পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী,টিকিটের মূল্য,যাত্রা বিরতি ২০২২-হ্যালো বন্ধুরা ,আজকেও আমরা বরাবরের ন্যায় নতুন একটি টপিক্স নিয়ে হাজির হয়েছি।যে সকল বন্ধুরা সিলেট এবং চট্রগ্রাম শহরে ঘুরতে যেতে চান এবং যে সকল বন্ধুরা সিলেট ও চট্রগ্রামে বসবাস করেন তাদের সুবিধার্তে আমাদের আজকের নিবন্ধনটি সাজানো হয়েছে।
আপনি যদি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট এবং সিলেট থেকে চট্রগ্রাম ট্রেনের মাধ্যমে যেতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।ট্রেন ভ্রমণ সবার জন্য উপভোগ্য। প্রকৃত অর্থে প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভব করার সুযোগ পাওয়া যায় ট্রেন ভ্রমনের মাধ্যমে।
ট্রেন ভ্রমনের সময় ট্রেনের ভেতরের পরিবেশ এবং বাহিরের পরিবেশ মিলে সবকিছুই অনেক আনন্দের হয়ে থাকে। আজ আমরা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের কথা বলব। আপনি কি পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ছুটির দিন, ভাড়া তালিকা, স্টেশন বিরতির সময় খুঁজছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আমি এই পোস্টের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য তুলে ধরব।
ঢাকা-সিলেট-ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী,টিকিটের মূল্য 2023
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত করে মূলত সিলেট এবং চট্রগ্রাম রুটে। অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত খুবই সহজ ও আরামদায়ক। ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার মত।
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
এখানে আপনি পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন।পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিয়মিত চট্টগ্রাম থেকে সিলেট এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রাম 6 দিন নিয়মিত চলাচল করে। এই ট্রেনটি প্রতি সোমবার বন্ধ থাকে।
এর মানে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে একদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। অন্যদিকে সপ্তাহে ছয় দিন নিয়মিত চট্টগ্রাম থেকে চট্টগ্রামের রুটিন চলে। এই ট্রেনে প্রতি শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য 2023
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নম্বর ৭১৯ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে সকাল 09:00 টায় ছেড়ে যায় এবং বিকেল ০৫:০০ টায় সিলেট পৌঁছায়। আবার ৭২০ নম্বর নিয়ে সিলেট থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে সকাল 10:15 মিনিটে ছাড়ে এবং চট্টগ্রামে 19:35 এ পৌঁছায়।
এই যাত্রায় প্রায় 9 ঘন্টা সময় লাগে। চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রুটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক ছুটি সোমবার এবং সিলেট থেকে চট্রগ্রাম রুটে সাপ্তাহিক ছুটি শনিবার।
আপনাদের সুবিধার্তে নিচে টেবিল আকারে প্রকাশ করা হলো।
ট্রেননং |
উৎস |
প্রস্থান |
গন্তব্য |
প্রবেশ |
সাপ্তাহিকছুটি |
৭১৯ | চট্টগ্রাম | ০৯:০০ | সিলেট | ১৮:০০ | সোমবার |
৭২০ | সিলেট | ১০:১৫ | চট্টগ্রাম | ১৯:৩৫ | শনিবার |
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন বিরতি ষ্টেশন ও সময়সুচী 2023
এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে যাওয়ার জন্য অনেকেই এই ট্রেনে উটে থাকেন। ট্রেন ভ্রমণের জন্য ষ্টেশন বিরতির সময়সূচী খুবই গুরুত্বপূর্ণ।পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি ষ্টেশন ও সময়সুচী বলতে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট যাওয়ার পথে কোন স্টেশনে থামে এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কোন স্টেশনে বিরতি দিয়ে থাকে এবং তা কত মিনিটের জন্য থেমে থাকে তা বোঝায়।
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের মূল্য 2023
যে সকল বন্ধুরা এক স্টেশন থেকে নিকটবর্তী কোন ষ্টেশনে যেতে চান, তাদের জন্য এই ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী জানা খুবই জরুরি।চট্রগ্রাম-সিলেট এর ভ্রমণ দূরত্ব ৩৭৭ কিলোমিটার (২৩৪ মাইল)।পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য ১৪ টি স্টেশনে বিরতি দিয়ে থাকেন। এছাড়াও অলস পূর্ণ ভ্রমণ থেকে বাঁচতে স্টেশন বিরতি সময়সূচী সম্পর্কে জেনে রাখুন।
বিরতি ষ্টেশন ও সময়সুচী নিচে দেওয়া হলো
বিরতি ষ্টেশন এর নাম |
ছাড়ায় সময় |
পৌছানোর সময় |
ফেনী |
১০ঃ৩১ |
১৭ঃ৫০ |
নাঙ্গলকোট |
১১ঃ০৪ |
১৭ঃ২১ |
লাকসাম |
১১ঃ২৫ |
১৭ঃ০০ |
কুমিল্লা |
১২ঃ০৫ |
১৬ঃ৩২ |
কসবা |
১২ঃ৪৭ |
১৫ঃ৪২ |
আখাউড়া |
১৩ঃ২০ |
১৫ঃ১০ |
হরষপুর |
১৩ঃ৫৫ |
১৪ঃ১৯ |
নওয়াপাড়া |
১৪ঃ১৯ |
১৩ঃ৪০ |
শায়েস্তাগঞ্জ |
১৪ঃ৪৫ |
১৩ঃ১২ |
শ্রীমঙ্গল |
১৫ঃ২৬ |
১২ঃ২৯ |
ভানুগাছ |
১৫ঃ৪৯ |
১২ঃ০২ |
শমসের নগর |
১৬ঃ০০ |
১১ঃ৫৫ |
কুলাউড়া |
১৬ঃ২৬ |
১১ঃ২৪ |
মাইজগাঁও |
১৭ঃ০৮ |
১০ঃ৫৩ |
এই ট্রেনে 12টি বগি এবং চারটি আসন রয়েছে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কেবিন এবং এসি চেয়ার রুম রয়েছে।
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভ্রমণ দূরত্ব 36 কিমি (234 মাইল) এবং টিকিটের মূল্য ব্যয়বহুল নয়। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি সেকশন রয়েছে। প্রতিটি বিভাগের জন্য টিকিটের মূল্য আলাদা। আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টিকিট কিনতে পারেন। টিকিট কেনার জন্য টিকিট কাউন্টারে আসতে পারেন। আবার, আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে টিকিট কিনতে পারেন।
আমরা পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের নির্দিষ্ট টিকিটের দাম কমিয়েছি। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস টিকিটে প্রচুর ক্লাস আছে। পাহাড়িকা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস টিকিটের মূল্য তার আসনের বিভাগের উপর ভিত্তি করে। এই ট্রেনের টিকিট 120 টাকা থেকে শুরু হয় এবং 700 টাকায় শেষ হয়৷ নীচের চার্টে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেখুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের জন্য বেছে নিন৷
টিকিটের মূল্য নীচের টেবিলে দেওয়া হলো
আসন বিভাগ |
টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার |
৫০৫ টাকা |
স্নিগ্ধা |
৯৬৬ টাকা |
এসি সিট |
১১৫৬ টাকা |
এসি বার্থ |
১৭৮১ টাকা |