আজকে আমরা ঢাকা থেকে নোয়াখালী এবং নোয়াখালী থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারি উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকিটের মূল্য ,ভাড়ার তালিকা, বন্ধের দিন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি।
আপনারা যারা ঢাকা থেকে নোয়াখালী এবং নোয়াখালী থেকে ঢাকা রুটে চলাচল করে থাকেন তাহলে এই নিবন্ধটি আপনার জন্য। এখানে আপনি ঢাকা থেকে নোয়াখালী এবং নোয়াখালী থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী উপকুল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাবতীয় তথ্য পেয়ে থাকবেন। তার জন্য আপনাকে নিবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে অনুসরণ করতে হবে।
উপকূল এক্সপ্রেস
উপকূল এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭১১−৭১২) নোয়াখালী রেলওয়ে স্টেশন হতে ঢাকা পর্যন্ত চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ১৭ই জানুয়ারি, ১৯৮৬ সালে উদ্বোধন হয়।
এটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনের কোড হল 711/712। এটি ঢাকা থেকে নোয়াখালী এবং নোয়াখালী থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করে। আপনি যদি একটি নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ চান, তাহলে ট্রেন আপনার জন্য সেরা মাধ্যম। কারণ এটি খুবই নিরাপদ, আরামদায়ক এবং ঝামেলামুক্ত। আমার ভ্রমণে আমি সবসময় ট্রেন যাত্রা উপভোগ করার চেষ্টা করি। ট্রেন ভ্রমণ আমার প্রথম অগ্রাধিকার। আমরা উপকুল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, সাব-স্টেশন এবং টিকিটের মূল্য বর্ণনা করতে যাচ্ছি। তাই এই নিবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচীঃ
আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে নোয়াখালী এবং নোয়াখালী থেকে ঢাকা রুটে যাতায়াত করে । উপকুল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন যাতায়াত করে এবং একদিন বন্ধ থাকে।নোয়াখালী ষ্টেশনে বন্ধের দিনটি হলো বুধবার এবং ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে মঙ্গলবার বন্ধ থাকে। প্রতি বুধবার এবং মঙ্গলবার এই ট্রেনটি চলাচল বন্ধ থাকে । আপনার উদ্দেশ্যে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী নিচে দেওয়া হল।
ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী ও বন্ধের দিন
ট্রেন নং |
উৎস | প্রস্থান | গন্তব্য | প্রবেশ |
সাপ্তাহিক ছুটি |
৭১১ | নোয়াখালী | ০৬:০০ | ঢাকা কমলাপুর | ১১:৪৫ | বুধবার |
৭১২ | ঢাকা কমলাপুর | ১৫:২০ | নোয়াখালী | ২১:২০ | মঙ্গলবার |
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি
এই ট্রেনটি নোয়াখালী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে নোয়াখালী রুটে চলাচল করার সময় তেরোটি স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে থাকে। নিচে উপকূল এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতি স্টেশন গুলোর নাম দেওয়া হল।
- ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
- নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন
- আশুগঞ্জ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- আখাউড়া জংশন
- কসবা
- কুমিল্লা
- লাকসাম জংশন
- নাথেরপেটুয়া
- সোনাইমুড়ি
- বজরা
- চৌমুহনী
- মাইজদী কোর্ট
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য ও ভাড়ার তালিকা
উপকুল এক্সপ্রেস এসি এবং নন-এসি উভয় আসনই অফার করে। ঢাকা থেকে নোয়াখালী যাত্রা উপকুল এক্সপ্রেস প্রায় ২০৪ কিলোমিটার। অন্যান্য রুটের তুলনায় ট্রেনটির টিকিটের মূল্য কম রয়েছে। সীমিত মূল্যে আপনি একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন। সস্তা টিকিটের দাম, আরামদায়ক এবং নিরাপদ যাত্রার কারণে আমি সবসময় ট্রেন ভ্রমণ পছন্দ করি। ট্রেনে বিভিন্ন ধরনের সিট ক্যাটাগরি পাওয়া যায়। উপকুল এক্সপ্রেসের টিকিটের মূল্য সিট ক্যাটাগরি অনুযায়ী নিচে দেওয়া হল।
আসন বিন্যাস |
টিকিটের মূল্য |
শোভন | ২২৫/= |
শোভন চেয়ার | ২৭০/= |
ফার্স্ট সিট | ৩৬০/= |
ফার্স্ট বার্থ | ৫৪০/= |
স্নিগ্ধা | ৫১৮/= |
এসি | ৬২১/= |
এসি বার্থ | ৯৩২/= |
অন্যান্য সুবিধা
- আন্তঃনগর ট্রেনগুলো নামাযের জন্য নির্ধারিত জায়গা রয়েছে।
- কতর্ব্যরত গার্ডের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স রয়েছে।
- টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ট্রেন থেমে থাকা অবস্থায় টয়লেট ব্যবহার না করা ভালো।
- প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকেন। যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
- যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া। ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া।
- এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা রয়েছে। মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হয়। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।
আরো পড়ুনঃঢাকা-চট্রগ্রাম-ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী,টিকিট ও ভাড়ার তালিকা 2022
পরিশেষে একটি কথাই বলবো যেখানেই যান নিরাপদে জান এবং ট্রেনে যাতায়াতের সময় নিজের মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখবেন। এই নিবন্ধে আপনার কোন প্রশ্ন বা তথ্য থাকলে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।