুলবেন না।

20.

আজ তোমার জন্মদিন,

এলো খুশির শুভদিন,

সর্বদা থাকে যেনো তোমার মন,

এমনি আনন্দে রঙিন,

! হ্যাপি বার্থডে !

জন্মদিনের-শুভেচ্ছা-স্ট্যাটাস 2023

সন্তানের জন্মদিনের স্ট্যাটাস

আমাদের সবচাইতে কাছের স্নেহের ভালোবাসার হয় আমাদের সন্তান। এরা আমাদের বেচে থাকার কারন। এরা আমাদের সার রাজার ধন মানিক রতন। আমরা সবাই কম বেশি তাদের জন্মদিন বাড়িতে পালন করি সেই সাথে নিজেদের টাইমলাইনে সন্তানের জন্মদিনের স্ট্যাটাস লিখলে বিষয়টা আরও স্পেশাল হয়। মেয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস / ছেলের জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা

21.

আল্লাহর আশীর্বাদে তোমার প্রতিটি দিন কাটুক

নতুন নতুন সুখের আতিশয্যে.

আর তোমার চারিপাশে ছড়িয়ে থাকুক

খুশির নানান আভাস।

! শুভ জন্মদিন !

22.

আরো একটি বছর করলে তুমি পার,

সুস্থ থাকো, ভালো থাকো,

এই কামনা করি বার বার।

! শুভ জন্মদিন !

জন্মদিনের-শুভেচ্ছা-স্ট্যাটাস 2023

জন্মদিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস

আপনার ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিস্ট এ বন্ধু বান্ধবদের জন্মদিন হলে আপনি চাইলে আমাদের এই স্ট্যাটাস গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার বন্ধু আনন্দিত হবেন। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের জন্মদিনে ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো পারেন।

  • একটা বছর বেড়ে যাবে আর একটা মোমবাতি।  আর তোমার সাথে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতে এক হয়ে থেকেছি এবং থাকব। শুভ জন্মদিন।
  • এই দিনে সবকিছু হউক নতুন করে। জড় জীর্ণ অতীতটাকে রেখ না আর মনে নব উদ্দমে শুরু হক তোমার জীবন। শুভ জন্মদিন।
  • অতীতের সব না পাওয়া গুলো ভুলে গিয়ে আগামীর স্বপ্নগুলো সত্যি করার পথে এগিয়ে চলাই শ্রেয়। শুভ জন্মদিন। 
  • রাত যায় দিন আসে, মাস যায় বছর আসে, সবাই থাকে একটা সুদিনের আশায়, আমি থাকি তোমার জন্মদিনের আশায় কারন তুমি ট্রিট দিবে। শুভ জন্মদিন।
  • আজ তোমার ২১তম জন্মদিন। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব করতে যেও না আজ, বহু বছরের প্রাপ্তি অর্থহীন মনে হতে পারে প্রিয় মানুষের হারিয়ে যাওয়ায়।  বহু বছরের অপ্রাপ্তি ভুলিয়ে দিতে পারে প্রিয়মুখের এক চিলতে হাসি। শুভ জন্মদিন।
  • আমি কৃতজ্ঞ এই দিনটার প্রতি। কারণ আজকের দিনটায় তুমি জন্মেছিলে, তোমাত  মতো ভালো বন্ধু ও মানুষ আমি জীবনে কমই পেয়েছি। শুভ জন্মদিন। 

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন 2023

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন-করার সকল নিয়ম কানুন নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। প্রতিবন্ধী ভাতা নিয়ে যাদের জানার আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্যই আজকের আর্টিকেল টি।

বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধীকে প্রত্যেক মাসে ভাতা দিচ্ছে। আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধী বা আপনার আশেপাশে যদি কোন প্রতিবন্ধী থেকে তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনার আবেদনটি রিভিউ করা হবে। আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার যোগ্য হন তাহলে আপনাকে তারা প্রত্যেক মাসে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করব। যা দিয়ে আপনারা আপনাদের অর্থনৈতিকভাবে একটু হলেও লাভবান হবে।
আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য মোবাইল ফোন দিয়েও আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা কি

প্রতিবন্ধী ভাতা হলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সরকার কর্তে প্রত্যেক মাসে প্রতিবন্ধীদের যে পরিমাণে ভাতা দেওয়া হয়। আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা রয়েছে তারা নানারকম কাজে অক্ষম এবং তাদের চলাফেরা নানা রকম সমস্যা হয়ে থাকে এরকম মানুষদের জন্য সরকার কর্তৃক কিছু পরিমাণে টাকা তাদেরকে দেওয়া হয় যেন তাদের জীবন চালাতে এই অর্থ সাহায্য করে।
বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির জন্য এই সাহায্য দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার আবেদন করতে পারবে।
প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম
বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী ভাতার যে আবেদন রয়েছে সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে সেখানে শুধু প্রতিবন্ধীদের আবেদন গ্রহণযোগ্য করা হবে। প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম রয়েছে আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধী হন এবং প্রতিবন্ধীর সকল কাগজপত্র থাকে তাহলেই আপনারা প্রতিবন্ধী ভাতা পাবেন।
  •  আপনাকে আপনার প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
  • অনলাইনে আপনি প্রতিবন্ধী এটা যাচাই করার জন্য আপনার সুবর্ণ কার্ড সহ আরো অন্যান্য তথ্যাদি যুক্ত করতে হবে।
  •  তারপর আপনার অনলাইনে আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
  •  আপনার অনলাইনে আবেদন যদি সম্পূর্ণ করা হয় এবং পরে সকল তথ্যাদি আপনার যাচাই করা হবে। যদি আপনি একজন সত্যিকারের প্রতিবন্ধী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভাতা পেয়ে যাবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা 

অনেক প্রতিবন্ধীর একটি প্রশ্ন থেকে থাকে সেটি হল প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা দেওয়া হয়? প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধীকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হয় এবং এই প্রতিবন্ধী ভাতা সীমিত হলেও একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অর্থনৈতিক সাহায্য হিসেবে কাজ করে।
আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন করেন এবং আপনার ভাতারটি যদি অনুমোদন দেওয়া হয়। তাহলে <b> প্রত্যেক প্রতিবন্ধী প্রত্যেক মাসে ৮৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা পাবে।</b> আগে এই ভাতার পরিমাণ ছিল ৭৫০ টাকা যা বর্তমান সময়ে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা আপনারা আপনাদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার হাতে পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনারা নগদ ও বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্য পেতে পারেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা কয় মাস পর পর দেয় 

প্রত্যেক মাসেই আপনাকে ৮৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হবে। তবে এ টাকা আপনার কাছে কয়েক মাস পর পর পৌছাতে পারে অর্থাৎ আপনার প্রত্যেক মাসে ৮৫০ টাকা করে জমা হবে। তারপর তিন মাস পর আপনার গত তিন মাসের জমা হওয়ার টাকা আপনার মোবাইল ফোনে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পৌঁছে যাবে। অনেক সময় আপনারা তিন মাসের আগে এবং তিন মাসের পরেও এই টাকা পেতে পারেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা কবে দিবে 2023

প্রতিবন্ধী ভাতা কবে দিবে এভাবে আপনারা বিষয়টি নির্দিষ্ট ভাবে জানতে পারবেন না। যেহেতু আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার টাকা আপনার হাতে চলে আসবে সেহেতু টেনশন করার কোন কারণ নেই। আর আপনি যদি এ ব্যাপারে আরও জানতে চান তাহলে আপনার ইউনিয়ন পরিষদের যোগাযোগ করবেন। কেননা এরকম তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিনিয়ত আপডেট হয়। আর প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার নির্দিষ্ট কোন তারিখ নেই একেক এলাকায় একেক ভাবে এই ভাতা দেওয়া হয়।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে কি কি লাগবে 

” প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন “
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। অবশ্যই এই কাগজগুলোর প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি আপনি (যদি ১৮ বছরের উর্ধ্বে হয়ে থাকেন।
  2.  আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি! (আপনি যদি ১৮ বছরের নিচে হয়ে থাকেন।
  3.  প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধীর জন্য সুবর্ণ কার্ড থেকে থাকে, আপনার সুবর্ণ কার্ডের ফটোকপি। 
  4.  মোবাইল ব্যাংকিং নগদ বা বিকাশের একটি মোবাইল নাম্বার লাগবে।

 আবেদন করার আগে জরুরী কিছু নির্দেশনা

আপনি যদি সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে নানা রকম ভাতা (যেমনঃ বয়স্ক ভাতা , বিধবা ভাতা, হিজরা জনগোষ্ঠী থেকে ভাতা ইত্যাদি) পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতায় আবেদন করতে পারবেন না।
 আপনাকে শুধু একবার আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে যদি আপনারা একাধিকবার আবেদন করেন তাহলে আপনার আবেদন বাতিল করা হবে।
সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিদেরই শুধু প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হবে।
আপনার যেকোন সমস্যায় আপনারা চাইলে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন যেকোনো ভাতা নিয়ে।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

আপনারা চাইলে আপনার হাতের মোবাইল ফোনটি দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তো এই আবেদন করার প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ আমরা আপনাদেরকে পুরো ব্যাপার সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে বুঝিয়ে দিলাম। আশা করি আপনারা প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে পারবেন।
আপনি আপনার মোবাইলে থাকায় একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং এড্রেসের ওয়েবসাইটটার লিংকটি পেস্ট করুন।
ওয়েবসাইট লিংক https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication
” প্রতিবন্ধী ভাতা “
এবার আপনার সামনে নিজের মত একটি ইন্টারফেস শো করবে। এখানে আপনাকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেগুলো আপনি পড়বেন এবং পড়ার পর নিচে আপনি সম্মত আছেন এই বাটনটিতে ক্লিক করে টিক চিহ্ন দিন এবং সাথে থাকা ” আমি বুঝেছি পরবর্তী ধাপে যান” বাটনটিতে ক্লিক করে দিন।
 এবার আপনাদের মাঝে আরও একটি নতুন ইন্টার পেজ শো করবে কার্যক্রম হিসেবে আপনারা প্রতিবন্ধী ভাতা সিলেক্ট করে দিন। তাহলে এখানে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে আপনার আবেদনটি সম্পন্ন করতে হবে।

এখানে আপনাকে প্রায় ৩ ধরনের তথ্য দিতে হবে৷ যেমনঃ

ব্যক্তিগত তথ্য
প্রতিবন্ধী ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত
যোগাযোগ তথ্য
এখানে আপনাদের ব্যাক্তিগত তথ্য দিতে হবে।
যাচাইয়ের ধরনঃ  এখানে আপনার যাচাইয়ের ধরন নির্বাচন করুন। আপনি যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে যাচাই করতে চান তাহলে সেটি নির্বাচন করুন আর না হলে জন্ম নিবন্ধন নির্বাচন করুন।
জন্ম তারিখঃ এখানে আপনি আপনার জন্ম তারিখ দিন।
 আপনার জন্ম তারিখ বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের যে নাম্বারটি রয়েছে সেটি এখানে দিন।
 এবার আপনাকে এখানে প্রতিবন্ধী ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
এই ছকে আপনাকে প্রায় অনেকগুলো তথ্য দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করতে হবে। যেমনঃ আপনার ডি আই এস ও ডি আই এস কোড দিয়ে যাচাই করতে হবে।
তারপর আপনাকে আরো কিছু তথ্য দিতে হবে। যেমনঃ আপনার বৈবাহিক অবস্থা, আপনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা, আপনি কততম সন্তান, আপনার পেশা, আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি সকল তথ্য আপনারা এখানে দিন।
একদম শেষ ধাপে এসে আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য যোগাযোগ তথ্য দিতে হবে।
আপনি কোথায় থাকেন, আপনার ঠিকানা, আপনার মোবাইল নাম্বার, এখানে মোবাইল নাম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন যেন মোবাইল নাম্বার কোন ভাবে ভুল না হয় এবং আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর মোবাইল নাম্বার অর্থাৎ বিকাশ বা নগদের মোবাইল নাম্বারটি দিবেন আর এই নাম্বারেই আপনার টাকা আসবে।
আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা এখানে দিন। আর আপনার যদি ইমেইল এড্রেস থেকে থাকে সেটিও এখানে দিয়ে দিবেন আর না দিলেও সমস্যা হবে না।
সকল তথ্য দেওয়ার পর একদম নিচে চলে আসবেন স্ক্রল করার মাধ্যমে এবং এখানে এসে আপনারা একটি “সংরক্ষণ করুন” নামে বাটন দেখতে পারবেন এই বাটনটিতে ক্লিক করে দিন।
তাহলে আপনার প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করা হবে। আপনি যদি আবেদন করতে গিয়ে কোন রকম সমস্যায় পড়েন! তাহলে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সাথে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন এ ব্যাপারে সমাজসেবার মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর! 
প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা দেয়?
প্রতিবন্ধী ভাতা মাসে ৮৫০ টাকা করে দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই টাকার পরিমাণ ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে যা গত অর্থবছরে ছিল ৭৫০ টাকা।

প্রতিবন্ধী ভাতা কবে দিবে 2023 ? 

প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। আপনি যদি এ ব্যাপারে ভালোভাবে জানতে চান তাহলে আপনার ইউনিয়ন পরিষদের কর্মস্থ কোনো ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করুন।

প্রতিবন্ধী কার্ড করার নিয়ম?

প্রতিবন্ধী কার্ড করতে আপনারা আপনাদের সকল তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনার ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি মেম্বার এর কাছে যোগাযোগ করুন। তাহলেই আপনাকে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হবে।

প্রতিবন্ধী ভাতালিস্ট 2023 কোথায় পাবো?

প্রতিবন্ধী ভাতালিস্ট আপনারা আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদে পেয়ে যাবেন। এজন্য আপনি আপনার ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করতে পারেন।

শেষ কথা

আজকে আমরা আলোচনা করলাম প্রতিবন্ধী ভাতা নিয়ে। প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার সকল নিয়মকানুন আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি এবং আমরা দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে আপনারা মোবাইল ফোন দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন। আশা করি আপনারা সবাই এ ব্যাপার গুলো বুঝেছেন।
তো আজকে এই পর্যন্ত পরবর্তীতে দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুক আল্লাহাফেজ।

নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম এবং নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি জেনে নিন — ২০২৩

নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম এবং নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি জেনে নিন

নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম জেনে নিতে পারেন আজকের আর্টিকেল থেকে। অনেক সময় আমরা নগদ একাউন্ট দেখার প্রয়োজন বোধ করি। কিন্তু আমরা নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে জানি না। এরকম অবস্থায় আমাদের নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তো আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনাদের নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে আর কোনরকম ঝামেলা পোহাতে হবে না।

আপনারা খুব সহজে নগদ একাউন্ট দেখতে পারবেন। আপনার হাতের থাকা ফোনটি আপনার হাতে যদি একটি বাটন ফোন থাকে তবুও আপনারা খুব সহজে আপনার নগদ একাউন্ট দেখতে পারবেন। তাহলে চলুন আর্টিকেলটি শুরু করি এবং আপনারা সবাই ধৈর্য সহকারে পড়বেন আশা করি।

নগদ কি?

নগদ হলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা।  কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ বনানীতে নগদের সদর দপ্তর অবস্থিত। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করা নগদ তাদের গ্রাহকদের টাকা পাঠানো এবং পাবার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে। থ্রার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড এর দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠান।  নগদ বাংলাদেশের ডাক বিভাগের একটি পুরাতন সংস্করণ থেকে নতুন সংস্করণে আসা একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠান যেটি বাংলাদেশের মানুষকে টাকা ট্রান্সফার করতে সাহায্য করছে।

বাংলাদেশের যে কোন গ্রাহক নগদ ব্যবহার করে খুব সহজে টাকা লেনদেন করতে পারে। তারা চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন বা বাটন ফোনটি দিয়ে হলেও নগদ ব্যবহার করতে পারবেন। শুধু টাকা ট্রান্সফার করা ছাড়া আপনারা চাইলে নগদের মাধ্যমে নানারকম বিল পরিশোধ করতে পারবেন যেমনঃ বিদ্যুৎ বিল গ্যাস ইত্যাদি।

নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি

নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি খুবই সহজ এবং সাধারণ। আপনারা যে কেউ চাইলে খুব সহজে নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন। তো এখন আমরা আলোচনা করব নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি নিয়ে। নগদ একাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। তো আমরা আজকে আপনাদের সকল ধাপ সম্পর্কে আলোচনা কবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

  • নগদ একাউন্ট খুলতে যা যা লাগবে! 
  • একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল।
  • ইন্টারনেট কানেকশন।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র।
  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
  • এবং যার নামে একাউন্ট খোলা হবে তাকে উপস্থিত থাকতে।

আপনারা দেখতে পারছেন উপরে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের লাগবে। সেগুলো আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে তাই বলা যায় আপনার বাড়িতে বসেই একটি নগদ একাউন্ট করতে পারবেন।

ধাপঃ- ১  সর্বপ্রথম আপনারা প্লে স্টোর থেকে নগদ অ্যাপ্লিকেশনটি সংগ্রহ করে নিবেন। তারপর আপনার মোবাইল ফোনের নগদ অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে ওপেন করে নিবেন।

ধাপঃ- ২  এরপর আপনার নগদ অ্যাপ্লিকেশনটি তে প্রবেশ করার পর লগইন ইন্টারফেস দেখতে পারবেন তো এখানে থেকে আপনার নিচের দিকে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করে দিবেন।

ধাপঃ- ৩  এবার আপনার  সকল তথ্য যেমনঃ নাম, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি দিবেন। তারপর আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি পিন গেলে সেটি নগদ এপ্লিকেশনের কনফার্মেশন এর জন্য দিয়ে দিবেন। 

ধাপঃ- ৪ এবার আপনার ভোটার আইডি কার্ডের প্রথম দিক এবং দ্বিতীয় দিক উভয় দিকের ছবি তুলে নগদ অ্যাপ্লিকেশনে সাবমিট করবেন। 

ধাপঃ- ৫  এবার আপনার একটি সেলফি তুলুন সেলফি তোলার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার ফেস সম্পূর্ণভাবে  ফ্রেশ দেখা যায়। যখন আপনারা সেলফি তুলবেন তখন চোখের পাতা খোলা বন্ধ করবেন। 

ধাপঃ- ৬    এবার আপনারা নতুন একটি পিন সেটাপ করবেন এবং  পরের বক্সে আবার সেই পিনটি দিবেন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন আপনার পিন যেন অন্য কেউ জানতে না পারে।

ধাপঃ- ৭   এবার নগদ ব্যবহার করার কিছু নীতিমালা দিবে আপনার নীতিমালা গুলো পড়ার পর একটি টিক চিহ্ন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই আপনার নগড অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।

এভাবেই আপনার নগদ এপ্লিকেশন থেকে খুব সহজে একটি নগদ একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। তো যাদের এন্ড্রয়েড মোবাইল নেই তারা কিভাবে নগদ একাউন্টটা তৈরি করবে এ ব্যাপার সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব।যেকোনো একটি মোবাইল দিয়েও আপনারা চাইলে খুব সহজে একটি তৈরি করতে পারবেন । কোড ডায়াল করার মাধ্যমে আপনারা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

ধাপঃ- ১  প্রথমে আপনার মোবাইল এর ডায়াল অপশনে চলে যাবেন তারপর ডায়াল করবেন  *১৬৭# 

ধাপঃ- ২  এবার আপনাকে একটি নতুন মেসেজ স্কিনে নিয়ে আসবে এবং আপনাকে এখানে পিন সেট করতে বলা হবে তো আপনারা চারটি পিন সেট করে দিবেন। পিন সেট করার পর আপনি যদি সাবমিট বাটনে ক্লিক করেন তাহলেই আপনার নগদ এখন খোলা হয়ে যাবে। 

ধাপঃ- ৩   এবার এখানে আপনাকে মুনাফা সংক্রান্ত দুইটি অপশন দেওয়া হবে সেখান থেকে আপনি যদি মুনাফা নিতে চান তাহলে এক চাপুন আর মুনাফ নিতে না চাইলে দুই চাপুন।

 ধাপঃ- ৪  আপনার মোবাইল ফোনে একটি মেসেজের মাধ্যমে কনফার্মেশন করা হবে যে আপনার একাউন্ট খোলা হয়েছে।

 মূলত এভাবেই আপনারা চাইলে নগদ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। আমরা দুইটি মাধ্যমে আপনাদেরকে বুঝিয়ে দিলাম কিভাবে নগদ অ্যাকাউন্ট খুলবেন। তো আশা করি আপনারা সবাই নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং সহজে নগদের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।

নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম

অনেক সময় আমাদের প্রয়োজন পড়ে আমরা কতগুলো লেনদেন করলাম, কার সাথে লেনদেন করলাম, এই বিষয়গুলো নিয়ে। তো আজকে আমরা আপনাদেরকে খুব সহজভাবে নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাতে আপনারা যে কেউ যে কোন মোবাইল ফোন দিয়ে অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড বা বাটন ফোন যাই হোক তা দিয়ে আপনারা খুব সহজে আপনাদের নগদ একাউন্ট দেখতে পারবেন।

নগদ একাউন্ট দেখার উপায় মুলত ২ প্রকার।

  • নগদ অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে।
  • USSD কোড এর মাধ্যমে।

নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম গুলো আমরা কিছু ধাপে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আপনারা এই ধাপগুলো সম্পূর্ণভাবে পড়লে অবশ্যই নগদ একাউন্ট দেখতে পারবেন।

ধাপঃ- ১   সর্বপ্রথম আপনারা আপনাদের নগদ অ্যাপ্লিকেশনে চলে যাবেন এবং আপনার নগদ এপ্লিকেশনের পিন সেটাপ এর মাধ্যমে নগদে লগইন করবেন।

ধাপঃ- ২  এবার আপনার একাউন্টে লগইন হয়ে যাবে এবং এখান থেকে আপনারা অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সকল সেবা দেখতে পারবেন। তো কিছু সেবা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

ব্যালেন্স চেকঃ একদম উপরে দেখতে পারবেন  “ব্যালেন্স জানতে ট্যাপ করুন” এই রকম অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করলেই আপনারা ব্যালেন্স দেখতে পারবেন।

সেন্ড মানিঃ  আপনি যদি কারো পার্সোনাল নাম্বারে টাকা পাঠাতে চান তাহলে আপনাকে সেন্ট মানি অপশনটির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে।

ক্যাশ অ্যাউটঃ   আপনি যদি আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ক্যাশ আউট করে আপনার হাতে আনতে চান অর্থাৎ আপনার হাতে ক্যাশ আনতে চান। তাহলে আপনাকে ক্যাশ আউট  অপশনটি সাহায্য করবে এজেন্টের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে পারবেন।

মোবাইল রিচার্জঃ   আপনারা যদি আপনার নিজ এবং আত্মীয় স্বজনের নাম্বারে মোবাইল রিচার্জ করতে চান তাহলে। এই  অপশনটির মাধ্যমে আপনারা মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন।

অ্যাড মানিঃ আপনার নানা রকম কার্ড  ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড ইত্যাদি থেকে যদি আপনার নগদে টাকা যুক্ত করতে চান তাহলে অ্যাড মানি অপশনটির মাধ্যমে করতে পারবেন।

বিল পেঃ  বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বিল পানি বিল ইত্যাদি বিল দেওয়ার জন্য আপনারা নগদের বিল পে অপশন থেকে সকল রকমের বিল পরিশোধ করতে পারেন।

ধাপঃ- ৩   আপনার অ্যাকাউন্টের লেনদেন  History (ইতিহাস)  জানতে আপনারা নিচের স্ক্রিনশটের মার্ক করা অপশন দিতে ক্লিক করুন।

ধাপঃ- ৪  এবার আপনারা দেখতে পারবেন আপনার সকল লেনদেনের History  (ইতিহাস) অর্থাৎ কত টাকা নগদের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন।

এই ছিল নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম। এভাবে আপনারা নগদ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নগদ অ্যাকাউন্ট দেখতে পারবেন। 

আপনি যদি USSD কোড ব্যবহার করে নগদ অ্যাকাউন্ট দেখতে চান। তাহলে কিন্তু আপনার যেকোনো বাটন মোবাইলেও দেখতে পারবেন। তো নিচে আমরা এর ধাপগুলো উল্লেখ করলাম।

ধাপঃ- ১   সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার মোবাইলের ডায়াল বারে যেতে হবে এবং ডায়াল করতে হবে  *167# 

ধাপঃ- ২  এরপরে আপনাকে আপনার নগদ একাউন্টে নিয়ে আসা হবে এবং এখানে আপনি অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন যেমনঃ

  1. Cash Out
  2. Send Money
  3. Mobile Recharge
  4. Payment 
  5. Bill Pay
  6. EMI Payment

ধাপঃ- ৩   এখান থেকে আপনারা যদি আপনার নগদ একাউন্টে থাকা ব্যালেন্স দেখতে চান তাহলে আপনারা রিপ্লে অপশন থেকে 7 লিখে  SEND করবেন।

ধাপঃ- ৪ এখানে আপনারা আরো অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন তো প্রথমে আপনারা দেখবেন  “Balance Enquiry”  নামে একটি অপশন রয়েছে তো আপনারা আবার রিপ্লে অপশন থেকে 1 লিখে সেন্ড করে দিবেন। 

 ধাপঃ- ৫ এরপর আপনাকে এখানে আপনার পিনটি দিতে হবে তারপর সেন্ট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপঃ- ৬  এবার আপনারা দেখতে পারছেন আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা ব্যালেন্স এখানে শো করছে।

তো এভাবেই USSD কোড ব্যবহার করে আপনারা যে কোন মোবাইল ফোনে আপনার নগদ একাউন্ট দেখতে পারবেন।

নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে 

আমরা প্রায় সময়ই নগদ একাউন্টের পিন ভুলে যাই। এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়। পিন ভুলে যাওয়ার পরে আপনারা পিন রিসেট করতে গিয়ে নানা রকম ঝামেলায় পড়েন। নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে কিছু নির্দেশনা মাফিক কাজ করলে আপনারা কিন্তু খুব সহজেই পিন রিসেট করতে পারবেন।

পিন রিসেট অনেকের কাছে খুবই ঝামেলা মনে হয়। তো আজকে আমরা কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে আপনাদের পিন রিসেট সম্পর্কিত সকল ঝামেলা দূর করে দেওয়ার চেষ্টা করব।

নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে USSD এর মাধ্যমে 

সর্বপ্রথম *167# ডায়াল করুন।

একদম নিচের অপশনে PIN Reset অর্থাৎ 8 লিখে  সেন্ড করুন।

এবার 1 লিখে পিন ভুলে গেছেন এটি নিশ্চিত করুন।

আপনার যে ন্যাশনাল আইডি কার্ডটি দিয়ে নগদ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল এবার সেই ন্যাশনাল আইডি নাম্বারটি দিন এবং সেন্ড বাটনে ক্লিক করুন।

এবার আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডটির যে জন্ম তারিখটি রয়েছে সেটি দিন তারপর সেন্ট বাটনে ক্লিক করে দিন। 

এবার আপনার গত ৯০ দিনে কোন লেনদেন বা ট্রানজেকশন হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে YES অথবা NO বাটন ক্লিক করুন। 

যদি কোন লেনদেন হয়ে থাকে তাহলে আপনারা সেই লেনদেনের ধরন নির্ধারণ করুন। যেমনঃ ক্যাশ আউট, মোবাইল রিসার্চ, সেন্ট মানি ইত্যাদি।

সেই লেনদেনের পরিমাণ বা অ্যামাউন্ট লিখে দিন।

এবার সবকিছু ঠিক ঠিক থাকলে নগদ প্রতিষ্ঠান থেকে আপনার মোবাইল ফোনে একটি টেম্পোরারি পিন পাঠানো হবে।

এই পিনটি পাবার পর আপনারা আবার ডায়াল করুন *167# আপনার মোবাইলের ডায়েল বার থেকে।

এবার আবার পিন রিসেট অর্থাৎ ৮ নম্বর অপশনটি সিলেক্ট করুন 

এবার দুই নাম্বার অপশনটি সিলেক্ট করুন তারপর সম্প্রতি পাওয়া টেম্পোরারি পিন টি এখানে দিন। 

আপনার নতুন পিনটি এখানে লিখুন 

পরবর্তীতে আবার আপনি আপনার নতুন পিনটি  সেট করুন

উপরের সকল ধাপ আপনারা যদি ভালোভাবে মেনে চলেন তাহলে পিন রিসেট হয়ে যাবে।  উপরের এ সকলের নিয়ম কানুন মেনে আপনারা পিন সেট করতে পারেন।

নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে কাস্টোমার কেয়ার এর মাধ্যমে। 

নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে আপনারা কাস্টমার কেয়ারের সাহায্য নিতে পারেন। তো প্রথমে আপনাকে কাস্টমার কেয়ারের নাম্বারে ফোন দিতে হবে ।

তারপর আপনাকে আপনার সমস্যাটি খুলে বলতে হবে। তারপর সেখান থেকে আপনার কিছু ইনফরমেশন নিবে। যেমনঃ

আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর নাম্বার। 

আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ।

আপনার কত ৯০ দিনে হওয়া ট্রানজেকশন বা লেনদেন এর ধরন এবং পরিমাণ।

 সকল তথ্য দেওয়ার পর আপনাকে একটি টেম্পোরারি পিন দেওয়া হবে। আপনারা উপরে যেভাবে টেম্পোরারি পিন দিয়ে আপনার পিন টি রিসেট করেছেন ঠিক ওইভাবে আপনারা টেম্পোরারি পিন টি দিয়ে পিন রিসেট করে নিবেন।

নগদ কল সেন্টার নাম্বার

নগদ কল সেন্টার নাম্বার হলো 16167. এই নাম্বারটি ডায়াল করে আপনারা নগদ কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারবেন যেকোনো সমস্যায়। আমরা প্রায়ই নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি হই যেমনঃ নগদের পিন ভুলে যাই, নগদ একাউন্ট সম্পর্কে অনেক তথ্য আমাদের হালনাগাদ করতে হয়, এজন্য আমাদের নগদ কল সেন্টারের সাহায্য নিতে হয়।

নগদ কল সেন্টারে যোগাযোগ করার জন্য আপনারা আরো কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন যেমনঃ

ভয়েস কলের মাধ্যমে।

টেলিফোনের মাধ্যমে। 

ইমেইল এর মাধ্যমে। 

নগদ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এর লিস্ট!

ভয়েস কলিং

 16167

টেলিফোনে যোগাযোগ

  096 096 16167

ইমেইলে যোগাযোগ

info@nagad.com.bd

সর্বাধিক জিজ্ঞেস করা কিছু প্রশ্নের উত্তর

নগদ একাউন্টের সুবিধা 2023 কি? 

নগদ একাউন্টে অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। এখানে আপনারা খুব কম খরচে ক্যাশ আউট করতে পারবেন

। মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। কোনরকম চার্জ ছাড়াই সেন্ড মানি করতে পারবেন।

নগদ একাউন্টের কোড কি? 

নগদ একাউন্টের কোড হলো *167#. 

বিকাশ থেকে নগদ টাকা ট্রান্সফার করা যায়?

বিকাশ থেকে নগদ টাকা ট্রান্সফার করা যায় না। এরকম সুযোগ সুবিধা এখনো চালু হয়নি পরবর্তীতে চালু করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

নগদ একাউন্ট বন্ধ করার পদ্ধতি?

নগদ একাউন্ট বন্ধ করতে আপনার কাস্টমার কেয়ার এ যোগাযোগ করতে পারেন আপনার সকল তথ্য নিয়ে।

নগদ থেকে লোন নেওয়া যায়?

নগদ থেকে লোন নেওয়া যায়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নগদে সেবাটি চালু করেছে। আপনারা পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন মাসিক কিস্তিতে।

নগদ হেল্প লাইন নম্বর?

নগদ হেল্প লাইন নাম্বার হলো 16167.

 মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম

মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সহজ।  উপরে দেখে নিতে পারেন। এ-বিষয়ক আলোচনা করা হয়েছে।

 নগদ মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন নাম্বার

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন নাম্বার হলো ১৬১৬৭ । 

নগদ একাউন্ট টাকা দেখার নিয়ম ? 

প্রথমে আপনার নগদ এপ্লিকেশনে প্রবেশ করুন 

এরপর আপনার পিন নাম্বার দিয়ে  নগদে লগইন করুন

“ব্যালেন্স জানতে ট্যাপ করুন” বাটনটিতে ক্লিক করে দিন তাহলে আপনার ব্যালেন্স দেখতে পারবেন।

নগদ একাউন্টের ক্যাশ আউট চার্জ কত?

নগদ একাউন্টের ক্যাশ আউট চার্জ হলো ৯.৯৯ টাকা প্রতি হাজারে।

আজকে এই ছিলো নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কিত আলোচনা। আশা করি আপনারা আমাদের আলোচনাটি পড়ে নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেছেন। তো পরবর্তীতে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা হবে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

ড্রাগন ফলের উপকারিতা-হ্যালো বন্ধুরা বরাবরের ন্যায় আজকেও আমরা নতুন একটি টিপস নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রত্যেক মানুষই তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি অনেক যত্নশীল হয়ে থাকেন। প্রবাদ আছে যে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

স্বাস্থ্য কে ঠিক রাখতে হলে আমাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। তারই আলোকে আমাদের আজকের এই পোস্টটি।

তাই আজকে আমরা ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনাদের অবহিত করব। বাংলাদেশে এই ফলটির নাম অনেকেই শুনেছেন কিংবা দেখেছেন কিন্তু অনেকেই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেনা।

সুতরাং আজকের এই পোস্টে ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

ড্রাগন ফল টি একসময় আমাদের দেশে অনেক অপরিচিত ছিল কিন্তু বর্তমানে এর ব্যাপক প্রচার হয়েছে এবং বাংলাদেশেও এর চাষ হচ্ছে।

লাল টকটকে সুমিষ্ট ও সুস্বাদু দানাযুক্ত ফলটির সুপারফুড হিসেবেও বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছে।

ড্রাগন ফলটি আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী হিসেবে কাজ করে।

আরো পড়ুনঃফুডপান্ডা বাংলাদেশের সকল ব্রাঞ্চের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার ২০২৩

বিদেশি এই ফলটির স্বাস্থ্য উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে।

রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও এর অনেক কার্যকারিতা রয়েছে।

তাহলে বন্ধুরা আসুন জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা

১। দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করে

ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি প্রদাহ ও কোষের ক্ষতি থেকে হওয়া রোগের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য হূদরোগ ক্যান্সার ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসের মত দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

২। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এই ফলটি অনেক টা পিচ্ছিল জাতীয় হয় এটি হজমে অনেক ভালো কাজ করে।

তাছাড়া এটি হূদরোগ থেকে রক্ষা করতে টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অসুস্থ শরীর ওজন বজায় রাখতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।

৩। হার্টের জন্য উপকারী

ড্রাগন ফলে ক্ষুদ্র কাল বীজগুলি ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা 9 ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ। এর ফলে এটি হার্টের জন্য খুবই ভালো।

এই ফলটি হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৪। হার মজবুত করতে সহায়তা করে

ড্রাগন ফলের 18 শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা হারকে অনেক শক্তিশালী করে তোলে এবং হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এর ফলে হাড়ের বিভিন্ন ব্যথা ফ্রাকচার কিংবা ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

৫। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে

চোখের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ছানি পড়ে যাওয়া এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

৬। গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে উপকারী

এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি বুলেট এবং আয়রন রয়েছে তাই এটি গর্ভবতী নারীদের জন্য অনেক উপকারী ফল। ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে এবং গর্ভাবস্থায় শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

এছাড়াও এতে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রুনের হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

৭। পাইলস রোগের জন্য অনেক উপকারী

ড্রাগন ফল টি অনেক সুস্বাদু ও পিচ্ছিল জাতীয় হাওয়ায় এটি পাইলস রোগের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে।

যে সকল বন্ধুরা তাদের স্বাস্থ্য কে অনেক ভালোবাসেন সে সকল বন্ধুদের কে বলব আপনাদের দৈনিক খাবার তালিকায় ড্রাগন ফল টি সংযুক্ত করবেন।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং সেইসাথে এই নিবন্ধটি আপনাদের উপকারে আসলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিকাশ (bKash) একাউন্ট খোলার নিয়ম | বিকাশ লাইভ চ্যাট করার সহজ উপায় ২০২২

বিকাশ (bkash) একাউন্ট খোলার নিয়ম | বিকাশ লাইভ চ্যাট করার সহজ উপায়

আমাদের অনেক সময় বিকাশ লাইভ চ্যাট করার প্রয়োজন হয়। আমরা নানারকম সমস্যায় পড়ে বিকাশ হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার জন্য নানারকম চেষ্টা চালিয়ে যাই। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন বিকাশ লাইভ চ্যাট করার একটি নতুন আপডেট এনেছে যার মাধ্যমে আপনারা বিকাশের কাস্টমার কেয়ারের সাথে লাইভ চ্যাট করতে পারবেন।

কিন্তু আপনারা হয়তো অনেকেই বিকাশ লাইভ চ্যাট করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

আপনারা যদি বিকাশ লাইভ চ্যাট এ আপনাদের সমস্যা তুলে ধরেন তাহলে আপনাকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থেকে সরাসরি সাহায্য প্রদান করা হবে। এখানে আপনাকে কোনরকম চার্জ ছাড়াই এরকম সাহায্য দেওয়া হবে। কাস্টমার কেয়ার দের সাথে আপনারা যদি ফোনে কথা বলেন তাহলে কিন্তু আপনাকে চার্জ দেওয়া লাগে।

এ ব্যাপারটি বিকাশ একটি ভালো সুবিধা দিয়েছে তাদের গ্রাহকদের জন্য যেখানে কোনরকম চার্জ ছাড়াই আপনারা বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে পারবেন।

বিকাশ কি?

বিকাশ হলো মোবাইল ব্যাংকিং এর একটি জনপ্রিয় শাখা। যেখানে আপনারা এক নিমিষেই টাকা আদান প্রদান করতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে। ২০১১ সালে বিকাশ তাদের সেবা নিয়ে বাংলাদেশ তাদের প্রতিষ্ঠান তৈরি করে। ব্রাক ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হল বিকাশ।  যার মাধ্যমে আপনারা টাকা আদান প্রদান করতে পারবে একে অপরের কাছে।

২০১১ সাল থেকে বিকাশ তাদের গ্রাহকদের নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। তার বিনিময়ে বর্তমান সময়ে সবথেকে জনপ্রিয় টাকা লেনদেন অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে হল বিকাশ। আপনার আশেপাশে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বা বিকাশের জনপ্রিয়তা।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশে আপনারা যদি লেনদেন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে হবে। তো বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সহজ আপনারা যে কেউ চাইলে ঘরে বসে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। বিকাশ একাউন্ট খুলতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের দরকার আছে সেগুলো হলঃ

  • একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল।
  • ডাটা কানেকশন।
  • ভোটার আইডি কার্ড।
  • গ্রাহকের  উপস্থিতি।

উপরের চারটি উপাদান যদি আপনার কাছে থেকে থাকে তাহলে আপনারা বাড়িতে বসেই একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই। বিকাশ একাউন্ট খুলতে আপনাকে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ডাটা কানেকশন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং আপনাকে নিজেরএকটি সেলফি নিতে হবে।

বিকাশ একাউন্ট খোলার কয়েকটি ধাপ সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিলাম যাতে আপনারা সহজে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারেন।

ধাপঃ- ১ সবার প্রথমে আপনারা সরাসরি প্লে স্টোরে চলে যাবেন এবং বিকাশ লিখে সার্চ করার পর বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনটি সংগ্রহ করে নিবেন।

ধাপঃ- ২ এরপর আপনারা বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করবেন এবং ওপেন করবেন।

ধাপঃ- ৩ এবার বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করলে আপনার লগইন এবং রেজিস্ট্রেশন নামে একটি বাটন দেখতে পারবেন সেই বাটনটিতে ক্লিক করে দিন।

ধাপঃ-৪  এবার আপনার মোবাইল নাম্বারটি এখানে দিয়ে দিন 

ধাপঃ-৫ তারপর আপনার মোবাইল নাম্বারটি কোন সিম কোম্পানির সেটি নির্বাচন করুন

ধাপঃ-৬ এবার আপনার মোবাইল ফোনে একটি  ৬ সংখ্যার ওটিপি যাবে। অবশ্যই এখানে একটি দিক খেয়াল রাখবেন, যে সিম দিয়ে আপনারা বিকাশ একাউন্ট খুলবেন সেটি অবশ্যই আপনার মোবাইলে রাখবেন কেননা এখানে ওটিপিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেওয়া হবে।

ধাপঃ-৭ এবার আপনার ভোটার আইডি কার্ডের দুপাশের ছবি তুলুন এবং এপ্লিকেশনে সাবমিট করুন।

ধাপঃ-৮  সাবমিট করার পর আপনার সকল তথ্যাবলী এখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শো করাবে। যেমনঃ আপনার নাম, ঠিকানা  ইত্যাদি।

ধাপঃ-৯  এবার আপনাকে একটি সেলফি তুলে কনফার্ম করতে হবে যে আপনি অর্থাৎ আপনি ভোটার আইডি কার্ডের মালিক।  তো আপনি একটি সেলফি তুলুন এবং আপনি সেলফি তোলার সময় আপনার চোখের পলক ফেলুন।

ধাপঃ-১০ এবার আপনার  তোলা ছবিটি সাবমিট করে দিন। 

তাহলেই আপনারা আপনাদের বিকাশ একাউন্ট  তৈরি করা হয়ে যাবে। যখন আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা হয়ে যাবে তখন আপনি টাকা লেনদেন করতে সক্ষম হবেন। যেকোনো মোবাইল নাম্বারে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।  বর্তমানে বিকাশ একাউন্ট খুললে আপনারা ২৫ থেকে ৫০ টাকা বোনাস পেয়ে যাবেন।

 বিকাশ অ্যাপ খোলার নিয়ম

বিকাশ অ্যাপ খোলার নিয়ম খুবই সহজ আপনারা যে কেউ চাইলে বিকাশ অ্যাপ খুলতে পারবেন।

ধাপঃ- ১ তো বিকাশ অ্যাপ খুলতে সর্বপ্রথম আপনাকে প্লে স্টোরে চলে যেতে হবে এবং সার্চ বারে লিখতে হবে “bkash app”

ধাপঃ- ২  এবার আপনারা দেখতে পাবেন প্রথমে একটি অ্যাপ্লিকেশন শো করতেছে বিকাশ এর এটিতে ক্লিক করে দিন।

ধাপঃ- ৩ তারপর আপনারা এই অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে নিবেন আপনার মোবাইল ফোনে ইন্সটল করা হয়ে গেলে ওপেন বাটনে ক্লিক করে দিবেন। 

 তাহলে আপনার বিকাশ অ্যাপ খোলা হয়ে যাবে।

বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম

আমরা যদি বিকাশে লেনদেন করে থাকি তখন আমাদের বিকাশ একাউন্ট দেখার প্রয়োজন পড়ে ।তো আপনাকে বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম খুবই সহজ আপনারা যে কোন মোবাইল ফোন থেকে বিকাশ একাউন্ট দেখতে পারবেন।

২ টি উপায়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট দেখা যায়।

  1.  বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে।
  2.  USSD কোডের মাধ্যমে।

 বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম 

ধাপঃ- ১  বিকাশ  অ্যাপ্লিকেশনের লগইন করবেন আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে।

ধাপঃ-২  এরপর আপনারা বিকাশে নানা রকম সেবা এখানে দেখতে পারবেন। যেমনঃ সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, অ‍্যাড মানি, নানা রকম পে বিল।

 ধাপঃ-  ৩ এখান থেকে আপনারা  “ব্যালেন্স দেখুন” বাটনটিতে ক্লিক করে আপনার ব্যালেন্স দেখতে পারবেন।

ধাপঃ- ৪ এবার যদি আপনি আপনার লেনদেন হিস্ট্রি দেখতে চান। তাহলে ইনবক্স >> লেনদেনে গেলেই দেখতে পারবেন আপনার করা সাম্প্রতিক লেনদেন গুলা!

USSD কোডের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম 

এন্ড্রয়েড মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে খুব সহজে আপনারা বিকাশ একাউন্ট দেখতে পারবেন। তবে বাটন ফোনে আপনাকে ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট এবং বিকাশ একাউন্ট সংক্রান্ত সকল কার্যাবলী সম্পাদন করতে হবে।

USSD কোড এর মাধ্যমে আপনারা বিকাশের অনেকগুলো সেবা ভোগ করতে পারবেন।যেমনঃ

  • মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। 
  •  সেন্ড মানি করতে পারবেন। 
  •  ক্যাশ আউট করতে পারবেন।
  • নানারকম বিলের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।

উপরের সেবাগুলো ছাড়া আরও অন্যান্য সেবাগুলো আপনারা USSD কোডের মাধ্যমে পেতে পারেন। তো  সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার মোবাইলের ডায়াল স্ক্রিনে যেতে হবে এবং ডায়াল করতে হবে *২৪৭# ।

এরপর সরাসরি আপনাকে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করানো হবে এরপর আপনি এখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন। আপনার ইচ্ছা মত যে কোন সেবা এখান থেকে উপভোগ করতে পারবেন।

বিকাশ লাইভ চ্যাট

প্রতিনিয়ত বিকাশ ব্যবহারে আমাদের নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং আমরা নানারকম সমস্যার মুখোমুখি হই। তো এরকম সমস্যার সমাধান দিতে বিকাশ লাইফ চ্যাট ওপেন করেছে। যার মাধ্যমে আপনারা বিকাশ কাস্টমার কেয়ার দের সাথে লাইভে আপনাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারবেন।

অন্যান্য যে মোবাইল ব্যাংকিং গুলো রয়েছে সেখানে এরকম সেবা না থাকলেও ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ব্রাক ব্যাংক কর্তৃক বিকাশ এ সেবাটি তাদের গ্রাহকদের জন্য রেখেছে।

আপনি যদি বিকাশের একজন কাস্টমার হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা যে কোন সময় ( ২৪ ঘন্টা)  বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে লাইট চ্যাট করতে পারবেন। 

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর সাথে ২ টি উপায়ে কথা বলতে পারবেন।

১. কলের মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর সাথে কথা বলতে পারবেন। 

২. বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে পারবেন। 

 কলের মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর সাথে কথা বলতে পারবেন

আপনাদের যদি বিকাশ সম্পর্কিত কোনরকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনারা ফলের মাধ্যমে তাদের কাস্টমার কেয়ারের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলা খুবই সহজ বিষয় আপনারা যে কেউ চাইলে আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা নাম্বারটি থেকে তাদের হেল্পলাইনে ফোন দিলে আপনাকে সরাসরি তাদের কাস্টমার কেয়ারে কথা বলাতে সাহায্য করা হবে। তো এতে তেমন কিছু সিস্টেম নেই খুবই সহজ।

বিকাশ হেল্প লাইন নাম্বার হলো ১৬২৪৭

  • বিকাশ হেল্প  লাইন নাম্বার  এ  ফোন দিন  এরপর আপনারা এখান থেকে  কাস্টমার কেয়ার  এর সাথে কথা বলার জন্য 0 প্রেস করুন! 
  • তারপর আপনার কলটি তাদের কাস্টমার কেয়ারের কাছে ট্রান্সফার করা হবে এজন্য আপনাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
  • কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার কলটি একটি কাস্টমার কেয়ারের সাথে কানেক্ট করে দেওয়া হবে এবং আপনি আপনার যে কোন সমস্যার কথা (বিকাশ রিলেটেড)  তাদেরকে বলতে পারবেন এবং তারা আপনাকে তাৎক্ষণিক সাহায্য করার চেষ্টা করবে।

 এভাবেই মূলত বিকাশ কাস্টমার কেয়ার দের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা যায়। মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় অবশ্যই আপনাকে প্রতি মিনিটের জন্য চার্জ দিতে হবে।

বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে পারবেন। 

বিকাশ লাইভ চ্যাট করার পদ্ধতি ও খুবই সহজ আপনারা যে কেউ চাইলে বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে পারবেন কোনরকম খরচ ছাড়াই অর্থাৎ আপনারা শুধু ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে লাইভ চ্যাট করতে পারবেন।  তো এজন্য কিছু ধাপ আপনাকে অনুসরণ করতে হবে তাদের সাথে কথা বলার জন্য নিজে কয়েকটি দাপ উল্লেখ করা হলো।

ধাপঃ-১ প্রথমে আপনার বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করুন তারপর আপনার পিম নাম্বার দিয়ে লগইন করুন। 

ধাপঃ- ২ বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করলে আপনাকে আপনার একাউন্টে নিয়ে আসবে। তারপর আপনার স্ক্রিনশটের মার্ক করা অপশনটিতে ক্লিক করে দিন। ( নিচের স্ক্রিনশট টি ফলো করুন।)

ধাপঃ- ৩ এবার এখানে আপনারা অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। একদম নিচের দিকে সাপোর্ট নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন তো এই অপশনটিতে ক্লিক করে দিন। 

ধাপঃ- ৪ এবার এখানে আপনারা দুইটি অপশন দেখতে পারবেন।

  • লাইভ চ্যাট 
  • ইমেইল

এখান থেকে যেহেতু আপনারা লাইভ চ্যাট করবেন সেহেতু লাইভ বাটনটিতে ক্লিক করে দিন। আর আপনারা যদি ইমেইলের মাধ্যমে তাদের কাস্টমার কেয়ারের সাথে যুক্ত হতে চান তাহলে নিচের অপশনটিতে ক্লিক করে দিতে পারেন।

ধাপঃ- ৫ এবার আপনাদের মাঝে নিচের মত একটি ইন্টারফেস শো করবে এবং এখানে আপনারা একটি অপশন দেখতে পারবেন  “ক্লিক করে লাইভ চ্যাট করুন”  এই অপশনটিতে ক্লিক করে দিন।

ধাপঃ-৬  তাহলেই আপনারা লাইভ চ্যাট করার জন্য একটি ইন্টারকেস পেয়ে যাবেন যেখানে মেসেঞ্জার এর মত আপনার সমস্যা লিখে সেন্ড করলে তারা আপনার সমস্যার সমাধান দিবে মেসেজের মাধ্যমে।

তো এভাবেই মূলত বিকাশ লাইভ চ্যাট করা যায়।  আপনারা যদি কোন রকম সমস্যায় পড়েন তাহলে আমি আপনাদেরকে রিকমেন্ট করব বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে। কেননা এখানে আপনারা খুব দ্রুত বিকাশ থেকে সহায়তা পাবেন। 

বিকাশ অভিযোগ করার নিয়ম

বিকাশ অভিযোগ করতে আপনারা কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। আপনার যদি কোন সেবায় ভালোমতো রেসপন্স না পান। তাহলে আপনারা বিকাশে অভিযোগ করতে পারেন। তো বিকাশ তাদের গ্রাহকদের এই সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছে।  কয়েকটি উপায় এর মাধ্যমে আপনারা বিকাশে অভিযোগ করতে পারেন।

  • সরাসরি বলার মাধ্যমে আপনার অভিযোগ করতে পারবেন বিকাশ কাস্টমার কেয়ার এর কাছে!
  • লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে আপনার অভিযোগ করতে পারবেন!
  • ইমেইলের মাধ্যমে আপনারা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে আপনার অভিযোগ করতে পারবেন!

বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট

বর্তমান সময়ে আপনারা হয়তো অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সম্পর্কে কিছু শুনে থাকবেন। জ্বি আপনারা ঠিকই শুনেছেন অনলাইনের মাধ্যমে এখন আপনারা চাইলে ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। আপনার ট্রেনের টিকিট এর দাম সেটি চাইলে বিকাশের মাধ্যমে দিতে পারবেন। বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটা খুবই সহজ বিষয়।

আপনারা রেইল কৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই দেখতে পারবেন ট্রেনের টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে টিকিট কাটার পর বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। এতে করে আপনারা পার্সোনাল নাম্বার ব্যবহার করতে পারেন পেমেন্ট করার জন্য। 

বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন

অনেক সময় আমাদের বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে অর্থাৎ আমরা আমাদের বিকাশের মালিকানা এক সিম থেকে অন্য সিমে নিতে চাই। এরকম অবস্থায় আপনার যে কাজটি করবেন সেটি হল আপনারা কিছু দরকারই কাগজপত্র দিয়ে কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হবেন।

আপনার কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হয়ে গেলেই আপনাকে আপনার বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। আপনার আগের অ্যাকাউন্টটি সম্পূর্ণরূপের নতুন সিমে চলে আসবে।

প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র

১. আপনার ভোটার আইডি কার্ড।

২. আপনার পুরাতন সিম যেখানে আপনার বিকাশ একাউন্ট রয়েছে।

৩. একটি নতুন সিম যেখানে আপনি আপনার বিকাশ নাম্বারটি পরিবর্তন করে নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন।

বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম 

বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম খুবই সহজ আপনারা যে কোন মোবাইল ফোন দিয়ে বিকাশ একাউন্টে টাকা চেক করতে পারবেন। বিকাশে টাকা দেখার জন্য আপনারা যদি এপ্লিকেশন ব্যবহার করেন তাহলে প্রথমে আপনার পিন দিয়ে আপনার বিকাশে প্রবেশ করতে হবে।

তারপর উপরে একটি বাটন দেখতে পারবেন যেখানে লেখা আছে  “ব্যালেন্স দেখুন “এই বাটনটিতে ক্লিক করলেই কিছুক্ষণের মধ্যে আপনারা আপনার বিকাশ একাউন্টে থাকা টাকার পরিমান দেখতে পারবেন।

আর আপনি যদি USSD কোডের মাধ্যমে ব্যালেন্স দেখতে চান তাহলে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

*২৪৭# ডায়াল করুন। 

তারপর সেখান থেকে  মাই বিকাশে চলে আসুন।

এরপর আপনারা এখানে ব্যালেন্স চেক নামে একটা অপশন দেখতে পারবেন এখানে ক্লিক করুন। 

এরপর আপনার পিন দিয়ে প্রবেশ করলেই আপনার ব্যালেন্স শো করাবে। 

বিকাশ থেকে লোন

বিকাশ তাদেরকে গ্রাহকদের জন্য লোনের সুবিধা করে দিয়েছে। বিকাশ থেকে লোন আপনারা খুব সহজেই নিতে পারবেন। বিকাশ তাদেরকে গ্রাহকদের জন্য 5 থেকে 10 হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক কিস্তিতে লোন দিয়ে থাকে। আপনি যদি স্বল্প আয়ের মানুষ হয়ে থাকেন বা স্বল্প ব্যবসায়ী তাহলে আপনারা ইচ্ছা করলেই বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনাকে কিস্তির মাধ্যমে বিকাশের লোন শোধ করতে হবে।

বিকাশ অফিস নাম্বার

কাস্টমার কেয়ার সেন্টার

ঠিকানা

ক্রমিক নং. ১

 বিকাশ কাস্টমার কেয়ার আশুলিয়া 

  মাস্টার টেলিকম (১ নং মিজান প্লাজা) ডেন্ডাবর, আশুলিয়া, ঢাকা

ক্রমিক নং. ২

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার উত্তরা

বিসমিল্লাহ টেলিকম, ২৫৭, প্রথম কলোনী, লালকুঠি, মিরপুর -১, ঢাকা

  ক্রমিক নং. ২

বিকাশ সার্ভিস সেন্টার ঢাকা 

 মোনাডিক বাংলাদেশ, বাসাঃ১, রোডঃ১, সেকশনঃ৬, ব্লকঃ বি, মিরপুর, ঢাকা

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট ২০২২

বর্তমানে অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যা যেখান থেকে আপনারা চাইলে খুব সহজে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। সর্বপ্রথম আপনাকে এরকম ওয়েবসাইট খুঁজতে হবে। যারা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করে। তারপর সেখানে আপনাকে কাজ করতে হবে তারপর সেই অর্থ আপনারা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

বার বার জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর! 

প্রতিনিয়ত বিকাশ সম্পর্কিত নানা রকম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয় আমাদের তো এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আমরা নিজে আলোচনা করলাম।

একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?

একটি ভোটার কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র আপনারা একটি বিকাশ একাউন্টটি খুলতে পারবেন!

বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ কত?

বিকাশে ক্যাশ আউট চার্জ বর্তমানে হাজারে ১৪. ৯০ টাকা।

বিকাশে সেন্ড মানি খরচ ?

বিকাশের সেন্ড মানি খরচ হলো মাত্র ৫ টাকা!

 বিকাশের সেন্ড মামি খরচ বিনামূল্যে করা যায়? 

বিকাশে আপনারা চাইলে প্রিয় নাম্বার এড করে সেন্ড মানি ফ্রি করতে পারবেন 25000 টাকার জন্য!

বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার কত?

বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার হলো ১৬২৪৭ । 

শেষ কথা

বিকাশ লাইভ চ্যাট নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এছাড়াও আমরা আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের আলোচনা থেকে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

তো দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন আর্টিকে নিয়ে সে পর্যন্ত ভালো যখন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে যে একবার আপনি এটি জানলে আপনি আবেগ এবং ভালবাসার আসল অর্থ বুঝতে পারবেন। আমরা মানুষের মনে আবেগ, ভালবাসা, স্নেহ আছে।

আর মানুষের মনে এই ভালোবাসার কারণেই আমাদের মন একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

তবে এই ক্ষেত্রে, আমাদের আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ আবেগ আর ভালোবাসার পার্থক্য না বুঝলে জীবনে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

কারণ বেশিরভাগ মানুষ  বুঝতে পারে না এবং প্রায়শই জীবনে ভুল সঙ্গী বেছে নেয়।

আপনি সম্ভবত জানেন যে ভুল পছন্দ করার ফলে মানুষকে তাদের সারাজীবনে কতটা যন্ত্রণা ও কষ্ট সহ্য করতে হয়।

তাই আমাদের আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে কিছু পার্থক্য জানতে হবে। যাতে আমরা জীবনে কখনো ভুল সিদ্ধান্ত না নেই।

আবেগই আপনাকে আপনার প্রিয়জনদের থেকে দূরে রাখে এবং আপনি দূরে থাকলেও আপনাকে আঘাত করে।

কিন্তু ভালোবাসা আপনাকে ভালোবাসায় বিশুদ্ধ রাখে আপনার প্রিয়জনের থেকে দূরে। এবং তাকে আপনার মনের মধ্যে চান এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে বিয়ে করুন এবং আপনার বাকি জীবন একসাথে থাকুন।

কিন্তু বর্তমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপরীতটি সত্য। আমি বলতে চাচ্ছি, আপনি কিছু ধারণা পেয়েছেন, তাই আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই না।

ফোনে কথা বলা এবং ঘন্টার পর ঘন্টা টেক্সট করা সত্য বলার জন্য আবেগ ছাড়া কিছুই নয়।

কিন্তু অন্যদিকে প্রিয়জনকে ভালো রাখতে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলাই ভালোবাসা।

কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলার পর বা সোশ্যাল মিডিয়ায় টেক্সট করার পর আপনি কখনোই আপনার প্রিয়জনকে ভালো রাখতে পারবেন না এবং ভবিষ্যতেও ভালো থাকতে পারবেন না।

আজকাল গার্লফ্রেন্ড এবং বয়ফ্রেন্ড একে অপরকে বলে আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না, সত্যি বলতে এটাও একটা আবেগ।

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য কি

কিন্তু অন্যদিকে প্রিয় মানুষটির জন্য লড়াই করাই ভালোবাসা। কারণ আপনি যদি আপনার প্রিয়জনকে ভালোবাসেন তবে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আপনাকে ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা কতটা কঠিন হবে।

আবেগ হল নিজের সঙ্গীকে বারবার সন্দেহ করা এবং নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করা।

অন্যদিকে প্রেম হল একে অপরের প্রতি আস্থা রাখা এবং আনুগত্য বজায় রাখা।

কিন্তু এক্ষেত্রে যদি এমন হয় যে একজন সন্দেহ করে এবং অন্যজন বিশ্বাস করে, তাহলে বুঝতে হবে এটা একতরফা প্রেম।

যদিও একতরফা প্রেমের অনেক লক্ষণ ও কারণ রয়েছে। একতরফা বিশ্বাস তার মধ্যে অন্যতম।

আপনি যখন কোন সমস্যা বা খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তখন ভুল সিদ্ধান্ত নিন। এর মধ্যে একটি হল তালাক বা তালাক।

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

অন্যদিকে প্রেম হল যেকোন সমস্যা নিয়ে সাবধানে চিন্তা করা এবং পরিবার ও প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এই ক্ষেত্রে, পরিস্থিতি এবং বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে অন্য কিছু না হলে প্রাপ্তবয়স্কদের পরামর্শ করা উচিত।

আবেগ এমন একজনের প্রেমে পড়ে যা আপনাকে সামনে থেকে দেখে।

আজকাল 99.9% মানুষ এটিই করে, তারা একজন মানুষকে ভেতর থেকে না জেনে এবং তার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে না জেনেই প্রেমে পড়ে।

কিন্তু অন্যদিকে ভালোবাসা হলো নিজের জন্য সঠিক সঙ্গী নির্বাচন করা এবং সঠিক ভালোবাসা না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক সঙ্গীর জন্য অপেক্ষা করা।

কিন্তু আজকাল খুব কম মানুষই ধৈর্য ধরে সঠিক মানুষের জন্য অপেক্ষা করতে পারে।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকাল প্রায় সবাই আবেগ আর ভালোবাসার পার্থক্য বোঝে না, তাই ভুল সঙ্গী বেছে নেওয়াটা জীবনের সব দুঃখ বয়ে বেড়াচ্ছে।

আবেগ এবং ভালবাসার মধ্যে পার্থক্য

এই কারণেই আপনাকে প্রথমে আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে শিখতে হবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা জটিল, কঠিন, সময়সাপেক্ষ, কিন্তু অসম্ভব নয়।

আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি যত্ন নিন। এটি আপনাকে আরও সহজে আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়।

আপনার সম্পর্ক যদি প্রেমহীন হয়, তাহলে আপনার সম্পর্কটা ভালো হওয়া উচিত।

ভালো থাকুন এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের টিপস পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

<<<ধন্যবাদ>>>

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি-কোরআনে বলা হয়েছে- প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে ।অর্থাৎ কোন প্রাণী মৃত্যু থেকে আলাদা নয়। প্রত্যেকের জীবনেই মৃত্যু অনিবার্য।কোরআনে বলা হয়েছে- প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে ।অর্থাৎ কোন প্রাণী মৃত্যু থেকে আলাদা নয়। প্রত্যেকের জীবনেই মৃত্যু অনিবার্য। জীবনের সৃষ্টি হয়েছে মৃত্যুর জন্য। আল্লাহ প্রত্যেক প্রাণীকে সৃষ্টি করেছে তাদের মৃত্যু দেওয়ার জন্য। তাই পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নয় । কোনকিছুই অমর হয়ে থাকবে না । সে যত বড়ই হোক না কেন।

নশ্বর পৃথিবীতে সবকিছুই একদিন মৃত্যুর মাধ্যমে পরকালে হারিয়ে যাবে।যে জন্ম নিয়েছে, তার মৃত্যু অবধারিত। মৃত্যু থেকে বাঁচার উপায় নেই। তবে মৃত্যুর পরের জীবন অতি ভয়ানক। সে জীবনের নাম অনন্ত কাল। মৃত্যুর মধ্য দিয়েই ইহকালের পরিসমাপ্তি এবং পরকালের সূচনা । ইহকাল ও পরকালের মধ্যে একমাত্র সেতুবন্ধন তৈরি করে মৃত্যু। মৃত্যু যন্ত্রণা অতি ভয়ানক । তবে মুমিন ব্যক্তির মৃত্যু যন্ত্রণা কিছুটা হলেও কম।

 প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি খুঁজছেন, আজকের পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্য। আমরা আপনাদের জন্য মৃত্যু নিয়ে কতগুলো ইসলামিক পোস্ট তুলে ধরেছি। যেগুলো আপনাদের জীবনকে বদলে দিতে পারে। ইসলামের পথে চলতে সাহায্য করতে পারে। কারণ মৃত্যু সম্পর্কে ভয় থাকলে মানুষ সমস্ত অন্যায় থেকে দূরে থাকে।

আরো জানুন

সফলতার উক্তি

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি

মৃত্যুযন্ত্রণা অনিবার্য : আল্লাহ বলেন, ‘মৃত্যুযন্ত্রণা সত্যই আসবে। এটা হতে তোমরা অব্যাহতি চেয়ে এসেছ।’ (সুরা কাফ, আয়াত : ১৯)

অবিশ্বাসীদের জন্য ভয়ংকর মৃত্যুযন্ত্রণা : আল্লাহ বলেন, ‘যদি তুমি দেখতে পেতে যখন অবিচারকারীরা মৃত্যুযন্ত্রণায় থাকবে এবং ফেরেশতারা হাত বাড়িয়ে বলবে, তোমাদের প্রাণ বের করো। তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে অন্যায় বলতে ও তাঁর নিদর্শন সম্পর্কে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে। সে জন্য আজ তোমাদের অবমাননাকর শাস্তি দেওয়া হবে।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ৯৩)

মৃত্যুযন্ত্রণার কাছে মানুষ অসহায় : ইরশাদ হয়েছে, ‘উপরন্তু কেন নয়—প্রাণ যখন কণ্ঠাগত হয় এবং তখন তোমরা তাকিয়ে থাকো।’ (সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত : ৮৩-৮৪)

মৃত্যুযন্ত্রণা মৃত্যুর বার্তাবাহক : আল্লাহ বলেন, ‘কখনো নয়, যখন প্রাণ কণ্ঠাগত হবে এবং বলা হবে, কে তাকে রক্ষা করবে? তখন তার প্রত্যয় হবে যে এটা বিদায়ক্ষণ এবং পায়ের সঙ্গে পা জড়িয়ে যাবে। সেদিন তোমার প্রভুর কাছে সব কিছু প্রত্যানীত হবে।’ (সুরা কিয়ামা, আয়াত : ২৬-৩০

মুমিন ও পাপী উভয়ের জন্যই মৃত্যুযন্ত্রণা : পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকে বোঝা যায় মুমিন ও পাপী সবাই মৃত্যুযন্ত্রণার শিকার হবে। পাপীদের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি যদি দেখতে পেতে ফেরেশতারা অবিশ্বাসীদের মুখমণ্ডল ও পিঠে আঘাত করে তাদের প্রাণহরণ করছে এবং বলছে, তোমরা দহনযন্ত্রণা ভোগ কোরো।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ৫০)

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

সবচেয়ে কম মৃত্যুযন্ত্রণা হবে শহীদের : অবিশ্বাসী ও পাপীদের তুলনায় মুমিনের মৃত্যুযন্ত্রণা অবশ্যই হালকা হবে। আর সবচেয়ে কম মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করবে আল্লাহর রাস্তার শহীদরা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কাউকে পিঁপড়া কামড়ালে যতটুকু কষ্ট অনুভব করো, শহীদের নিহত হওয়ার কষ্ট তার চেয়ে বেশি হবে না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩১৬১)

মুমিনের মৃত্যুকষ্ট হয় কেন : একাধিক বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত মৃত্যুর সময় মহানবী (সা.)-এর শারীরিক কষ্ট হয়েছিল। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেছি একটি পানিভর্তি বাটি তার সামনে রাখা ছিল। তিনি সেই বাটিতে তার হাত প্রবেশ করাচ্ছিলেন এবং পানি দিয়ে তার মুখমণ্ডল মলছিলেন। আর বলছিলেন, ‘হে আল্লাহ, মৃত্যুকষ্ট ও মৃত্যুযন্ত্রণা হ্রাসে আমায় সহায়তা করুন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৯৭৮)

যে দোয়ায় মৃত্যুযন্ত্রণা হালকা হয় : মৃত্যুশয্যায় মহানবী (সা.) মৃত্যুযন্ত্রণা হালকা হওয়ার জন্য দুটি দোয়া করেন। তা হলো—‘হে আল্লাহ, মৃত্যুকষ্ট ও মৃত্যুযন্ত্রণা হ্রাসে আমায় সহায়তা করুন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৯৭৮)

আরো জানুন>>রাগ কমানোর সহজ উপায়

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি

“ধনী হন আর গরীব হন, একদিন যেতে হবে একই স্থানে। আপনি ধনী বলে গরীবকে অবহেলা করবেন, ঘৃনা করবেন, কিন্তু মৃত্যুর পর কি করবেন? সেখানে তো চেনার উপায় নেই, আপনি ধনী না গরীব।” – হযরত উমর (রা:)

“অজ্ঞদেরকে মৃত্যুবরণ করার পূর্বেই মৃত অবস্থায় কাল যাপন করতে হয় এবং সমাধিস্থ হবার পূর্বেই তাদের শরীর কবরের আঁধারে সমাহিত; কেননা তাদের অন্তর মৃত, আর মৃতের স্থান কবর।” – হযরত আলী (রাঃ)

“তোমরা যেখানে যে অবস্থাতেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের ধরবেই; যতো মজবুত কেল্লার মধ্যেই অবস্থান কর না কেন।” – সুরা আন নিসা

“মৃত্যুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাক, কারণ মৃত্যুর দূত তোমার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। তার ডাক দেবার পর আর প্রস্তুত হবার সময় থাকে না।” – হযরত আলী (রাঃ)

“কিসের জন্য এত আনন্দ কর? মৃত্যুকে স্মরণ কর। পরকাল অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।” – আল কোরান

“মরে যাওয়া যখন প্রত্যেকটি মানুষেরই নিয়তি, তখন শহীদ হয়ে মৃত্যু বরণ করাই সবচেয়ে বড়ো বুদ্ধিমানের কাজ।” – হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ)

তোমার রব কে ভয় করো, কেননা যে তার রবকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।
(হযরত ওমর রাঃ)

যারা সর্বদা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদের সাথে চলাফেরা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল।
::: হযরত উমার (রা)

আজকের কাজ আগামীকালের জন্য রেখে দিবেন নাকেননা কাজগুলো জমা হয়ে যাবে এবং আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।
–হযরত উমার (রা)

বন্ধুরা, মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো আপনাদের কেমন লাগলো, তা আমাদেরকে কমেন্টে লিখে জানাবেন । আপনাদের কমেন্টের আশায় রইলাম।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

হ্যালো বন্ধুরা, বরাবরের ন্যায় আজকেও নতুন একটি টপিকস নিয়ে হাজির হয়েছি।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা- পূর্ববর্তী নিবন্ধগুলোতে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কী, কারা সংক্রামিত, এবং এটি মা এবং শিশুদের কী জটিলতা সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷

এই নিবন্ধনে তাদের সমাধান, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এবং কী করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে৷

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সময় আপনার চিকিৎসা সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা বা কোনো সমস্যা আছে কিনা তা দেখতে আপনাকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সুগারের মাত্রা পরিমাপ করা

একটি গ্লুকোমিটার বা টেস্টিং কিটের সাহায্যে আপনি আপনার রক্তে সুগার পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেন। এখানে আঙুলের ডগায় একটি ধারালো, সুচের মতো যন্ত্র (ল্যান্সেট) ঢোকানো হয়।

রক্ত বের হয়ে আসলে টেস্টিং স্ট্রিপে এক ফোঁটা রক্ত ​​নিয়ে মিটারে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই ক্ষেত্রে, নিম্নলিখিত 3 টি জিনিস অবশ্যই জানা উচিত:

  1. কিভাবে সঠিক উপায়ে রক্তে সুগার পরিমাপ করবেন?

2. কখন এবং কতক্ষণ এই সুগার পরিমাপ করা উচিত? গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, সকালের নাস্তার আগে এবং খাবারের এক ঘন্টা পরে রক্তে সুগার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

3. আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত? এই গণনাটি গ্লুকোমিটারে mmol/l ইউনিটে দেখানো হয়েছে।
ডাক্তার আপনাকে বলবেন আপনার জন্য আদর্শ রক্তে শর্করার মাত্রা কী হওয়া উচিত।

এক্ষেত্রে আপনি যদি উপরের 3টি জিনিস না জানেন বা এটি সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন থাকে তবে তা ডাক্তার বা নার্সের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়েট

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এর জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের সাহায্য নিতে পারেন। তিনি আপনাকে সঠিক খাদ্য এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের পরামর্শ দিতে সক্ষম হবেন।

পরামর্শ যা হতে পারে:

  1. নিয়মিত খাবার খান

আপনাকে সারাদিনে নিয়মিত ৩ বেলা খাবার খেতে হবে এবং অন্য কোনো খাবার যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

2.স্টার্চি এবং কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খাওয়া

লাল চাল (বাদামী চাল) এবং ময়দা, কাটা চাল, ডাল, মটর, মটরশুটি, বার্লি ইত্যাদি হল কম-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স স্টার্চ।

এগুলি ধীরে ধীরে রক্তে চিনি ছেড়ে দেয়, হঠাৎ করে রক্তে শর্করা বাড়ায় না।

3. আরো ফল ও সবজি খান

4. চিনিযুক্ত, চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এর ক্ষেত্রে চিনি খাওয়া সম্পূর্ণ বাদ দেওয়ার দরকার নেই, তবে চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে ফল এবং বাদাম জাতীয় স্বাস্থ্যকর খাবার অভ্যাস করা উচিত।

5. কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ফলের রস বা স্মুদিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকতে পারে এবং “কোন যোগ চিনি না” যুক্ত পানীয়তে কিছুটা চিনি থাকতে পারে।

তাই পান করার আগে, আপনাকে লেবেলটি পড়তে হবে বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।

6.কম চর্বি (চর্বিহীন) মাংসের উৎস নির্বাচন করা

এই ধরনের মাংসের উৎস হতে পারে মাছ, চর্বিহীন মাংস ইত্যাদি। তবে, গর্ভাবস্থায় (যেমন নির্দিষ্ট মাছ বা পনিরের খাবার) এড়িয়ে চলা উচিত এমন খাবার না খাওয়ার ব্যাপারে আপনার সতর্ক থাকতে হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যায়াম

শরীরকে নিয়মিত সচল রাখলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যায়, তাই ব্যায়ামের মাধ্যমে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গর্ভাবস্থায় নিরাপদ ব্যায়ামের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

সাধারণত প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট (2 ঘন্টা 30 মিনিট) মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়, সাথে 2 দিন বা তার বেশি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ব্যায়াম।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধ

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় আপনার ডায়েট পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার 1-2 সপ্তাহ পরেও যদি আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকে বা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হয় তবে আপনাকে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে।

গর্ভাবস্থায় আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা সময়ের সাথে সাথে আরও বাড়তে পারে, তাই শুরুতে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরে আপনাকে ওষুধ খেতে হতে পারে।

যাইহোক, একটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে, আপনাকে সাধারণত ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ওষুধটি ট্যাবলেট বা ইনসুলিন ইনজেকশন হতে পারে।

মেটফর্মিন সাধারণত ট্যাবলেটে সুপারিশ করা হয়।

কখনও কখনও আপনার ডাক্তার আপনাকে মেটফর্মিনের পরিবর্তে গ্লিবেনক্লামাইড নামক ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।

মেটফর্মিন ট্যাবলেটগুলি সাধারণত দিনে 3 বার পর্যন্ত খাবারের সাথে বা পরে (খালি পেটে) নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যেমন:

1.বমি বমি ভাব

2.বমি করা

3.পেট কামড়ানো

4.ডায়রিয়া

5.ক্ষুধা কমে যাওয়া

কিছু ক্ষেত্রে ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যদি নিচের লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি উপস্থিত থাকে-

  1. আপনি মেটফর্মিন নিতে পারবেন না,

2.আপনি মেটফর্মিন গ্রহণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারেন,

3.মেটফর্মিন গ্রহণ করার পরেও আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে,

4.আপনার রক্তে শর্করা খুব বেশি,

5.আপনার শিশু আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড়, বা

6.আপনার ভ্রূণ অতিরিক্ত অ্যামনিওটিক তরল (পলিহাইড্রামনিওস) জমা করে।

ইনসুলিন সাধারণত একটি ইনজেকশন হিসাবে নেওয়া হয়। আপনার কতটা ইনসুলিন নিতে হবে তা আপনার ডাক্তার আপনাকে বলবেন।

আপনার ডাক্তার বা নার্সের সাথে চেক করুন কিভাবে বাড়িতে এই ইনজেকশনটি নিজে নিতে হয়।

আপনাকে কি ধরনের ইনসুলিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে আপনাকে খাওয়ার আগে, ঘুমানোর সময় বা ঘুম থেকে ওঠার পরে ইনসুলিন নিতে হতে পারে।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করা সাধারণত সময়ের সাথে বেড়ে যায়, তাই সময়ের সাথে সাথে ইনসুলিনের মাত্রাও বাড়তে পারে।

ইনসুলিনের প্রভাবে ব্লাড সুগার অনেক কমে যেতে পারে। এই অবস্থাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলা হয়, ইনসুলিনের একটি সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

কিছু উপসর্গ হল:

1.কাঁপছে

2.অবিরাম ঘামছে

3.ক্ষুধার্ত বোধ

4.চেহারা ফ্যাকাশে বা নিস্তেজ

5.কোনো কিছুর প্রতি মনোযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ক্ষেত্রে রক্তে শর্করা দ্রুত পরিমাপ করতে হবে এবং সুগারের মাত্রা খুব কম হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীদের পর্যবেক্ষণ

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের প্রভাব আপনার অনাগত সন্তানের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়, যেমন আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়া।

এই কারণেই গর্ভাবস্থায় আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘন ঘন একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে (জন্মপূর্ব অ্যাপয়েন্টমেন্ট) যাতে আপনার অনাগত শিশুর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা যায়।

এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হবে:

1.গর্ভাবস্থার 18-20 সপ্তাহের মধ্যে একটি আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান ভ্রূণের কোনো অস্বাভাবিকতা সনাক্ত করতে।

2.গর্ভাবস্থার 26, 32 এবং 36 সপ্তাহে আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করা হয় – এটি শিশুর বৃদ্ধি এবং গর্ভে অ্যামনিওটিক তরলের পরিমাণ দেখাবে।

3. 38 সপ্তাহ পর নিয়মিত চেকআপ করা হবে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সহ একটি শিশুর জন্ম দেওয়া

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়েদের সন্তান প্রসবের আদর্শ সময়কাল ৩৬ থেকে ৪০ সপ্তাহ। যদি আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং আপনার এবং আপনার শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা না থাকে,

তাহলে আপনি প্রসব শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।

যাইহোক, যদি আপনি 40 সপ্তাহ বা 7 দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে জন্ম না দেন, তাহলে আপনাকে কৃত্রিম ওষুধ দিয়ে প্রসবের প্রক্রিয়া শুরু করতে বা সিজারিয়ান সেকশন করার পরামর্শ দেওয়া হবে।

যদি আপনার বা আপনার শিশুর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে বা আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, তাহলে তাড়াতাড়ি ডেলিভারির সুপারিশ করা হতে পারে।

আপনাকে অবশ্যই একটি হাসপাতালে জন্ম দিতে হবে, যেখানে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত, দক্ষ ডাক্তার এবং নার্সরা আপনার সন্তানের সঠিক যত্ন নিতে পারে।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

প্রসবের জন্য হাসপাতালে যাওয়ার সময় আপনার রক্তে শর্করার পরিমাপের যন্ত্র এবং আপনি যে ওষুধগুলি আপনার সাথে নিয়ে যান তা নিন।

সাধারণত প্রসব শুরু না হওয়া পর্যন্ত বা সিজারিয়ান অপারেশনের আগে নিয়মিত রক্তে শর্করার পরিমাপ করে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন চালিয়ে যেতে হয়।

ডেলিভারি প্রক্রিয়া জুড়ে আপনার ব্লাড সুগার নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

প্রয়োজনে আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনাকে ইনসুলিন দেওয়া যেতে পারে।

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কি করবেন

সাধারণত একটি শিশুর জন্ম দেওয়ার পরে আপনি তাকে দেখতে পারেন, তাকে আপনার কোলে নিতে পারেন বা তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন।

প্রসবের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (30 মিনিটের মধ্যে) বুকের দুধ খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। 2-3 ঘন্টা পরে, তার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত তাকে নিয়মিত দুধ দিতে হবে।

জন্মের 2-4 ঘন্টা পর থেকে আপনার শিশুর রক্তে শর্করা নিয়মিত পরিমাপ করা হবে।

যদি চিনির মাত্রা কম হয়, তাহলে তাকে টিউব বা ড্রপ দিয়ে সাময়িকভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।

যদি শিশুটি অসুস্থ হয় বা তার নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়, তবে তাকে যত্নের জন্য একটি বিশেষ নবজাতক ইউনিটে (যেমন নবজাতক আইসিইউ) রাখতে হবে।গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি যে ওষুধটি গ্রহণ করেছিলেন তা সাধারণত প্রসবের পরে প্রয়োজন হয় না।

যাইহোক, প্রসবের 1-2 দিন পরে, আপনাকে নিয়মিত আপনার রক্তে শর্করার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হবে।

মা এবং শিশু উভয়েই সুস্থ থাকলে, আপনি এবং আপনার শিশু প্রসবের 24 ঘন্টা পরে বাড়িতে যেতে পারবেন।

প্রসবের 6 থেকে 13 সপ্তাহ পরে ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য রক্ত ​​পরীক্ষা করা উচিত, কারণ গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অল্প সংখ্যক মহিলার প্রসবের পরে উচ্চ রক্তে শর্করা থাকে

এই রক্ত ​​পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক হলে, সাধারণত বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কারণ গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরবর্তী জীবনে টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।

এটি এমন একটি রোগ যা আপনাকে সারাজীবনের জন্য জর্জরিত করতে পারে যদি খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়।

আরো জানতে ক্লিক করুন…

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022

MM Kit বা এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022-হ্যালো ভিউয়ার্স, bdtechroom তে আপনাকে স্বাগতম।বরাবরের ন্যায় আজকেও আমরা নতুন একটি টপিক্স নিয়ে হাজির হয়েছি।

আজকে আমরা এমন একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি,যেটি প্রতিটি বিবাহিত মানুষের জানা অত্যন্ত জরুরী।আমাদের আজকের নিবন্ধটি শুধুমাত্র বিবাহিতদের জন্য।

তো চলুন মূল বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জনে নেয়া যাক।

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বিয়ের পর অল্প দিনের মধ্যেই কোন সন্তান নিতে চায় না।

যারা অল্পদিনের মধ্যে বাচ্চা নিতে আগ্রহী না তারা বা সেসকল দম্পতি ফেমিকন পিল গ্রহণ করে থাকে।

কিন্তু অসাবধানতা বসত কেউ গর্ভবতী বা প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলে মাসিক নিয়মিত করনের জন্য (সাধারণভাবে গর্ভপাতের জন্য) এম এম কিট গ্রহণ করা হয়।

সম্মানিত ভিজিটর, আজকের লেখাজুড়ে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো MM Kit বা এম এম কিট কি, খাওয়ার সঠিক নিয়ম বা কখন খেতে হয়,

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এম এম কিটের দাম, কোথায় কিনতে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত।

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022

এম এম কিট কি?

এম এম কিট (MM-Kit)হচ্ছে মাসিক নিয়মিতকরণ অথবা গর্ভপাতের জন্য একটি কম্বিনেশন ঔষধ।এখানে মাসিক নিয়মিতকরণ বলতে,

অস্ত্রোপচার ছাড়াই মাসিক নিয়মিত করাকে বোঝায় ।সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী ও নিরাপদ মাসিক নিয়মিতকরণ করতে  মিফেপ্রিস্টোন ও মিসোপ্রোস্টল এই দুটি ঔষধ একত্রে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ নষ্ট করে মেয়েদের বা মহিলাদের মাসিক নিয়মিত করার জন্য গর্ভধারণের ৬৩ দিন বা ৯ সপ্তাহের মধ্যে এম এম কিট গ্রহণ করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় mm-kit হচ্ছে প্রথম প্রোডাক্ট যা এই দুটি ওষুধ একত্রে একটি প্যাকেজ লাইসেন্স ও বাজারজাত করেছে ।

অবশ্যই এই ঔষধ গ্রহনের আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

এম এম কিট খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে আপনার স্ত্রী বা আপনি (মেয়েদের বলা হয়েছে) আসলেই গর্ভবতী কিনা।

এজন্য ফার্মেসী থেকে প্রেগন্যান্সি চেক করার কিট কিনতে পাওয়া যায় এর সাহায্যে ঘরে বসেই চেক করে নিন।

প্রেগন্যান্সি চেক করার পর নিশ্চিত হয়ে গর্ভধারণের ৬৩ দিন অর্থাৎ ৯ সপ্তাহের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে এই কিট সেবন করবেন।

একটি প্যাকেটে মোট ৫ টি ট্যাবলেট থাকে। যেখানে একটি বড় ও বাকি ৪ টি ছোট ছোট আকারের।

২০০ মি.গ্রা. বড় ট্যাবলেটটির নাম হচ্ছে মিফেপ্রিস্টোন এবং বাকি ৪ টি ট্যাবলেটের নাম হচ্ছে মিসোপ্রোস্টল।

MM Kit বা এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

MM Kit বা এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে প্রথমে বড় ট্যাবলেটটি হালকা গরম পানি দিয়ে খেতে হবে।

খাওয়ার ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর বাকি ৪ টি ট্যাবলেট প্যাকেট থেকে বের করে মুখের মধ্যে দুই পাশের মাড়ি ও দুই গালের মধ্যে দুইটি করে ট্যাবলেট রেখে আধাঘণ্টা বসে থাকুন যেন ট্যাবলেটগুলো গলে পেটের মধ্যে চলে যায়।

মুখে থু থু আসলে ফেলে দেওয়া যাবে না। মুখের মধ্যে লেগে থাকলে পানি দিয়ে খেয়ে ফেলুন।

ওষুধগুলো সেবনের পর ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ক্লিনিকে গিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফির মধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে গর্ভপাত হয়েছে কিনা। না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এম এম কিটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত এবং তলপেটে ব্যথা খুবই স্বাভাবিক যা গর্ভপাতের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ।এই লক্ষণগুলো ভারী মাসিক ও তার সাথে ব্যাথা হওয়ার মতই।

এছাড়া অন্যান্য   প্রতিক্রিয়াগুলো গুলো হচ্ছে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া ডায়রিয়া জ্বর জ্বর ভাব এবং জ্বর যা  একদিনের ও কম সময় স্থায়ী হয়।

এম এম কিট খাওয়ার পর নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে।

যেমন- জ্বর আসা, মাথা ব্যাথা করা, বমি আসা, বা বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, শরীর দুর্বলতা, মাসিক ১৫ দিন পিছিয়ে যাওয়া, মাসিকে তুলনামূলক বেশি রক্তক্ষরণ, পেটে মোচড় ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট এর নাম,খাওয়ার নিয়ম,সতর্কতা,দাম 2022

তবে অনেকের কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। উপসর্গের মাত্রা বেশি হলে বা বেশি খারাপ অনুভব করলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

গর্ভপাত সম্পূর্ণ না হলে কি ঘটতে পারে

যদি আপনার ডাক্তার দ্বিতীয় সপ্তাহের ফলোআপ এ নিশ্চিত করেন যে গর্ভপাত এখনো চলছে এ অবস্থায় ভ্যাকুউয়াম আ্যপিরেশন নির্দেশিত।

যদি এমন উপসর্গ দেখা যায় যে মাসিক নিয়মিতকরণ হয়েছে কিন্তু সব গর্ভটিস্যু বের হয়নি,

কিন্তু রোগী ভালো অনুভব করছে এবং স্বাস্থ্যবতী তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম ইন্সপিরেশনের প্রয়োজন নেই।

অন্য বিকল্প পদ্ধতি আরো কিছু সময় ধৈর্য ধরা অথবা মিসোটোল পুনরায় গ্রহণ করা।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিটি কাজই ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী করার চেষ্টা করুন, সেটি আপনার শরীর স্বাস্থ্য দুটির জন্যই ভালো হবে।

এতে করে ভবিষ্যতে গর্ভধারণে কোন ঝুঁকি তে নাও পরতে পারেন।

এম এম কিটের দাম

প্রতি ১ প্যাকেট এম এম কিটের দাম ৩০০ টাকা। যেখানে একটি পাতায় মোট ৫ টি ট্যাবলেট থাকে।

কিছু কথা

আমাদের লেখা শুধুমাত্র বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর জন্য। অসাবধানতা বসত গর্ভধারন করলে একান্ত সন্তান নিতে না চাইলে আপনারা উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন।

তবে মনে রাখবেন যেকোন জীবন ধ্বংস করা কিন্তু অনেক বড় পাপ।

আমাদের সমাজের বর্তমানে যৌনতা খুবই ভয়াবহ ও মারাত্মক আকার ধারন করেছে।

সাময়িক সুখের জন্য নারী পুরুষ বিবাহ বহির্ভূত অসামাজিক ও ধর্মে নিষিদ্ধ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে।

আরো জানতে ভিজিট করুন>>>

আর সমাজের কাছে নিজেকে সাধু সাজাতে অনেকেই গোপনে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলছে।

মেয়েদের বলছি আপনার বয়ফ্রেন্ড যদি কোন অসামজিক ও নিষিদ্ধ কাজের জন্য বিবাহের আগে আপনাকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করে তার থেকে সাবধানে থাকুন।

প্রয়োজনে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করুন।

মনে রাখবেন যে আপনার সাথে পবিত্র বিবাহে আবদ্ধ না হয়ে এই ধরণের সুখ উপভোগ করতে পারে সে ভবিষ্যতে আপনাকে ফেলে অন্য কারো সাথে বা আপনাকে ঠকিয়ে অন্য মেয়েদের সাথেও এমন করবে বা করতে দ্বিধাবোধ করবে না।

আর পরকালে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। যদি অসচেতনা বসত বা ভুলে এমন কাজ করে থাকেন আল্লাহর কাছে মাফ চান।

আল্লাহ মহান সঠিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি মাফ করবেন। আর ভবিষ্যতে এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।

সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

তবে মনে রাখবেন সম্পূর্ণ নিবন্ধটি না পড়ে যদি এম এম কিট ব্যাবহার করেন,তাহলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

তাই সম্পূর্ণ নিবন্ধ পড়ার পর ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিন,আপনি এই ঔষধটি ব্যাবহার করবেন কিনা।

এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকে,তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।ধন্যবাদ!

 

রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা ‘অ্যানিমিয়া’ মানে রক্তশূন্যতা। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া হয়। গর্ভাবস্থায় রক্তপাত এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে সাধারণত শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া নিরাময় করা সম্ভব।

আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতার লক্ষণ

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ার পাঁচটি লক্ষণের মধ্যে একটি হল:

১। ক্লান্তি আনুভব করছি

২। শরীরের শক্তি কমে যাওয়া বা দুর্বল বোধ করা.

৩। শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসকষ্ট

৪। বুক ধড়ফড় করছে.

৫। ফ্যাকাশে চামড়া.

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ার অন্যান্য লক্ষণ রয়েছে। যাইহোক, এই লক্ষণগুলি উপরের পাঁচটি উপসর্গের মতো সাধারণ নয় এবং গর্ভাবস্থার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এই লক্ষণগুলি হল:

  1. মাথাব্যথা
  2. মাথায় বা কানে টিনিটাস
  3. খাবারের স্বাদ অদ্ভুত
  4. শরীরে চুলকানি
  5. জিহ্বায় ক্ষত
  6. চুল পরা
  7. অখাদ্য জিনিস খাওয়ার ইচ্ছা। যেমন: কাগজ, পোড়ামাটির এবং বরফের মতো কিছু খেতে চাই। এই উপসর্গটিকে বলা হয় ‘পিকা’।
  8. গিলতে সমস্যা হচ্ছে
  9. মুখের কোণে বেদনাদায়ক ঘা বা আলসার
  10. নখের আকৃতি চা-চামচের মতো হয়ে যায়
  11. রেস্টলেস লেগস সিনড্রোম – স্নায়ুতন্ত্রের একটি রোগ যা পা সরানোর অনিবার্য তাগিদ সৃষ্টি করে।

আপনার যদি আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ার কোনো লক্ষণ থাকে তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা জরুরি। আপনি রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন না তা নিশ্চিত করার জন্য একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষাই যথেষ্ট। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া কেন হয়

গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা খুবই সাধারণ। বেশির ভাগ গর্ভবতী নারীর খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ যদি চাহিদার তুলনায় কম থাকে, তাহলে সেটাই রক্তস্বল্পতার কারণ।

পিরিয়ড বা মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে আয়রনের ঘাটতিজনিত অ্যানিমিয়াও বেশ সাধারণ। ঋতুস্রাবের সময় ভারী রক্তপাত হলে কিছু ওষুধ সেবনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে।

ঋতুস্রাব বন্ধ করে দেওয়া পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা পেট বা অন্ত্রের রক্তপাতের লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের রক্তপাতের কারণগুলো হল:

  • নন স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) গ্রহণ করা। যেমন: আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ।
  • গ্যাস্ট্রিক আলসার
  • প্রদাহের কারণে কোলনের প্রদাহ (কোলাইটিস)
  • ইসোফ্যাগাইটিস
  • পাইলস বা হেমোরয়েডস
  • পেট বা অন্ত্রের ক্যান্সার (তুলনামূলকভাবে বিরল)

অন্য কোনো কারণে শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হলে শরীরে রক্তশূন্যতাও হতে পারে। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা সনাক্ত করা

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর তিনি রোগীর জীবনযাত্রা এবং রোগের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করবেন। রক্তশূন্যতার কারণ স্পষ্ট না হলে তিনি কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। এই পরীক্ষাগুলির উদ্দেশ্য হল লক্ষণগুলির কারণ নির্ধারণ করা। প্রয়োজনে রোগীকে বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করা যেতে পারে।

রক্তশূন্যতা নির্ণয়ের জন্য কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়

ডাক্তার প্রথমে আপনাকে ‘ফুল ব্লাড কাউন্ট’ / ‘কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট’ নামে একটি পরীক্ষা দেবেন; এটি সিবিসি নামে বেশি পরিচিত। এই পরীক্ষাটি নির্ধারণ করবে আপনার রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিক কিনা। পরীক্ষা দেওয়ার আগে আপনাকে বিশেষ কোনো প্রস্তুতি নিতে হবে না।

সমস্ত ধরণের রক্তশূন্যতার মধ্যে, আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা সবচেয়ে সাধারণ। অন্য কোনো কারণে (যেমন ভিটামিন B12 বা ফোলেটের অভাব) রক্তস্বল্পতা পরীক্ষা করতেও CBC পরীক্ষা খুবই কার্যকর। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা দূর করার উপায়

রক্তস্বল্পতার কারণ শনাক্ত হয়ে গেলে, ডাক্তার কারণ অনুযায়ী অ্যানিমিয়া দূর করার জন্য সঠিক চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।

রক্তশূন্যতার ওষুধ

পরীক্ষার রিপোর্টে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে চিকিৎসক শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য আয়রন ট্যাবলেট বা বড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেবেন এবং আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম বলবেন।

আপনাকে এই ওষুধগুলি প্রায় 6 মাস ধরে খেতে হবে। ওষুধ খাওয়ার পর কমলার রস বা লেবুর রস পান করলে আপনার শরীরে আয়রন শোষণ হতে পারে।

আয়রন ট্যাবলেট কিছু মানুষের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যেমন

  • কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা মল
  • পেটে ব্যথা
  • অম্বল বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা (অম্লতা)
  • অসুস্থ লাগছে
  • অন্ধকার টয়লেট

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে, খাবারের সাথে বা সাথে সাথে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার চেষ্টা করুন। যাইহোক, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, এই ওষুধটি গ্রহণ চালিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তে আয়রনের পরিমাণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে কিনা তা জানতে ডাক্তার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আবার রক্ত ​​পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তাল্পতা জন্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং খাদ্য

আপনার খাদ্যতালিকায় আয়রনের অভাব যদি রক্তশূন্যতার জন্য আংশিকভাবে দায়ী হয়, তাহলে আপনার ডাক্তার আরও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।

রক্তশূন্যতা দূর করতে যেসব খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে

  • গাঢ় সবুজ শাকসবজি। যেমন: পালংশাক, কচুশাক, করলা, পটল ও কাঁচকলা।
  • উচ্চ আয়রন সিরিয়াল, ফরটিফাইড সিরিয়াল এবং রুটি
  • মাংস
  • ডাল

রক্তাল্পতা এড়াতে খাবার

নীচে তালিকাভুক্ত খাবার এবং পানীয় বেশি খাওয়া শরীরের আয়রন শোষণ করার ক্ষমতা হ্রাস করে:

  • চা আর কফি
  • দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
  • ফাইটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। উদাহরণস্বরূপ, গোটা বা গোটা শস্য শস্য। এগুলো শরীরের অন্যান্য খাবার ও ওষুধ থেকে আয়রন শোষণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

আপনি যদি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে না চান, তাহলে আপনি একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিতে পারেন।রক্তশূন্যতার ঘরোয়া চিকিৎসা

রক্তশূন্যতার চিকিৎসার অভাবে সৃষ্ট জটিলতা

আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা সময়মতো চিকিৎসা না করলে গুরুতর জটিলতা হতে পারে। যেমন

আয়রনের ঘাটতি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এতে বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
হার্ট ও ফুসফুসের বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন: অস্বাভাবিক দ্রুত হার্টবিট (ট্যাকিকার্ডিয়া) বা হার্ট ফেইলিউর।
গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবের আগে এবং পরে জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

বিষণ্ণতা-মন খারাপ এবং ডিপ্রেশন হলে করণীয় কি?